
ঘুটঘুটে অন্ধকারে আলোছায়ার জাফরি চোখমুখের অলিগলির চিপায় চাপায় ছাপ পড়তেই দেহের নাড়িভুড়ি ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার মতো হয়ে যায়। বুকের ভিতর থেকে ধুকপুক ধুকপুক সাজসজ্জার তদারকি নিজ দায়িত্বে শরীরের মাংসপেশিতে ভয়ের অনুভূতির শিহরণে শরীর ঘেমে ঘেমে লবনাক্ত করছে নিমেষেই। এই প্রথম পৃথিবীতে নিজেকে সচলের অংশে অচলের ছায়ামূর্তি রূপে রূপবতী লাগছে।
দূরে, বেশ দূরে থেকে আবছা আবছা নিবু নিবু আলো দেখা যাচ্ছে। যতবার চোখের পলক পড়ছে ততবারই দেখছি আরও নিবু নিবু জ্বালা যন্ত্রণায় ছটফট করছে। মনে হচ্ছিল দেহ থেকে আত্মাটা বুঝি চলে যায়। আর আশপাশটা সুনশান-নিস্তব্ধ কবরের মতো একা এক পরিবারের মতো করে যায়।
ইস্! কবরের কথাটা মনে আসতেই শরীরের মাংসপেশি থেকে শুরু করে হাড্ডি-গুড্ডি এমনকি লোমগুলোও শিউরে ওঠে। ভেতর থেকে অতৃপ্তির আক্রমণ শরীরটাকে পেঁচিয়ে কুড়মুড় করে ভেঙে ফেলে। আর সহসাই একফালি কান্নার আওয়াজ, এক মুঠো বেঁচে থাকার আর্তনাদ, এক চিলতে হাসিখুশি প্রাণবন্ত প্রিয় পরিচিত মুখের ছায়া এসে ভিড় করে বৈদ্যুতিক খুঁটির মতো সামনে এসে দাঁড়ায়। আর আমি…! আমি হকচকিয়ে উঠি।
নিবু নিবু আলোর খুঁটি পাশ ফিরে যেতেই মনে হলো কেউ একজন পিছু পিছু হাঁটছে। বিশেষ করে রাস্তার মোড়ে জরাজীর্ণ জীর্ণশীর্ণ বটগাছের কাছাকাছি যেতেই বুকের পর্দাগুলো নিজে নিজেই জড়োসড়ো গুটিসুটি হয়ে থেমে গেলো। কলিজায় বাকী যেটুকু জান কিংবা আত্মা লুকিয়ে আছে সেটাও যায় যায় অবস্থা। কিছুটা আত্মা ঠোঁটেঠোঁটে নড়বড়ে হয়ে নেতিয়ে পরেছে। আর অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের বাকী কলকব্জাগুলো ভয়ের অনুভূতির আগুনে পুড়ে পুড়ে জব্দ।
পকেট থেকে সিগারেট বের করেছি। কিন্তু জামাপ্যান্টের আনাচকানাচে তন্নতন্ন করে খুঁজেও ম্যাচ (দিয়াশলাই) বাবাজীর দেখা মিললো না। তখন যেন দেহ থেকে আত্মাপাখি ফুড়ুৎ করে উড়ে গেলো।
চলবে…
২৩টি মন্তব্য
তৌহিদ
এটি অনুগল্প বা ছোট গল্প বা গল্প বিভাগে দিন। উপন্যাস ধারাবাহিক লেখা। এটিতো তা নয় তাইনা? কি লেখা কোথায় কোন বিভাগে পোস্ট করতে হবে এটিতো লেখকের জানা বা বোঝা উচিত ভাই।
গল নিয়ে মন্তব্যে পরে আসছি।
নৃ মাসুদ রানা
আমি অণুগল্প, ছোটগল্প অথবা গল্প কোনটাই লিখি নাই।
উপন্যাসই লিখতে শুরু করেছি। আসলে আমি আমার লেখাগুলো মোবাইলেই লিখি। এজন্য অনেক সময় অনেক শব্দ মনের ভিতর উচ্চারণ হলেও লিখতে ভুলে যাই। এজন্য…।
এই লেখাটি সোনেলায় যোগ করতে পাঁচ চেষ্টা করেছি। এবং তারপর সফল হয়েছি। এজন্য চলবে কিংবা পরের অংশ অথবা ১, ২, ৩ আকারেে দিতে ভুলে গিয়েছি।
ধন্যবাদ প্রিয়, এভাবে ভুলগুলো দেখিয়ে দেওয়ার জন্য। নইলে শিখবো কোথায় থেকে।
তৌহিদ
তাহলে ঠিক আছে।
সঞ্জয় মালাকার
পড়ে বেশ ভালো লাগলো দাদা, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
নৃ মাসুদ রানা
ইনশাআল্লাহ, আমারও ভালো লাগলো।
এস.জেড বাবু
এমন রাতে বটগাছের ডালে একটা পরীর দেখা মিললে কেমন হতো !
জটিল হতো-
ভয় পেতে পেতে ফুড়ুৎ করে উড়ে যাওয়া আত্মাটা, রূপের জালে চুবানী খেত।
চমৎকার সূচনা- অপেক্ষায় রইলাম।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ প্রিয়, আপনি যে গল্প তুলে ধরেছেন চেষ্টা করবো সেটাও নিতে।
ত্রিস্তান
এই প্রথম পৃথিবীতে নিজেকে সচলের অংশে অচলের ছায়ামূর্তি রূপে রূপবতী লাগছে। লাইনটা নিশ্চিত কোন মেয়েকে নির্দেশ করে, বাট সে যে সিগারেট খোর এটা জানলে কোন ভুত পেত্নীতো ভুলেও কাছে আসবে না 😜
নৃ মাসুদ রানা
বেশ বলেছেন তো। তবে, রূপবতী শব্দটি বোধহয় বাদ যাবে। কারণ, ছেলেরা রূপবতী হয়না।
ধন্যবাদ, খুবই খুশি হলাম। লাইনটা লেখার জন্য।
এভাবে, ভুলগুলো সামনে আসুক।
ইসিয়াক
পড়ে ভালো লাগলো। শুভকামনা।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ কবিবর/ ব্লগবর। ভালো থাকুন।
আরজু মুক্তা
অদ্ভুতে ভুতুরে কাহিনী মনে হচ্ছে।
চলুক তাহলে। সাথে আছি।
নৃ মাসুদ রানা
হুমম, প্রথম অংশে এরকম কিছুই। আসলে উপন্যাসটি অনেকগুলো জীবন কিংবা ঘটনার সংমিশ্রণ। আশাকরি, ভালো লাগবে।
উপন্যাসটি পড়ে, পাঠকেরা প্রতারিত হবে না।
সুরাইয়া পারভীন
ম্যাচ বাবাজীকে কী শাকচুন্নী তুলে নিয়েছে?
দেখি না পরের পর্বের কি অপেক্ষা করছে
ভালো লিখেছেন। শুভ কামনা রইলো
নৃ মাসুদ রানা
না, সেরকম কিছুই নয়। আসলে… বাকিটুকু উপন্যাসের পাতায়।
রেহানা বীথি
বেশ একটা ভৌতিক ভৌতিক ভাব। দেখা যাক পরের পর্বগুলো। এটুকু ভালোই লাগলো।
নৃ মাসুদ রানা
ঠিক ধরেছেন আপু। প্রথমেই একটু আঁচ দিয়েছি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অন্ধকার রাতে বটগাছের তলে যেতে নেই। ভূত পেত্নীর আছড় পড়ে। সাবধান থাকবেন। শুভ কামনা রইলো
নৃ মাসুদ রানা
হুমম, ঠিকই বলেছেন। তবে বাস্তবে আশাকরি কখনো বটগাছতলায় যাবো না।
ফয়জুল মহী
মনোরম লেখা।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ প্রিয়
রুমন আশরাফ
সুন্দর লেখা তবে বানান এর দিকে একটু লক্ষ্য রাখা দরকার বলে মনে করছি। কিছু শব্দ একটু পরিবর্তন করলে লেখাটি হয়তো আরও একটু ধারালো হবে। শুভ কামনা রইলো।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ প্রিয়, যখন সব পর্ব একত্রে করবো তখন আবার বেশ কয়েকবার…