আকুতি

প্রদীপ চক্রবর্তী ২ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার, ০৫:১৬:৫৫অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১৩ মন্তব্য

হয়তো এ শহরে খানিকক্ষণ পর বৃষ্টি নামবে!
মন্দির,মসজিদ থেকে ধ্বনিত হবে পবিত্রতার বাণী।
ঘরবন্ধি মানুষ কিছুটা অনুপ্রাণিত হবে।
বহুপ্রতীক্ষার পর শহরের গায়ে আস্তরণ পড়া ধূলিকণা মিশে যাবে বৃষ্টিজলের মর্মপলব্ধিতে।
চৈত্রদগ্ধ আর বসন্তের যৌবনে দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যুশোকে কাতর গোটা পৃথিবীর মানুষ।
যে মৃত্যুপথ সম্মুখীন হয়ে আছে তার পূর্বা সম্পর্কিত কোন তথ্য ছিল না। কেবল মৃত্যুর মিছিল আর আকণ্ঠ উন্মাদনায় ভরপুর এ বিশ্বজগত।
নয় যুদ্ধ, নয় সংঘাত সে তো কাল্পনিক এক ভয়ানক মৃত্যুের সংক্রামক।
ভৃত্যের ভূমিকায় নেই বায়স্কোপ নেই ডাকঘর সবই নিস্তব্ধ চৈত্রের এ খাঁ খাঁ ভরদুপুরে।
নেই প্রিয়জন,নেই চিঠি আছে শূন্যবুকে একাকীত্বের দীর্ঘশ্বাস। শুধু মৃত্যু আর মৃত্যুর সম্ভাষণে আমার বিশ্বজগত আজ কাঁদছে।
কত প্রেম, কত অজানা স্বপ্নের আড়ালে কাঁদে বিভাবরী। একে একে আজ অস্তাচলের অবসানে।
আজ রবীন্দ্র কন্ঠে ধ্বনিত হয়না ওগো আজ যাসনে তোরা ঘরের বাইরে।
সমস্ত পৃথিবীতে শুশ্রূষা নেই। নেই সম্ভাষণ।
তবুও মানুষের মস্তক নত মন্দির,মসজিদ জুড়ে।
কবে আবার মৃত্যুশোক থেকে আশার প্রদীপ জ্বলে উঠবে?
সকলি ধ্বংসের পথে,সকলি আজ মৃত্যুর পথে।
মনের আকাশে আজ জমেছে কালো মেঘের ছায়া।
আস্তিন থেকে ভূগলোকের প্রতিটি মানুষ বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখুক।
গোলাপের ন্যায় প্রস্ফুটিত হোক প্রতিটি মানুষের জীবন। মানুষের এ মৃত্যুশোক কেটে উঠার শক্তি দাও হে ঈশ্বর। মানুষের এ আকুতি, মানুষের এ প্রার্থণাকে গ্রহণ করো তুমি।
হে ঈশ্বর মানুষকে বেঁচে থাকার প্রতিষেধক দাও।
দাও বেঁচে থাকার মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র।

0 Shares

১৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ