প্রিয় সোনেলার ব্লগার গন, আমরা যার যার ধর্মীয় আনন্দ গুলোর স্মৃতি জানতে চাই, কে কি করতেন, কিভাবে ধর্মীয় উৎসব গুলো উদযাপন করতেন, ছোট বেলায় কিভাবে ঈদ/ পূজো/ বড়দিন/ বুদ্ধ পূর্ণিমার প্রস্তুতি এবং সমাপ্ত করতেন সবই জানতে চাই। আপনার স্মৃতি অন্য সবাইকে আনন্দ দেবে।

এটি কোনো প্রতিযোগিতা নয়, এই করোনা সময়ে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক বা টেনশন হতে কিছুটা মুক্তির জন্য এই আয়োজন। আগামী ৭ মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আপনার স্মৃতি মুলক লেখা লিখে সোনেলা ব্লগে প্রকাশ করুণ। সবার লেখা এই পোস্টে সংযুক্ত করা হবে।

এ বিষয়ে প্রাপ্ত লেখাঃ
১। তৌহিদঃ  
স্মৃতি অমলিন

২। আতা স্বপনআজও মনে পড়ে ঈদের সেই দিনগুলি 

৩। সুরাইয়া নার্গিসআমার সারপ্রাইজ ঈদ 

৪। ইঞ্জাকরোনাকালে রমজান ও কিছু স্মৃতি 

৫। রেহানা বীথিপ্রথম রোজা এবং চাঁদ দেখার তেলেসমাতি 

৬। আরজু মুক্তাস্মৃতি তুমি হাসাইয়ো না 

৭। সূপর্ণা ফাল্গুনীপূজোর স্মৃতি রোমন্থন 

৮। সাবিনা ইয়াসমিনরোজা- স্মৃতিতে বর্তমানে 

৯। জিসান শা ইকরামস্মৃতিতে রমজান

 

====================================================

এই রমজানকে নিয়ে আমার ছেলেবেলার কিছু স্মৃতি আপনাদের জন্য তুলে ধরছি।

বয়স আমার তখন খুবই অল্প, যাকে রোজা রাখার বয়স বলা যাবেনা, আমি সবাইকে দেখে রোজা রাখতাম, সেহেরিতে সবাই সেহেরি খাওয়ার জন্য উঠলে আমিও উঠে সেহেরি খেতাম, রোজাও রাখতাম।

এই অল্প বয়সে রোজা রাখাটা নিয়ম বিরুদ্ধ বলেই হয়তো আমার আব্বা না করতেন রোজা রাখতে, এই জন্য খেলার সময় আমি পড়ে গেলে বা আছাড় খেলে আব্বা বলতো রোজা ভেঙ্গে গেছে, এরপর নিজেই নিয়ে গিয়ে আমাকে খাবার খাওয়াতেন।

আরেকটু বড় হলে খুব পিপাসা লাগলে সবার অগোচরে পানি পান করে ফেলতাম।

এরপর আসতো এগিয়ে ঈদ, আমাদের সবার ধুম লেগে যেতো ঈদের শপিংয়ের, সে এক অসাধারণ সময় কাটত আমার, চট্টগ্রাম নিউ মার্কেট ছিলো তখনকার প্রধান শপিং সেন্টার, আম্মাকে নিয়ে সারাদিন করে প্রায় চার পাঁচদিন ধরে ঘুরে ঘুরে শপিং চলতো, এখন ভাবি আম্মা সারাদিন ধরে কি এতো কিনতেন যে সকাল থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত মার্কেটে থাকতেন, মাঝে মাঝে তো আমাদেরকে (বে রোজাদার) ড্রাইভার মামার সাথে নিউমার্কেটের লিভার্টি আইস্ক্রিম পার্লারে পাঠাতেন ফালুদা খাওয়ার জন্য, আহা সেই স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে যেন।

মাঝে মাঝে আব্বা আমাকে নিয়ে যেতেন শপিং করানোর জন্য, সেই সময় নিউমার্কেটের নিচ তলায় ইগলু আইস্ক্রিম পার্লারে নিয়ে গিয়ে আমার সবচাইতে পছন্দের ড্রিংক্স মাজা (এখন পাওয়া যায়না) ম্যাংগো ড্রিংক্স খাওয়াতেন যাহা কোক ফান্টার মতোই বোতলজাত পাওয়া যেতো, আহা কি স্বাদ ছিলো তার।

এখন বড় হয়ে গেছি তো সেইসব আনন্দ আর পাইনা, স্মৃতি হাতড়ে যায় সেইসব দিনগুলো।

 

১৪১৭জন ৮৭২জন
132 Shares

১৫৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ