আজ মহান রাজাকার আবদুস সোবাহানের শাহাদাত দিবস। ১৯৭১ সনের এই দিনে হানাদার মুক্তিবাহিনী স্বাধীনতার অকুতভয় সৈনিক বীর রাজাকার আবদুস সোবাহানকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। জাতি কৃতজ্ঞতার সাথে এই মহান রাজাকারকে স্মরণ করে।
এ উপলক্ষে ফজরের নামাজের পর হতেই জেলা বিএনপি , জামাত এবং এর সকল অঙ্গ সংগঠনের কার্যালয়ে পবিত্র কুরআন খতম করা হয়েছে । বিএনপি এবং জামাত এর দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। জেলা রাজাকার সংসদ কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করেছেন।
মহান বীর রাজাকার আবদুস সোবাহানের বীরত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসঃ
২৫ মার্চ ১৯৭১ স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হবার সাথে সাথেই তিনি এলাকার সমমনা জনতাকে সংগঠিত করতে থাকেন। ২৭ এপ্রিল ১৯৭১ পর্যন্ত এই জেলা স্বাধীনতার শত্রু মুক্তি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকায় প্রকাশ্যে কৌশলগত কারনে তিনি সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হননি। ২৭ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে জেলা শত্রু মুক্ত যুদ্ধে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন। জেলা শহরের প্রায় ৮০ ভাগ ঘড় বাড়ি এবং দোকান পাটে অগ্নি সংযোগে সরাসরি অংশ গ্রহন করেন।
তিনি নিজে ৭ জন দেশের শত্রু মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেন এবং ৪৭২ জন সন্দেহ ভাজন মুক্তিযোদ্ধাকে পাক সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন , এর মধ্যে ২ জন ব্যতীত ৪৭০ জনকে হত্যা করা হয়।
১৯৭১ এর ২৭ এপ্রিল থেকে মৃত্যুর পূর্ব দিন পর্যন্ত সর্ব মোট ৪৪ জন যুবতী নারীকে পাক সেনাদের মন রঞ্জনের জন্য সরবরাহ করেন। পাক সেনারা খুব নিপুন ভাবে এই নারীদের ব্যবহার করেন। কয়েকজন অবাধ্য নারীকে পাক সেনারা স্তন কেটে হত্যা করে। রাধা এবং সীমা নামের দুই হিন্দু যুবতীকে তিনি নিজে ৪ মাস ব্যবহার করে , তার অধীনস্ত রাজাকারদের ব্যবহারের জন্য দিয়ে দেন। তার এই উদারতা জুনিয়র রাজাকারদের মাঝে ব্যপক প্রশংসিত হয়।
১৯৭১ এর এই দিনে শত্রু মুক্তিযোদ্ধাদের অতর্কিত আক্রমণে এই মহান রাজাকারের মৃত্যু হয়।
তার মৃত্যুর পর প্রায় ৪২ বছর অতিক্রান্ত হলেও , তার খুনিরা আজও প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। কোন খুটির বলে খুনিরা এখনো আস্ফালন করছে জাতি তা জানতে চায়। অবিলম্বে এই মহান বীর রাজাকারের খুনি মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করে জাতিকে কলংক মুক্ত করা এখন সময়ের দাবী।
—- এটি হতে পারে ভবিষ্যতের কোন একদিনের সংবাদ। অপেক্ষায় আছি সেদিনের।
Thumbnails managed by ThumbPress
১৭টি মন্তব্য
আমার মন
-:- -:-
জিসান শা ইকরাম
মন খারাপ করে কি লাভ ?
লীলাবতী
এদিকেই ধাবিত হচ্ছে দেশ ।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা , তাই মনে হচ্ছে ।
নাজনীন খলিল
;?
হবেনা। আমি এখনো আশা ছাড়তে রাজী নই।
জিসান শা ইকরাম
আমি খুবই হতাশ হয়ে পরেছি আপা ।
শিশির কনা
শেষ লাইন না লিখলে তো ভেবেই বসেছিলাম যে এটি সত্যি। বাঙ্গালী হেরে যাবার নয় জিসান ভাই। সংকটে খুলে পরছে এক একজনের মুখোশ । দেশনেত্রী হয়ে যাচ্ছেন রাজাকার নেত্রী। দেশের এটি কম অর্জন নয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই এই বাংলায় ইনশ আল্লাহ ।
জিসান শা ইকরাম
দেশনেত্রী হয়ে যাচ্ছেন রাজাকার নেত্রী। দেশের এটি কম অর্জন নয়। — ভালো বলেছেন তো 🙂
মা মাটি দেশ
ব্যাঙ্গ করা রাজাকারের কু কামের কথা শুনে মন মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।রাজাকাররা এবার যেন আইনের ফাক না পান -বেরুবার।ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
মেজাজ পুরাই খারাপ ।
খসড়া
হবেনা। আমি এখনো আশা ছাড়তে রাজী নই।
এ দেশ ভুলে নাই সেই দু:স্বপ্নের রাত। এদেশ বাংলাদেশ এদেশ কিছুতেই ভুলে ভুলবে না তাদের —– যারা মোর ঘর ভেঙ্গেছে।
জিসান শা ইকরাম
তাই যেন হয় , কেমন হতাশ হয়ে পরছি দিন দিন।
নীহারিকা
এমনটা হওয়া অসম্ভব। কোনদিনও হবে না। নিশ্চিন্ত থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
তাই যেন হয় , কিন্তু নিশ্চিন্ত থাকতে পারছি না ।
আদিব আদ্নান
যত যাই হোক ,এতটা হতাশ এখনই হচ্ছি না ।
নীলকন্ঠ জয়
মাথা খারাপ নাকি? এমন হওয়ার কোন সুযোগ নেই। শকুনিদের নিপাত হবেই হবে।
শুন্য শুন্যালয়
হতাশা পিছিয়ে দেবে বস… বাঙালি সব কিছু সহ্য করলেও একসময় ঠিকই তার প্রতিক্রিয়া দেখাবেই…… আশা ছাড়বো না কিছুতেই…