আফসোস

সৈয়দা শাহনাজ পারভিন ১৮ জুন ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১২:০৯:৪১পূর্বাহ্ন সমসাময়িক ১১ মন্তব্য

আফসোস
এ কেমন স্বাধীন দেশ আমার! আহ্........!!

আজ ভারাক্রান্ত মনে এ বিষয় টি লিখতে বসলাম। তনু চলে গেল অপ্রত্যাশিত এক অমানবিক ঘটনায়। চলে গেল নুসরাত না ফেরার দেশে।
নতুন করে খবর এলো লক্ষিপুরের সদর উপজেলার ২নং হামছাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামে গতকাল দুপুরে ঘরে একা পেয়ে হিরা মনি (১৪) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রকাশ্যে ক্ষতবিক্ষত করে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। যখন তার মা ক্যান্সারে মৃত বাবার লাশ আনতে ঢাকার পথে। যখন মেয়েটি একবুক কষ্ট নিয়ে বাবার লাশের অপেক্ষায় একটি বার বাবার মুখখানি দেখে চীর বিদায় জানাবে।
পাষন্ড নেশাগ্রস্ত এই নরপশুদের গ্রেফতার করা হয়েছে।তারা হলো আরিফ ও সুমন। বহাল তবিয়তে জনগনের ট্যাক্সের টাকায় খেয়ে পরে বেঁচে যাবে।

কি অধিকার তাদের বেঁচে থাকার? এভাবে থেকে একদিন আবার হয়তো বেরিয়ে যাবে জন সমাজে।

কেন? কেন? কেন???

তনু, নুসরাত, হিরামনি আরো নাম জানা তরুণীরা এভাবে নির্যাতিত হয়ে প্রান দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে আর্তনাদের প্রশ্ন রেখে যায়। আমরা চলে গেলাম কেন? আমরা তো পরিশালিত, পরিমার্জিত পোষাক পড়েছিলাম। আমরা তো কাউকে ভালবাসি বলে আবার অন্যের হাত ধরিনি।
তবে কেন এভাবে, এ সুন্দর পৃথিবী থেকে আপনজনদের কাঁদিয়ে অকালে মা, বাবার কোল খালি করে আমাদের চলে যেতে হচ্ছে। আর নরপিশাচরা কোন না কোন ভাবে এ দায় থেকে মুক্তি পাচ্ছে । কেন তারা এখনো বেঁচে আছে। কে দিয়েছে তাদের বাঁচার অধিকার?

ধর্ষনের একমাত্র বিচার প্রকাশ্যে ফাঁশি। ধর্ষিতার দাফনের পূর্বেই।
সচেতন হন আপনার পরিবারের ছেলে মেয়েদের নিয়ে। নিরাপত্তা দিন নিজেই তাদের। ধর্ষক নামের হায়নারা আপনাদের চার পাশেই আছে। সুযোগ পেলেই বিষাক্ত ছোবল দিবে।
আসুন, আমরা একই কন্ঠে আওয়াজ তুলি।
ধর্ষনের একমাত্র শাস্তি হোক,
ধর্ষনকারী গ্রেফতারের সাথে সাথে ফাঁশি কার্য্যকর করা জনসম্মুখে!!

সৈয়দা শাহানাজ পারভীন
ধানমন্ডি, ঢাকা।
১৮ জুন ২০২০
তথ্যসূত্র : S A Media. Face book. Com.

0 Shares

১১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ