
রাত্রি তিনটে।
এদিকে তন্ত্রমন্ত্রে গাঁজার মুগ্ধকরা ঘ্রাণে হঠাৎ করে এক জটাধারী মহাতান্ত্রিকের আগমন।
হাতে ত্রিশূল, গলায় নবরত্নের মালা,কাঁধে ঝুলি,
গায়ে একখানা লালসালু পরিহিত। রূপেরঘটা ভয়ানক।
মনে হয় শ্মশানের অগ্নি ছাই থেকে উঠে আসা।
দেখলে যেমন ভয়ে গায়ের লোম খাড়া হয়ে ওঠে।
মুখে ক্রীঁ ক্রীঁ ক্রীঁ ফট্ স্বাহা উচ্চারণ করে বিলাস বাবুর মন্দিরের উপবিষ্ট।
অন্য তান্ত্রিকরা বলছে এ তান্ত্রিকের কাজকর্মে না কি রয়েছে অলৌকিকত্বের স্বাদ।
রামলোচন এ তান্ত্রিক কে দেখে ভয়ে বড্ড কাঁপছে!
না জানি না কি হয়।
রণচণ্ডী বউ কী শেষপর্যন্ত উল্টো রামলোচনকে তান্ত্রিকের কাছে বশীকরণ করে ফেলে!
বশীকরণ করলে উপায় থাকবে না।
যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারবে না।
শুধু বউয়ের কথা শুনতে হবে আর ঘরের যাবতীয় কাজকম্ম করতে হবে।
রামলোচন অষ্টাঙ্গে পড়লো বিলাস বাবুর পায়ে।
বিলাস বাবু হতবাক!
এ কী রামলোচন?
আজ্ঞে কর্তা মশাই আমায় কৃপা করুণ।
আমার বউ হয়তো এ মহা তান্ত্রিকের কাছে আমায় বশীকরণ করে ফেলবে।
এমনি এমনি বাঁচবার টাই পাইনি এ রণচণ্ডী বউয়ের জন্য। শেষপর্যন্ত সাতটা পাঁঠা বলি দিয়ে কোনকাজে আসবে না মনে হয়।
বিলাস বাবু স্তব্ধ হয়ে গেলেন হঠাৎ করে!
আগত এ মহা তান্ত্রিকের তান্ডব দেখে।
না জানি আজ কী হয়!
এ মহা তান্ত্রিকের সাথে আগত অন্যানরা মাথা নাড়াচ্ছে আর গাঁজায় টান দিয়ে উন্মাদের মতো নাচ্ছে।
রামলোচনের বউ এসব দেখছে আর রামলোচনের মুখের দিকে তাকিয়ে বলছে এ হতচ্ছাড়া পতি- কোনদিন আমার নামে উল্টাপাল্টা কারো কাছে নালিশ করলে এ তান্ত্রিকে দিয়ে বশীকরণ করে নিবো বল্লুম।
ওগো গিন্নী আর আমায় কত সাঁজা দিতে চাও?
এমনিতেই তো আমায় জলে জলাঞ্জলি দিতে চলেছ।
আর সহ্য হচ্ছে না গো গিন্নী।
কবে দেখবে তোমার শাঁড়ির আঁচলে গলাবেঁধে ফাঁস লাগিয়ে মরে যাবো বল্লুম।
ওরে আমার হতচ্ছাড়া পতি আমার শাঁড়ির আঁচল গলায় বেঁধে মরতে চাও।
এত সখ জাগছে মনে?
শুনো হে,
হতচ্ছাড়া পতি এত সকাল এমনি এমনি মরতে দিবো না তোমায়। আমায় অনেক জ্বালিয়েছ।
এনিয়ে বেনিয়ে আমার নামে অযথা নিন্দা ঠাট্টা করেছ।
তাও তান্ত্রিকদের কাছে। যাতে করে তাদের মন্ত্রে আমায় বশীকরণ করে নিতে পারো।
এইবার দেখো তোমার পালা।
ওগো গিন্নী আমি আর কোনদিনও তোমার নামে নিন্দা করবো না গো।
তুমি যা বলবে তা কানপেতে মনযোগ দিয়ে শুনবো।
ওরে আমার হতচ্ছাড়া পতি
কান পেতে মনযোগ দিয়ে শুনলে কাজ করবো কেটা?
ও গিন্নী আমরা দুজন মিলে করবো না হয় কাজ!
ওরে হতচ্ছাড়া পতি আবার বলে কী!
আমি কাজ করবো?
শুনো হে হতচ্ছাড়া পতি আজ থেকে আমি বাজারে যাবো আর তুমি ঘরের যাবতীয় কাজকম্ম করবে বলে দিলুম।
ওগো গিন্নী তাই বুঝি
আমার কপালে এসব?
হ্যাঁ তাই’ই!
হতচ্ছাড়া পতি..।
১৮টি মন্তব্য
এস.জেড বাবু
এ দেখি শাঁখের করাত
আইতেও কাটে যাইতেও কাটে
//////কান পেতে মনযোগ দিয়ে শুনলে কাজ করবো কেটা?
ভালো লেগেছে
প্রদীপ চক্রবর্তী
এ দেখি শাঁখের করাত একদম দাদা।
সুরাইয়া পারভীন
বেচারা রামলোচন!
শেষে কিনা ঘরে কাজ….হা হা হা হা হা
পরের পর্বের অপেক্ষায় শুভকামনা রইলো দাদা
প্রদীপ চক্রবর্তী
রামলোচন বড্ড কষ্টে আছে দিদি।
হালিম নজরুল
রামলোচনের তো দেখছি কাহিল অবস্থা!
প্রদীপ চক্রবর্তী
একদম দাদা।
সাধুবাদ আপনাকে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হায়রে রামলোচন! এতো সইবে কি ভগবান! ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো
প্রদীপ চক্রবর্তী
সাধুবাদ দিদি।
সুপায়ন বড়ুয়া
রামলোচনের বিপদ দেখে
হাসতে ভুলে যাই।
কঠিন সময় কাটে ভালো
গল্প গুলো পাই।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
বাহ্!
সাধুবাদ দাদা।
রেহানা বীথি
কী দুর্দশাতেই না পড়েছে রামলোচন!
দারুণ লাগলো।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সাধুবাদ দিদি
ফয়জুল মহী
মনোমুগ্ধকর লিখনশৈলি ।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সাধুবাদ দাদা
জিসান শা ইকরাম
রামলোচন শেষ এবার 🙂
বউ একখান পাইছে 🙂
ভালো লাগছে পড়তে।
শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
রামলোচনের বড় রণচণ্ডী!
সাধুবাদ দাদা।
তৌহিদ
গল্পের শিরোনাম কি চেঞ্জ হয়ে গেলো!! রামলোচনের এই দুর্দশা দেখে কস্ট হচ্ছে কিন্তু।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।
প্রদীপ চক্রবর্তী
হ্যাঁ দাদা।
রামলোচনের কপালে বড্ড কষ্ট আছে।
সাধুবাদ…