আমার ব্যাক্তিগত অভিমত,
আজকাল মেয়েরা আন্দোলনে নেমে এই যে বলছে একটা জিন্স পরা মেয়ে তো তার শালীনতা বজায় রেখে চলে এ কথাটা বড্ড বেমানান। এখনকার যে জেনারেশন তাতে আপনি যখন জিন্স, টপস পরে বের হবেন তখন আপনারই পাশে থাকা বোরকা পরা মেয়ের থেকে প্রথম দৃষ্টি আপনার উপরই পরবে। স্বাভাবিক ভাবে আমরা প্রত্যেকেই চাই সবার দৃষ্টি আমার উপর পরুক। এখন আপনি যখন এভাবে চলাফেরা করেন তখন একজন ভালো মানুষের চোখও আপনার উপরেই থাকবে। তার আচরণ মানসিকতা ভালো থাকলেও সেই মুহূর্তে আপনাকে দেখে মোহে আচ্ছন্ন হয়ে তার ভিতর একটা লালসা কাজ করবে। পরবর্তীতে তার আচরণ নিম্ন বিকৃত মস্তিষ্কের মতো হয়ে যাবে। আর একটা মানুষের খারাপ হতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন নেই। ঠিক এখন যখন একটা বোরকা পরা মেয়ে তার পাশ দিয়ে যাবে তখন দেখবেন না চাইলেও দৃষ্টি যাবে। ঐ যে একজন ভালো মানুষের মস্তিষ্কও খারাপ হতে থাকবে। তবে হ্যাঁ, সব বোরকা পরা মেয়ে যে খুব ভালো হয় সেটাও না। এখন বোরকা, পর্দা এসব ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।
কাজেই ইসলাম আপনাকে বলেছে ঢিলে-ঢালা পোশাক পরিধান করতে যেন আপনার দেহের গঠন বোঝা না যায়। দেখতে দৃষ্টি কটু না হয়। বোরকাই হোক বা থ্রি-পিস যাই পরবেন সেটার মধ্যে শালীনতা বজায় থাকবে। জিন্স পরলে কতটা শীলনতা থাকবে আপনারাই ভালো জানেন। তাই আলেমদের দোষারোপ করতে যাবেন না। যদি ইসলামের দিকটা ভাবতেন তবে আজকে সমাজটা এমন রসাতলে যেত না। এমন পশুত্ব মানসিকতার মানুষও জন্মাত না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দিক।
৮টি মন্তব্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
স্বাগতম সমসাময়িক লেখায় 🌹🌹
মতামত হলো তরকারীর মসলার মতো মিক্স, থাকতেই পারে। তরকারীতে লবন, ঝাল, তেল সবই লাগে। কিন্তু কেউ বেশি খায়, কেউ কম।
সমাজটা মিশ্র একটা প্লাটফর্ম। এখানে সবকিছুই থাকবে এটাই স্বাভাবিক তবে লবন বা ঝাল খুব বেশি হলে যেমন তরকারী খাওয়ার অনুপোযোগী হয় তেমন শালীনতাহানী করে বসবাসের অনুপযোগীও করা যাবে না।
সুন্দরভাবে সমাজে চলার জন্য তার সৌন্দর্য রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।।
তোমার ম্যাসেজ দেখিনি। আমি ৯ টাতেই ঘুমাই। আরও লিখো। অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা আপু 🥰
জিনিয়া জুঁই
অবশ্যই! তবে সৌন্দর্য রক্ষার্থে এমনভাবেও চলা উচিত নয় যেটা দেখতে দৃষ্টিকটু হবে। কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানবেন আপু।
হালিম নজরুল
সবার আগে সত্যিকারের মানুষ হওয়াটা জরুরী। পোশাক অবশ্যই জরুরী, তবে তা মানুষ হবার পর।
জিনিয়া জুঁই
সহমত পোষণ করছি। সত্যিকারের মানুষ হলে নিম্ন মানসিকতা কখনোই কাজ করবে না।
হালিমা আক্তার
সবার আগে প্রয়োজন আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন। শালীন পোশাক পরেও ধর্ষিতা হচ্ছে। অশালীন পোশাক কখনোই কাম্য নয়। কত পার্সেন্ট অশালীন পোশাক পরে। মাদ্রাসার মেয়েটি তো শালীন পোশাক পরে বের হয়। তার দিকে কেন লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। শুভ কামনা রইলো।
সঞ্জয় কুমার
শুধু পোশাক নয়, রেপ বা এই ধরনের ক্রাইমের জন্য আসল দায়ী যে অপরাধ করছে তার মানসিকতা। সেটা পরিবর্তন না হলে কোন কিছুতেই শেষ রক্ষা হবেনা।
জিনিয়া জুঁই
সহমত। অশালীন সাজ-পোশাক দেখে মানসিকতা চেঞ্জ হয়ে যায় কয়েক সেকেন্ডে। আর এই নিম্ন মানসিকতা থেকেই সমাজে এমন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। ধন্যবাদ।
আলমগীর সরকার লিটন
খুব সুন্দর বলেছেন জুই আপু
আমাদের সমাজে জ্ঞানে খুবি অভাব
যাহার ফলে অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে!