
প্রিয় সোনেলার ব্লগার গন, আমরা যার যার ধর্মীয় আনন্দ গুলোর স্মৃতি জানতে চাই, কে কি করতেন, কিভাবে ধর্মীয় উৎসব গুলো উদযাপন করতেন, ছোট বেলায় কিভাবে ঈদ/ পূজো/ বড়দিন/ বুদ্ধ পূর্ণিমার প্রস্তুতি এবং সমাপ্ত করতেন সবই জানতে চাই। আপনার স্মৃতি অন্য সবাইকে আনন্দ দেবে।
এটি কোনো প্রতিযোগিতা নয়, এই করোনা সময়ে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক বা টেনশন হতে কিছুটা মুক্তির জন্য এই আয়োজন। আগামী ৭ মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আপনার স্মৃতি মুলক লেখা লিখে সোনেলা ব্লগে প্রকাশ করুণ। সবার লেখা এই পোস্টে সংযুক্ত করা হবে।
এ বিষয়ে প্রাপ্ত লেখাঃ
১। তৌহিদঃ স্মৃতি অমলিন
২। আতা স্বপন : আজও মনে পড়ে ঈদের সেই দিনগুলি
৩। সুরাইয়া নার্গিস : আমার সারপ্রাইজ ঈদ
৪। ইঞ্জা : করোনাকালে রমজান ও কিছু স্মৃতি
৫। রেহানা বীথি : প্রথম রোজা এবং চাঁদ দেখার তেলেসমাতি
৬। আরজু মুক্তা : স্মৃতি তুমি হাসাইয়ো না
৭। সূপর্ণা ফাল্গুনী : পূজোর স্মৃতি রোমন্থন
৮। সাবিনা ইয়াসমিন : রোজা- স্মৃতিতে বর্তমানে
৯। জিসান শা ইকরাম : স্মৃতিতে রমজান
====================================================
এই রমজানকে নিয়ে আমার ছেলেবেলার কিছু স্মৃতি আপনাদের জন্য তুলে ধরছি।
বয়স আমার তখন খুবই অল্প, যাকে রোজা রাখার বয়স বলা যাবেনা, আমি সবাইকে দেখে রোজা রাখতাম, সেহেরিতে সবাই সেহেরি খাওয়ার জন্য উঠলে আমিও উঠে সেহেরি খেতাম, রোজাও রাখতাম।
এই অল্প বয়সে রোজা রাখাটা নিয়ম বিরুদ্ধ বলেই হয়তো আমার আব্বা না করতেন রোজা রাখতে, এই জন্য খেলার সময় আমি পড়ে গেলে বা আছাড় খেলে আব্বা বলতো রোজা ভেঙ্গে গেছে, এরপর নিজেই নিয়ে গিয়ে আমাকে খাবার খাওয়াতেন।
আরেকটু বড় হলে খুব পিপাসা লাগলে সবার অগোচরে পানি পান করে ফেলতাম।
এরপর আসতো এগিয়ে ঈদ, আমাদের সবার ধুম লেগে যেতো ঈদের শপিংয়ের, সে এক অসাধারণ সময় কাটত আমার, চট্টগ্রাম নিউ মার্কেট ছিলো তখনকার প্রধান শপিং সেন্টার, আম্মাকে নিয়ে সারাদিন করে প্রায় চার পাঁচদিন ধরে ঘুরে ঘুরে শপিং চলতো, এখন ভাবি আম্মা সারাদিন ধরে কি এতো কিনতেন যে সকাল থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত মার্কেটে থাকতেন, মাঝে মাঝে তো আমাদেরকে (বে রোজাদার) ড্রাইভার মামার সাথে নিউমার্কেটের লিভার্টি আইস্ক্রিম পার্লারে পাঠাতেন ফালুদা খাওয়ার জন্য, আহা সেই স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে যেন।
মাঝে মাঝে আব্বা আমাকে নিয়ে যেতেন শপিং করানোর জন্য, সেই সময় নিউমার্কেটের নিচ তলায় ইগলু আইস্ক্রিম পার্লারে নিয়ে গিয়ে আমার সবচাইতে পছন্দের ড্রিংক্স মাজা (এখন পাওয়া যায়না) ম্যাংগো ড্রিংক্স খাওয়াতেন যাহা কোক ফান্টার মতোই বোতলজাত পাওয়া যেতো, আহা কি স্বাদ ছিলো তার।
এখন বড় হয়ে গেছি তো সেইসব আনন্দ আর পাইনা, স্মৃতি হাতড়ে যায় সেইসব দিনগুলো।
১৫৩টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
হাজিরা দিলাম।আড্ডা পোষ্টগুলো অন্তত একটা দিন স্টিকিতে রাখা ভাল মনে করি।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই, তা বলুননা আপনার সম্পর্কে।
সাবিনা ইয়াসমিন
আরে! মমি ভাই নাকি? তাও আবার প্রথম কমেন্টে!!
সুরাইয়া নার্গিস
মমি ভাইয়া হাজিরার সাথে রমজানের মজার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
সময় করে একটা আলাদা পোষ্ট লিখে ফেলুন! আমরা পাঠকগণ পড়ার অপেক্ষায় রইললাম।
ইঞ্জা
আমরা সবাই মমি ভাইয়ের লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমাদের দূর্গা পূজো পাঁচদিন ধরে চলতো বলে আমাদের কেনাকাটা সপ্তমী পর্যন্ত চলতো। বাংলাদেশে এই পূজোতেই বেশী ধূমধাম হতো আর একটানা লক্ষ্মী পূজো ,শ্যামা পূজো চলে যেতো আনন্দের সাথে। দূর্গা পূজোর অষ্টমীতে আসল মজা, উৎসব শুরু হতো। দশমীতে বাসায় ভালো ভালো খাবার রান্না হতো, দই মিষ্টি তো্ থাকতোই। আমার মা সবার জন্য কেনাকাটা একটু একটু করে আগেই সেরে ফেলতেন। লক্ষ্মী পূজো ঘরে করতাম বলে ঐদিন ঘরেই প্রতিমা সাজানো হতো, সারাদিন উপোস থাকতাম , নাড়ু পায়েস, লুচি বানাতাম। আমাকেও উপোস থাকতে দিতো না কিন্তু আমি কিছু না খেয়েই উপোস থাকতাম। একবারে পূজো দিয়ে প্রসাদ নিয়েই উপোস ভাঙ্গতাম। পূজোর প্রসাদটাই আমার সবথেকে বেশী প্রিয়। শ্যামা পূজো তে ঘরের কোনায় কোনায় মোমবাতি জ্বালানো ছিল বড় আয়োজন। শহরে থাকতাম বলে অতো নিয়ম-কানুন মানা হতো না। ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য। রমজান শুভ হোক
ইঞ্জা
বাহ চমৎকার তো, এক সময় পূজার আনন্দটাই আমরাও ভাগাভাগি করে উদযাপন করতাম, বিশেষ করে মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে ঘুরে আনন্দ করতাম, পিসিমাদের বাসায় গিয়ে নানা মজাদার খাদ্য ভক্ষণ ছিলো আরও আনন্দের, ধন্যবাদ আপু, অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা অফুরান
সাবিনা ইয়াসমিন
@ সুপর্ণা, এখানে যতটুকু লিখেছেন এগুলো সহ আলাদা পোস্ট দিন। একদম ছোটবেলা থেকে বড়বেলা পর্যন্ত সব লিখবেন। কারণ ভাইজান আমাদেরকে লেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন, কেন আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে লিখবো না!!
ইঞ্জা
লিখুন অবশ্যই সূপর্না আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ওকে আপু চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ আপু
সুরাইয়া নার্গিস
দিদি ভাই আপনাদের ধর্মের সব চমৎকার, মজার, উৎসাবের অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
সময় করে একটা আলাদা পোষ্ট লিখে ফেলুন! আমরা পাঠকগণ পড়ার অপেক্ষায় রইললাম।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপু চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ নার্গিস আপু
ইঞ্জা
আপু আপনার এ বিষয় নিয়ে একটা লেখা দেওয়ার অনুরোধ করছি।
সুরাইয়া নার্গিস
দিদি ভাই আপনার লেখা পড়া অপেক্ষায় রইলাম।
নিতাই বাবু
ছোটবেলা যখন গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে থাকতাম, তখন কিন্তু আমাদের সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে দুর্গাপূজার পর লক্ষ্মীপূজার আনন্দই ছিল গ্রামের প্রতিটি ঘরে। আহা কী আনন্দ! তা আর লিখে শেষ করা যায় না। আমরা দুর্গাপূজায় কেনাকাটা করলাম না। করা হতো লক্ষ্মীপূজায়। কারণ, তখন দুর্গাপূজার আনন্দ বেশি হতো শহরে। গ্রামের আনন্দ লক্ষ্মীপূজায়। এই নিয়ে একটা ব্লগ লেখা দরকার ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়টায় সবকিছু কেড়ে নিয়ে গেল।
ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয় ইঞ্জা দাদা।
ইঞ্জা
দাদা সময় করে লিখুন, বুঝতে পারছি বেশ মজা হবে।
সুরাইয়া নার্গিস
শ্রদ্ধেয় দাদা ভাইয়া, হাজিরার সাথে আপনাদের ধর্মের চমৎকার, চমৎকার সব উৎসব আছে আমি জানি, সেই সব মজার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
সময় করে একটা আলাদা পোষ্ট লিখে ফেলুন! আমরা পাঠকগণ পড়ার অপেক্ষায় রইললাম।
ইঞ্জা
জ্বি আপু, দাদার লেখাটি দারুণ হবে আশা করছি।
নিতাই বাবু
চেষ্টা করছি, শ্রদ্ধেয় দিদি। সময় করে অবশ্যই লিখবো।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমিও হাজির হয়ে গেছি। ভাইজানের আইসক্রিমের খাওয়ার দৃশ্য কল্পনা করছি, আর নিজের কথা ভাবছি।
এমন আহবানে সাড়া দিয়ে কি থাকা যায়!! আমিও লিখবো আমার ছোট্টবেলার রোজার কথন 🙂
যেহেতু এটা আড্ডা পোস্ট, তাই বারবারই আসতে চাই এখানে। আপনিও থাকবেন, নয়তো আড্ডা দিবো কার সাথে??
ইঞ্জা
আপু আমি আছি, শুনতে চাই সবার কথা।
সাবিনা ইয়াসমিন
লিখবো, আপনি লেখার দাওয়াত দিয়েছেন, না লিখে যাবো কই? তার আগে আপনার গল্প গুলো আগে ভালোমতো শুনি। এখন বলুন, ঢাকার নিউ মার্কেটের ফালুদা কখনো খেয়েছিলেন?
ইঞ্জা
ঢাকার নয় আপু, এ আমাদের চট্টগ্রামের নিউমার্কেট যা এক সময় এশিয়ার সর্ববৃহত শপিং মল ছিলো, এতো বড় মার্কেট আপনি এখনো সারা বাংলাদেশ ঘুরে পাবেননা।
বন্যা লিপি
আমিও আইসা পরছি হেহ্……এখন কও কি কমু?
সুরাইয়া নার্গিস
আপু আপনার ছোটবেলা রমজান নিয়ে সেই সব মজার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
সময় করে একটা আলাদা পোষ্ট লিখে ফেলুন! আমরা পাঠকগণ পড়ার অপেক্ষায় রইললাম।
ইঞ্জা
আপু আপনার জীবনে রমজান নিয়ে লিখা চাই।
সুরাইয়া নার্গিস
ইনশাল্লাহ্ ভাইজান লিখবো
ছাইরাছ হেলাল
সেই সব সোনালী দিন ক্যামনে কোথায় হারালো সে সব ভেবে সত্যি মন খারাপ লাগে,
এখন সব আছে, আমি-ই সংসারের কর্তা, কিন্তু কী যেন হারিয়ে গেছে, আর খুঁজে পাচ্ছি না।
সাবিনা ইয়াসমিন
মহারাজ, আপনার ছোটবেলার কথা জানতে চাই। রোজা গুলো কিভাবে রাখতেন আর ইফতারের আগে আর কি কি খেতেন সব লিখুন তাড়াতাড়ি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন, আমার তো কুন ছুটবেলা নেই, শুধুই বড়বেলা!
আর মুমিন তো সারাক্ষণ-ই রোজায় থাকে, এই অফিশিয়াল রোজা সহ।
আপনি আপনার লেদু-কাল দিয়ে শুরু করুন, জ্বি!
সাবিনা ইয়াসমিন
এটা কেমন কথা! ছোটবেলা নেই মানে? আপনি কি কলা গাছের ভেতর থেকে বের হয়েছিলেন নাকি!!
ইঞ্জা
কলা গাছ, হা হা হা হা হি হি হি হি 😂🤣😆
ছাইরাছ হেলাল
@ ভাই, আপনি হেসে দিলে কৈ যামু!
আপনে তো ভাই লাগেন!
ইঞ্জা
হাসবোনা ভাইজান, আপনি একি বললেন, আপনার ছোটো বেলায় নেই?
বন্যা লিপি
সাবিনা মহারাজরে ধইরা লাভ নাই, তেনার আসলেই কুনো গেদুকাল নাইক্কা😁, খালিই মহারাজকাল😊😊 রাস্তা দিয়া হাঁইটা চলে রাস্তা হারাইয়া😂😂😂😂😂
ইঞ্জা
বন্যা আপু, কি বলেন, সত্যি কুবিরাজের গেদুকাল নাই? 😆😆😆😆
ইঞ্জা
আমার মতোই আপনার অবস্থা ভাইজান, শুধু স্মৃতিকে খুঁজে ফেরা।
সুরাইয়া পারভীন
হা হা হা হা হা
কলা গাছ!!
মন্দ নয় কিন্তু
দারুণ সব ব্যাপার স্যাপার
ইঞ্জা
🤣🤣🤣🤣😃😃
সুরাইয়া নার্গিস
ভাইয়া কর্তামশাইয়ের হারানো সময় গুলোতে রমজানের মজার ঘটনা বা যেকোন স্মৃতিচারন সম্পর্কে পোষ্ট দেখতে চাই।
ভাইয়া সময় করে লিখে ফেলুন! আমরা পাঠকগণ পড়ার অপেক্ষায় রইল..
ছাইরাছ হেলাল
@ সু-নার্গিস,
আসলে আপ্নি/আপনাদের মত সুন্দর করে লিখতে পারলে বানিয়ে/টানিয়ে কিছু-না-কিছু -একটা
বলার ভান তো করাই যেত, তাইতো এমন করে একরাশ অপারগতা!
সুরাইয়া নার্গিস
আপনি অনেক ভালো লিখেন আমি জানি, লিখে ফেলুন পড়ার অপেক্ষা করছি..
জিসান শা ইকরাম
আড্ডায় হাজির হলাম ভাইজান।
যে সব বিষয় জানতে চেয়েছেন, তা বলতে গেলে একটি পোস্ট হয়ে যাবে তো। দেখা যাক কতটা কি লিখতে পারি।
আসতেছি তৈরি হয়ে।
ইঞ্জা
অপেক্ষায় রইলাম ভাইজান।
জিসান শা ইকরাম
একদম ছোট বেলায় দিনে রোজা রাখতাম তিনটা, তিনবার ইফতারি করতাম।
সকালের নাস্তার সময় একবার ইফতারি
দুপুরে একবার ইফতারি
মাগরেবের নামাজের সময় ইফতারি।
এভাবে একদিনেই তিন রোজা 🙂
সাবিনা ইয়াসমিন
এখানে কেন!! লেখা নিয়ে কোনো ফাঁকিবাজি চলবে না। নিজে কি কি করতেন ওগুলো আলাদা পোস্টে দিবেন। এখানে আমরা ভাইজানের লেখা নিয়ে, তার পোস্টে বলা কথা থেকে আড্ডা দিবো
জিসান শা ইকরাম
ম্যাডাম দেখেন পোস্টে লেখা আছে ” আপনাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখুন কমেন্ট বক্সে, সাথে সাথে খেয়াল রাখবেন ফিরতি কমেন্টের উত্তরও দিতে হবে।
সাথে সাথে এও বলুন, এই করোনাকালে কিভাবে রোজা রাখছেন, শপিংয়ের কি অবস্থা? ”
পোস্ট তাইলে এডিট করা লাগবে 🙂
জিসান শা ইকরাম
আলাদা পোস্টের ধারনা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। যত দ্রুত সম্ভব একটি পোস্ট দিন এ নিয়ে। সবাই নিজ নিজ অভিজ্ঞতা, স্মৃতি নিয়ে লিখবেন।
ইঞ্জা
আগে আড্ডা এরপর লেখালেখি।
ইঞ্জা
বুঝছি, আপনিও আমার লাইনের। 😂
বন্যা লিপি
হা হা হা হা হা………. আপনার বড়দার ভয়ে রোজা রাখা আবার বড়দারে হাতেনাতে ধরা রোজা ভঙ্গ করতে দেখা। এসব শুনেছিলাম আপনার সেজদার মুখে।
আপনার এমন কোনো কাহিনী আছে কি?
জাতি জানতে চায়😂😂😂
জিসান শা ইকরাম
জাতিকে জানানো হইবে সব 🙂 @বন্যা লিপি।
বন্যা লিপি
জাতি অপেক্ষায় রহিলো
@জিসান ইকরাম😊😊😊
ইঞ্জা
হ হ জাতি জানতে চাই। 😆
জিসান শা ইকরাম
ছোট বেলার রোজা বলি আর ঈদ বলি, তখনকার এসবে যে আনন্দ পেতাম, বর্তমানে তা পাইনা। বর্তমানের আনন্দ গুলো কেমন এক নিয়ন্ত্রিত আনন্দ। আনন্দকে শিকল দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে মনে হয়।
স্মৃতিতেই সোনালী দিন।
ইঞ্জা
সত্যি আমি হতাশ এই আধুনিক ঈদ আনন্দ দেখে, আহা সেইসব দিন গুলো কেন হারিয়ে গেলো ভাইজান?
সুরাইয়া নার্গিস
জিসান ভাইয়া রজমানের আপনার ছোটবেলার সেই সব মজার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
সময় করে একটা আলাদা পোষ্ট লিখে ফেলুন! আমরা পাঠকগণ পড়ার অপেক্ষায় রইললাম।
ইঞ্জা
একমত নার্গিস আপুর সাথে।
জিসান শা ইকরাম
ভাইজান, আমাদের এখানের ফালুদা তেমন ভালো না,
মিরপুর দশ এর গোল চত্ত্বরের এক রেস্টুরেন্টে জীবসের সেরা স্বাদের ফালুদা খেয়েছি। এখনো মনে হলে সেই স্বাদ পাই 🙂
ইঞ্জা
কবে খেলেন ভাইজান, করোনা পার করলে আমাকে নিয়ে যাবেন কিন্তু। 😁
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দাদা ভাই কি আন্ডারগ্রাউন্ডের রেস্টুরেন্টের কথা বলছেন? ওরকম মজা আর পাইনি কোনো রেস্টুরেন্টের ফালুদাতে । অসম্ভব টেস্টি।
জিসান শা ইকরাম
না, দোতলা একটি রেস্টুরেন্ট ছোট দি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অনেক দিন যাওয়া হয়না , পনেরো বছর হয়ে গেছে।
সুরাইয়া নার্গিস
সবাই এঞ্জা ভাইয়ার ফালুদা খাওয়ার কথা শুনে নিজের ফালুদা খাওয়ার কথা শেয়ার করতেছে।
আমাকে কেউ ফালুদা খাওয়ার দাওয়াত দেয়না..😋
সুপর্ণা ফাল্গুনী
😋😋😋 আহারে আপু। করোনায় কেমনে দাওয়াত দিবো?
সুরাইয়া নার্গিস
আপু লোভ হচ্ছে তো 😋
লোভ তো আর করোনা বুঝে না ☺
ইঞ্জা
নার্গিস আপু, আপনাকে করোনা বিদায়ে খাওয়ানো হবে। 😊
সুরাইয়া নার্গিস
আলহামদুলিল্লাহ্ ভাইজান আফাতত জ্বী সেটা মেনে নিল।
আল্লাহ্ সারা পৃথিবী করোনা মুক্ত করুন এই কামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইজান।
রেহানা বীথি
হাজির হলাম ভাইয়া। আড্ডা পোস্ট হিসেবে দারুণ একটা বিষয় নির্বাচনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নিজের ছোটবেলাটা ধাঁই করে সামনে চলে এল। যখন থেকে স্মৃতি জেগে আছে, মনে পড়ে সেহরিতে ওঠার জন্য কত পিড়াপিড়ি করেছি আব্বা-আম্মার সাথে। মাঝে মাঝে নিজেই উঠে যেতাম, সবার সাথে খেয়েও নিতাম সেহরি। কিন্তু তারপর? সারাদিন মাঠে ঘাটে ঘুরে ঘুরে খেলার সাথীদের সাথে টিউবওয়েল চেপে ঠাণ্ডা পানিতে হাত মুখ ধুতে ধুতে কিছুটা পানি খেয়েও নিতাম। বাড়ি ফিরে আম্মাকে যখন বলতাম সেকথা, আম্মা বলতেন, ছোটদের কোনও পাপ নেই। আর রোজা রেখে একটু আধটু পানি খাওয়াই যায়। বলতাম, কিন্তু তোমরা যে খাও না। উত্তরে আম্মা হাসতে হাসতে বলতেন, আমরা যে বড়!
শুনে ভীষণ মন খারাপ হত, কবে যে আমিও বড় হব!!
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা, পানি আমিও খেতাম পিচ্চি বেলায় 🙂
একটা টপিক্স পাওয়া গেলো। রোজার স্মৃতি নিয়ে পোস্ট।
সবাইকে এমন পোস্ট দিতে বললে কেমন হয়?
ইঞ্জা
বলুন ভাইজান, লিখি আমরা।
ইঞ্জা
আহা সেইসব দিন গুলো কোথায় যে হারিয়ে ফেললাম আপু, আমার দুঃখ লাগে কেন এতো তাড়াতাড়ি বড় হলাম? 😕
রেহানা বীথি
জিসান ভাইয়া, দারুণ হবে। সবাইকে নিজেদের স্মৃতি নিয়ে বিস্তারিত লিখে পোস্ট দিতে বলুন।
রেহানা বীথি
জ্বি ইঞ্জা ভাইয়া, আমরা কেন যে বড় হয়ে গেলাম! কী মধুর ছিল সেইসব দিন। আব্বার চাকরিসূত্রে বাইরে বাইরেই থাকতাম আমরা। ঈদে মাঝে মাঝে গ্রামে যেতাম। সেই ঈদগুলো ভোলার নয়। সবার জন্য কেনাকাটা করে নিয়ে যেতাম আমরা। উপহার পেতাম আমরাও সবার কাছ থেকে। আর ঈদের চাঁদ দেখার জন্য আমবাগানের শেষ মাথায় ঊনত্রিশ রোজার সন্ধ্যায় জমা হতাম সবাই। সে কী উত্তেজনা! কেউ চাঁদ না দেখলেও অন্যের শুনে শুনে বলত, হ্যাঁ…হ্যাঁ, ওই যে… ওই তো চাঁদ!!
ইঞ্জা
হাঁ এই ঈদের চাঁদ দেখাটাও তখন আনন্দের ছিলো, সেই কি আনন্দ, পটকার আওয়াজ, সাথে বিটিভিতে ঈদের গান “ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ”, আহা।
ইঞ্জা
রেহেনাপু আপনার দ্বায়িত্ব হলো এ বিষয়ে দ্রুত একটা পোস্ট দেওয়া।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা আপু।
আজকের এই আড্ডা পোস্টের বড় প্রাপ্তিই এটি। পোস্টের বিষয়বস্তু পাওয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে।
রেহানা বীথি
সত্যিই ভাইয়া। এজন্য ইঞ্জা ভাইয়ার কাছে কৃতজ্ঞ আমরা। চমৎকার বিষয়টি তুলে এনেছেন উনি।
ইঞ্জা
আমি আপ্লুত
সুরাইয়া নার্গিস
হা হা হা হা আপু মজার লেখা, আমিও ছোটবেলা রোজা রেখে পানি খেতাম আম্মু বলতো রোজা তিনটা হবে।
সেই বিশ্বাসটা অনেক বছর পর্যন্ত ছিলো, বড় হয়ে বুঝছি পানি খেলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
সুরাইয়া নার্গিস
আপু আপনার রমজানের সেই সব মজার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
সময় করে একটা আলাদা পোষ্ট লিখে ফেলুন! আমরা পাঠকগণ পড়ার অপেক্ষায় রইললাম।
ইঞ্জা
সবাই দেখি চুরি করে পানি খেতো। 😆
সুরাইয়া নার্গিস
এঞ্জা ভাইজান রোজা রেখে পানি খাওয়ার পরও আমি ৯০ টি রোজা রাখার রেকর্ড এর মালিক ৫-৭ বছর বয়স পর্যন্ত 😂
রেজওয়ান
আহা কতদিন ৫৩ গলির বা চকের ইফতার খাওয়া হয় না🤤😭
ইঞ্জা
করোনা চলে গেলে তুমি বউকে নিয়ে চলে আসো এক রমজানে, সবাই মিলেই খাবো।
জিসান শা ইকরাম
সবার আলাদা আলাদা পোস্ট চাই এ বিষয়ে। @রেজওয়ান।
ইঞ্জা
অপেক্ষায় রইলাম।
সুরাইয়া নার্গিস
ভাইয়া রমজানের সব মজার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
সময় করে একটা আলাদা পোষ্ট লিখে ফেলুন! আমরা পাঠকগণ পড়ার অপেক্ষায় রইললাম।
বন্যা লিপি
আইসা তো পরলাম। কি কি লেখি বলেন তো ভাইজান। সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছি।
স্মৃতী বড্ড বেরসিক। রমজান মাস আসার আগে আসে শবইবরাত। তখন থেকেই শুরু হতো রোজার দিন গোনা। রোজা না রাখলে পাপ হয়, এমন কথা শুনে শুনে রোজা রাখতাম, দুপুর না গড়াতেই আর পারতাম না যেন ধৈর্য রাখতে। ইনিয়েবিনিয়ে আম্মার পিছু পিছু ঘুর ঘুর করতাম। আম্মা দিতেন ঝাড়ি! বলতেন… কইছে কেডা রোজা রাখতে? ১২ টা পর্যন্ত রাখলেই অর্ধেকটা হবে। কাইল আবার আর অর্ধেক রাখলেই পুরা একটা হইবে।
এরকম মজার কাহিনী যে কত আছে সারা শৈশব জুড়ে! ইয়ত্তা নেই।
ইঞ্জা ভাই বিষয় বস্তু ধরায়া দিলেন যখন, তখন এই বিষয় নিয়াই লিখবো আশা করি আলাদা পোস্টে। আড্ডা চলুক, যতক্ষন চলে। আছি সাথে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
🤣🤣🤣🤣🤣🤣কি মজা আজ আর কাল মিলে একটা রোজা!!!! আপু খুব মজা পেলাম
বন্যা লিপি
একদম ঠিক ছোটদি ভাই। আরো লিখবো অপেক্ষা করেন। মজার হইলো কি এত তারাতারি দি😆😆
জিসান শা ইকরাম
সবাই যার যার মজার স্মৃতি নিয়ে আলাদা পোস্ট দেবে। এ বিষয়ে ব্লগে পোস্ট দেয়া হবে শিঘ্রই।
বন্যা লিপি
আমি তো রেডি লেখার জন্য। তবে কথা আছে যে; ওই ফিচার ছবি যুক্ত করা? ওয়া তো আপনারে নাইলে সাবিনা ম্যাডামের করতে হইবো।
জিসান শা ইকরাম
ফিচার ছবিতে সমস্যা নেই। ব্লগের কেউ দিয়ে দেবে ওটা।
আগে একটা পোস্ট আসুক লেখা দেয়ার জন্য। এরপর সবাই যার যার মত লেখা প্রকাশ করবো।
সুরাইয়া নার্গিস
আপু আপনার রমজানের সব মজার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
সময় করে একটা আলাদা পোষ্ট লিখে ফেলুন! আমরা পাঠকগণ পড়ার অপেক্ষায় রইললাম।
ইঞ্জা
আপু অপেক্ষায় রইলাম।
সুপায়ন বড়ুয়া
রোজা নিয়ে আড্ডা জমে উঠলো বলে কথা
যেটা ইন্জা ভাই করলেন শুরু।
দেখা যাক সবার মজাটা কেমন ছিল ?
ভাল থাকবেন।
বন্যা লিপি
দাদা আপনে আপনার পার্বণ নিয়ে লিখে ফেলুন, আমরা অপেক্ষায় রইলাম।
সুরাইয়া নার্গিস
দাদা আপনাদের উৎসব নিয়ে আনন্দ বা যে কোন অনুভুতি নিয়ে আলাদা পোষ্ট চাই।
ইঞ্জা
দাদা, আপনারা নিশ্চয় ব্রত পালন করেন, এছাড়া যেসব পূজা অর্চনা করেন তাও নিয়ে একটি পোস্ট দিন প্লিজ।
সুপায়ন বড়ুয়া
চেষ্টাতো করতেই হয়
সবাই যাতে পাশে রহ।
ইঞ্জা
অবশ্যই আছি দাদা
তৌহিদ
বাহ! অনেকদিনপরে আড্ডা পোস্ট এলো সোনেলায় খুব ভালো লাগলো।
আড্ডা পোস্টে দেরীতে আসার জন্য ক্ষমা প্রার্থণা করছি ভাই। আসলে দেহমনের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার ফল এসব।
এবারের রোজা বিষণ্ণতা নিয়ে যাচ্ছে। গত বছরেও কত আনন্দ উদ্দীপনা নিয়ে পার করেছি রোজার মাস আর এবারে পুরো উলটো হচ্ছে। আশা করি একদিন সব দূর হয়ে যাবে। আমরা আবারো হাসবো সোনেলার মাঠে।
ভালো থাকবেন দাদা।
সুরাইয়া নার্গিস
ভাইয়া রমজানে মজার স্মৃতি নিয়ে আলাদা পোষ্ট চাই, সময় করে লিখে ফেলুন।
তৌহিদ
পোস্ট দিয়েছি, দেখুন।☺
আপনার লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম আপু।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ভাইয়া। লেখাটা পড়ার সময় ইজ্ঞা ভাইজানের লেখা ভাবছিলাম😣
কমেন্টস করার পর লেখাটা আবার পড়লাম দারুন ভালো লাগছে, পরে দিখি তৌহিদ ভাইয়া 🤭
কমেন্টস ইডিট করার সিস্টেম জানা নেই তাই 🙏
ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
ভাই সুযোগ পেলে রোজার স্মৃতি নিয়ে লিখে ফেলুন।
তৌহিদ
লেখা দিয়েছি দাদা। পড়ার আমন্ত্রণ রইলো।
ইঞ্জা
পড়েছি ভাই।
সুরাইয়া পারভীন
বাহ্ দারুণ পোস্ট
আমি আমার মেয়েকে নিয়ে পড়েছি বিপাকে
ও বলছে রোজা করবে
পানি, বিস্কুট এটা সেটা খাচ্ছে শুধু ভাত ছাড়া।
খেতে বললে বলে রোজা আছি বার বার ভাত খেতে বলছো কেনো?
কেমনটা লাগে কন?
বেশ খুনসুটি চলছে মা মেয়েতে।
নিজের স্মৃতি নিয়ে না হয় লিখবো কখনো
সুরাইয়া নার্গিস
হা হা হা হা মা-মনির কথা শুনে হেসে ফেললাম আপু।
আমিও ছোটবেলা এভাবেই রোজা রাখতাম মনে পড়ে গেল।
মা-মনির জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইল।
সুরাইয়া নার্গিস
আপু আপনার সব লেখা আমি পড়ি, চমৎকার সব অভিজ্ঞতা।
রমজান নিয়ে আপনার মজার স্মৃতি লিখুন, আমরা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
ইঞ্জা
নার্গিস আপু, দারুণ সব মন্তব্য করছেন, খুব ভালো জমিয়েছেন আড্ডাটা।
ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
কখনো কেন, এখনই সময় লিখে ফেলুন, সবাই লিখবে।
অপেক্ষায় রইলাম আপু।
সুরাইয়া পারভীন
যখন থেকে বুদ্ধি হয়েছে তখন থেকে নামাজ রোজা করতাম। সবগুলো রোজা রাখার চেষ্টা করতাম। করতামও
তবে নামাজ পড়া নিয়ে বেশ মজা হতো। অনেকেই একসাথে নামাজ পড়তাম। আর একেক জন একেক ভাবে পড়তো। কেউ ঢকাঢক সিজদা দিতো, কেউ খুব ধীর গতিতে পড়তো। কেউ চুপচাপ দোয়া পড়তো কেউ ফুসফুসিয়ে পড়তো। আর এ নিয়ে পরে বেশ হাসাহাসি চলতো। ঈদের শপিং মা করতেন। মায়ের পছন্দ ছিলো আমার জন্য বেস্ট। একমাত্র কন্যা হওয়ার কারণে সবসময়ই সবকিছু বেশি বেশি থাকতো আমার জন্য।
এই তো আর কিছু মনে নেই। ভুলে যাওয়ার রোগ পেয়ে বসেছে আমাকে।
ইঞ্জা
আপু, এই সব নিয়েই লিখে ফেলুন না, বেশ আনন্দই হবে।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ভাইজান,অবশ্যই লিখবো ।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন আপু
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
সুরাইয়া নার্গিস আপু ভালো থাকুন সবসময়
সুরাইয়া নার্গিস
স্বাগতম আপু।
প্রদীপ চক্রবর্তী
হাজিরা দিয়ে গেলাম দাদা..
আসছি মতামত প্রকাশ করতে…
ইঞ্জা
😁
প্রদীপ চক্রবর্তী
দুর্গাপূজা লক্ষ্মীপূজা আর শ্যামাপূজার মধ্যেই আনন্দই ছিল গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে। এছাড়া শহরেও রয়েছে।
দুর্গাপূজার চার পাঁচদিন আগে বাড়ির সবাই মিলে কেনাকাটা করে নিতাম। এ কেনাকাটা নিয়ে মনের মধ্যে বেশ আনন্দের অনুভূতি জাগ্রত হতো যা বলে শেষ করা যাবেনা। মহালয়া থেকেই শরৎশোভায় আগমনী বার্তা আর কাশফুলের গায়ে নিমজ্জিত কুয়াশা মনে করে দিতো আসছেন আমাদের মাঝে আগমনী দেবী দুর্গা। এ নিয়ে বাড়ির পাশের রাজেশ্বরি মন্দির সাঁজানো এছাড়া মৃৎ শিল্পীর কাজের ধুম পড়ে যেতে সেখানে গিয়ে সারাদিন বসে থাকতাম কখনো মৃৎশিল্পী অধীর কাকুর কাছ তুলি এনে সিংহের গায়ে রঙ লাগিয়ে দিতাম কখনো অসুরের গোঁফ লাগিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মজা করে সেখান থেকে আমিও গোঁফ লাগিয়ে এ নিয়ে বন্ধুদের সাথে বেশ ভারি মজা জমতো।
বিশেষ করে ষষ্ঠী থেকেই পূজা আড়ম্বরের সহিত পালিত হতে চলে। বাড়িতে ফলমূলের কথা বাঁদ দিলাম। মা ও ঠাকুমার হাতে বানানো নারিকেলের নাড়ু, পিঠা,সন্দেশ, পাটিচাপটা, ইত্যাদি ইত্যাদি যা পূজা শেষে প্রসাদ হিসেবে খেতাম। বিশেষ করে আমি নারিকেলের নাড়ু খেতে পছন্দ করি তাই মা আমায় এখনো নাড়ু বলে ডাকেন। মায়ের এ নাড়ু ডাকটা আমায় মুগ্ধ করে তুলে।
যখন ছোট ছিলাম তখন মা না করতেন উপোস না রাখতে ঐ আরকি খেয়েদেয়ে আমার উপোস পালন।
ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে বন্ধুরা সবাই মিলে ফুলতে যেতাম একগ্রাম হতে অন্যগ্রামে চাদর দিয়ে মুখ ডেকে। আর এ ভূরবেলায় মনের মধ্যে একটা ভাবনা আসতো যদি ফুল গাছে কোন ভূত থাকে তাহলে তো উপায় নেই।
লক্ষীপূজা আসলে তো আর উপায় নেই অনেক পিঠা নাড়ু চুরি করে কত খেয়েছি তার হিসাব নেই। নাড়ু,ও পিঠা খাওয়ার প্রতি এখন আর তেমন ইচ্ছে নেই।
এছাড়া দুর্গাপূজা ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত উপোস থেকে সবাই মিলে অঞ্জলী নিতাম।
আহা কী আনন্দ!
আর কালীপূজা আসলে ২০৮ টা মোমবাতি দিয়ে পুরো বাড়ি আলোক সজ্জায় সজ্জিত করতাম। আলোয় আলোয় ভরে যেত মনপ্রাণ কী মুগ্ধতা জড়ানো।
ফানুস, বাজি, পিয়াজিবোম,ইত্যাদি ফুটাতাম।
শৈশবের অনেক স্মৃতি কিছুটা হারিয়ে গেলেও এসব থেকে পিছুপা হয়নি এখনো।
.
বেশ ভালো লাগলো দাদা আপনার আড্ডা পোস্ট পড়ে। অনেক শুভকামনা রইলো।
সুরাইয়া নার্গিস
চমৎকার লিখছেন দাদা, আপনার ছোটবেলা পড়ে অনেক ভালো লাগছে।
আলাদা পোষ্ট দেন সবাই পড়তে পারবে। আমি মুসলিম হলেও আপনাদের ধর্মের কিছু সহপাঠি ছিলো। সেই কারনে হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন উৎসাবে যেতাম, অনেক মজা করতাম, পিঠা খাওয়ানো, নতুন জামা পড়ে বেড়ানো সবটা উপভোগ করতাম।
শুভ কামনা রইল দাদা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
বাহ্!
সাধুবাদ দিদি।
সে তো অনেক আনন্দ যা মনের মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি আসে।
পবিত্র মাহে রমজান ভালো কাটুক এ শুভকামনা রইলো।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ দাদা ভাই।
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ইঞ্জা
দারুণ দাদা দারুণ লিখলেন, এখন অনুরোধ করছি এ নিয়ে বিস্তারিত ভাবে লিখে পোস্ট দিন, অপেক্ষায় রইলাম।
প্রদীপ চক্রবর্তী
নিশ্চয় দাদা।
সাধুবাদ আপনাকে।
ইঞ্জা
অপেক্ষায় রইলাম
সুরাইয়া নার্গিস
বাহ্! পোষ্ট পড়ে মুগ্ধ হলাম দাদা।
চমৎকার অভিজ্ঞতা আপনার জেনে ভালো লাগছে দাদা।
আপনার শহরে একবার যাব অবশ্যই, সবার কমেন্টস দেখতাছি অনেক মজার আড্ডা হচ্ছে।
রোজা নিয়ে সবার অভিজ্ঞতা,আলাদা ভাবে মজার পোষ্ট দেখতে চাই।
সবার কমেন্টস দেখে নিজেও অনুপ্রাণিত হলাম, ইনশাল্লাহ্ আমার রমজানে অভিজ্ঞতা নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি হাজির হবো।
তৌহিদ
অপেক্ষায় রইলাম আপু।
সুরাইয়া নার্গিস
ইনশাল্লাহ্ ভাইয়া আমিও লিখবো।
ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
লিখতে হয়তো পারবোনা, তবে পাঠক হিসাবে আমাকে পেয়ে যাওয়ার গ্যারান্টিটা দিচ্ছি ভাইজান।
ইঞ্জা
কেন ভাই, ভালোই তো লিখেন আপনি, লিখে ফেলুন।
কামাল উদ্দিন
দেখি চেষ্টা করে ভেতর থেকে কিছু বের করতে পারি কিনা।
ইঞ্জা
ইনশা আল্লাহম
ইঞ্জা
ইনশা আল্লাহ ★
সুরাইয়া নার্গিস
ভাইজান আপনার লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
তৌহিদ
অতি চমৎকার এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য ব্লগ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ ইঞ্জা ভাইকেও এই পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
সত্যি বলছি, এবারের রোজায় ঘরবন্দি থেকে মনের কথাগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পেরে অনেক হালকা লাগছে। সোনেলার কাছে কৃতজ্ঞতা রইলো।
ইঞ্জা
ভাই, মাত্রই আপনার লেখা পড়লাম, খুব ভালো লাগলো।
সঞ্জয় মালাকার
স্মৃতি কথা –
প্রথম পূজোতে হারিয়ে গিয়েছিলাম দশবর্ষরের ছোট্ট খোকা ,
মায়ের কান্না, পিতার হাহাজরী, পূজোর আনন্দ হয়ে যায় মাটি,
সবাই খুঁজে খুঁজে যখন হতাশ, আমি তখন শূন্য হাতে
মায়ে কথাই ভাবছিলাম।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ইঞ্জা
দাদা স্মৃতিতে যা আছে তা নিয়ে লিখে ফেলুন, অপেক্ষায় রইলাম।
সঞ্জয় মালাকার
চেষ্টা করছি দাদা স্মৃতি গুলো মনে করার,
ধন্যবাদ দাদা /
ইঞ্জা
দাদা আমাদের আহবানে সারা দিয়ে লিখে ফেলুন দ্রুত। 😊
আতা স্বপন
সব ধর্ম বিশ্বাস এই উৎসব আছে আমরা নিজেরটা জানলেও অন্যদেরটা জানিনা। আশা করি এই উদ্যোগটি সেই জ্ঞানপিপাসা মিটাবে। আনন্দে স্মৃতির আবেগে আমরা্ও অংশিদার হতে চাই। উদ্যোগতাকে জানাই বর্ণালী স্মৃতির রুপালী শুভেচ্ছা।
হালিম নজরুল
গত তিনদিন সোনেলায় ঢুকতে না পারায় আড্ডায় শরিক হতে পারিনি। দুঃখিত ভাই।
ইঞ্জা
কেন ভাই, কোন সমস্যা ছিলো কি, ভালো আছেন নিশ্চয়?
মাহবুবুল আলম
ইঞ্জা ভাই! ভাল আয়োজন। আশা করি আগেরকার গুলোর মতো এবারের আয়োজনও স্বার্থক এবং সফল হবে।
সময় করতে পারলে লেখার চেষ্টা করবো।
শুভেচ্ছা রইল।
ইঞ্জা
ভাই এখন আপনাদের লেখার অপেক্ষায় আছি। 😊
তরিকুল ইসলাম
সবার ঈদ আনন্দগুলো আনন্দের হয় না।কিছু কিছু ঈদ ইতিহাস রচিত করে যায় কারো কারো জীবনে।কেউ চাইলেও ভূলতে পারে না।ঠিক তেমন একটি ইতিহাস আছে আমার।আজ রাতে সেটা সবার মাঝে ভাগ করবো।
ইঞ্জা
এইতো চাই, অপেক্ষায় রইলাম।
রিমি রুম্মান
ছোটবেলায় রোযা রাখতাম বড়দের দেখাদেখি। ক্ষুদায় পেট চোঁ চোোঁ করতো। যখন আর পারা যেতো না, তখন বিসমিল্লাহ বলে সকলের অগোচরে পানি খেয়ে নিতাম। হাজার হলেও জান বাঁচানো ফরজ ! অন্যদিকে ইফতারও সবার সাথে সমানভাবে খাওয়া যেতো !