
কঠিন ছদ্মবেশ ধরে অকাল-ডাইনির সাথে
প্রাথমিক আলাপ সেরে নেব, খুব গোপনে;
অপেক্ষাকে দাঁড় করিয়ে রেখে মুখ-টেপা
আলগা হাসি হাসি ভাব নিয়ে হাসি ঝুলিয়ে
বেয়াদব বিছনাবাদী কলমকে আচ্ছা করে কিলিয়ে
নিয়ে আসতে হবে লাইনে!!
ভুতের গলিতে ফেলে কম্বল প্যারেডের লেফট রাইট
ভাঙ্গাচোরা আলপথে ভুলিয়ে ভালিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে
কড়াৎ করে ঘাড় মটকানো!! খুব-খুব কঠিন এ সময়ে,
পাহারাদার ঘোড়ামুখো উড়নচণ্ডী ডাইনি, বিধবা হৃদয়ের
হাসি নিয়ে ফার্স্ট এ্যাটাক করে কী হয় এখন?
শ্মশানে বসে মুর্দাদের সাথে ফেলে-ফেলে হেসে-হেসে
আর কত খাবে ঘিলু চিবিয়ে!!
কাটা তারে ঝুলে আছে কত শত নজরবন্দির ছবি;
ফুঁকে দেয়া হুইসেল আর ফিরিয়ে আনা যায় না,
ফেরে না।
ছবি নেটের।
২২টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ডাইনি তো বহুত জ্বালাচ্ছে তয় বেয়াদব, বিছনাবাদি কলমকে সাইজে আনতেই হইবো। যত যাই হোক লেখা চলবেই। ‘বিছনাবাদি’ বুঝিনি। আমার এলাকায় ফেলবেন খাইছে রে? আমিও কিন্তু ভুতের গলির বাসিন্দা। কঠিন বাস্তবতা কবিতায় এসেছে। শুভ কামনা রইলো অহর্নিশি
ছাইরাছ হেলাল
রাত গভীর হলেই ডাইনি কালম নিয়ে বসে, এটাই বিছনাবাদী!!
অবশ্য ডাইনিরা কিন্তু একদম খারাপ না!
ভুতের গলির বাসিন্দারা একটু সাবধানে থাকতেই হবে,
প্রথমতায় অবশ্যই ধন্যবাদ।
দিপালী
ডাইনি নিয়ে লিখা কবিতা খানা দারুন লাগল। শুভকামনা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার জন্য ও শুভ কামনা, পড়ার জন্য।
ধন্যবাদ।
খাদিজাতুল কুবরা
বলতেই হচ্ছে এই স্মৃতি ডাইনি বড়ই বেরহম। যে করেই হোক তাকে বশে রেখে কলম চালাতে হবে।
চালাতে হবে জীবনের ঘানি।
দারুণ শেষ লাইনটা ফুঁকে দেওয়া হুঁইসেল ফেরানো যায়না।
খুব সুন্দর কবিতা।
ছাইরাছ হেলাল
এই বেরহমকে অবশ্যই বশে রাখতে হবে শক্ত হাতে। জীবনের পথে পথে।
মন দিয়ে পড়ার জন্য (যা আপনি সব সময় ই করেন) অনেক ধন্যবাদ।
রোকসানা খন্দকার রুকু
কাটা তারে ঝুলে আছে কত শত নজরবন্দির ছবি;
ফুঁকে দেয়া হুইসেল আর ফিরিয়ে আনা যায় না,
ফেরে না।**** ডাইনি রুপক কবিতা ভালো লাগলো।
শুভ কামনা রইলো ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
নিয়মিত পড়ার জন্য অবশ্যই অনেক ধন্যবাদ।
শামীম চৌধুরী
ডাইনির মতন আজকাল অনেকেই ছদ্মবেশ ধরে আশে পাশের নিরীহ মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। ছদ্মবেশ শব্দটা শুনলেই গা শিউরে উঠে
মনোমুগ্ধকর কবিতা।
ছাইরাছ হেলাল
ডাইনির মত বা না, ছদ্মবেশ কিন্তু আমরা নেই, নিতেই হয়। জীবনে একবার ই সুন্দরবন যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল
নবিশ হিশেবে, সবার সাথে আমাকেও বিশেষ রকম ছদ্মবেশ নিতে হয়ে ছিল, বনাঞ্চলে চলাচলের জন্য।
আপনি সব সময় ই পড়েন। ধন্যবাদ, ভাই।
তৌহিদ
এ ডাইনিতো বড় জ্বালাতন করছে দেখছি! এমন ডাইনির ধারেকাছেও যেতে চাই না বাবা!
ভালো থাকুন ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
ভেরি গুড, এদের এড়িয়ে যেতেই হবে, যদি পারা যায়।
সাবধানে থাকুন। ধন্যবাদ।
সুপায়ন বড়ুয়া
কঠিন ছদ্মবেশ ধরে অকাল-ডাইনির সাথে
প্রাথমিক আলাপ সেরে নেব, খুব গোপনে;
ডাইনি র জ্বালায় আর তো বাঁচি না
মহারাজের কবিতায় ঘুম ভাঙে স্বপনে।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
জ্বালানোর আর কী দেখলেন!!
ভাগ্যিস আপনাকে দাগা দিচ্ছে না।
সাবধানে থাকবেন, ভাই।
রেহানা বীথি
ডাইনি বলে কথা, ঘিলু টিলু কিছুই রাখবে না। কাজ নেই গোপন আলাপে, ছদ্মবেশ ধরা পড়ে যায় কখন কে জানে!! দু’লাইন যা লিখছি, তাও আবার হাপিস না হয়ে যায়!
শেষ লাইন আলাদা মাত্রা এনে দিল কবিতায়। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার লেখা হাপিস করার সাহস হবে বলে মনে হয় না,
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
ডাইনীর সুখের পীড়িতির আলাপ। মুখ ফসকে কিছু বললেই শেষ।
থাক। পিছন ফিরে সানগ্লাস পরে ঘুরি
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন কঠিন পীরিতি ডাইনিদের সাথেই হয়,
ওরা জানে মেরে দেবে না, এটি নিশ্চিত।
টিনের চশমা লাগান।
ভাল থাকবেন।
সুরাইয়া পারভীন
এ ডাইনিকে বশে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেলেও হতচ্ছাড়া ডাইনির ঘাড় মটকে ঠিকই বের করে নিয়ে আসছেন একটার পর একটা কবিতা
ছাইরাছ হেলাল
ডাইনিরা আমাদের/আমার পাশে পাশেই থাকে!! কিছু মটকা মটকি নিয়েই।
সামনে আরও কত কী দেখবেন কে জানে!!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সাবিনা ইয়াসমিন
ফুঁকে দেয়া হুইসেল কে কবে ফেরত নিতে পেরেছে!
গেলেন হেমন্তের খোঁজে আর আটকে গেলেন ডাইনীর বৈঠকখানায়! আবার একখানা ছবিও তুলে এনেছেন! এটা ঠিক নয় মহারাজ। বিছানাপত্র সব উল্টেপাল্টে আচ্ছামতো ঝাড়ুন, আর কী কী আছে বের করুন। ডাইনীদের সাথে যেই পিরীতে জড়িয়েছেন তাতো এখন আলগা পিরীতি মনে হচ্ছে না। কবে যে এটা ছুটবে আপনিই জানেন। 🙄
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন, ডাইনি স্খ্যতা আমার খুব পুরোন, শুধু হেমন্ত না, শীত বসন্তেও এদের টের পাওয়া যায়/যাবে।
না একটুও আলগা/আগলা পীড়িত না, খুব জেনুইন। টক্কর লেগে গেলেই ট্যা ট্যা শব্দ শোনে সবাই।
অন্য সময় সব ঠিক। আপনি দৈত্যদের থেকে সাবধানে থাকবেন!!
ধন্যবাদ আপনাকে।