
ছোরা হাতে, খাঁ-খাঁ সময় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে,
নগ্ন-দৃপ্ত আভিজাত্যে;
কোন সুকুমারী-বুক এগিয়ে আসেনি
একটু উষ্ণতার ছায়া দেবে বলে,
আসেনি অপরূপ বাণীর মায়া-কান্না/কুমির-কান্না নিয়ে,
কাঁপুনি-জ্বরের কাঁথাখানি সজোরে টেনে নিয়েছে
বিলোল কটাক্ষের মেকি আপ্লুত গুণগানে।
বিষণ্ণের মরু প্রান্তরে হন্যে হয়েছি,
ছোরার ভয়ে, ভিসা নিয়ে কেউ আসেনি,
নৌকা-শরণার্থীর আকুল কান্না কেউ শোনেনি;
শুনেছিল এক ডাইনি-রানী!
আমি তার করতলগত এখন, একান্ত গোপন কুঠুরিতে;
অনামুখো সময়, আজ উন্মুক্ত প্রান্তরে ঐ দাঁড়িয়ে
নিজেকে নিজে চিরে/ছিঁড়ে, বিঁধবে/বেঁধাবে বলে!
অনীশ বিষাদে, কা কস্য পরিবেদনায়;
৩২টি মন্তব্য
ইকবাল কবীর
ভালো লিখেছেন। শুভকামনা জানবেন।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ আপনাকে।
তৌহিদ
মহারাজ কি খরায় পুড়ছেন? ডাইনীরা একরমই, মায়া দয়া কিচ্ছু নেই।
ছাইরাছ হেলাল
না পড়লে এই-ই হয়।
“শুনেছিল এক ডাইনি-রানী!
আমি তার করতলগত এখন, একান্ত গোপন কুঠুরিতে;”
খরা হতে যাবে কোন দুঃখে! ডাইনি সহযোগ দেখতে পাচ্ছেন না!
তৌহিদ
আরে তাইতো! আপনার ডাইনীকে আমার ডাইনীর মত একপেশে হৃদয়হীনা মনে করেছিলাম। আপনার ডাইনিটাই ভালো।
ছাইরাছ হেলাল
খুবই মনোহর-মনোরম সে!
কামাল উদ্দিন
হয় ছোড়া বিদ্ধ হও, নয় মাতৃভুমি ছেড়ে হারিয়ে যাও অনিশ্চিৎ ভবিষ্যতের দিকে। বড় রাক্ষসেরাও ডাইনি রাণীরই ভক্ত। (কতটা বুঝে মন্তব্য করলাম বুঝে উঠতে পারলাম না 🙁 )
ছাইরাছ হেলাল
হা হা হা, চালিয়ে যান, আপনার জন্য আমার মাঠ উন্মুক্ত।
আর একটু সামান্য মন দিয়ে পড়তে হবে, ব্যাপার না কোন।
কামাল উদ্দিন
মন তো মনে থাকে না ভাই, খালি আনমনা হয়ে যাই 😀
ছাইরাছ হেলাল
ভাগ্যবানদের মনই আনমনা হয়!
কামাল উদ্দিন
তাহলে আমার ভাগ্যও কি আপনার মতোই খুলে যাচ্ছে হেলাল ভাই?
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত কঠিন প্রশ্ন করা ঠিক না ঠিক না!
সুপায়ন বড়ুয়া
“ছোরা হাতে, খাঁ-খাঁ সময় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে,
নগ্ন-দৃপ্ত আভিজাত্যে;
কোন সুকুমারী-বুক এগিয়ে আসেনি
একটু উষ্ণতার ছায়া দেবে বলে,”
কঠিন সময়ে কেউ এগিয়ে আসেনা বন্ধু
সুকুমারীতো দুরের কথা।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক বলেছেন, কঠিন সময় কেউ এগিয়ে আসে না,
তবে এখানে এক ডাইনি-রানী এগিয়ে এসেছে!!
ভাল থাকুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বিপদে পড়লে কেউ কারো নয়, সে কুমারী হোক আর সুকুমারী হোক, পুরুষ হোক আর সুপুরুষ হোক। ভালো লেগেছে। ভালো থাকুন সবসময়
ছাইরাছ হেলাল
এমন কঠিন করে বলবেন না যেন!
আসে আসে, ডাইনি এসেছে কিন্তু!
সুপর্ণা ফাল্গুনী
🙄🙄🙄🙄🙄
ছাইরাছ হেলাল
এত্তগুলো কী, কী!!!!
ইসিয়াক
ছোরা হাতে, খাঁ-খাঁ সময় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে,
নগ্ন-দৃপ্ত আভিজাত্যে;
কোন সুকুমারী-বুক এগিয়ে আসেনি
একটু উষ্ণতার ছায়া দেবে বলে,
আসেনি অপরূপ বাণীর মায়া-কান্না/কুমির-কান্না নিয়ে,
কাঁপুনি-জ্বরের কাঁথাখানি সজোরে টেনে নিয়েছে
বিলোল কটাক্ষের মেকি আপ্লুত গুণগানে।
খুব ভালো লিখেছেন ভাইয়া্ শুভকামনা জানবেন।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
ফয়জুল মহী
বাহ্ খুব ভালো লাগলো ll
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা আচ্ছা, আপনাকেও ধন্যবাদ।
দেবজ্যোতি কাজল
ভাল লিখেছেন
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ দিচ্ছি।
সুরাইয়া পারভীন
অসময়ে কেউ কারো জন্য বুক পেতে দেয় না
আর যারা দেয় তারা কখনো ডাইনী রানী হয় না
দারুণ লিখেছেন ভাইয়া
ছাইরাছ হেলাল
আপনি একদম ঠিক বলেছেন।
আর ডাইনি সখ্যতা নিয়ে আমার অনেক লেখা আছে।
অনেক ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
ডাইনি-রানীর করতলগত এখন!
ভয়ের কথা তো,
ছাইরাছ হেলাল
আরে নাহ্, ভয়ের কিচ্ছুটি নেই।
শান্ত চৌধুরী
বিষণ্ণের মরু প্রান্তরে হন্যে হয়েছি,
ছোরার ভয়ে, ভিসা নিয়ে কেউ আসেনি,
নৌকা-শরণার্থীর আকুল কান্না কেউ শোনেনি;
সুন্দর ভাবনা ….
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
মোঃ মিজানুর রহমান সুমন
আপনার লেখা গুলো অসাধারন দাদা, মাঝে মাঝে মন্তব্যের ভাষা হারিয়ে ফেলি
ছাইরাছ হেলাল
ভাষা পুরো হারালে হবে না,
আমার জন্য সামান্য হলেও রাখতে হবে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।