কবিতার কথা ভেবে হঠাৎ জেগে উঠি, রাতভর জেগেও থাকি,
বাঁচতে ইচ্ছে করে হাজার বছর, কবিতার গা-ছুঁয়ে,
স্পর্শ-সুখ না হোক, অনন্ত-অমর জীবন চোখসুখে;
এলিয়ে পড়া, ঝুঁকে যাওয়া বসন্তে, বর্ষা-হেমন্তে, শীতের শীতে,
বয়ে যাওয়া জলে পা-ভিজিয়ে, প্রশান্তির বুকে ফুঁ দিতে-দিতে
একটু একটু করে জমা-হওয়া জল
আলগোছে তুলে নেবো কবিতার প্লেটে;
এর-থেকে আগুন-ডাইনিও ঢের ভাল
ফুঁপিয়ে কাঁদায়, কাঁদে-না
পোড়ায়, পোড়ে-না
দগ্ধের বিস্তার মৃত-আগুনে;
২৭টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
হা হা কবিতা আসলেই এমন। আগুন-ডাইনিও যে ভালো তার চে সেটা ফকফকা সকালের মতো সত্য। তা হঠাৎ করে এই স্বীকারোক্তির পেছনে কারণ কি তাই ভাবছি। এইতো কবি লিখেই যাচ্ছেন কবিতা। কবিদের জন্য তা কোনো ব্যাপার না।
ছাইরাছ হেলাল
কবিরা কবিতা লেখে, লেখাই উচিৎ, অবশ্য এই আকামা কম্মটি ছাড়া আর কী-ই-বা পারে,
ব্যাপার না, কবিরা এই কাম-আকাম করুক, করতেই থাকুক,
তয় এইয়া কোন কবিতা না, ল্যাখক কোন কবি-ও না!!
ডাইনিরাই ডাইনি, তারা খুপ ভাল, কত গল্প যে জমে আছে তাদের নিয়ে,
আপনার কি আগুন-ডাইনি আছে!! নাকি দেখেছেন কখনও, আন্তাজি-মান্তাজি কিচ্ছু বলবেন না।
প্রহেলিকা
না দেখিনি, দেখতেও চাই না। আপনার কাছেই না শুনি খালি ডাইনিদের গল্প। আমি কোত্থেকে দেখব। আপনি যা বলেন তাই বিশ্বাস করি।
এইয়াই কবিতা হৈছে, ল্যাহক হইতে পারিনি তাই বলে একটু আধটু পাঠকের খেতাবও দিবেন না? তল্লাটের মানুষ ভালো না দেখছি।
ছাইরাছ হেলাল
তর্কে মিলায় বস্তু
বিশ্বাসে বহুদূর!!
অতএব খুব সাবধান, বেজায়গায় বিশ্বাস ফেললে হবে না,
ল্যাখালেখি কোন ব্যাপার না, পাঠক হওয়া ব্যাপার, আপনাকেই বেছে নিতে হবে, মহার্ঘটি!!
ডাইনিরা খুব ভাল, যদিও হালকা জীবননাশের হুমকি বলবধ রাখে,
নীলাঞ্জনা নীলা
এই যে মানুষের মতো বেঁচে থাকা
ক’ এক মুহূর্তের কারসাজিতে মৃত্যুর সাথে সখ্যতা করে জীবনকে ভালোবেসে
ভুল করে ভালোবাসাকে ভালোবাসা শেখানোর চাতুর্যে আগুণ নিয়ে খেলা করে
শুদ্ধ করা দুর্বিনীত তারুণ্যকে
হে অর্বাচীন মানুষ জন্ম তোমাকে ভালোবেসে সাজিয়ে নিয়ে লিখতে গিয়ে দেখি,
অজস্র নদীর জল শুকিয়ে গেছে, পাতা ঝরা থেকে নতুন পাতাদের জন্ম হয়েছে,
এবং ঋতুদের এলোমেলো পাগলামো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে, এদিক-সেদিক, এখানে-ওখানে;
হৃদয় মরে গিয়ে যান্ত্রিক শ্বাসের উপর আমি নির্ভরতা রাখি
তবুও বেঁচে থাকার জন্য উষ্ণতার সান্নিধ্য খুঁজে চলি কবিতা থেকে গল্পে
মস্তিষ্কের নিউরণ থেকে চোখের ভেতর জমে থাকা জলে। ——–আপনার কবিতার কাছে আমি ঋণী। কতো কি যে লিখিয়ে ফেলে! কুবিরাজ ভাই উপমাসমৃদ্ধ কবিতা আমার খুব প্রিয়। কয়েকটা শব্দ তো সংগ্রহের খাতায় তুলে ফেলেছি। কখনো ব্যবহৃত হতে দেখলে দোষ দেবেন না যেনো! ওক্কে? 😀
ছাইরাছ হেলাল
ওরে বাব্বা!! মাইরালাইছে আম্রে!!
সত্য কইতাছি, ইমো এবার দিমুই,
এ মন্তব্যের উত্তর দেতারমুনা, প্লিগ লাগে ক্ষ্যামা করে দিন।
নীলাঞ্জনা নীলা
খালি বিদ্রুপ করেন ক্যান? ;(
কতো কষ্ট কইর্যা লিখছি, জানেন? আর আপ্নে খালি মজা লন। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
ধ্যাত!! ইহাকে বিদ্রুপ কয় না। ইহা অতি আনন্দ প্রকাশ মাত্র, বুঝতে হপে!!
মজাতো একটু নিতেই হয়,
আচ্ছা আচ্ছা, উত্তর আপনি পাবেন-ই।
(এট্টু টাইম লাগবে)
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম মজা তো নিবেনই। কুনু ব্যাপার না। বাঁচমু অনেকদিন, ততোদিনের জন্য আমার টাইম দিলাম। উক্কে? 😀
ছাইরাছ হেলাল
বাঁচতে ত হবেই, কত্ত-কী বাকী!!
ছাইরাছ হেলাল
এই যে বাঁচতে বাঁচতে আবার জেগে ওঠা
ভালোবেসে ভালবাসতে পারা
জলজ-বসন্তে গা-এলিয়ে দিয়ে ভিজে যাওয়া
কেউ-কেউ পারে, সবাই কিন্তু না;
শুকিয়ে যাওয়া জল-স্রোতে পদ্মপাতার হাতছানি
ছল-ছল জল-জল জল-স্রোতের পদধ্বনি,
উষ্ণতার উষ্ণতায় ফিরে ফিরে এই-যে আসি
কবিতার কবিতায় বাঁধাহীন জলরাশি
ভালবাসে ভালোবাসি।
———————————————————-
দেখুন এবার হইল কী না!!
নীলাঞ্জনা নীলা
ওরে বাবা! আমি এবারে চুপ! কিচ্ছু কমুনা আর।
ছাইরাছ হেলাল
দাঁত কৈ!!
মৌনতা রিতু
আবারো ডাইনি!
তবে আমি জেগে থাকি রাত্রির যে ক্ষণে, সে ক্ষণে কেউ আসে না। মনের বনে কিছু শব্দের আনাগোনা হলেও তা সে মনথেকে সরে হাতে খেলে না। বলে,” তোমার মনেই থাকি।” ভাবি, কি লাভ এই জেগে থেকে, তাই চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ি, যদিও ঘুম বলে ডেকোনা, আসবও না বসবও না তোমার চোখে।
কিন্তু তবু রাতের অন্ধকারে একটি ডাইনিও দেখলাম না। ;(
ছাইরাছ হেলাল
শুধু মন-মাঝে রাখলে হবে না,
আর ঘুমের সাথে-তো আপনার হয়েই গেছে, জেগে জেগে জাগুন আর লিখুন।
‘ডায়না’ ডাইনির পুংলিঙ্গ যদি থাকে তা আসতে পারে।
খুব সাবধান কিন্তু!!
মেহেরী তাজ
ভাইয়া সারাদিন পা ভিজিয়ে বসে থাকেন? জ্বর বাধাবেন তো দেখছি। 😉
কবিতার স্বপ্ন দেখে (ভয়ে) আমারও মাঝে মাঝে ঘুম ভেঙ্গেই যায় তারপর শুরু হয় রাত জাগা।
আগুন ডাইনীই কেনো? আগুল প্রেত হইলো না কেনো? নাকি আগুন সব সময় ডাইনীই হয়?? ;?
ছাইরাছ হেলাল
এমন জ্বর-তো সবার-ই কাম্য, হয়-না-তো!!
গুড, রাতের সাথে ভাব থাকতেই হবে, সে ভাবের সাথে কিচু লেখা-ভাব, সোনায় সোহাগা যেমন!!
আগুন মানেই ডাইনি নয়, এ আগুন উষ্ণতার-ও হতে পারে,
প্রেতের কথা না বলি, তবে পিচ্চি ভূত কিন্তু আমাদের আছে!!
মোঃ মজিবর রহমান
আগুন সেতো জ্বলাবে জ্বল্বেনা।
কামড়াবে , কামড় খাবেনা।
হৃদয় চুরমার করবে, কিন্তু সে মস্কাবেনা।
কিন্তু আগুন পরশে হতে পারে জিবনের স্থিরতা, হতে পারে স্বম্বলহীনের আশা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনিও দেখছি আগুন-প্রেমি!!
মোঃ মজিবর রহমান
আগুনের পরশে জীবন ধন্য হবে, আগুনে পুড়ে মানুষ খাটী সোনা হবে আশা রাখি।
ছাইরাছ হেলাল
খাঁটি সোনাই আমাদের কাম্য।
নীহারিকা
আমি ছোটত্তে কবিতারে ডরাই। তাই আর কিছু কইলাম না।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও খালি ছোটত্তে না বুড়া-কালেও কবিতা ডরাই!! খুুউব ডরাই!!
আর কিছু কইলাম-না কিন্তু!
লীলাবতী
কবিতার চেয়ে আগুন ডাইনীও ভালো? তাহলে ভালটা নিয়েই পরের কবিতা লেখুন 🙂
ছাইরাছ হেলাল
লক্ষ্য রাখুন, দেখতে পাবেন।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
বাঁচতে ইচ্ছে করে হাজার বছর, কবিতার গা-ছুঁয়ে,
কবিতা প্রেমিক কবি। (y) -{@
ছাইরাছ হেলাল
সবার বাঁচার অবলম্বন এক হয় না।
যে যেমন চায়!!
ধন্যবাদ।