আকস্মিক প্রশ্নে অপ্রস্তুত

সুরাইয়া পারভীন ২২ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ০৯:৩৯:৪১অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২০ মন্তব্য

 

রোজ বিকেলে নিয়ম করে বাইরে বের হয়ে জনমানব মুখরিত মাঠ ঘাট রাস্তা উপেক্ষা করে প্রকৃতির নির্মল বাতাসের স্পর্শে অন্যরকম এক ভালোলাগায় একা ভেসে যেতেই মূলত হাঁটতে যাওয়া হয়। গুনে গুনে ষাট মিনিট অর্থাৎ একটা ঘন্টা প্রকৃতির সান্নিধ্যে মিলে মিশে একাকার হয়ে যাই। হাঁটতে হাঁটতে কতোকিছুই চোখে পড়ে। রোজ বের হলেও আমার ড্রেস থাকে আলাদা। কখনো বোরখা কখনো সালোয়ার-কামিজ আবার কখন গাউন। মুখে তো মাস্ক থাকেই। তাই বিশেষ ভাবে লক্ষ্য না করলে বোঝা মুস্কিল আমিও রোজ বের হয়।

বলছিলাম না কতো কিছু চোখে পড়ে! তার মধ্যে একটা ঘটনা আমার কাছে বেশ মজার লাগে। একটা ছেলে মানুষ বয়সে আমার চেয়ে হয়তো একটু বড়ই হবে। তো উনাকে রোজ দেখি খাবার খেতে খেতে হাঁটতে। কখনো ছোলা ভাজা কখন মটরকালাই কখনো বারোমিশালি। একদম ছোট বাচ্চাদের মতো। সত্যিই বলছি উনাকে দেখলে আমার বেশ হাসি পায়। প্রত্যেকদিন একই রকমভাবে হাঁটেন তিনি। আজ উনাকে আমার চোখে পড়েনি। আমি বেশ অন্যমনস্ক হয়েই হাঁটছিলাম। হঠাৎ একটা কন্ঠস্বর শুনে চমকে উঠলাম তারপর ঘুরে দাঁড়ালাম। এমা এতো সেই ছেলেটি। আজ অবশ্য হাতে কিছু নেই। প্রস্তুত ছিলাম না তবুও আকস্মিক এমন প্রশ্নে রীতিমতো ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। প্রশ্ন করলেন

-আপু আপনার কী সুগার আছে?
~নাহ্
-তাইলে কিসের জন্য রোজ হাঁটেন?
আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই নিজেই বললেন…
-এমনিই হাঁটেন তাই না! এই হাঁটতে আসা মানুষ গুলো দেখেছেন তাদের অধিকাংশই এমনি এমনি হাঁটতে আসেন আপনার মতো।
আমি কি বলবো ভেবে না পেয়েই হুট করে বলে দিলাম
~ফিট থাকতে হবে তো
পাশাপাশি হাঁটছি। অনুভব করলাম উনি হাসলেন। তারপর দ্রুত পা চালিয়ে সামনে চলে গেলেন এবং আর একজনকে প্রশ্ন করলেন আন্টি আপনার হাঁটা শেষ?

0 Shares

২০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ