হামিদ আংকেল বাজার থেকে বিশাল আকারের এক গরু কিনে রাস্তা দিয়ে আসছেন। আমাকে দেখেই ইশারা করে বললেন কত হতে পারে বলো তো? আমি বিব্রত হয়ে তাকিয়ে অাছি! আমি বলার আগেই উনি বলে উঠলেন পুরো ৭০ হাজার টাকা।

আমি হেসে দিয়ে বললাম আংকেল আপনার মা জানি কোন বৃদ্ধশ্রমে থাকেন? মুহূর্তে উনার মুখটা কালো হয়ে গেল!

রফিক মামা গরু কেনার জন্য প্লেনিং করছেন! আমার কাছে এসে জানতে চাইলেন আমরা কুরবানি দিব কি না? আমি মুচকি হেসে বললাম নাহ মামা এবার কুরবানি দিব নাহ! অনেক সমস্যায় অাছি। উনি হুহু করে হেসে দিয়ে বলেন সারা জীবনই তোমাদের সমস্যা থাকবে। অথচ গতকিছুদিন আগেও সুদের টাকা জন্য একলোক'কে এলোপাতারি মেরেছিলেন!

লিপি আন্টির বাসায় যেতেই উনি হেসে দিয়ে বললেন ঈদের দিন কিন্তুু আমাদের বাসায় আসতে হবে। তোমার আংকেল এক লাখ টাকা দিয়ে গরু কিনছে! এসব কি একা একা খাওয়া যায়? অথচ উনার স্বামী ঘুষ নেয়ার অপরাধে এক মাস আগেও অনেকদিন জেল কেটেছিল!

কি অদ্ভুত অামাদের কুরবানি! মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে, সুদের টাকার জন্য ঝগড়া করে! ঘুষ নেওয়ার অপরাধে জেলে গিয়ে! এসবকিছুর পরও অামরা বড় বড় গরু কুরবানি করি! কাদের টাকায় এসব করছি? মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে এককোটি টাকার গরু কুরবানি দিলেও অাল্লাহ্ দরবারে তা কবুল হবে নাহ! সুদ খেয়ে ঘুষ খেয়ে সারা গ্রাম দাওয়াত করে কুরবানি দিলেও তা অাল্লাহ্ কবুল করবেন নাহ। এখনো সময় অাছে সঠিক পথে টাকা উপার্জন করুন। যদি পারেন সৎ পথে টাকা রোজগার করে কুরবানি করুক। অসৎ পথের টাকা দিয়ে কুরবানি দেয়া আর না দেয়া একই কথা। তাই  আসুন সৎ পথে চলি, সঠিক টাকার কুরবানি করি!

0 Shares

১০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ