
মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ভিড় দেখে সবাই অবাক হচ্ছে কেন? প্রতিবছর তো এমনি হয়। আমাদের দেশের বাবা মা ছেলেমেয়েরে শিশু মনে করে, লুতুপুতু করে নিয়ে বেড়াতে না পারলে তাদের ভাল লাগেনা। শহরের ছেলেমেয়ের এই সমস্যা বেশি। মফস্বলের পোলাপান তাও একা চলে আসে, শহরের ছেলেমেয়েরে মোটে ছাড়বে না, মেয়ে হলে তো কথাই নাই। ভার্সিটিতে পড়ার সময় দেখতাম ভার্সিটির বাস মিস হইলে ঢাকা শহরে বাসা যাদের তারা চিন্তায় শেষ হয়ে যাইতো ক্যামনে বাসায় যাবে তাই নিয়ে!
ইন্টার পাশ করা ছেলেমেয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছে তার সাথে একগাদা করে মানুষ, যেন বেশি মানুষ এলে পরীক্ষা আরেকটু ভাল হবে। বিদেশে ১৬ বছর হলেই স্টুডেন্টরা নিজে কাজ করতে শুরু করে, সামারে উইন্টার ব্রেকে উইকেন্ডে রেস্টুরেন্টে শপিং মলে কাজ করে। বাবা মায়ের কি আছে কি নেই সেইটা না তারা নিজের পায়ে দাঁড়ায় আমাদের দেশের বাবা মা উল্টা। তারা বুড়া পোলাপানেরে একা ছাড়তে পারেনা, উনারা পারলে পোলাপানের ডেটিংয়ের সময়ও পাশে গিয়ে বসে থাকতেন
——————-
পুস্পিতা আনন্দিতা
নিউইয়র্ক
৭টি মন্তব্য
পপি তালুকদার
চরম বাস্তব সত্য! আমাদের দেশের বাবা- মা রা ছেলে – মেয়েদের একা ছাড়তে নারাজ বিশেষ করে শহুরের বেলায় বেশি ঘটে।তারা তাদের ছোট ভাবতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।
সাবিনা ইয়াসমিন
ব্যাপার টি হলো,আমাদের দেশে শহুরে মা বাবার কাছে ছেলেমেয়ে সবসময়ই নাজুক,পিচ্চি, আদুরে বিল্লির ছা। এদেরকে একা একা বের হতে দিলেই ইঁদুরে খেয়ে ফেলবে। এরা বাচ্চাদের নিয়মিত হরলিক্স খাওয়ায় শক্তিতে বুদ্ধিতে বেড়ে উঠার জন্য, কিন্তু নিজেরা খেতে ভুলে যায়। নিজেরা যদি খেতো তাহলে তাদের সন্তানদের নিজের শক্তিমতো নিশ্চিন্তে বাড়তে দিতো।
ইঞ্জা
পুস্পিতা আনন্দিতা,
খুব সুন্দর নাম আপনার।
লেখাটি আর বিশ্লেষণ মূলক হলে ব্লগিংয়ের মাধুর্য বাড়তো।
লেখাটির কথা আসি, এই মহামারীর সময় এমন ভীড় করাটা মানেই কারো মনেই ভয় নেই, যেন উল্টো করোনায় তাদের ভয় পাওয়ার কথা, এই কয়েকদিন আগে আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা এক জমজমাট মেজবান খেয়ে ঘরে ফিরার কয়েকদিনের মধ্যেই সবাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, তাহলে বুঝুন অবস্থা, এই মেডিকেল ভর্তির ভীড়টা কত মানুষকেই না আক্রান্ত করেছে, সত্যি আতংকজনক ও দুঃখজনক।
খাদিজাতুল কুবরা
বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে যাবে একা ছাড়তে পারেনা। মেডিকেল পরিক্ষায় তো প্রশ্নই আসে না।
আরজু মুক্তা
সচেতনতা বাড়ুক। এটাই চাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমরা এমনি এক বীরের জাতি যে নিয়মকে অনিয়ম করাতেই আমাদের সম্মান, শৌর্য বৃদ্ধি পায় যেন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম। শুভ সন্ধ্যা
মনির হোসেন মমি
উনারা পারলে পোলাপানের ডেটিংয়ের সময়ও পাশে গিয়ে বসে থাকতেন
হাহাহা একটি কথায় হাসলাম।আসলে তাই মা বাবাদের এমন কান্ডজ্ঞানহীন কাজ সত্যিই অবাক।তবে কথা থেকে যায় এদেশের কিছু মেয়ে আছেন যারা বুড়ো হলেও সঠিক পথে হাটতে জানে না।
তবে এই করোনাকালে এমন ভীড় করা মোটেই উচিত হয়নি।