অতৃপ্ত জীবন…ভালবাসা০২(২য়)

মনির হোসেন মমি ২৩ অক্টোবর ২০১৩, বুধবার, ০৮:৪৪:১০অপরাহ্ন বিবিধ ৮ মন্তব্য

খালত ভাই জামসেদকে ম্যানেজ করে সাথে নিয়ে চলে গেলাম সোনার গাঁ যাদুঘরে।বিশাল যায়গা,প্রকৃতির এক মিলন মেলা পাখিদের কেচামেচিতে মনে প্রশান্তি ছুয়ে যায়।যাদু ঘরে রাখা গ্রাম বাংলার দৈনন্দিক কাজ কর্মের বাস্কর্য্যগুলো মনে করিয়ে দেয় কবি জসীম উদ্দিনের রূপসী বাংলাকে।একে বেকে বহমান খাল গুলো যেন এক একটি গ্রামের ছোট ছোট নদী।আমাদের ছোট নদী চলে বাকে বাকে।বৈশাখ মাসে তার হাটু জল থাকে।কবির কবিতায় আকাঁ যেন সেখানকার ছোট ছোট খালগুলো।যাদু ঘরে ঘুড়তে ঘুড়তে দেখা হয় তার সাথে।ছলনার সূরে বলি...

-কেমন আছ?

-ভালো। আপনি এখানে?ভালই হলো আমাদের সাথে কোন পূরুষ নেই আপনারা সাথে থাকলে ভালো হয়।মনে মনে বললাম আমিওতো তা চাই।তবে মনটি খারাপ পকেটে পয়সার জোড় কম বলে।যা কিছু করব নির্ভর করতে হবে কাজিনের উপর।ওদের নিয়ে গেলাম পার্কে সেখানে এক কোনায় দাড়িয়ে ওরা চটপটি খাচ্ছে-আমি এই সুযোগে বিউটির সাথে কথা বলার ব্যার্থ চেষ্টা চালাচ্ছি।কি বলব কি করব বুঝে উঠতে পারছিনা।মেয়েটিও ছটফট করছে কিছু বলতে....

-কি এখানে এভাবে চুপচাপ দাড়িয়ে থাকবেন নাকি কিছু বলবেন।

-আমি...আমি কি বলব।আমারতো বলার কিছু নেই।মেয়েটি যেন রাগে অগ্নিশর্মা।

-নিন তাহলে দাড়িয়ে দাড়িয়ে বুট চাবান তাতে দাত মূখ সবই ব্যাথা হবে।আমি মাথা নাড়িয়ে ওর হাত হতে কয়টা বুট নিয়ে একটি একটি করে চাবাচ্ছি আর কুট কুট শব্দ হচ্ছে।ঐ দিকে প্রানপ্রিয় বেকুল হয়ে আছে আমার মুখে কিছু শুনবে বলে।কিন্তু কি বলব শুধু ভালবাসি নাকি অন্যকিছু।ধ্যাত ভাললাগেনা...এমন সময় পাশ দিয়ে এক চা বিক্রেতা এসে কেবল এই চা এই চা বলে।বিরক্তির ভাব নিয়ে ধমকে দিলাম চা বিক্রেতাকে।আমার এমন ব্যাবহারে মেয়েটি মুচকি হাসল।

-কি ব্যাপার তুমি হাসছ...সালার বেটার খেয়ে দেয়ে আর কাজ নেই সারাক্ষন কেবল চা ..চা বলে চিললায়।

-চা...চা  তার কাজইতো এটা।আমি যেন নিজেকে ফিরে পেলাম।

-অ..তাইতো!দুজনেই হেসে দিলাম।সেদিন কথা হয়েছিল ঐপর্যন্তই।এদিকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে আসছে।বাড়ী যাবার সময় হয়ে এলো।

সকালে খুম থেকে উঠে দাত ব্রাস করতে করতে গেলাম কল পাড়ে।কল পাড় থেকে মেয়েটি দেখা সহজ।কারন দুই বাড়ীর এই একটি চাপকল।অনেকক্ষন ধরে দাত ব্রাস করছি দাতের মাড়ি-মুড়ি ছিল্লা গেছে কিন্তু মেয়েটির দেখা পাচ্ছিনা।এমন সময় মেয়েটির ফুপি আমার কাছাকাছি এসে বেশ কিছু প্রশ্ন করে।

-তুমি গতকাল কি সোনার গায়েঁ গিয়েছিলে? স্বাভাবিক ভঙ্গিতে উত্তর দিলাম..

..না তো,,,কে বল্ল আপনাকে?

-যে ই  বলুক কথা সত্যি কিনা?

-না,,,,একটু এড়িয়ে বল্লাম।

মেয়েটির ফুপি চলে যায়।রাগে শরীর ফেটে পড়ছে।কে বল্ল ভেবে পাচ্ছিনা।সকালের নাস্তা খাবারের জন্য মা ডাকা ডাকি করছে।আমার ভিতরে বিরহের আগুন জ্বলছে কিসের খাওয়া দাওয়া।না খেয়েই বেরিয়ে পড়লাম আজ দুপুরে দলীয় থানা কাউন্সল আছে।১৯৯৩ জিশিস এর থানা পর্যায় কমিটি গঠন।এলাকা থেকে এক ট্রাক ভরে লোক নিয়ে ২নম্ভর গোদনাইলে পৌছলাম।সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মূলদল বি,এন,পির সভাপতি কামাল ভাইয়ের সভাপতিত্ত্বে সভা শুরু হয় দুপুর ২ টা থেকে।এম এ হাই রাজু,প্রয়াত মূলদলের সঃসন্পাদক গাজী ঈসমাইল,একে একে মঞ্চে ভক্তিতা দেন।ভক্তিতা শেষে সভার সভাপতির ভক্তিতার পর আমাকে সাংগঠনিক সন্পাদক,সিদ্দিককে সাঃসন্পাদক,এবং গোদনাইলের তিতাস নামক এক মেয়েকে সভাপতি করে ৩১ জনের থানা জিসিস এর একটি নতুন কমিটির নাম ঘোষনা করা হয়।অনেক অনন্দের মাঝে ভালবাসার নীলাভা মনকে যেন বিরহে বেধে রাখে।মঞ্চে ভক্তিতায় তেমন কিছুই বলতে পারিনি শুধু ধন্যবাদ দিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে  যাই।অন্য সময়ে যেখানে ভক্তিতায় ঘন্টার পর ঘন্টা চলে যেত সেখানে আজ যেন নির্বাক।সাথের সাথীরা কিছুটা বুঝতে পারলেও ,মন ভাল নেই এইটুকুই জানে........Continue

 

 

 

0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ