অনুভূতি লিপি

খাদিজাতুল কুবরা ১৮ জুলাই ২০২২, সোমবার, ০৯:৩০:২৮পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১০ মন্তব্য

স্নেহসিক্ত শিশির যখন শিলাবৃষ্টি হয়ে মাথায় পড়ে,

তখন মাথা গোঁজার বৃথাচেষ্টা আশ্রয় খোঁজে  সমুদ্রে সলিল সমাধির তরে। অবোধ্য নিয়তি আজন্ম প্রতারক,

বিধিলিপি পড়তে যখন পারিনি শেষতক যা হয় হউক।

আমি ও আজ থেকে  নির্বাক দর্শক।রাতের জঠরে দুঃখ ভ্রুণ বেড়ে উঠে ঘুম চুষে, নির্ঘুম চোখের জ্বলুনিতে তার কি যায় আসে ? ভোরের সূর্যের হাসিতে সদ্যজাত শিশুর সারল্য!দায়িত্ব যখন মাতৃত্ব সব ভুলে মন হয় প্রফুল্ল!শিশুতোষ জিদে সোনার হরিণ পুষতে চাইবোনা আর।

হোঁচট খেয়ে বারবার, তাকিয়ে দেখি  ভালোবাসার সেই প্রাচীন নুড়িপাথর।

 

নিজের ছায়া বড় হতে হতে যখন অন্ধকারে মিলিয়ে গিয়ে সিসিফাসের সেই পাথরে রুপ নেয়, যাকে দিনভর গড়িয়ে চূড়ায় তোলা বৃথা, গড়িয়ে নামার পুনরাবৃত্তি যার স্বভাব,হয়তো সে-ও নিরুপায়,এ হচ্ছে মধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাব। আঁতুড়ঘরে নরম গালে চুমো খেয়ে যাকে ভালোবেসে তিলতিল করে বড় করা হয় সে-ও একদিন আরেক সিসিফাস তৈরি হয়। হয়তো দুনিয়াটাই সিসিফাস তৈরির কারখানা। জীবনের অপর পৃষ্ঠা হচ্ছে অসারতা। বিলীন হওয়াই যার চুড়ান্ত। গ্রীক পৌরাণের সিসিফাস মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়েছিল জীবনকে ভালোবেসে। নিশ্চয়ই সুন্দর ছিল তাঁর একান্ত পৃথিবী! হতে পারে তাঁর চরিত্রের তকমা স্বার্থপর। কেন নয়? কেন কেউ মৃত্যুকে রুখে দিতে চাইতে পারেনা যদি তার থাকে আত্মার পরমাত্মীয়?দু-চোখ ভরা থাকে জয়ের আনন্দ!  কেন কেউ মৃত্যুকে বরণ করতে পারেনা যদি তার শ্বাসতন্ত্র বেঈমানী করে প্রতিনিয়ত? আজ এই বিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে বলতে চাই সিসিফাস হওয়া ভালো, তা-ও  নার্সিসাস নয় ।

 

আজকালকার স্থাপনা শিল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে চোখ ধাঁধানো বাহারি কাঁচ, মানুষের মুখে ও ফ্যাশনেবল হরেকরকম মুখোশ। যতক্ষণ দূরে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, ততক্ষণ শোভা ছড়ায়।ভেদ করে গূঢ় সত্যি জানলেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে।শাব্দিক না বুঝেই  ভাবের তরঙ্গ খোঁজে লোক। বস্তুবাদে ছেয়ে গেছে পৃথিবী,ভাববাদ তাই উহ্যই থাকুক।

0 Shares

১০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ