অনন্তের যাত্রা

ছাইরাছ হেলাল ২৪ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার, ০৮:৪৪:৩৭পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২৬ মন্তব্য

দুর্যোগ-রাতের এই রাত-বিরাতে
সদা-বন্ধ দরজার ওপাশে কে দাঁড়ায়ে! কে তুমি!
ক্ষণে ক্ষণে কড়া নেড়ে নীরবে ডেকে যাও!
কী-ই বা চাও!!

অশরীরী সেজে ভয় দেখাতে চাও!
হে মহান! দগ্ধ-দহন-যন্ত্রণার কামরূপ-শয়তান!
দেখাও; যত যত চাও;
সকাল-সুন্দরী রাত-প্রেতিনির বেশে!
অলীক কোন ভালোবাসার-ঢংয়ের-ভড়ং দেখাতে চাও!
যদি-না ভয়হীন চাদরে ঢেকে দাও;
ভয় তো পেতেই চাই, পাই-ও;
ভয়হীন মুক্তি-মৃত্যু! তাও চাই;

নাহ্‌, এখানে নেই কোন ক্রৌঞ্চ ক্রৌঞ্চীর সুগভীর প্রণয় মেলা
ব্যাধের বেশে তীর ছুড়ে বুকের মাঝে এফোঁড়-ওফোঁড় করে
বুনে ফেলবে কোন মহা-কাব্য-কলা;

সেরে ফেল দ্রুত, অতি দ্রুত, এই নেও তীক্ষ্ণ ধার ছুড়ি,
তুলে নাও হৃদপিণ্ড নিঃশব্দ শোণিতে
ব্রহ্মতালুতে নখর বিঁধিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে খাও তাজা মগজ,
এই খুলে দিলাম হাট করে হৃদ-দরজা;

হাসির নহর বইয়ে আধ-গাওয়া গান, সু-মলিন ফুলের পাপড়ি
পথে পথে ছড়িয়ে পালিয়ে গেলে! গিয়েছ যেমন আগেও!
ওহে ডাইনী বুড়ি! তাও এসো আবার, ফি বার এসেছো যেমন
শ্মশান মাড়িয়ে!

কোজাগরীর এই পূর্ণিমায়! কে কে!
ডাকিনী বিদ্যা শেখাবে!
ডাইনী-রানী-সখ্যতার আনকাট স্বীকারোক্তি
এখানেই উন্মুক্ত করে রেখেছি অজস্র কথকতায়
সে কবেই (পড়ে নিও সময় করে)!
ভাগ এবার এ-বেলায়, দেখা হবে সেখানেই;

উহ্‌! আবার কে!!
মেহের আলী (ক্ষুধিত পাষাণ)!!
তোমাকে-ই খুঁজছি; তুমি-ই ঠিকঠাক বলেছে
সব-ই ঝুটা, সত্যি সত্যি;

কে কড়া নাড়ে এই নব-জ্যোৎস্না-প্রহরের স্বপ্ন-দিগন্তে!
পুণ্যাত্মা!! মহান দেবদূত!
বিধাতার চিঠি! ক্ষাণিক ফিরে যেতে হবে উৎস মূলে!!
এত্ত দেরিতে কেন এলে, একান্ত প্রতীক্ষায় (অনন্ত কাল)অধির আগ্রহে!

ডানা ঝাপটে ছুটছে এবার বোরাক।

এলে তাহলে! মরণ-দেব!
আর কোন দেরি নয়!! চল চল ফিরে যাই
সৃষ্টি-আনন্দের-উৎস-মূলে, ছিলাম যেখানে
সেই শুরুর আনন্দধামে।

0 Shares

২৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ