প্রথমে বলে রাখি করোনা ভাইরাসটিকে নিয়ে ভয় করার কিছুই নেই।কারন আক্রান্তকারী মৃত্যুর সংখ্যায় বয়স্ক বা রোগ ব্যাধিতে জর্জরিত এমন রোগীর সংখ্যাই বেশী।কোন তরতাজা যুবক কিংবা শিশু কিশোর আক্রান্ত হলেও মৃত্যু এখনো নিশ্চিৎ হয়নি।তাতে বুঝা যায় অচেনা বার বার ধরণ পরিবর্তন করা এ ভাইরাসটিতে যারা এ যাবৎকাল আক্রান্ত হয়েছেন তারা প্রায় সবাই স্বাস্থ্যগত ঝুকিতেই ছিলেন।তবে ভুলে গেলে চলবে না এটা অতি ছোয়াঁচে রোগ সুতরাং আক্রান্ত সব বয়সি লোকেরাই হতে পারেন।

প্রকৃতির প্রতিশোধ বায়ু দুষনে-দুষিত বাসাত উড়ছে সর্বোত্র এ অবস্থায় স্বাভাবিক জ্ঞানেই মুখে মাস্ক ব্যাবহারের চিন্তাটা মাথায় আসার কথা।এছাড়া দু'হাতে সারা দিনে আমরা কত আকাম কুকামই না করছি বা করি-তাই স্বাভাবিক ভাবেই বলা যায় তখন জীবানুগুলো আপনার আমার হাতের মুঠোয় রয়ে যায় তা চোখে মুখে স্পর্শে প্রবেশ করে দেহে।তাই করোনা হতে বাচতে হলে বার বার শতবার অবশ্যই সাবান জলে  হাত পরিস্কার করে তারপর শরীরে অন্য অঙ্গে স্পর্শ করা নিরাপদ।

বিশ্বে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু প্রায় ৮ হাজার ছুই ছুই ক্রমশত বেড়েই চলছে…এবং আক্রান্ত সংখ্যা…প্রায় ১,৯০,০০০ ছাড়িয়েচীন ছাড়িয়ে এটা এখন মহামারীতে ইউরোপ।

বাংলাদেশেও করোনার শনাক্ত হয়েছে  যা খুবই চিন্তার বিষয়।চীনতো অনেকটা সামলে নিয়েছেন তাদের সতর্কতায়, নিয়ম নীতি সেবা ও ঔষধ সেবনের মধ্য দিয়ে।চীন যে ভাবে করোনা ভাইরাসটিকে কন্ট্রোল করেছেন তা বিশ্বে বিরল।রাতারাতি করোনা আক্রান্ত রোগীর জন্য হাসপাতাল তৈরী করে বিশ্বে নজির স্থাপন করেন।তারা তাদের প্রশাসনিক ভাবে কঠোর মনোভাব নিয়ে যে যেখানেই ছিলেন তাকে সেখানেই স্টপ করে দিয়েছেন।ঘরে ঘরে গিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগী সংগ্রহে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন।স্কুল কলেজ সহ ব্যাবসা বানিজ্য সব সরকারী কন্ট্রোলে রেখেছেন।কঠোরতায় সে দেশের একজনও সরকার বিরোধী টু শব্দ করতে পারেননি।পুরো দেশটাকে পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়ে ধুয়ে ফেলেছেন।সরকার ছিলেন পজিটিভ তার সাথে জনগনও ছিলেন সহযোগীতাপূর্ণ পজিটিভ মাইন্ডডেড।অবশেষে তারা এখন অনেকটাই সফল।কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের জনগন যেমন সরকারও তেমনি।সরকার শুরু হতেই বলে আসছিলেন তারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে তৈরী আছেন অথচ দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর টেষ্ট করার পর্যাপ্ত প্লেস নেই, প্রবাসীদের আগমনে  স্ক্যানিং মেশিন যা ছিলো তাও ঠিকমত কাজ করত না।বর্ডারে বা নৌবন্দরে ছিলো না পর্যাপ্ত স্ক্যানিং মেশিন ও শনাক্তকরণের নির্ভরতা।

করোনা নিয়ে এ দেশে রীতিমত বিভিন্ন হাস্যত্বক কান্ড ঘটে দেশের তথা কথিত  মাওলানা বক্তাদের বক্তিতায় অলরেডি তারা ফর্মলা দিয়ে দেন।করোনা ভাইরাস হতে মুক্তির দোয়া দরূদ এর স্টিকার লাগানো অলরেডি বাড়ী বাড়ী শুরু হয়ে গেছে।আমার প্রশ্ন হল চীনতো এ সব দোয়া দরূদ কিছুই লাগায়নি বা পড়েনি বা লাল সালুর কায়দা কানুন তাহলে তারা এ ডেঞ্জার ভাইরাস কন্ট্রোল করল কী করে ? বিধর্মী হিসাবে তারাতো সব ধ্বংস হয়ে যাবার কথা।আরো একটি লক্ষণীয় বিষয় হল এই করোনা কিন্তু কাউকেই করুনা করেনি বা করছেও না।যদি ধর্মীও দিকটাই মুখ্য হত তাহলে ইসলামী রাষ্ট্র কাতার সৌদি আরব বা ইরান কেন আক্রান্তকারী দেশ হল।সৌদি কেন তাদের হজ্ব কার্যক্রম গুটিয়ে নিল? বিশ্ব মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে বড় জমায়েত এ নামাজ কেন নিষিদ্ধ হচ্ছে? তর্ক বিতর্কে প্রশ্ন আসবে,উত্তরও আসবে কিন্তু সমাধান কিন্তু আপনাকে আমাকেই করতে হবে কারন যুগে যুগে উৎপত্তি হওয়া এ সব ভাইরাস মানুষেরই সৃষ্টি তাই এর সমাধান মানুষকেই করতে হবে এবং করবেও।কোন স্বপ্নে পাওয়া বা আধ্যাত্বিক সূত্র এখানে মুল্যহীন।তবে কথা সত্য যে ধর্মীও অনেক বাণী উপেক্ষা করার নতিজা এটাও হতে পারে।যেমন খাদ্যে হালাল হারাম সহ পাচ ওয়াক্ত নামাজের উছিলায় উক্তে উক্তে ওঁজুর করে দেহকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যা এ ভাইরাসটিকে প্রতিরোধের প্রথম ধাপ বলে গণ্য করা হয়।

রাখে আল্লায় মারে আবার মারে আল্লায় রাখে কে-একশতে একশ সহমত কিন্তু আপনি যদি স্ব-ইচ্ছায় প্রদোনিত না হয়ে নিজেকে সুরক্ষায় সঠিক পদক্ষেপ না নেন বা না মানেন তবে আল্লায় নিজে এসে আপনার আমার মত মিথ্যা প্রতারনার জীবনকে বাচিয়ে দিবেন না।প্রবাস ফেরত আক্রান্তকারী দেশ হতে আসার কারনেই আমাদের দেশে আজ করোনার অস্তিত্ব খুজে পাওয়া গেল নতুবা ভালই ছিলাম।এরা বলে রেমিটেন্স যোদ্ধা!ফুটপাতে রসুন আর খেলনা হকারী করারা দেশে এসে অনেকে হয়ে যান নবাব জাদা! অবশ্য সবাই এক নয় এর মধ্যে বহু দেশপ্রেমিকও আছেন যারা প্রবাসে থেকেও দেশের জন্য কাজ করেন,দেশের জন্য ভাবেন।তাদেরকে স্যালুট জানাই।আর যারা বিশ্বের এমন ক্লান্তিলগ্নের সময়ে দেশ এবং জনগনের জীবনকে বিপদে ফেলতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরে এসেছেন তবুও তাদের অয়েলকাম আমাদের কোন আক্ষেপ নেই কারন নিজ মার্তৃ ভুমিতে আসার অধিকার তাদের আছে কিন্তু যারা দেশের নিয়মনীতিকে উপেক্ষা করে দেশকে গালি দিয়ে কথা বলে তাদেরকে ধিক্কার জানাই।তাদের কোয়ান্টানে না থাকা,অতি উৎসাহি স্বজনদের মুখ দেখাদেখি যেন এ দেখাই শেষ দেখা তাইতো প্রবাসী যেমন উদ্বিগ্ন তেমনি তাদের আত্মীয় স্বজনরা সামান্য ১৪টি দিন তারা হোম কোয়ান্টানের থাকতে অপরাগ।তাদের নিবুদ্ধিতার ধৈর্যহীনতার  কারনে দেশ আজ বিশ্ব করোনা আক্রান্ত দেশের একটি।করোনা আক্রান্ত উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর পদক্ষেপ এবং জনগনের আইন কানুন তথা সরকারকে ফলো করার নমুনা আর আমাদেশের দেশের নমুনা তুলনা করলেই বুঝা যায় সেই জন্যই ওরা উন্নত কান্ট্রি।

পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় ১৪ জন…..।প্রথম মৃত্যু ০১জন।

করোনা ভাইরাসের কারনে এতো দিন আমরা আক্রান্ত হব কী হব না নিয়ে চিন্তিত ছিলাম।দেশে করোনা ভাইরাস অলরেডি শনাক্ত-এ নিয়ে ভাববার কিছুই নেই যা হবার হবে।যদি মহামারী লেগে যায় তাও অপ্রত্যাশিত নয়।এর মধ্যে দেশের সকল আন্তজার্তিক ফ্লাইট বাতিল করেছেন বাংলাদেশ সরকার  সেই সাথে চিন্তিত বিষয় আরেকটি সামনে এসে পড়ল আর তা হল দেশের অর্থনৈতিক খাত।এতোদিন পন্য আমদানীতে ছিলাম প্রতিবন্ধকতায় আর এখন পন্য রপ্তানীতেও সমস্যা।বায়াররা যা যেখানেই আছে তা সেখানেই স্টপ করে রেখেছেন।হয়তো অচিরেই আমরা এ ভাইরাসটির প্রতিশেধক ভ্যাকসিনও তৈরীতে সক্ষম হব কিন্তু বিশ্ব জুড়ে এর প্রভাবে অর্থনৈতীক মন্দাভাব কাটিয়ে উঠাটা বেশ কষ্টকর হবে।হয়তো বা ১৯২৯ সালের পৃথিবীর অর্থনৈতীক মন্দাভাবটাকেও ছাপিয়ে যাবে।

ভাইরাসটি এখন চীন হতে ইউরোপ মধ্য প্রাচ্যে বেশ দাপটের সহিত বয়ে বেড়াচ্ছে।যদিও এর উৎপত্তি ধারণা করা হয়েছিলো চীনে কিন্তু তথ্যমতে জানা যায় এর উৎপত্তি আমেরিকাতে।জাপানের একটি সংবাদ মাধ্যম এর সত্যতা নিশ্চিৎ করেন।তারা ৪টি মহাদেশের ১০০টিরও বেশী জেনম সংগ্রহ করে নিশ্চিৎ হন যে চীন করোনা উৎপত্তির প্রথম দেশ নয়।আবার বিভিন্ন তথ্যমতে এটাও জানা যায়-এ ভাইরাসটি হল আমেরিকা-চীন এর মধ্যে জৈবরাসায়নিক মরনাস্ত্র যুদ্ধ।এটা যদি হয় তবুও অবাক হবার কিছুই নেই কারন ভবিষৎ বিশ্ব যুদ্ধটা এমনি জৈব রাসায়নিক সমরাস্ত্র এবং নিত্য নতুন ভাইরাস উৎপাদন করে একে অন্যের কম্পিউটার সফটওয়্যার ধ্বংসের যুদ্ধ হবে যা পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিবে।
কথিত পৃথিবীর শ্রেষ্ট জীব মানুষকে নাকানি চুবানি দিয়ে চলছে একটি মাত্র ভাইরাস কোভিড১৯।যারা বাথরুম ইউজ করেন অথচ কখনো সাবান টিস্যু ইউজ করেননি তাদের তা করাতে বাধ্য করাচ্ছে এই করোনা ভাইরাস। যারা ধর্মীও বাণী খাবারে হালাল হারাম সাপ ব্যাঙ বাদুর কুত্তা বিলাই কিছুই বাছেননি তাদের জন্য করোনা একটি সতর্ক সংকেত হয়ে এসেছে। অন্তত করোনার ভয়ে হলেও মানুষগুলো সকল অসভ্য অমানবিকতা ছেড়ে সভ্য ও সভ্যতার দিকে এগুবে এটাই আমার ভাবনা।

যান্ত্রীক জীবনে মানুষগুলো যন্ত্রের মতই ধৈর্যহারা আতংকিত হয়ে পড়ছেন অথচ ভাবলেন না এ পৃথিবীতে অতীতে এর চেয়ে আরো ভয়াবহ ভাইরাসের আগমন ঘটেছিলো এবং তার বিনাশও হয়েছে, রেখে গেছে কালের স্বাক্ষী হয়ে কিছু ইতিহাসের দাগ।তেমনি একটি ভাইরাস ১৯১৮ স্প্যানিশে আর্বিভাব ঘটেছিলো। এমনি একটি অচেনা ভাইরাস যার নামকরণ করা হয়েছিলো স্প্যানিশ ফ্লুো। 

যার প্রভাব ছিলো সারা বিশ্ব বিশেষ করে আমেরিকা ইউরোপ এবং এর প্রভাবে মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো অগনিত।যেহেতু ঘটনাটি ছিলো প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের সময়, সেই হিসাবে এই ভাইরাসের প্রভাবে মৃত্যুর সংখ্যা সঠিক নির্ণয় করা  তখন কঠিন ছিলো তবুও বিভিন্ন তথ্য মতে জানা যায় ২ কোটি হতে ৫ কোটি আবার কোন কোন তথ্য মতে সারা বিশ্বে দশ কোটির উপরে লোক মারা গিয়েছিলো।ধারনা করা হয় স্প্যানিশ ফ্লো ভাইরাসটি প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাস নামক এক শহরে যুদ্ধের একটি সামরিক ক্যাম্প হতে-সেখানে প্রায় ৫০ হাজার সৈন্য থাকত।সেখানে পর্যাপ্ত পরিমান স্যানিটেশন না থাকায় সৈন্যদের মাঝে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে।এরপর যুদ্ধের প্রয়োজনে আক্রান্তকারী মার্কিন সৈন্যরা ইউরোপ গেলে তা ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়ে।যুদ্ধের প্রয়োজনে সে সময় মার্কিন সৈন্য পুরো পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াত সেই সাথে স্প্যনিশ ফ্লোর আক্রান্তকারীরাও ছিলেন তাই ছোয়াচেঁ এর বিস্তার ঘটে।এই ফ্লোতে  আক্রান্ত হন  তখন শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই নৌবাহিনীর প্রায় চল্লিশ শতাংশ এবং সেনাবাহিনীর প্রায় ছত্রিশ শতাংশ।অজানা অচেনা এই ভাইরাসটির প্রতিশেধক ভ্যাকসিন তৈরী করতে সক্ষম হয়েছিলেন খোদ আমেরিকা। ১৯৪০ সালে অথাৎ ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সময় লেগেছিলো ২২ বছর।এক সময় মরন ব্যাধি এইডস ভাইরাসটি প্রথম দর্শন হয় ১৯৮১ সালে এর শনাক্তে সময় লেগেছিলো প্রায় দু’বছর আর এখনতো এইডস বিশ্বে কোন অসুখই না কারন এর প্রতিশেধক ভ্যাকসিন অলরেডি মানুষের কব্জায়।আর কোভিড১৯ এর তীব্র নিউমেনিয়ায় আক্রান্ত রোগী ধরা পড়ে গত বছর ২০১৯ এর ৩১ ডিসেম্বর।মাত্র আট দিন পর জানুয়রীর ৭ তরিখে ভাইরাসটি শনাক্ত করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা এবং দশম দিনেই ভাইরাসটির জেনোম সিকোয়েন্সও বের করে ফেলেন বিজ্ঞানীরা।সুতরাং এটাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছুই নেই।বিশ্বের বিজ্ঞানীরা ঘরে বসে নেই চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কাজ।ইতিমধ্যে অনেকটা আশার বাণীও শুনছি।

আমদের দেশ তথা ভারত উপমহাদেশেও কিছু ভাইরাসের উৎপত্তি জানা যায় যায়।পৃথিবীর ভাইরাস আক্রান্তের ইতিহাস বলে কলেরা/ডায়রিয়া বা গুটি বসন্তের নাম।সে সময় কলেরায় আক্রান্ত হয়ে আমাদের গ্রাম কী গ্রাম লোকের মৃত্যুতে ছেয়ে গিয়েছিল।সে সময়ে যারা প্রত্যাক্ষদর্শী ছিলেন তারা ভাল বলতে পারবেন-কলেরা জগতের ভয়াবহ রূপটি কী ছিল।রোগটি কারো দেহে আক্রান্ত হতে যতটা না দেরী হত তা চেয়ে তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়তে তত সময় কম লাগত। ১৯৭৪ সালে ভারতে গুটি বসন্তের রোগীর পরিমান এতো বেশী ছিলো যে সারা গ্রাম জুড়ে ওগলায় মোড়ানো সারিবন্ধ লাশ দেখা যেত- ভয়ে কেউ কারো কাছেও যেত না।গুটি বসন্তের ভয়াবহতা এতোটাই ছিলো যে, যা ঠেকাতে  সে সময় প্রায় এককোটি টিকা দেয়া হয়েছিলো আক্রান্তকারীদের এবং দশ লক্ষ সূই ব্যাবহার করা হয়েছিল।এছাড়া প্রায় ছয় লক্ষ গ্রামে ১২ কোটি বাড়ীতে গিয়ে গিয়ে রোগী সনাক্ত করা হয়েছিলো যার কাজে লোক লাগানো হয়েছিলো প্রায় ১,৩৫,০০০ স্বাস্থ্যকর্মী।

লক্ষণ এবং উৎপত্তি অনেকটা করোনা ভাইরাসের মতন যেমন জ্বর সর্দি কাশি হাচি হতে এর বিস্তার লাভ করত তবে আক্রান্ত্রকারীর উপসর্গগুলোর মধ্যে স্বাস কষ্ট সহ স্প্যানিশ ফ্লোতে মুখ দিয়ে রক্তপড়া সহ ঘণ ঘণ বুমি হত যা সহজেই শরীরকে দুর্বল করে মৃত্যুর মুখে নিয়ে যেত।বর্তমান আতংকিত করোনা ভাইরাসটি বিষেজ্ঞদের মতে একটি দেহে এক মিনিটে ত্রিশ বারের বেশী শ্বাস প্রশ্বাস নিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন এর ঘাটতি পড়ে।যথাযথ চিকিৎসা না হলে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং তার প্রভাব পর্যায়ক্রমে হার্ট কিডনি সহ দেহের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নষ্ট হতে থাকে যা রোগীকে ক্রমান্বয়ে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায় তবে এ ক্ষেত্রে বয়ষ্ক বা শরীর কার্য ক্ষমতাহীনদের মৃত্যুর ঝুকি বেশী থাকে।

এখন কথা হল এই সব ভাইরাস টাইরাস কিছুই না শেষ কথা হল পৃথিবীর আয়ু তার শেষ প্রান্তে এসে পৌছে গেছে তাইতো যার জন্য মানুষকে এখন হতেই একে অন্যে হতে পৃথক হবার অভ্যাস গড়ার মন্ত্রে দীক্ষিত হতে হচ্ছে।করোনা ভাইরাসটি আক্রমনকারীর জন্য যতটা না ক্ষতিকর তার চেয়ে বেশী ক্ষতিকর হচ্ছে আতংকিত হওয়া এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয়।ভাইরাসটি যার শরীরেই দেখা যায় তাকে জন মানব হতে একেবারে দূরে থাকতে হবে।ছেলে আক্রান্ত হলে মা বাবা যেন পর আবার মা বাবা আক্রান্ত হলে সন্তান যেন তাদের হয়ে যান পর।কারো স্পর্শ কিংবা দেখা সাক্ষাত করাও নিষিদ্ধ।একবার ভাবেনতো করোনা আক্রান্তকারী ব্যাক্তিটির সে সময়কার মনের অবস্থাটি কতটা ভয়বহতায় অসহায় হয়ে দাড়ায়।এক্ষেত্রে আক্রান্তকারী মনের অবস্থা যা হবে আপনার আমার ক্ষেত্রেও হলেও তাই হবে।এটা ভেবেই একে অন্যের বিপদে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিন।

তাই আসুন সচেনতায় ক্ষণস্থায়ী জীবনে সকল ক্ষমতা লোভ লালসাকে দূরে ঠেলে মানবতায় বিশ্ব গড়ি
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে দিয়ে যাই আগামী প্রজন্মের তরে।

--------------------------------------///////-----------------------------

তথ্য ও ছবি কৃতজ্ঞতায়
দৈনিক প্রথম আলো
প্রিয় লেখক ইকবাল হোসেন ইকুর একটি অনলাইন রিপোর্ট।
বিবিসি বাংলা এবং অন্যান্য অনলাইন মাধ্যম।

0 Shares

২৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ