
আমার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বেকার তৈরির কারখানা। জীবনের গল্পটা অন্য হতে পারতো, অন্য অনেক রকম হতে পারতো কিন্তু এখন গল্প একটাই বেকার।
বেকারত্ব সমস্যা ?
সবচাইতে বেশি সময় মেহনত করে তার ফল সবচাইতে কম পাওয়া জায়গাটাই হল শিক্ষা ব্যবস্থা।
কথাগুলো কেন বলছি আপনি একবার চিন্তা করে দেখুন। আপনার জীবনে প্রথমে মেধা ক্ষয় করলেন, তারপর জীবন থেকে 20 বছর ক্ষয় করলেন। তারপর আপনার সুন্দর চুলগুলো ক্ষয় করলেন। আপনার পায়ের তলা বারংবার ক্ষয় করলেন।
তবুও কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এই হচ্ছে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করার ফলাফল।
আপনি বলবেন অনেকেই ভালো কিছু করছে। অনেকেই ভালো কিছু করছে না?
ভালো কয়েকজন ভালো কিছু করছে।
তাহলে কি আমরা কিছুই করছি না ?
আমরা কিছুই করিনি ?
একটা হেলপার দুই বছর গাড়িতে থাকলে পরবর্তীতে সুপারভাইজার রূপান্তরিত হয়। একজন কৃষক 5 বছর ভালো ফসল চাষাবাদ করলে ভালো চাষী হয়। একজন সাধক 1 যুগ সাধন করলে সাধু হয় অমরত্ব লাভ করে।
আর একজন শিক্ষার্থী 20 বছর পড়াশোনা করলে বেকার হয়, বেকারত্ব লাভ করে।
আপনি অনেকক্ষণ ভেবে দেখবেন, পড়াশুনা না করা মানুষগুলো দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে, কম পড়াশুনা করা মানুষদের মাথায় সুন্দর চুল গুলো টাকপূর্ণ থাকে।
অশিক্ষিত মানুষগুলোর পায়ের চটি জোড়ার সংখ্যা সবচেয়ে কম হয়ে থাকে।
১৬টি মন্তব্য
ত্রিস্তান
সময়োপযোগী পোস্ট। অনেক ভালো লাগলো ভাই।
নিরব সাগর
ধন্যবাদ প্রিয়
সুপর্ণা ফাল্গুনী
চরম সত্যটা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। এটাই বাস্তব। ভালো থাকুন শুভ কামনা রইলো
নিরব সাগর
বেকারত্বের ফল এইটা
কামাল উদ্দিন
আপনার কি মনে হয় এই বেকারত্বের জন্য সরকার দায়ী? আমি কখনো এমনটা মনে করি না। বেকার থাকার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। আমরা শিক্ষিত হয়ে বাবার জমি বিক্রির টাকায় বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু ঐ টাকায় দেশে নিজে ছোট একজন উদ্যোক্তা হতে চাইনা। বিদেশ গিয়ে কতো নিম্ন মানের কাজ করি, দেশের তার থেকে অনেক কম করলেও আরো অনেক বেশী ভালো থাকা যায় বলে আমি মনে করি। আর বড় শিক্ষিত হওয়ায় আমাকে শুধু সরকারী কিংবা বড় কোন চাকুরীই করতে হবে এমন ভাবনা ত্যাগ করাটা জরুরী……..ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন, সব সময়।
নিরব সাগর
আমি কিন্তু কোথাও কাউকে দায়ী করিনি। আপনি মনে পরিবেশের দিয়ে একটু ভালো ভাবে নজর দিতে সময় কম পান বুঝতে পারছি।
প্রতিদিন কত শিক্ষিত বেকার তৈরী হচ্ছে জানেন।জানেন না হয় তো ?
আর যারা প্রবাসী তাদের ঘামে এদেশের রাস্তা তৈরীর পিস কেনা হয়। আমি বলছিনা আপনি বিদেশে জান বা আমি যাই।ওরা আছে বলেই আজ আমরা নতুন করে কিছু করার স্বপ্ন দেখছি।
আমরা যারা শিক্ষা অর্জন করছি,সবাই কি উদ্যাক্তা হওয়ার মত সম্পদ ও যোগ্যতা সম্পূর্ণ।
কামাল উদ্দিন
আপনার মতো হয়তো অতোটা পাইনা, তবে এটা জানি কাজের লোকের খুব অভাব। আমি দেখেছি যেই কোন কাজেই আমাদের দক্ষ লোক পেতে খুবই সমস্যা হয়। এখন আমি যদি শুধুই ডিগ্রি নিয়ে কেউ আমাকে চাকুরি দেবে এই মানসিকতায় থাকি তবে কিভাবে হবে বলুন। নিয়োগ দাতার চাহিদাও তো পূরণ করার যোগ্যতা আমাদের থাকতে হবে। আমি বলছিনা আমাদের বেকারত্ব নাই, আছে অবশ্যই। তবে প্রবল ইচ্ছে থাকলে মানুষ কখনো বেকার থাকেনা থাকতে পারে না, ধন্যবাদ সাগর ভাই।
নিরব সাগর
আপনার আগের কথায় আমাকে আবার ফিরে যেতে হচ্ছে ,একটা অশিক্ষিত বাঙ্গালী বিদেশে গিয়ে না ভাষা বুঝা মানুষদের কাজ করে দিয়ে যদি সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে দেশে কেন পারবেনা।
কিছু না করলে দক্ষ হবে কি করে, সবাই তো শুধু দক্ষ জনগোষ্ঠী খুঁজে প্রিয়।
কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মী কর্তা সন্তুষ্টি ছাড়ায় কাজ করছে বলতে পারবেন ।এমন একটাও খুঁজে পাবেন বলে আমার মনে হয় না ।
শুধু ডিগ্রী অর্জন করতেই তো বিশ বছর চলে গেল।দক্ষতা অর্জন করার সময় কোথায় ?
সঞ্জয় মালাকার
সময়োপযোগী পোস্ট, ভালো লাগলো দাদা।
নিরব সাগর
ধন্যবাদ প্রিয়
সাবিনা ইয়াসমিন
একটা হেলপার দুই বছর গাড়িতে থাকলে পরবর্তীতে সুপারভাইজার রূপান্তরিত হয়। একজন কৃষক 5 বছর ভালো ফসল চাষাবাদ করলে ভালো চাষী হয়। একজন সাধক 1 যুগ সাধন করলে সাধু হয় অমরত্ব লাভ করে।
আর একজন শিক্ষার্থী 20 বছর পড়াশোনা করলে বেকার হয়, বেকারত্ব লাভ করে।….
ভাবনার গভীরতা দেখে হতবাক হয়েছি। তাইতো! এভাবে কখনো ব্যাপারটা নিয়ে ভাবিনি।
তবে আমার একটা ছোট্ট প্রশ্ন আছে, মানুষ কি লেখা-পড়া করে শুধু চাকরি করার জন্যে?
নিরব সাগর
উত্তর তো আপনার কাছেই আছে, আপনি পড়াশুনা শেষ করে কোন পেশায় নিয়োজিত হতে চান।
আমি প্রথমেই বলেছি কিন্তু জীবনের গল্পটা অন্য হতে পারতো।আপনি মনে হয় মন দিয়ে পড়েননি ।
ফয়জুল মহী
সময়োপযোগী পোস্ট। অনেক ভালো লাগলো
নিরব সাগর
ধন্যবাদ প্রিয়।
এস.জেড বাবু
পোষ্ট আর মন্তব্যগুলো পড়লাম- নিঃসন্দেহে বাস্তবসম্মত লিখা।
মন্তব্যে ভিন্নতা / ভিন্নমত আসবে বা আসতে পারে, সব বিষয়ে সবার দৃষ্টিকোন এক না। পাঠক হিসেবে কেউ ছোট/ বড়/ অমনযোগি বা মন্দ পাঠক না ভাইজান।
আজকালকার সৃজনশীল পদ্ধতির শিক্ষাব্যাবস্থায় “বেকারত্ব” বাড়বে বৈ কমবে না।
একসময় থার্ড ডিভিশন পাওয়া ছাত্রটা বেকার থাকত- আজকাল ডাবল জিপিএ ফাইভ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল মারে।
যে হারে সরকার কর্মসংস্হান করতে পারে- ততটা হারে পাশের সংখ্যা নিশ্চিত করতে গিয়ে যত কঠিনতম দৃষ্টিতে পরীক্ষার খাতায় নম্বর প্রদান করা উচিত- ততটা করলে হয়ত “পাশ করা শিক্ষিত” কেউ বেকার থাকত না।
শিক্ষিত বেকার – এই শব্দটা জাতির/দেশের জন্য ভয়াবহ।
বাস্তব উপলব্ধিতে লিখা সুন্দর সময়উপযোগি পোষ্ট।
নিরব সাগর
গঠনমূলক সমালোচনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।