অপ্রকাশিত ভালোবাসা

হৃদয়ের স্পন্দন ১৯ জানুয়ারি ২০১৫, সোমবার, ০২:০৬:৪৭পূর্বাহ্ন বিবিধ ৩০ মন্তব্য

লাবণ্য,
সেদিন ভোরেও তুমি এসেছিলে ঝুল বারান্দায়।
লাবণ্য
সেদিন দুপুরে ফুপুর বাসায় যাওয়ার নাম করে হেটেছিলে আমার বাসার সামনের সে গলিতে।
লাবণ্য,
রিক্সা না পাওয়ার ছুতোয় পায়ে হেটে বাসায় ফিরতে, জানতে বলেই আমি দাড়াবো এ পথে।

লাবণ্য সেবার খুব অসুস্থ হয়ে পড়লাম। বিছানা ছেড়ে নামার উপায় নেই। বন্ধুরা বাসায় এসে বলত তুমি নাকি শুধুই ওদের দিকে তাকাও।

লাবণ্য, রহিম বলেই ফেলেছে তোমার খুব মন খারাপ, শুধু তুমি জানতে চাওনা বলে কেউ জানাতে পারেনি ইতিহাসঃ

সেবারের সে জ্বরে, আমি প্যারালাইজড হয়ে গেলাম। কথা বলতে পারতাম না, মুখের সব পেশী বেঁকে গেলো, হাটতে পারতাম না, বিছানায় শুয়ে বসে থাকতাম।
তারপর কোনো এক দিনে তোমার নাকি বিয়ে হলো, তুমি নাকি একবার দেখতে চেয়েছিলে আমায়, বন্ধুরা বলেছিলো ও দেশে নাই, ফরেনার এক মেয়ে বিয়ে করে বাবা মায়ের খোঁজ ও নেয়না, সেটা আমার ই শিখিয়ে দেওয়া কথা ছিলো। তোমার বিয়ের সময় আমি কিছুটা সুস্থ, কথা বলতে পারি, তবে উচ্চারণ আপন জন ছাড়া কেউ বুঝতো না। আজ ক্রাচ ভর করে হাটি।

শুনেছি গেলো বছর সন্তান কে দুনিয়ার মুখ দেখিয়ে তুমি গত হয়েছো।
কি করবো বলো
গরীবের সন্তান চিকিৎসার অভাবে সুস্থ হইনি আমি, আর তোমায় অপ্রকাশিত ভালোবাসা প্রকাশ করে কষ্ট দেবার ইচ্ছা ছিলোনা লাবণ্য।

লাবণ্য,
এখন তো জেনে গেছো আজো ভালোবাসি।
ক্ষমা করো প্রিয় আমি মিথ্যাবাদী

0 Shares

৩০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ