অল্প দৈর্ঘ্য সল্প কাহিনী

রাহুল উজ্জ্বল ১৯ মার্চ ২০১৪, বুধবার, ০৯:১১:০৪অপরাহ্ন বিবিধ ২০ মন্তব্য

১৮০০ সালের দিকে হিন্দু ধর্মের নিয়ম ছিল স্বামী মৃত্যু সাথে স্ত্রীকেও স্বামীর চিতায় ঝাঁপ দিবে।

অথাৎ স্বামীর সাথে স্ত্রীও সর্গে যাবে।

জ্বি! তখন ওরা স্বামীর স্বর্গে যাওয়ার টিকেট একদম নিশ্চিত করে দিয়েছে। আর স্ত্রীকে স্বামীর টিকেটে পাঠিয়ে দিতেন।

ভাগিসসস রাজা মোহন সে টিকেট কাউন্টার বন্ধ করে দিয়েছেন। না হলে কি যে হতো।

এই সতীদাহ তাহলে কুসংস্কার ছিল তাই না?
না এইটা সম্পূর্ণ ভুল কথা। এইটাকে বলা হয় নিজেদের প্রয়োজন অনুসারে নিজেরা ধর্মটাকে তৈরী করা।

তাহলে ধরেন, স্ত্রীরা মরলে স্বামী স্ত্রীর চিতায় ঝাঁপ দেয় না কেন?
বললাম এইটা প্রোয়জন অনুসারে।

ধর্মটা কি নিজকে প্রচরণায় পৃথিবী সৃষ্টি করছে, না কি পৃথিবীটা ধর্মাটা প্রচরণার জন্য সৃষ্টি হয়েছে?
দুইটা কথাটা কি একরকম লাগে তাই না?

একটা ছেলের জন্ম তার মার কাছ থেকে শুনলেন একরকম। বাবার কাছ থেকে শুনলেন আরেক রকম যা মার কথার সাথে কোন মিল না। হসপিটালে গিয়ে ডাক্তারী ল্যাবের সুত্ররে জানলেন আরেক রকম।
একটা ছেলের জন্ম এত্তো রকমের শুনতে হই ফাজলামী পাইছে না কি?

একটা পৃথিবী সৃষ্টি রহস্য খুঁজেন দেখেন ছেলেটার জন্ম সূত্রের মত হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধে এক এক রকমে রহস্য পাবেন। ও বিজ্ঞানেও আরেক রকমে পাবেন।
কি জ্বালা কোনটা বিশ্বাস করবো?

পৃথীবিতে ধর্ম প্রচার হচ্ছে। না কি পৃথিবীই প্রচার একটা ধর্ম প্রচারণা তবে তা বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন রকমের।

এইটা কোন সংস্কারের মধ্যে পরে?
না কি ঐ সতীদাহর মত মানুষ অনেক কিছু সৃষ্টি করে নিয়েছে?

কিন্তু, মনে হই পৃথিবীই সৃষ্টির ছয়শ বছরেও ধর্ম সৃষ্টি হয় নাই।

সৃষ্টা জানে তারা জানি কোন ধারণায় বিশ্বাসী ছেলেন।

এক নজরে গ্রাম্য ধরণা

বর্তমান যুগে যদি বলা হয় বাবু তুমি কি ভূত বিশ্বাস করো?
না! ভূত বলতে কিছু আছে না কি?
তাহলে বাবু তুমি রাতের দিকে একটু হিন্দুদের শশানে ঘুরে আসবে।
না! এই অসম্ভব আমি পারবো না।

যদি যাই! হাঁটার সময় পায়ের নিচে পাতার মর্মর শব্দটা মনে হবে কোথাও কি যেন ভেঙ্গে পরছে। অন্ধকারে গাছের সাথে ধাক্কাটা মনে হবে কে যেন ধাক্কা দিছে। আর সামনে আন্ধারে যা দেখুক না কেনো মনে মনে তা চোখের সামনে মেডিকেলের ল্যাব ক্লাসের যন্ত্রপাতি ভেসে আসবে।

পরবর্তীতে দেখা যাবে। রাতে ঘুম হয় না। রাতে ভয় করে। কি যেন হতে চলছে... সব মনের ভিতরে...

এইবার দেখবেন নতুন সংস্কার। কিছু হিন্দু আল্লাহ্ মানতে পারবে না। আর কিছু মুসলিম ইশ্বরকে মানতে পারবে না। কিন্তু দুই জনে-ই একটা জায়গায় মানে সেটা 'বাবা'.

রাতে ঘুম হয় না, রাতে ভয় করে কিছু হিন্দু মুসলিম বেদাবেদ ভুলে গিয়ে যাবে বাবার কাছে।
বাবা আমারে সুস্থ করে দাও। ভালো করে দাও।

বাবা মেয়েদের সুস্থ করার জন্য কুপালে চুমো মেরে দিবে। আর ছেলেদের সুস্থ করার জন্য মাথায় থু থু মেরে দিবে।

বর্তমান ধার্মিক গুলা অনেক নতুন কিছু সৃষ্টি করে যাছে। রাস্তার ডার্জবিনের থাকা টুকায় গুলার গুলার সাথে সমাজে বড় শ্রেণীর ধার্মিকের বড় সম্পর্ক রয়েছে।

এক নজরে এক সাধু বাবা

কলকাতায় এক গৃহবধু পারিবারিক সমস্যার কারণে সাধুবাবার শরণাপন্ন হন। সাধুবাবা গৃহবধুকে ধর্ষন করে মোবাইলে ছবি ধারণ করে। এবং সে ছবি দেখিয়ে ব্লাকমেইল করে আরো দুইবার ধর্ষন করে। এইহার নাম বাবা।

ধর্মটাকে নতুন করে নিজ অনুসারে নিয়ার জন্য কয়েকটা বাবা যথেষ্ঠ।

0 Shares

২০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ