আগুন চোখে অশ্রু বেমানান

সুরাইয়া পারভীন ৭ অক্টোবর ২০২০, বুধবার, ০৩:৩৫:০৬অপরাহ্ন চিঠি ২৪ মন্তব্য

প্রিয় অনির্বাণ,

তুমিই প্রথম শেখালে কিভাবে সীমাহীন যন্ত্রণা সাথে নিয়ে প্রিয়জনের থেকে দূরে সরে থাকতে হয়! তুমিই শেখালে কিভাবে ঝংকার তোলা হাসির অন্তরালে অথবা ওষ্ঠে চওড়া হাসি টেনে প্রতিনিয়ত ভালো থাকার অভিনয় করতে হয়! তুমি, হ্যাঁ তুমিই প্রথম শেখালে কিভাবে দু'চোখে অশ্রুর ফোয়ারার বদলে সেখানে আগ্নেয় গিরির জলন্ত লাভার উত্তপ্ত লেলিহান শিখা জ্বালাতে হয়! অকারণ রাত জাগা তোমার একদম পছন্দ ছিল না বলে সময় নির্ধারণ করে দিয়ে একটা ছকে বেঁধে দিলে আমার জীবন। গান শুনি না জেনে অবাক হয়ে বলেছিলে কোন যুগে আছো পড়ে? তারপর তোমার কিছু প্রিয় গান বাছাই করে দিলে আমাকে শুনতে।

 

জানো অনির্বাণ, আজ এই দু'চোখে অশ্রু ঝরার বদলে আগুন ঝরে। ঝংকার তোলা অট্টহাসিতে ত্রাসে কেঁপে উঠে কেউ কেউ। এখন আর রাত জাগি না মিছেমিছে। তোমার দেওয়া নির্ধারিত নিয়ম মেনেই জীবন চলছে। গান শুনি খুব মন দিয়ে। কোনো গান ভালো লাগলে তা তিরিশ বারও শুনি বসে বসে। তোমার প্রিয় গানগুলোই শুনি বেশি, শুধু শুনিই না গানের কথা গুলো বোঝার চেষ্টাও করি খুব করে।

 

অনির্বাণ তুমি জেনে আশ্চর্য হবে!

এখন আর কারো জন্য মন দোলে না অকারণ,

প্রজাপতিএঁকে রঙ মাখাই না ইচ্ছে মতন,

ঘুটঘুটে অন্ধকারে জোনাক জ্বালাই না যখন তখন।

বৃষ্টিস্নাত দিন রাতে অশ্রুস্নাত করি না আঁখি পল্লব!

যে চোখে আগুন মানায় সে চোখে কান্না বড্ড বেমানান তোমারই ভাষ্য মতে।

 

জানো অনির্বাণ আজ কী মনে হচ্ছে? মনে হচ্ছে দীক্ষাগুরু হিসাবে তুমি পারফেক্ট। তোমার দেওয়া দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে, দুঃখ কষ্ট হতাশা পাওয়া না পাওয়ার যন্ত্রণা গিয়েছি ভুলে। প্রিয়জন কাছে কিংবা দূরে তাই নিয়ে ভেবে ভেবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা যায় না আর হারিয়ে।

ইতি,

প্রিয়দর্শিনী আকাশনীলা

ছবি-নেট

0 Shares

২৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ