‘ডেইর-এল-মেদিনা’ বা ওয়ার্কার ভিলেজ মিশরের একটি বিখ্যাত আরকেওলজিক্যাল সাইট। ‘ডেইর -এল -মেদিনা’ একটি আধুনিক আরবি নাম।
প্রাচীন কালে মিশরীয়রা মৃত্যু পরবর্তি জীবনকে খুব গুরুত্ব দিত ।তাদের ধারনা ছিল আবার মৃতদেহ জীবন পাবে । তাই ফ্যারো রা তাদের পরবর্তী জীবনের জন্য প্যালেসের মত ‘কবর বাড়ি’ বানাত তাদের মৃতদেহ টিকে সমাধির মধ্যে রাখার জন্য এবং সেটা ধন রত্ন দিয়ে ভর্তি করে দিত ।
পিরামিড যুগ শেষে রাজারা নিজেদের কবরকে বিরাট উঁচু করে বানিয়ে এডভারটাইজ না করে সমাধিকে পাহাড়ের ক্লিফে গোপনীয়তা বজায় রেখে লুকিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নায়।
তার জন্য দরকার একটা বিরাট বিশ্বস্ত কর্মি বাহিনী যারা কিনা এই কর্ম যজ্ঞ পরিচালনা করতে পারবে। তারা লাক্সরের পাহাড় ঘেরা মরুভূমির মধ্যে একটি স্থান খুঁজে পান এবং যা কিনা ‘ ভ্যালি অব দি কিং’ এবং ‘ ভ্যালি অব দি কুইন’ থেকে কাছাকাছি । এই দুই স্থানে রাজা রানী এবং তাদের পরিবারদের সমাহিত করা হত।
রাজা রানী দের সমাধি স্থল প্যালেসের মত করে বানাতে আর্টিস্ট ,বিলডার, পেইনটার, লেবার, সুপার ভাইজার দরকার এবং তাদের পরিবারের জন্য দরকার একটা বসবাসের স্থান। এই স্থান টিই হল ওয়ার্কার ভিলেজ বা ‘ডেইর -এল-মেদিনা’।একজন রাজা জন্ম নেয়ার পর পরেই তার জন্য সমাধি প্যালেস করা আরম্ভ হয়।সে সময় তাদের জীবন কাল এখনকার মতো দীর্ঘ ছিলনা। এনটিবায়টিক আবিষ্কার না হওয়ার ফলে মানুষ মারা যেতো তাড়া তাড়ি।
প্রাচীন মিশরীয়রা এই স্থান টিকে ‘ParDemi’ ‘পার দেমি’ বলে ডাকতো। কিন্তু অফিসিয়াল ভাবে যোগাযোগের জন্য এই স্থান টিকে বলা হতো ‘সেট-মাআট’ যার মানে ‘দি প্যালেস অব ট্রুথ’
এখানে বসবাস কারি শ্রমিকরা মনে করত ফ্যারোরা একেক জন দেবতা তাই তাদেরকে সেবা করা তাদের কর্তব্য এবং এই সেবা করে তারা নিজেদেরকে ধন্য মনে করত। কালের গর্ভে একদিন সব শেষ হয় এবং তা বালুর তলে ঢাকা পড়ে। তবে খ্রিস্টান যুগ আরম্ভ হলে তারা সেখানে বসবাস শুরু করে। এখানে অবস্থিত ‘হেদোর অব টেম্পেল’ টিতে তারা নিজেদের ধর্মীও কাজ চালাত ।এই ‘হেদোর অব টেম্পেল’ টিকে ‘ডেইর -এল-মেদিনা’ বলে পরে অবিহিত করা হলে এই স্থানটি এই নামেই প্রচলিত হয়ে যায়।
প্রাচীন মিশরে দেখা যায় প্রতিটি স্যাটেলমেন্ট সয়ংসম্পুর্ন । সেগুলো নদীর কাছে এবং পাশেই থাকে চাষবাসের জমি । কিন্তু এই বসতি টি এরকম ছিলনা। এটি ছিল পরিকল্পিত ।ফ্যারো এমেনহেটেপ I (১৫৪১-১৫২০) সালে এটি স্থাফন করেন পরিকল্পিত ভাবে শুধুমাত্র অভিজ্ঞ বিলডার,আর্টিস্ট,পেইন্টার এবং সুপারভাইজার এবং তাদের পরিবারের জন্য। এই বসতিটি গড়ে উঠে শুধুমাত্র এই দুই ভ্যালিতে রাজা এবং তার পরিবারের জন্য ‘সমাধি প্যালেস’ বানাতে। এই পুরো বসতির লকজন নিযুক্ত থাকতো সমাধি গড়ার কাজে । তারাকে বিশ্বস্ত হতে হত কারন তাদের সমাধিতে মূল্যবান ধনরত্নের সুরক্ষা একান্ত জরুরী ছিল।
রয়াল টুম্ব বা ‘সমাধি প্যালেস’ বানানোর জন্য দরকার একদল দক্ষ এবং বিশ্বস্ত কারিগর। তাদের সঙ্গে দেয়া ধনরত্ন যেন তারা সুরক্ষা দিতে পারে। সে সময়ের ফ্যারোরা এই সিদ্ধান্তে আসে সুউচ্চ বৃহৎ আকারের পিরামিড না বানিয়ে নির্জন জায়গাতে দুর্গম পাহাড়ের ক্লিফ কেটে মানুষের চোখের আড়ালে গোপনীয়তা বজায় রেখে তাদের ‘সমাধি প্যালেস’ কি ভাবে বানানো যায় তার।
যারা এই লোকালয়ে বাস করতো তাদের নাম দেয়া হয়েছিল ‘Servent in the Place of Trouth’ । কারন কাজটি ছিল খুবই গুরুত্ব পুর্ন।শুধুমাত্র যে তাদের সমাধি প্যালেস বানাতে হবে তাই নয় তার সাথে দেয়া মূল্যবান ধনরত্ন পাহারা দেয়ার ব্যাপারটিও জড়িত ছিল।
এটা একটি এখন মিশরের গুরুত্বপূর্ণ আরকেওলজিক্যাল সাইট। কারন তার সাথে জড়িয়ে আছে রয়াল ওয়ার্কার দের দৈনিন্দন জীবনের গল্প, কি ভাবে তারা কর্ম পরিচালন করতো এবং কি টুলস ব্যাবহার করতো এইসব জানা একজন আর্কেওলজিসটের জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপুর্ন বিষয়।
সিরিয়াস খোঁড়াখুঁড়ি বা এক্সেভেসান আরম্ভ হয় ১৯০৫ সালে একজন ‘Ernesto’ নামে ইটালিয়ান আরকেওলজিস্ট দ্বারা। তারপরে আরও কিছু কাজ চলে অন্য স্কলার দের নিয়ে ।
কিন্তু ব্যাপক আর গভীর ভাবে গবেষণা এবং আন্যালাইসিসে কাজ আরম্ভ হয় ‘Bernard Bruyere’ নামক একজন ফ্রেঞ্চ আর্কেওলজিসট দ্বারা ১৯২২-১৯৪০ সালে।সেইখানেই হাও্যার্দ কার্টার তুতেন খামনের নাম লেখা একটি পাত্র পান। Bruyere সেখানে খুঁজে পান পাহাড়ের ক্লিফ কেটে সমাধি প্যালেস করার কারিগরদের জীবনী।
রয়াল ওয়ার্কার দের বসতিস্থল বা ভিলেজ এবং তার ইতিহাসঃ
‘ফ্যারো তুতেমাসের’ (১৫২০-১৪৯২) সময় থেকে এখানে বসতি গড়ে উঠলেও তার পুত্র , ‘এমেণহোটেপ ১’ , এই স্থান টিকে পরিকল্পনা মাফিক গড়ে তুলেন। তিনি এবং তার মা ‘আহমসে নেকারতারি’ সুরক্ষা দেয়া দেবতা ‘মেরেটসগারের’ উপসনা করতেন। এখানে বসবাস কারি কারিগর এবং তাদের পরিবার একই দেবতার পূজা করত । ‘কোবরা দেবতা’ meretseger বা মেরেতসগার অর্থাৎ যে কিনা মৃত ব্যাক্তিদের প্রতিরক্ষা দেয় এবং নীরবতা পছন্দ করে ।
কিন্তু দেখা যায় নিউ কিংডোমের সময় থেকে সমাধি লুটপাট এবং চুরি একটা নিত্য নৈমেত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। যার ফলে সমাধির মধ্যে রাখা ধনসম্পদ ধরে রাখা আর সম্ভব হচ্ছিল না।এই ভিলেজ থেকে রাজা রানীদের সমাধিস্থল ভ্যালি অব দি কিং এর দূরত্ব এক ঘণ্টার মত। এই ভিলেজের শ্রমিকরা তুতেমাসের সময় থেকে নিউকিংডমের সময় কাল পর্যন্ত ছিল ( ১০৬৯বিসি ) । যদি এই ভিলেজের লোকজনদের দায়িত্ব ছিল সমাধি প্যালেস কে পাহারা দেয়া।কিন্তু মানুষের লালসা এবং সুযোগ সন্ধানী মনোভাব থেকে এগুলো লুটপাটের হাত থেকে রক্ষা পাইনি। এমনকি লেবাররাই স্বয়ং এই চুরির সাথে জড়িয়ে পড়ে ।কারন চুরির কিছু ধনরত্ন ঘুষ হিসেবে সুপারভাইজার কে প্রদান করলেই তারা ধরা তো পড়তোই না বরং আবার কাজে বহালও হতো ।
এই ভিলেজের বাড়ি ঘর এবং তার ডিজাইনঃ
লোকালয়টির আয়োতন ১.৪ একর ( ৫৪০০মিটার ), মোট বাড়ির সংখ্যা ৬৪ টি। পুরো এলাকাটি একটা প্রাচীর দ্বারা ঘেরা ছিল সুরক্ষা দেয়ার জন্য। উত্তর দিকের দেয়ালে প্রধান গেট এবং আর একটা গেট দক্ষিণে। পুর্ব এবং পশ্চিমে শ্রমিকদের সমাধি স্থান ছিল এবং তাদের সমাধি গুলও চমৎকার আর্ট দিয়ে ডেকরেসান করা ।কেউ কেউ আবার নিজেরাই তাদের কবরের উপরে ছোটখাটো পিরামিডও বানিয়ে নিতো । উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক লেবারের কবরের উপরে একটা পিরামিড।
দুই দিকে পাহাড়ের ঢালু এবং মরুভূমির মাঝখানে বিছিন্ন ভাবে নিরিবিলি স্থানে তাদের লোকালয়। প্রত্যেকটি বাড়ি একটির সাথে আর একটি ঠাসা ঠাসি ভাবে লাগোয়া। কারন ছিল স্থান সংকুলান। প্রত্যেক বাড়ির সামনের ঘরটি চাইল্ড বার্থের জন্য। কিছুটা ভিতরে বসার ঘর। সিড়ি দিয়ে উপরে ছাদে উঠার ব্যাবস্থা। ছাদে রাতে মানুষ ঘুমাত বা পশু রাখতো । রান্না ঘর ছিল পেছনে।
ধনী বা নোবেল মিশরীয়দের মতো তাদের বেডরুম বা শোবার ঘর ছিলনা। বসার ঘরেই শোবার ব্যাবস্থা থাকতো।একটা বিষয় লক্ষ্য করার মতো প্রত্যেক মিশরীয়দের লোকালয় গড়ে উঠে নদীর পাশে এবং চাষবাসের জমির কাছাকাছি। যার ফলে তারা খাদ্যের জন্য পর নির্ভরশীল ছিলনা।
কিন্তু এই জনপদটি পুরোপুরি রাজা কতৃক রেশনের উপর নির্ভরশীল ছিল।কাজের বদলে সে সময় অর্থ দেয়ার প্রচলন ছিলনা । সে সময় মুদ্রার প্রচলনও হওনি। কাজের মজুরি হিসেবে শস্য দেয়া হতো। কাছাকাছি চাষযোগ্য উর্বর জমি ছিলনা। নদী কাছা কাছি না থাকাতে পানি সরবরাহ কষ্টকর ছিল। কারন তাদের উদ্দেশ্য ছিল রাজাদের সমাধি বানিয়ে দেয়া জমি চাষবাস নয়।
কেমন ছিল তাদের জীবনঃ
টুম্ব তৈরি করার কারিগরদের সবায় ছিল পুরুষ। আর্টিস্ট বা পেইন্টার হিসাবে নারী শ্রমিকের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কবর করার কাজ সেখানে লাগাই থাকতো । একজন শ্রমিক সেখানে টানা ১০ দিন ধরে কাজ করার পর ২ দিন ছুটি পেত । সেখান থেকে যাওয়া আসা সময় লাগত বলে সেখানে করা কুঁড়েঘরে তারা থেকে যেতো। এ থেকে বোঝা যায় এই গ্রামে শুধুমাত্র নারী এবং তাদের ছেলে মেয়েরাই থাকতো। সেখান থেকে পাওয়া এভিডেন্স থেকে জানা যায় প্রতিবেশীদের সাথে তারা বাকি থাকা অতিরিক্ত স্যানডেল ,খেলনা, বাস্কেট কিংবা পেনন্টিং যাদের দরকার তারাকে দিয়ে তার বদলে গম নিয়ে ব্যাবসা করতো । একজন শ্রমিক এক বস্তা শস্য বা বিয়ারের বদলে প্রতিবেশীর ছাদ বা বাড়ি বানিয়ে দিত। এইসব থেকে বোঝা যায় তারা একে অপরকে সাহায্য করতো এবং মিলে মিশে থাকতো।একটা এভিড্যান্স থেকে জানা যায় সুপারভাইজার লিখিত রেকর্ড রাখতো কতজন শ্রমিক কোথায় কাজ করছে ,কার ছুটি পাওনা , কাকে কি টুলস সাপ্লায় দিতে হবে এইসবের।
সব কমুইনিটিতে কিছু খারাপ লোক থাকে । ডিজঅনেষ্ট,চোর সেখানেও ছিল । ঠিক মতো মজুরি না পাওয়াটে স্ট্রাইক করার প্রমাণ মিলেছে । এখানে পাওয়া প্রমাণ থেকে জানা যায় অনেক দিন পর্যন্ত এখানে বসবাস কারি মানুষজন সবকিছুই রক্ষা করে ভালোমতোই চলেছিল।
এই সমস্ত সমস্যার সমাধান সাধারণত নিজ গ্রামেই নিজেরাই করে নিত। যেহেতু একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে তাদেরকে সেখানে স্থান দেয়া হয়েছে তাই দেবতা মা- আট কে খুশি করার জন্য তারা তাই করতো। সেখানে পাওয়া একটি লিখিত ডকুমেন্টে দেখা যায় ‘এম্যান প্যানুকার’ নামক একজন ওয়ার্কার তার নিজের দোষ স্বীকার করছে কারন সে তার কিছু সঙ্গী নিয়ে ফ্যারো Sobekemsae III টুম্ব থেকে ধনরত্ন চুরি করে পালিয়ে গিয়েছিল। তারপরে সে ধরা পড়ে তাকে এরেস্ট করা হয় কিন্তু সে চুরি করা ধনরত্ন থেকে কিছু দামি জিনিস একজন অফিসিয়াল কে ব্রাইব দিয়ে পুনরায় তার কাজ ফিরে পায়।
যার নাম ‘বুটা হামিন’ । যে কিনা চুরির সাথে জড়িত ছিল । কিন্তু তিনি একটা কাজ করে গিয়েছিলেন ,সেটা হল সমস্ত ফ্যারো এবং তাদের রানীদের মমি তাদের কবর থেকে সরিয়ে পুনরায় আর একটি গোপন টানেলে লুকিয়ে রেখেছিলেন ।যাতে আর তাদের অসন্মান না হয় এবং নির্বিঘ্নে তারা পরবর্তী গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।
আর সে স্থানটি হল হ্যাটসসেপসুটের মরচুয়ারি টাম্পেল ‘দিয়ার আল মদিনার’ পেছনে। স্থানটি সত্যি এতই গোপনীয় স্থান ছিল যা মাত্র কিছুদিন আগে বেরিয়ে আসে।সেখানে তার নাম এবং সরানোর ব্যাপারটি লিখা ছিল। একটা লিখিত এভিডেন্সে দেখা যায় সে রাস্তা পেয়ে গেছে কি ভাবে আবার চুরি করার কাজ চালিয়ে যেতে পারবে।তাই সে এই চুরির কাজ চালিয়ে যেতে থাকে।
তাদের স্ট্রাইক নিউ কিংডম ভেঙ্গে পড়ার সাক্ষী বহন করে। সেন্ট্রাল গভরনমেনট সেটা কন্ট্রোল করতে পারেনি। তাই দেখা যায় যে পরিকল্পনা নিয়ে এই ভিলেজ গড়ে উঠেছিল তা আর কার্জকরি হচ্ছেনা। যে বিশ্বাস নিয়ে তাদেরকে সেখানে রাখা হয়েছিল সে বিশ্বাস নষ্ট করে তারা নিজেরাই চোরে পরিণত হয়। ঘুষ দিয়ে শাস্তি থেকে রক্ষা পায়। দুর্নীতি এবং বুরেক্রেসি বেড়ে যায়। যার ফলে লেবার তাদের ন্যায্য মজুরী থেকে বঞ্চিত হয়। ভ্যালি অব দি কিং পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে।
গ্রামবাসী ‘ডেইর -এল-মেদিনা’ পরিত্যাগ করে থিবসে গমন করে এবং ‘মেডিনেনট হাবু ‘ নামক মন্দিরের কাছে চলে যায়। আর এই গ্রামটি বালু দিয়ে ঢাকা পড়ে।
সাধারণ মানুষ, যারা আরকেওলজিসট নয়, তারা তাদের চোখ দিয়ে হাজার হাজার বছর আগের সভ্যতা দেখতে পায় না । কিন্তু যারা আরকেওলজিসট তাদের মেধা, এন্যালাইসিস ,গবেষণা দিয়ে ঠিকই খুঁজে পায় প্রাচীন সভ্যতার অনেক কিছু ডিটেকটিভের মতো । আরকেওলজিসদের কাজ করতে হয় তাদের ফেলে রাখা পতিত্যক্ত জিনিসপত্র দিয়ে।
এই রয়াল ওয়র্কার ভিলেজে কর্মিদের ফেলে দেয়া জিনিসপত্র,যেমন পটারী, আর্ট ইফেক্ট ,টেম্পেলের দেয়াল চিত্র এবং লেখা, কবরের দেয়ালের লেখা এবং চিত্র, ফেলে রাখা মাটির টুকরাতে হিসেব নিকেশ প্যাপিরাস কাগজে পাওয়া লেখা দেখে আর্কেওলজিস্ট রা অনেক কিছু পেয়েছে যা তাদের জীবন যাত্রা এবং সময়ের অনেক কিছু বলে দায়।
বর্তমানে এই অঞ্চলটি একটি জনপ্রিয় টুরিস্ট আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। যারা এই এলাকায় আসে তারা এই অঞ্চল টি ভিজিট করতে আসে।
এখান দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একজন টুরিস্ট চলে যায় সুদূর অতীতে হাজার হাজার বছর আগে। যেখানে প্রাচীন মিশরীয় ফ্যারোদের ‘কবর প্যালেস’ গড়ার কারিগর বসবাস করতো ।
যখন এটার নাম ছিল ‘ প্লেস অফ ট্রুথ’ ( Place of Trouth) ।
৪টি মন্তব্য
হালিমা আক্তার
খুব মনোযোগ দিয়ে লেখা পড়লাম। আমার মনে হয় সে যুগের মানুষ, বর্তমান সময়ের চেয়ে আধুনিক ছিল। বর্ণনা অনুযায়ী বাড়ি ঘরের অবস্থান তাই বলে। চুরি এবং লুটপাট তখন থেকেই মানুষের মগজে ছিল। চমৎকার বর্ণনা মনে নিজ চোখে দেখে এলাম। শুভ কামনা রইলো।
নার্গিস রশিদ
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
আপনার লেখা পড়ে অনেককিছু জানা হলো। যা আগে জানা ছিলো না।
নার্গিস রশিদ
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। অনেক শুভ কামনা ।