
নদী ছিলো কোকিলের অপেক্ষায়,
অনন্তকাল পাড়ি দিয়ে সময়-ঢেউয়ের হিসেব কষেছে, সেকেন্ড–মিনিট–ঘন্টা–দিন,
দিন–মাস–বছর–যুগ।
কোকিলের বেশে এসেছিলো কাক দলবদ্ধ হয়ে,
বিরক্ত–তটস্থ হয়ে তাড়িয়েছে কখনো তাড়া দিয়ে, কখনো সাদা ভাতে।
ভাত ছিটালে কাকের অভাব হয়না জেনেছিলো নদী, কোকিল প্রতিক্ষার অবসরে।
এসেছিলো ঝুটি বাঁধা কাকাতুয়া
মনের কথা বলতে/শুনতে, ক্ষণকাল বিরতি নিয়ে সেও পালিয়েছে,
নদীর গহীনে থাকা ঘুমন্ত কুমিরের খোলা চোখ দেখে।
কাঠঠোকরার জবানিতে জানা হলো
কুহুবন আজ কোকিল শূন্য, বন–খাজনা সময়মতো দিতে না পারায় তার কাজ বেড়েছে,
কালপুরুষের মন–জানালার পাহারায় থাকতে হবে অনতিকাল।
প্রহরী কোকিল বিষণ্ন মনে ডেকে উঠে বারবার
সময় নিয়ে অসময়ে, ছড়িয়ে পড়ে সেই কুহুতান কুহুবন ছাড়িয়ে পথে– প্রান্তরে– নদীর সীমান্তে।
নদী শোনে/শুনতে পায়,
শান্তির দূত সুখের এক পায়রা বসত করে নদীর হৃৎপিণ্ডে,
ওড়ে–ঘুরে–হেটে বেড়ায় জল–জঙ্গলের-আঙিনায়,
ছোটো বড় ঢেউয়ের সাথে তালে তাল-মিলায়।
বাক বাকুম সুরের মূর্ছনায় আচ্ছন্ন হয়ে ভুলে যায় কুহুতান,
শান্তি-দূতের মোহ–মায়ায় আবিষ্ট নদী ধীরে বয় তন্দ্রাচ্ছন্নতায়;
Thumbnails managed by ThumbPress
৪১টি মন্তব্য
তৌহিদ
নদীর অপেক্ষার পালা শেষ হোক এই কামনা করি। নদীর মতন আমরাও, যার জন্য যেটার জন্য অপেক্ষা করি সেসব পাইনা। আর পেলেও তা আশানুরূপ হয়না।
যা চাই তা ভুল করে চাই,
যা চাই তা পাইনা।
মুগ্ধতা রেখে গেলাম আপুমনি।
সাবিনা ইয়াসমিন
যা চাই তা ভুল করে চাই,
যা পাই তা চাই না।
সঠিক, আবার এমনও হয়, যা পাই তা চাওয়ার থেকেও বেশি পাই। বিধাতা যখন দিতে থাকে তখন দিতেই থাকে, চাই বা না চাই। মনের আনন্দে উপচে পরা মন বুঝতেই চায় না, পাওয়া না পাওয়াতে কখনো ধৈর্য হারাতে নেই। সুখ / কষ্ট একই মুদ্রায় দুই পিঠ। নিলে দুটোই নিতে হয়।
ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই, শুভকামনা রইল।
অপার্থিব
এখানে নদী কি কোন হিউম্যান বিয়িং এর মেটাফোর বা রুপক? কোকিলের ছদ্মবেশে আসা কাক, কাকাতুয়া, কাঠ ঠোকরা কি তার জীবনে আসা অনাকাঙ্ক্ষিত অপ্রেমের চরিত্র যেখানে তার হৃদয় দখল করে আছে “সুখের পায়রা”?
সাবিনা ইয়াসমিন
নদীকে এখানে একটি রুপক হিসাবে ধরা হয়েছে। একজন নারীর চরিত্রে যদি নদীকে ধরে নেই, তাহলে কোকিল, কাক, কাকাতুয়া, কাঠ ঠোকরা, কুমির, কালপুরুষ এবং পায়রা সবাইকে এক– একটি চরিত্র দেয়া যায়। আবার যদি প্রাকৃতিক ভাবে দেখতে চাই, তাহলে চরিত্র গুলো প্রকৃতির বিভিন্ন রুপের সাথে মিলিয়ে দেয়া যাবে। পাঠক নিজ থেকেই ঠিক করবেন তিনি কিভাবে লেখাটি নিতে চান।
এই লেখাটি মুলত একটি জবাব পোস্ট। সোনেলার খ্যাতিমান লেখক ছাইরাছ হেলাল সাহেবের কুহুতান লেখাটির জবাবে এই লেখাটি এনেছি। সোনেলা ব্লগে গত দুইমাস ধরে যারা নিয়মিত তারা প্রায় সকলেই জানেন, হেলাল সাহেব শীত নিয়ে ধারাবাহিক লেখা দিয়েছেন। আমরা অন্যান্য লেখকেরা চেষ্টা করেছি তখন থেকেই তার সাথে কিছুটা তাল মেলাতে। পরবর্তীতে তিনি সোনেলায় বসন্তকে নিয়ে আসেন নিজ লেখায়। বরাবরের মতই আমরা চেষ্টা করেছি নিজেদের লেখাতেও বসন্তকে রাখতে। খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, আমাদের প্রায় প্রত্যেকের লেখা গুলোতে বসন্ত ছিলো। গল্প – কবিতায় – অ কবিতায়, বই মেলায় এবং সম্প্রতি হয়ে যাওয়া সোনেলার মিলন মেলাতেও বসন্ত ছিলো পুরোদমে। এটা অঘোষিত থিম হয়ে ছিলো। এখন তিনি নদী ও কোকিল নিয়ে এসেছেন। আমি / আমরা তা থেকেই জবাব পোষ্ট লিখেছি / লেখার চেষ্টা করেছি।
লেখাটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ অপার্থিব। আশা রাখি সব সময়ে পাশে থাকবেন। ভালো থাকুন, শুভকামনা অবিরত।
অপার্থিব
ভাল, চালিয়ে যান। সামনে গ্রীষ্ম, বর্ষা আসতেছে আশা করি ভবিষ্যতেও ঋতুর সাথে তাল মিলিয়ে ব্লগ পোষ্ট চলতে থাকবে।
সাবিনা ইয়াসমিন
চেষ্টা করবো লিখতে। আপনিও লিখবেন। সবাই মিলেমিশে না লিখলে ঋতুকাব্য জমে না।
শুভ কামনা অপার্থিব 🌹🌹
জিসান শা ইকরাম
একদিন নদী দেখা পাবে, খুঁজে পাবে কোকিলের,
কেবল কোকিলের কন্ঠই নয়
কোকিল হয়েই আসবে নদীর কাছে,
সেইদিন কি হবে নদীর?
নদীর ঢেউ, বানে ভাসিয়ে না যায় দুকুল,
লোকজন এত ভালো লিখলে আমার মতন অ-লেখকের আর লেখাই হবেনা সহসা,
আগে লেখা পড়া করে কিভাবে লিখতে হয় শিখেনি।
শুভ কামনা
সাবিনা ইয়াসমিন
একদিন কোকিল ফিরবে তার কুহুবনে
হঠাৎ-বসন্তে গাইবে চির-চেনা সুরে,
তন্দ্রাচ্ছন্ন নদীর আচ্ছন্নতা ভাঙবে সেই কুহুতানে,
অনন্ত সুখের পায়রা আরো শক্তে ধরে
ছুটবে স্রোতস্বিনী রুপে,
কূল ভাঙা ঢেউ আর প্লাবিত শ্রাবন সঙ্গী হবে তার ..
এতো ভালো মন্তব্যের উত্তরে কি দেয়া যায় তা-ই ভেবে পাচ্ছি না। কিভাবে লেখেন এমন মন্তব্য !?
অ-লেখক বা লেখক বলতে আসলে যে কি বোঝায় তাও বুঝলাম না। দেখি, লেখক হতে পারলে হয়তো কিছু বুঝতে পারবো। 🤔
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।
অলিভার
অবসান ঘটুক অপেক্ষার, কুহু কণ্ঠে কোকিল গেয়ে শোনাক হৃদয় উজারকারী গান।
শুভ কামনা 💐
সাবিনা ইয়াসমিন
কোকিলের ডাকে সবার মনেই সুখ বয়ে যাক, তার গানে উজার হোক সকলের মনপ্রাণ।
ভালো থাকুন, অশেষ শুভকামনা রইলো আপনার জন্যে।
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষারা অপেক্ষায় থাকুক নদী-কুলে,
আমরা বসে থাকি দু’কুল উপচে পড়া ঢেউয়ের তালে,
নদী-জলে পা-ভাসিয়ে;
কোকিল আসুক বা না-ই আসুক
আমরা ফেলছি-না দারুণ কোন নিঃশ্বাস
ডুবে যাওয়ার তুমুল গর্জন-বাতাসের নীলাকাশে!!
এত্ত পচা লেখেন কেন?
উজ্জ্বল-উত্তর দিতেই পারি না!!
সাবিনা ইয়াসমিন
নদী–জলে পা–ভাসিয়ে মন শীতল করার গান গাওয়া বাদ দিন। বাতাস খাওয়া শেষ করে ভালোমতো একটা মন্তব্য লিখুন মহারাজ। পঁচা লেখা লিখে হাত একদম কালো হয়ে গেছে, যাকে বলে কোকিল–কালো রঙ। যাই হাত ধুয়ে আসি, এই অবসরে লেখার কাজ তাড়াতাড়ি সেরে ফেলুন।
ছাইরাছ হেলাল
জ্বী, জ্বী, আপনি যখন বলেছেন তখন যাহোক কিছু একটা তো হিজিবিজি
আঁকতেই হবে!!
তাছাড়া আপনি পচা লেখা কেন লেখেন কে জানে!! ভাল ভাল লেখা লিখতে শুরু করুন।
প্রহেলিকা কত চমৎকার মন্তব্য করে ফেলেছে, আমি কিন্তু তেমুন কিছু পাচ্ছি না!!
সাবিনা ইয়াসমিন
এতো কথা বললে পারবেন কিভাবে ! মুখ বন্ধ করে ল্যাপটপে চোখ রেখে সুন্দর সুন্দর শব্দ দিয়ে লেখা শুরু করুন। এবার পারবেন বলেই মনে হচ্ছে।
আগুন রঙের শিমুল
এই নদী জল কোলাহল, অভিমান কালো কাজল …
কিশোরবেলার প্রিয় গানের মতো লেখা, সুন্দর।
সাবিনা ইয়াসমিন
ছন্দে ছন্দে সবই বলে দিলেন ! আমি আর কি বলবো।
ছায়া পড়ুক দিনে- রাতে
ছায়া হোক নিকট– দূরের অতীত,
ছন্দ যদি হারায় জীবন,
তবু অম্লান থাকুক কৈশোর মন,
কিশোরবেলার গীত…
ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইলো।
মাহমুদ আল মেহেদী
নদী যে বয়ে চলে নিশ্চুপ নিরবতায়। কল কল ছল ছল সুরে।
সাবিনা ইয়াসমিন
নদী বয়ে চলুক সুরে / বেসুরে,
ধন্যবাদ মেহেদী ভাই, ভালো থাকুন। শুভকামনা।
নিতাই বাবু
আমি এক নদী নিয়ে কাঁদছি। সেটি হলো প্রাচ্যের ডান্ডি নামে খ্যাত নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী। আগের মতন আর কখনো নদীর সেই স্বচ্ছ পানির দেখা পাবো না। তবু আশায় আছি।
আপনার লেখা পড়ে আমাদের শীতলক্ষ্যা নদীর কথা মনে পড়ে গেল। আপনার জন্য শুভকামনা সারাক্ষণ।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমাদের দেশের বেশির ভাগ নদীই এখন ক্রন্দনরত অবস্থায় আছে দাদা। শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ কোনো নদীতেই হাসি নেই। কিছু নদী কাঁদছে পানি শূন্যতায় আর কিছু কাঁদছে কালো দুর্ঘন্ধময় পরিস্থিতিতে। আমাদের যেনো কিছুই করার নেই। তবে হ্যা, দুরাশার আশা করতে পারি হয়তো কোনোদিন ঠিক হয়ে যাবে।
ভালো থাকবেন দাদা, আর নতুন লেখা দিবেন।
শুভকামনা রইলো।
শুন্য শুন্যালয়
নদীর মতোই মোহাবিষ্ট লেখা।
বুকের ভেতর একটা পায়রা বাকবাকুম করছে, এই ব্যাপারটা ভাবতেই অন্যরকম লাগছে।
আপনার মতো করে লিখতে হলে পড়াশোনা লাগবে আরো বুঝতে পারছি।
পাখি পাখিতে পাখিময় হয়ে যাচ্ছে ব্লগ। আমিও আবার নিয়ে আসবো নাকি! 🙂
সাবিনা ইয়াসমিন
” আমিও আবার নিয়ে আসবো নাকি ” মানে ?
অবশ্যই নিয়ে আসবেন। পাখি দেখতে কার না ভালো লাগবে !! পাখি আমার খুবই প্রিয় প্রাণী, তবে তাদের নিয়ে বেশি একটা লিখতে পারি না। আপনার আগের পোস্ট গুলোয় অনেক সুন্দর সুন্দর পাখি দেখেছি। প্রজাপতির ছবিও অনেক ছিলো একটিতে। আপনার পাখি পোস্ট দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ, শুভকামনা, ভালোবাসা অবিরত ❤❤❤❤
শুন্য শুন্যালয়
ওমা সেতো প্রাগৈতিহাসিক যুগের ঘটনা। আপনি এই এতোকাল এরকম চুরি করে করে আমাদের লেখা পড়েছেন? লেখেন নি কেন বলুন তো? সোনেলাকে আপনি বছর দুই তিন পিছিয়ে দিয়েছেন, ভেবে দেখুন অই সবের দিনগুলো সাবিনা আপুবিহীন পড়ে রইলো। :/
পাখি পোস্ট দেব দেব করছি, কিন্তু শিরোনামে আমি সবসময় স্ট্রাগল করি। দেখি লেখা এলে দেব, না এলে কারোটা চুরি করবো।
আপনার পরের লেখার অপেক্ষায় রয়েছি।
সাবিনা ইয়াসমিন
চুরি করে পড়িনি তো, লেখাগুলো চোখের সামনে নিজেই চলে আসতো আর চোখ পড়ে ফেলতো। সোনেলার খুব প্রিয় একজন মানুষ তার লেখাগুলো পড়ার আমন্ত্রন জানিয়ে ছিলেন ২০১৫ তে। তখন থেকেই পাঠক হয়েছিলাম। আবার সেই মানুষটিই যখন লিখতে উৎসাহ যোগালো , শুরু করে দিলাম। চলছে এভাবেই …
হা,হা,হা আগে পাখিদের উড়ানো দেখি, তারপর লিখবো কিছু-একটা। 🙂
প্রহেলিকা
সুন্দর!
কেন সুন্দর তা পরে বলছি!
সাবিনা ইয়াসমিন
কেন সুন্দর পড়ছি,,,
প্রহেলিকা
যখন পড়তে শুরু করলাম একটু সাদামাটাই মনে হয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে যত নিচে নামছিলাম লেখা তার স্বমহিমায় ভাস্বর হয়ে উঠেছে মনে হলো! শেষ করতেই অগত্যায় উচ্চারিত হলো “বাহ”!
লেখার আবহ, শব্দ চয়ন, বিন্যাস দারুন লেগেছে। দক্ষ হাতের লেখা যেমন। কিছু কিছু শব্দবন্ধ আকর্ষণের মাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে। যেমন নদীর হৃৎপিণ্ড! যে কেউ যখন শব্দটা পড়বে দৃশ্যকল্প নিজ থেকেই ভেসে উঠবে। আর এটা লেখকের একটা বড় গুণ!
শব্দের বাহুল্যতা নেই অথচ যা বলতে চেয়েছেন তার পূর্ণপ্রকাশে সফল হয়েছেন।
সব মিলিয়েই বলা সুন্দর! শুভকামনা!
সাবিনা ইয়াসমিন
মন্তব্যের শুরুটা পড়ে বুঝতে পারছিলাম না লেখাটা কেন সুন্দর লেগেছে, শেষটাতে এসে দেখলাম নদীর হৃৎপিণ্ডটা প্রহেলিকার মনে আটকে গেছে।
বাহ ! এই হলো প্রহেলিকা, যে ঠিক ঠিক বুঝে যায় লেখকের অপ্রকাশিত রাখা মনোভাব কি দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। অভিনন্দন এবং অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য দেয়ার জন্যে। ভালো থাকবেন, শুভকামনা– ভালোবাসা ❤❤
মায়াবতী
সে দিন স্কুলের কামিনী ফুলের গাছ টার দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছিলো কোনো কোকিল বাসা করেছে কিংবা কাকের বাসায় ডিম টিম পেড়ে ছানা পোনা দিয়ে গেছে। মাঝে মাঝে ক্লাসে কোকিলের কু কু কু হু… কানে আসে। যখন ই কানে এই ডাক আসে তখন ই মনে হয় আশে পাশে হয়তো আছেন কু হু রাজ… কামিনীর খুব কাছে গিয়ে দৃষ্টির সীমা রেখা পাড় করে ও কু হু রাজের দেখা পেলাম না জানো, অস্তিত্বের কোথায় হু হু হা হা বেজে উঠলো … তাহলে কি বসন্ত ইতি টেনে গেলো! আবার ও অপেক্ষা শুরু… নদীর মত তন্দ্রাচ্ছন্নতায় অপেক্ষার প্রহর গুলো কেটে কেটে যায় শুধু….
সাবিনা , কবিতা যে লিখতে পারে সে মানুষ কে বশ ও করতে পারে জানো তো? তুমি কবিতা দিয়ে আমাদের নিয়মিত বশীকরণ করে যাচ্ছো….
সাবিনা ইয়াসমিন
কুহুরাজরা হয়তো আড়ালে থাকতেই পছন্দ করেন, অথবা আড়ালে গিয়ে ডাকলে জোরে ডাকা যায় ভেবেই লুকিয়ে থাকে। থাকুক সে তার মতো করে। কানেরতো আর চোখ নেই, ওটা শুনতে পারলেই খুশি। দেখা না দেখায় কিছুই আসে-যায়না।
আমি এখনো কোনো কবিতা লিখিনি জাদুমনি, যা লিখেছি সব অ-কবিতা। বশ করে নয় ভালোবাসা দিয়েই আপনার ভালোবাসা জয় করতে চাই। অনেক ভালো থাকবেন, শুভ কামনা ভালোবাসা ❤❤
ইঞ্জা
আপু, কবিতা আমি সত্যিই কম বুঝি কিন্তু লেখাটি বেশ লাগলো। 😍
সাবিনা ইয়াসমিন
এটা লেখাই ছিলো ভাইজান। কবিতা লিখতে হলে কবি হতে হয়, আমি অ- কবি।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।
ইঞ্জা
😍 😆
বন্যা লিপি
জানো, আমাদের একটা নদী আছে, কিশোরী কাল থেকেই বড় আনা গোনা ছিলো সে নদীর ধারে। কারনে অকারনে ছুটে যেতাম সুগন্ধা পাড়ে।একটু একটু করে বড় হতে হতে সময়ের হাত ধরে রুপ বদলে ভালোবাসা গাঢ়ো হলো নদীর হৃদপিন্ডটা আঁকড়ে ধরে। এক সময়ে এক একটা জাহাজ আসতো তেলের জাহাজ
ডিপো ভর্তি হতো। সময়ের আঘাতে ভেঙেছে এক কুল তো গড়েছে আরেক কুল।
তোমার নদী ময়তায় আরো কতকিছু মনে পড়ে গেলো সাবিনা!!! তুমি আবার ভয় পাও জবাব পোস্টের? আমার দ্বারা বরং কখনো হবেনা।
কি ভালো লিখলে গো!ভালোবাসা তোমাকে ♥♥♥♥♥
সাবিনা ইয়াসমিন
তোমাদের একটা নদী আছে, সুগন্ধা নাম। আর কতো লিখবে বলোতো ? সুগন্ধা পাড়ে না নিয়ে শান্তি দিবে না মনে হচ্ছে। এটার প্রেমের টানেই এতো ভালো ভালো লেখা গুলো লিখতে পারো তাই না ? যাবো একদিন, তোমাদের সুগন্ধা পাড়ে। সেদিন যদি তোমার মতো লিখতে না পারি তাহলে কিন্তু আড়ি নিবো তোমার কাছ থেকে। তোমার সুগন্ধাকে আগে থেকেই বলে রেখো।
ভালোবাসা বন্যা , ভালো থেকো ❤❤
মেহেরী তাজ
এতো দেখি প্রাণিগবেষনা কেন্দ্রের একটা জার্নাল এর একটা পৃষ্টা। এতো কাক পক্ষি …
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহাহা, মন্তব্য পড়ে কেবল হাসি পাচ্ছে। কাক পক্ষি বেশি হয়ে গেছে আসলেই। কুমিরও ছিলো। ভালোইতো হলো এক পোষ্টে কতকিছু চলে এলো তাই না ?
দেরিতে উত্তর দেয়ার জন্যে দুঃখিত তাজ। ভালো থাকুন। শুভ কামনা ভালোবাসা অবিরত থাকবে ❤❤
রিতু জাহান
এখানে এক ছোট্ট নদী আছে জানো?
আমি রিক্সা নিয়ে ওখানে চলে যাই। বসে থাকি চুপচাপ।
ভাঙ্গা ব্রিজটা জানে কতোটা আঘাত দিয়েছে সে নদীকে।
কালের সাক্ষী তার পাশে সেই সব গাছ গাছালি।
শিকড় তার কতোটা রস টেনেছে তা শুধু সে সব গাছই জানে।
রূপঙ্করর একটা গান আছে শুনে দেখো।
‘কেনো যাও জলের কাছে’
একটা মোহে আটকে রাখে এ গানটা আমাকে।
তোমার এ কবিতার শব্দমালার সকল উত্তর এ গানে আছে। আজই শুনবে।
ভালবাসা নিও।
সাবিনা ইয়াসমিন
শুনবো। তুমি বলেছো না শুনেতো পারবো না। দারুন লেখা দিয়ে মন্তব্য দিলে নীলকুরিঞ্জী।
খুব ভালো থেকো, শুভকামনা+ভালোবাসা ❤❤
আসিফ ইকবাল
এই কবিতাটি কিন্তু দারুণ লিখেছেন সাবিনা। সহজ ভাষায় প্রকাশ করেছেন কিছু জটিল অনুভূতি।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ আসিফ, ভালো থাকবেন। শুভকামনা 🌹🌹