১৯২৮ সাল এই সাল টিতে ব্রিটিশ নারী রাজনীতিতে প্রথম প্রবেশ করে ।
এই যে প্রবেশ করলো তা কি এমনিই হয়ে গেছে? না, এর জন্য তাদেরকে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছে। প্রতিবাদ আর আন্দোলন চালাতে হয়েছে। অধিকার কেউ দেয়না, অধিকার আদায় করে নিতে হয় ।
এই গ্রাফের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে কোন সময়ে কি হয়ে ছিল
পরিবর্তনের ধারাঃ
নিচে একটা গ্রাফ দেয়া হল যা থেকে ধাপে ধাপে নারীর প্রতি আচরণের পরিবর্তন কি ভাবে এগুচ্ছে তা দেখানো হল।
ব্রিটেনে শিল্প বিপ্লব হওয়ার ফলে মেয়েদের প্রচুর কাজের সংস্থান হয়। এই সুবিধা মেয়েদের একটা সুযোগ এনে দিলো নিজেদের কে সংগঠিত করার। এই সংগঠিত গ্রুপ টিতে তারা এসে মিলিত হতো এবং নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতো। এই আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল সামাজিক,পারিবারিক এবং রাজনৈতিক । তাদের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি, সুখ দুঃখ, বঞ্চনা এই ছিল তাদের আলোচনার বিষয় বস্তু।
রাজনীতিতে পুরুষকে স্থান দিয়ে আর নারীকে বাদ দিয়ে নারী পুরুষের সম্পর্কের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিঃ
পার্লামেন্টে ১৮৩২, ১৮৬৭ এবং ১৮৮৪ এর আইন পাস হয় আর তার সবকিছুই পুরুষর সুবিধার জন্য। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পর ব্রিটেনের নারী সমাজ National Political Process থেকে ক্রমান্বয়ে বাদ পড়তে থাকলো।
যেমন
১) পার্লামেন্টে নারী ক্যান্ডিডেট হতে পারতো না
২) তাদের ভোটের অধিকার ছিলনা
নারীর ভূমিকা নিয়ে ছিল অতি পুরানো ধ্যান ধারনাঃ
‘Sarah Sewell তার বিখ্যাত বই Women and the time we live in 1868’ এ লিখে গেছেন সে সময় ভাবা হতো ‘ শিক্ষিত নারী খুব কমই ভালো স্ত্রি বা মা হতে পারে। ‘ The profoundly Educated women rarely make good wives or mother’
নারীর উপর অত্যাচার সেটা শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক সবকিছুই ছিল সমাজ কতৃক গ্রহনযোগ্য এবং এটা দোষ হিসাবে ধরা হত না।
১৮৮৮ সাল থেকে মেয়েরা লোকাল কাউন্সিলে ভোট দেয়ার অধিকার পায়। চাইল্ড কাস্টোডী আইন, ১৮৭৩। ১৮৭০ সালের ছেলে মেয়ের ব্যাধতামুলক শিক্ষা আইন, ১৮৮২ সালের সম্পত্তি আইন পাস হয় এবং তাদের ইনকাম দ্বারা কেনা সম্পত্তির মালিক তারা হবে , স্বামী নয়। মেয়েরা দিন দিন বিভিন্ন চাকুরীতে প্রবেশ করে এবং এই সমস্ত সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তন পুরুষের পক্ষপাতিত্ব এবং তাদের আধিপত্য কমিয়ে দায়।
এই ভাবে মেয়েরা যতো বেশী কৃতকাজ হতে থাকলো পুরুষ শাষিত সমাজে নারীর গ্রহন যোগ্যতা ততো বেশী বৃদ্ধি হতে থাকলো। পুরুষদের নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হতে থাকে এবং পুরানো ধ্যান ধারনা বদলাতে থাকে।
এমিলি প্রাঙ্খ্রাস্ত , নারী আন্দোলনের এক নেত্রী
Women Suffrage Campaigns ( শান্তি পূর্ণ নারী আন্দোলন )
১৮৬৬ সালে মহিলাদের suffrage movement এর উৎপত্তি হয়। ১৮৬৭ সালে Jon Stuart Mill একটি প্রস্তাব দেন আর তা হল মেয়েরাও পুরুষের মতো ভোট দিতে পারবে। কিন্তু তা ভোটের মাধ্যমে প্রত্যাহার হয়।
১৮৯৭ সালে Women Suffrage Societies গঠিত হয়। এর নেত্রী ছিলেন Millicent Fawcett। তিনি আসেন মধ্যবিত্ত শ্রেণি থেকে এবং তিনি শান্তিপূর্ণ ভাবে মেয়েদের ভোটের জন্য ক্যাম্পিং করতেন। ১৯০০ সালের দিকে এই ক্যাম্পিং প্রথম দ্রুততার সাথে এগুতে থাকে। এবং এর মেম্বার সংখ্যা দ্রত বৃদ্ধি পেতে থাকে।
প্রথম মহাযুদ্ধের পর দুটো সংগঠন
এই ক্যাম্পেন এর উদ্দেশ্য ছিল নারীর প্রতি রাজনৈতিক অবিচার আর যা কিনা বেদনাদায়ক।
১৯১৪ সালের দিকে এর সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৪,০০০ এবং এর বেশীর ভাগ সদস্য ছিলেন মধ্যবিত্ত শ্রেনী থেকে আসা। বেশীর ভাগ মানুষ ছিলেন সন্মানিত ইন্টেলেকচুয়াল শ্রেণীর ।
১৯০৩ সালে Emmeline Pankhurst ( এমিলাইন প্যাঙ্খরাস্ত ) আর তার দুই কন্যা Christabel ( খ্রিস্তাবেল) এবং Sylvia ( সিলভিয়া ) The women’s social and political union গঠন করেন।
যদিও তিনি আগের গ্রুপের সদস্য ছিলেন কিন্তু তিনি এই ব্যাপারটিকে তাড়াতাড়ি এগিয়ে নিতে চাচ্ছিলেন । এই জন্য তিনি নতুন গ্রুপ বানান। তিনি বিশ্বাস করতেন তার অরগানাইজেসান বেশী একটিভ হবে এবং তিনি সঙ্গে নিলেন সমস্ত ওয়ার্কিং ক্লাস কে।
১৯০৯ সালে এমিলাইনে প্যাঙ্খরাসট তার সংগঠন টিকে ( WSPU) দ্রুততার সংগে পরিচালিত করতে লাগলেন। সারা দেশে শাখা খুললেন। একটা নিউজ পেপার বের করলেন যার নাম ‘ Vote For Women’ , যার বিক্রয় কপি প্রতি সপ্তাহে ২০,০০০। তার কার্যকলাপে বিভিন্ন পত্র পত্রিকাতে, মিডিয়া এবং পার্লামেন্টে প্রচুর প্রভাব ফেলেছিল।
তার আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল ‘ Deeds Not Words’ । আর এই জন্য তিনি মিডিয়া এবং পার্লামেন্টে পাঠাতে চেয়েছিলেন ।
ক্রমাগত আন্দোলন ১) পুলিশ কত্ক নারী আন্দোলন কর্মী গ্রেফতার, ২) হাঙ্গার স্ট্রাইকরত নারী, ৩) আত্মহুতি, ঘোড়ার নিচে ঝাপ দিয়ে
১৯১২ সালে তাঁর আন্দোলনকে কে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে ক্রমাগত ভাবে ক্যাম্পেন চালান। তাতে যোগ হল ভাঙচুর , হাংগার স্ট্রাইক,আক্রমণ ইত্যাদি। উদ্দেশ্য জয়লাভ।তারা যা যা করলেন তা হল;
১৯০৭ সালে ‘ The Women’s Freedom League’ এর উত্থান।
প্রথম মহাযুদ্ধ এবং এর প্রভাবঃ
প্রথম মহা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এই আন্দোলন বন্ধ ছিল এবং সে সময়ে এমিলাইন প্যাঙ্খ্রাসট বলেছিলেন মেয়েদের এখন ভোটের জন্য যুদ্ধের দরকার নাই কারন এখন দেশেরই ঠিক নাই।
এই সময় পুরুষরা দলে দলে নিজেদের চাকরী ফেলে যুদ্ধে যোগদান করে। এই সময়ে ক্যাম্পেনে যোগদান রত লিডাররা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে পুরুষদের কাজ গুলো আরম্ভ করে।
যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পুরুষের সব কাজ মেয়েরা কাঁধে নেয় ১) কারখানায় কর্মী , ২) কৃষিকাজে নারী
যুদ্ধের সময়ের নারীর কাজঃ
হাজার হাজার নারী যুদ্ধে ব্যাবহ্রিত অস্ত্র কারখানাতে কাজ পেলো । অনেক মেয়ে কাজ নিলো বাস এবং ট্রাম চালক এবং তার কনডাকটর হিসাবে, পুলিশ ফোর্স এবং কারখানার শ্রমিক হিসাবে। কৃষিকাজ, নার্স, অফিসের সেক্রেটারি অথবা সহকর্মী হিসাবে এবং সিভিল সার্ভিসে।
বেশীর ভাগ যুবক শ্রেণী আর্মিতে নাম লেখায়। আর এই সময়টিতে মেয়েদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ,কারন তারা যে শুধু মাত্র যুদ্ধের অস্ত্র বানাচ্ছে তাই নয় তারা দেশটি চালাতেও ভূমিকা রাখছে।
দেশ চালানোর কাজে অংশ গ্রহন এবং যুদ্ধাস্ত্র বানানোতে ভূমিকা রাখার জন্য মেয়েদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং একটা ( individual Identity) আলাদা অস্তিত্ব এবং ( self image ) নিজস্ব ব্যাক্তিত্ত বা নিজের পরিচয় তৈরি করতে সক্ষম হয় ।
মেয়েরা যে পারে তা প্রমাণ করার ফলে তাদের সন্মান অনেক বেড়ে গেলো এবং তারা সন্মানিত হতে থাকলো।
মেয়েরা প্রমাণ করে দেখালো তারা পুরুষের সমকক্ষ এবং সুযোগ পেলে তারাও কাজ করতে সক্ষম।
এই ভাবে কর্ম ক্ষেত্রে মেয়েদের ভূমিকা দেখানোর ফলে তাদের রাজনীতিতে যোগদানের ব্যাপারটা তরান্বিত হয়। ইতিহাস বীদ Gifford Lewis believes বলেছেন ‘The highly skilled and dangerous work done by women during the war was probably the greatest factor in the granting of the vote to women’ । অর্থাৎ যুদ্ধকালীন সময়ে ব্রিটিশ নারী যে কঠিন এবং বিপদজ্জনক কাজ গুলো করেছে সেটাই তাদের ভোট দেয়ার অধিকার কে তরান্বিত করেছে।’
যাই হোক না কেন মেয়েরা দীর্ঘ দিন ধরে কলকারখানায়, ব্যাবসা বাণিজ্যে যে অবদান রেখে যাচ্ছে খুব কমই রাজনীতি তে তার মুল্যয়ন হয়েছিলো । সম্ভবত যুদ্ধই হল সেই মাধ্যম যা দ্বারা মেয়েরা হাই লাইটেড হয়েছিলো এবং তাদের ভূমিকাকে মূল্যায়ন করা হল ।
এর পর থেকে ক্রমান্বয়ে মেয়েদের উপর থেকে পুরানো ধ্যান ধারনা বদলাতে থাকে। মানুষের চোখ খুলতে থাকে এবং সাধারণ মানুষ বুঝতে শিখে মেয়েরাও ডিজার্ভ করে রাজনৈতিক অধিকার। মেয়েরাও বাইরের কাজ করতে পারে সে গুলোতে পরিবর্তন আসতে থাকে।
তখনকার জনতার আইন অনুযায়ী একজন পুরুষ ২১ বছর হলেই ভোট দিতে পারবে এবং দেখা হবেনা তাদের সম্পত্তি আছে কিনা।
এই আইন দ্বারা একজন নারী ৩০ বছর হলে ভোট দিতে পারবে , এর মাধ্যমে ৮.৫ মিলিওন নারী যা কিনা পুরো ব্রিটেনের জনসংখ্যার ৩ ভাগ্যের ২ ভাগ ভোট দিতে পারবে। এতে করে সেই মেয়েদের উপকার হল যারা কিনা বিবাহিত এবং বয়স্ক ।
যারা কলকারখানাতে কর্মরত, যাদের অনেক কন্ট্রিবিউশান আছে তাদেরকে রিকগনেসান দেয়া হলনা।
ঠিক একই সময়ে ফ্রান্সের নারীরা ব্রিটেনের নারীর মতো কোন রাজনৈতিক অধিকার অর্জন করতে পারিনি। কারন হল ব্রিটেনের নারীরা যুদ্ধের আগে থেকেই তাদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন আরম্ভ করেছিল। যদিও ফ্রান্সের নারী ব্রিটেনের নারীর মতোই যুদ্ধের সময়ে কর্মক্ষেত্রে অবদান রেখে ছিল কিন্তু তাদের প্রতিবাদ জানানোর জন্য কোন সংগঠন ছিলনা।
Political Considerations: রাজনৈতিক ভাবে দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তনঃ
মিছিল
বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটেনে দুটো রাজনৈতিক দল ১) লিবারেল এবং ২) লেবার পার্টি সমাজের বঞ্চিত মানুষদের সুবিধা দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে নামে। এই বঞ্চিত সমাজের মধ্যে নারী সমাজ ছিল মেজরিটি।
পার্লামেন্টে যে সমস্ত বিষয় আলোচিত হয়েছিলো।
১) মেয়েদের ভোটে অংশ নেয়ার অধিকার রক্ষার জন্য দিন দিন তাদের দাবী বৃদ্ধি হতে থাকে।
২) যুদ্ধের সময়ে মেয়েদের ভূমিকা গ্রহন , যেমন কৃষি কাজ এবং কলকারখানায় পুরুষের দায়িত্ব নারীর কাঁধে নিয়ে কন্ট্রিবিউট রাখার ব্যাপারটিতে নারী জোরদার করে তাদের রাজনৈতিক অধিকার পাওয়ার ক্ষেত্রে
লেবার পার্টির মধ্যে মেয়েদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন টি ক্রমাগত ভাবে সাপোর্ট পেতে থাকে।
এই সাপোর্টের ব্যাপার টি নিয়ে লেবার পার্টি এবং লিবারেল পার্টির মধ্যে কমপিটিসান লেগে যায়। কে বেশী সাপোর্ট করবে এই নিয়ে। প্রধান মন্ত্রী Herbert Asquith এবং মেয়েদের সংগঠন টির মধ্যে একটা আলোচনা হয়। সেখানে প্রধান মন্ত্রী সহানুভূতির সাথে ব্যাপারটি দাখেন এবং এর বিরুধিতা কারিদের বরখাস্ত করে দেন।
যুদ্ধ কালীন সময়ে নারী দেশ চালনার যে ভূমিকা রাখে তাকে মূল্যয়ন করা হয়। এরেই ফলস্বরূপ মেয়েদের আন্দোলন মেনে নিতে স্যাহাজ্য পায়।
১৯১৭ সালের রাশান রেভুলেসান ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ দের সংশয়ে ফেলে দায়। সে সময়ে রাশিয়া তে ওয়ার্কিং শ্রেণী পথে নেমে পড়ে এবং প্রচণ্ড প্রতিবাদ করে। সেই ব্যাপারটি ব্রিটেনেও ঘোটতে পারে এই সংকা থেকে ব্রিটেনেও ওয়ার্কিং শ্রেণীর দাবী মেনে নেয়া হয় এবং নারী মুক্তি তরান্বিত হয়।
তথ্য সূত্র ঃ Why Women Won Greater Political Equality, BBC Bite Size,Britain,( 1851-1951)
ফটো ক্রেডিট, উকিপেডিয়া
সোনেলা ব্লগের ম্যাগ্যাজিনে প্রকাশ হওয়ার জন্য এই লেখাটি
১১টি মন্তব্য
সঞ্জয় কুমার
তথ্যপূর্ন লেখা।
ম্যাগাজিনের জন্য লিখলে
টাইটেলে
( সোনেলা ম্যাগাজিন ২০২২ )
লেখা দেয়া ভালো হবে।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা
নার্গিস রশিদ
অনেক শুভ কামনা এবং অনেক ধন্যবাদ ।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আপনার লেখা বরাবরই তথ্যবহুল। ভালো লাগে। সময় নিয়ে পড়তে হয়। ভোট অধিকার থেকে তাদের শুরু হয়েছিলো আজকে ও আন্দোলন করে যাচ্ছে।।
লিখুন আরও,,,,
নার্গিস রশিদ
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
হালিমা আক্তার
আপনার প্রতি টি লেখা তথ্য বহুল। দেশ স্থান কাল পাত্র সব জায়গায় নারীর প্রতি একই দৃষ্টি ভঙ্গি। বর্তমানে নারীরা নিজ যোগত্যায় এগিয়ে আসছে। শুভ কামনা রইলো।
নার্গিস রশিদ
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
লেখাটি পড়ে ব্রিটিশ নারীদের রাজনৈতিক উত্থান এর ইতিহাস বিস্তারিত জানা হলো। সত্যিই, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে নারীদের উত্থান /অধিকার আদায়ের চেষ্টা পূর্ণ করতে সুদীর্ঘ সময় এবং কঠিন অবস্থা পার করতে হয়েছে। এখানে একটা বিষয় প্রমাণিত, অবলা, সবলা বলে কথা নেই, নারীদের অধিকার গুলোর জন্য নারীদেরই এগিয়ে আসতে হয়, লড়াই চালিয়ে যেতে হয়। অধিকার কেউ এমনি এমনি পায় না, ক্ষেত্র বিশেষে আদায় করে নিতে হয়।
শুভ কামনা আপু 🌹🌹
নার্গিস রশিদ
কথায় আছে না ‘না কান্দিলে মা দুধ দায়না’ বা ‘ক্ষমতা কেউ দায় না ক্ষমতা আদায় করে নিতে হয়’ । পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ । অনুধাবন করার জন্য আরও বেশী ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
খুব সম্ভবত পাশ্চাত্য নারী আন্দোলনের জোয়ার এরপর থেকেই গোটা বিশ্বে আছড়ে পড়ে। সেই ১৮ শ’শতক থেকে শুরি হওয়া নারী অঊিকারের আন্দোলনের সফলতা ভোগ করছে পরবর্তী সময়ের গোটা বিশ্ব।
আপনার গবেষণালব্ধ প্রতিটি পোষ্টই সমৃদ্ধ।
শুভ কামনা শ্রদ্ধেয়া🌹🌹
নার্গিস রশিদ
ঠিক কথাটি ধরেছেন সেখান থেকেই প্রত্যেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সমঅধিকার ব্যাপার টি। তারা এটাও ভেবে রেখেছে এবং কার্জকর করছে কি ভাবে পৃথিবীর সব নারীকে মূল্যায়ন করা যায়। ফলশ্রুতি স্বরূপ ‘টেকসই অর্থনীতি’ বা sustainable economy যা প্রয়োগ করতে সব দেশের প্রধানকে চাপ দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইন্তারন্যাসানাল অরগানাইজেসানের মাধ্যমে । অনেক ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। শুভ কামনা ।
বন্যা লিপি
# প্রচন্ড বানান ভুল হলো। বিনীত ভাবে মার্জনা প্রার্থী🙏