অবশেষে নূতন এলো-ই

ছাইরাছ হেলাল ১ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ০৩:৩০:১২অপরাহ্ন গল্প ২২ মন্তব্য

অনিষ্পন্ন ব্যাথার মায়া-ফাঁদ লুকিয়ে এ এক নবতম দিন,
যদিও চাইনি/চাই-ও-না, সময়ের কোল ঘেঁষে/কোল বেয়ে
ঠিক-ই হাজির, পোড়ামত গরম পিঠে হাতে।
নখ-খোঁটা, মাথা-নিচু-লাজুকতা ঝেরে ফেলে হীরক-শিশির-উজ্জ্বলতায়।
এ এক মায়াবী সকাল! মায়াবিনী কী-না কে জানে!!

শীতের দোধারী তলোয়ার বাতাসে সাই সাই করে আগুনের ফুল্কি ছড়াচ্ছে,
আত্মঘাতী হয় কী-না কে জানে!! আকুপাংচার হলে অসুখীর অসুখ-বিসুখ
কেটে যাবে সে আমরা নিশ্চিত জানি।

হে নূতনের বছর, মরে ভুত হও, ব্রহ্মদৈত্য না, ঘাড়ে মাথা কিন্তু একট-ই!!
চিকনে-চামেলিদের নিয়ে যা খুশি করতেই পার, কর-না, এদিকে চোখ রেখ-না প্লিজ!
তেঁতুল গাছে বসে থেকে পাকা পাকা তেঁতুল ভ্রমে মন উতলা কেউ এলে শুরু করে দেবে
সেই যে চিরন্তন ফাঁদ-ফাঁদ খেলা।

কবিদের কাছে-পিঠে পেলে উৎসাহে উস্কে দেয়ার ছলে কাচা-কাঁঠাল মাথায় ভাঙ্গার
মজাই-মজা নিতে পারা যেতেই পারে। তবে ভুলেও অ-লিখিয়েদের দিকে নজর-না,
মনে রাখতে হবে।

এই যে নিরন্তর আসা-যাওয়া ক্ষয়ে-ক্ষয়ে নিভে যাওয়া, এর মাঝে-ও তুমুল ভাবে
পথ-মোহনায় অপেক্ষা করে-করে বাঁচতে চাওয়া, গ্রহণ লাগা ঋতুতে সবই ম্যাজিক-খেলা
অমীমাংসিত থেকেই যায়।

ন্যাড়া বেল তলাতেই যায়/যাবে, এবং তা বারে বারেই।

0 Shares

২২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ