হুমায়ুন আহমেদ এবং গুলতেকিন দুজনে একটা সময় আলাদা হয়ে গেলেও তাদের কাউকেই একের বিরুদ্ধে অন্যজনকে তেমন অভিযোগ করতে শোনা যায়নি। এটাই সুন্দর ব্যক্তিত্বের মান। মর্যাদাবোধ সম্পর্কে সচেতনতা এটাই অথচ আমরা তাদেরকে কেন্দ্র করে একজনকে ভালোবাসি বলে আরেকজনকে ছোট করছি, কেনো? কেউ কেউ তো দেখছি রাগের বশে কথার লাগামও হারিয়ে ফেলছেন! আহা! বি কুল। সমালোচনা করুন, কিন্তু কাদা ছুড়াছুড়ি নয়। তাতে নিজের ব্যক্তিত্বই প্রশ্নবিদ্ধ হয়। একজনের পক্ষাবলম্বন করতে আরেকজনকে হীন করে নয়।
হুমায়ুন এবং গুলতেকিন দুজনেই ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। হুমায়ুন শাওনকে বিয়ে করেছিলনে বলে সোরগোল উঠেছিলো, কারণ শাওন ছিলো তাঁর কন্যার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বিয়ে করতেই পারেন, অসম বয়সীকেও করতেই পারেন কিন্তু চোখে লেগেছিলো কন্যার বন্ধু বলে। তবুও বলবো, সমালোচনা হলেও বিয়ে করায় মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়নি। ব্যক্তিগত জীবনে প্রেম ভালোবাসায় টানাপোড়েন, তাঁর লেখক জীবনের গৌরবকে ম্লান করে না। আবার গুলতেকিনের চলে আসাটাও তাঁর ব্যক্তিত্বেরই বহিঃপ্রকাশ।
হুমায়ুন ভক্তরা ব্যথিত হয়েছেন, হুমায়ুন আহমেদের জন্মবার্ষিকীতে গুলতেকিন বিয়ে করেছেন শুনে। না, বিয়েটা আরও কিছুদিন আগেই হয়েছিলো পারিবারিকভাবে। বরং আমি মনে করি, গুলতেকিন হুমায়ুনকে ছেড়ে আসলেও হুমায়ুনের জীবদ্দশাকালীন সময়ে তাঁকে ধারণ করেই ছিলেন। শুনছি, আফতাব আহমেদের (যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব ছিলেন) সাথে তাঁর বোঝাপড়া গত সাত বছর যাবত। ধারণা করছি, হুমায়ুনের পরলোক গমনের পরই তা গড়ে উঠেছে। আত্মসম্মানবোধ থেকে গুলতেকিন আলাদা হয়েছিলেন, কিন্তু হুমায়ুনের প্রতি সম্মানবোধ বা ভালোবাসাটা হয়তো রয়েই গিয়েছিলো।
বছর কয়েক আগে গুলতেকিনের একটা বক্তব্যের বিরোধিতা করেছিলাম, হুমায়ুন বেঁচে থাকাকালীন করেননি বলে। বক্তব্যটা প্রসঙ্গক্রমেই গুলতেকিন দিয়েছিলেন, তাই নিয়েই সোরগোল উঠেছিলো। আজ গুলতেকিন বিয়ে করেছেন শুনে অভিনন্দিত করেছি। ভালো লেগেছে বলেই করেছি, সে ৫৬ বছর বয়সেই হোক কিংবা ৬২ তে।
নব জীবনকে অভিনন্দন জানাতে পেরে ভালো লাগছে।গেছে।
৮টি মন্তব্য
নৃ মাসুদ রানা
অভিনন্দন..
নাজমুল হুদা
অভিনন্দন।
ইতিবাচক হিসেবে নেওয়া উচিত। যারা এটা নিয়ে ট্রল করে ওরা নিজেই জানে ওরা কী!
আকবর হোসেন রবিন
বিয়ে শুধু একটি সামাজিক বন্ধনই না। সুস্থ থাকতেও বিয়ের রয়েছে প্রয়োজনীয়তা। সেটা যে বয়সে হোকনা কেন।
এস.জেড বাবু
সমালোচনা হলেও বিয়ে করায় মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়নি। ব্যক্তিগত জীবনে প্রেম ভালোবাসায় টানাপোড়েন, তাঁর লেখক জীবনের গৌরবকে ম্লান করে না।
চমৎকার বলেছেন।
নতুনে অভিনন্দন
বন্যা লিপি
জীবন কারো সমালোচনার ভয়ে থেমে থাকা,মোটেই ইতিবাচক নয়।বরং এটাই হওয়া উচিত ছিলো। অভিনন্দন অবশ্যই। একটা না একটা সময় প্রয়োজন একজন একান্ত আপনজন।
জিসান শা ইকরাম
বিয়ে করাটা একজন মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়,
আমরা সমালোচনা করতে ভালোবাসি বলেই সমালোচনা করি ক্ষুদ্ধ হই।
গুলতেকিন ভালো থাকুক তার নতুন জীবনে।
সুরাইয়া পারভিন
আমার মনে হয় পৃথিবীতে ভালো থাকার অধিকার সবারই আছে। যে যার সাথে ভালো আছে থাকুক।
জীবনের জন্য অভিনন্দন ও শুভকামনা রইল
শিরিন হক
জীবনের প্রোয়োজন সমালোচনার জন্য আটকে থাকেনা। প্রেম বয়স স্হান কাল পাত্র মানেনা।তবে একে অপরকে সন্মান করাটা মানুষের সবচেয়ে বড় গুন সবার সেটা থাকেনা।
সুন্দর লিখেছেন।