দীর্ঘ কয়েক বছর আগে থেকেই চোখের সমস্যা দেখা দিয়েছে। যদি এতো দিন ঠিকঠাক যত্ন নেওয়া হতো, ঠিকঠাক মেডিসিন নেওয়া হতো এবং নিয়মিত ঘুম হতো তবে সেদিনের সেই সমস্যা ভয়াবহ যন্ত্রণায় পরিণত হতো না। আমার সবচেয়ে খারাপ এবং বদঅভ্যাস হচ্ছে প্রয়োজনীয় মেডিসিন গ্ৰহন না করা। চোখের সমস্যা দেখা দেবার পর থেকে প্রায় প্রতি বছর তিন থেকে চার বার যন্ত্রণা বেড়ে যায় ফলে রেগুলারই যাওয়া হয় ডাক্তারের কাছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর যখন ডাক্তার ব্যবস্থাপত্র লিখেন তখন আমি মিষ্টি করে বলি স্যার মেডিসিন গুলো না নিলেই নয়? শুধু চশমা দিয়ে হবে না? ডাক্তারও মিষ্টি করে বলে যদি মেডিসিনের কাজ চশমায় হতো তবে এতো এতো চোখের মেডিসিন আবিষ্কৃত হতো কি! তারপর এক গাদা উপদেশ দিয়ে পাঠিয়ে দিতেন। ফার্মাসিতে এসেও নাটকীয়তার শেষ থাকতো না। সবগুলো মেডিসিন নিয়ে আসতেই হতো।

দু চার দিন বেশ নিয়ম মেনে মেডিসিন নিতাম। অনেক ঝামেলা করে গিলতে হতো। যতোবার মেডিসিন নেই ততোবার বমি হয় । যখন ব্যথার একটু উপশম হয় তখন আমাকে আর কে পায়!  ধুর এতো যন্ত্রণা করে ওষুধ কে খায়?

 

কয়েক মাস পর আবার একই অবস্থা। সাত/আট বছরে একবারও ডোজ পরিপূর্ণ করিনি। তার উপর রাত জাগা তো রয়েই গেছে। দীর্ঘ দিন অযত্ন অবহেলায় লাস্ট পর্যায়ে পৌঁছে গেছে চোখের যন্ত্রণা। অসহ্য সে যন্ত্রণা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। ছাড়বেই বা কেনো? এতো দিন যা অত্যাচার চলেছে চোখের উপর তার যন্ত্রণা তো সহ্য করতেই হবে। সবসময় শুধু ফাঁকি দিয়ে গেছি।  কখনও ভাবিনি এই ফাঁকি আর কাউকে নয় আমি নিজেকেই দিয়েছি এতো দিন। এখন চোখের করুণ অবস্থা। চোখ খুলে রাখলে আলো লাগছে, বন্ধ করে রাখলে জ্বালা করে। কিছুই পড়তে পারছি না ব্যথা বেড়ে যাচ্ছে। যেটুকু সময় লিখছি অসহ্য ব্যথা সহ্য করেই লিখতে হচ্ছে। কিছু না লিখলে ভালোও লাগে না।

 

আমি যে ডাক্তারের চিকিৎসা নেই উনি দিনাজপুর থেকে আসতেন। এই করোনা কালে আর ডাক্তার আসবেন না। আগের মেডিসিন কন্টিনিউ করতে পারছি না ব্যবস্থাপত্র হারিয়ে ফেলেছি।  কী যে এক দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে আমার  করোনা কালের বন্দী সময় বলে বোঝানো যাবে না। চা কফি টোটালি পরিহার করেছি তবুও কিছুতেই ঘুম আসে না। স্লিপিং পিলও খাচ্ছি না যদি রোজা নষ্ট হয় এই ভেবে। এখন মনে হচ্ছে খুব ভুল করেছি। মেডিসিনের ডোজ শেষ করা উচিত ছিলো।

 

0 Shares

২৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ