দাসত্বের শৃঙ্খলে বন্দি হতে হতে
সিঁড়ির ফাঁদে আঁটকে থেকে আগুনে ঝলসে
অঙ্গার হয়ে যাওয়া-ই হয়তো ওদের নিয়তি,
পুড়ছে যেমন ওরা আগেও, পুড়বে আরও;
দূরে থেকে দূর থেকে অক্ষম আক্ষেপের
আহাজারি, এটুকুই শুধু অবুঝ মনের প্রবোধ;
থেকে থেকে আস্ফালন, আমি তো আগুন লাগাই-নি………
শুধু তালা আঁটকে আর ছন্নছাড়া অগ্নিনির্বাপকতা বাদ থেকেছে!
যদিও এখন ঝুলছে দুঃখের বানী!! গ্রেফতারের পর!
থলের বেড়াল উঁকি দিচ্ছে, ভবন নির্মাণে নাকি মানা হয়নি
যথাবিহিত নানা কিছু, কথা তো সেটি নয়,
এতদিন কোথায় কোন গর্তে ছিলেন এসব দেখভালের কর্তারা
সেজান জুস খেতে খেতে!!
সুনসান হয়ে যাবে সহসাই, হয়েছে যেমন তানজারিনের আগুন।
শুধুই অপেক্ষা সামান্য দিন গুজরানের।
প্রায় এক কুড়ি অগ্নিনির্বাপকের রাতভর হাঁসফাঁস-হুঙ্কার
উপেক্ষা করে বেড়িয়ে এসেছে বস্তা বস্তা মানব-কয়লা!!
বিপর্যস্ত প্রত্যাশার শেষ প্রান্তে এসে অক্ষম সান্ত্বনার
কথাটুকু জানাতে পারি দীর্ঘতম নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে।
এসো, আগাম সহানুভূতি জানাই ওদের,
যারা অঙ্গার হবে বলে অপেক্ষায় আছে/থাকবে।
ছবি নেটের।
২৬টি মন্তব্য
নাসির সারওয়ার
আমরা আছি এবং থাকবো। শুধু দেখে যাব। মাঝে মাঝে একটু আধটু উস্পাফলন, এইতো! অর্থ বৈভবের কাছে মানবিকতার হার। আহা, যদি কিছু করতে পারতাম!
কত সুন্দর প্রতিবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
কবি সাহেবের দেখা পাওয়া তো ভাগ্যের ব্যাপার, এ লেখাটি ফকফকে হয়ে গেল!
মাঝে-মধ্যে ফাঁকে-ফুঁকে এমন করে খেলে দিলে (মন্তব্যে) অশেষ নেকি দু’পক্ষের- ই হাসিল হবে।
আমরা শুধুই দেখে যাব, নপুংসকের চোখ মেলে, যেমন দেখে আসছি সারাক্ষণ।
সুন্দর আর দ্যাহাইতে পারলাম কৈ!! আর দ্যাহেই বা কেডা!!
ভাল থাকুন, গর্তজীবীর বেশে।
সুরাইয়া পারভীন
অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। গরীব হয়ে জন্মানো যেনো কাল হয়ে অকালে কেড়ে নিলো কতগুলো তরতাজা প্রাণ। আমরা শুধু দর্শক হয়ে দেখেই গেলাম কতশত মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ। দেখা ছাড়া তো আর কিছুই নেই করার😰😰
মহান রাব্বুল আলামীন সবাইকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন।
ছাইরাছ হেলাল
খুবই অসহায় বোধ করি এসব দেখে দেখে,
আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন এই প্রার্থনাটুকুই সম্বল
আপনিও ভাল থাকুন।
আরজু মুক্তা
গরীবের একটাই চাওয়া, ‘ পারলে আমার বাবার হাড্ডি খুঁজে এনে দেন। ”
এরপর তারা টাকার পাহাড় বানাবে ওদের সান্ত্বনার বাণী দিয়ে। ততক্ষণে হাড় শুকিয়ে ওদের জমির সার হবে।
ধিক পশুদের!
ছাইরাছ হেলাল
এমন আহাজারিতে পৃথিবী কেঁপে ওঠার কথা, কিন্তু সব কিছুই স্বাভাবিক হয়ে গেল বলে।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোক এ কামনা করি।
ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
এই নির্মম হত্যাকন্ডের কোন সুরাহা হবে না, এই অসহায় মানুষের কান্নার শেষ হবে না। না হবে বিচার শুধুই কেঁদে যাবে অবুঝ অসহায় গরীব দুখী মানুষ এটাই হইতো অসহায়ের পাওয়া।
ছাইরাছ হেলাল
যেমন চলছে তেমন ই চলবে, এটি-ই নিয়ম এখনকার সময়ে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনিও ভালো থাকুন প্রিয়
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।
রোকসানা খন্দকার রুকু
একের পর এক এমন আহাজারী হয়। আমরাও দেখি। আমাদেরও কোন ভাই, বোন, বন্ধু হতে পারে এর শিকার কোনএকদিন। প্রতিবাদ, প্রতিকার কোনটাই নেই।
অত্যন্ত দুখ্খজনক।
ছাইরাছ হেলাল
যিনি পড়ে গেলেন তো গেলেন, তার পরিবারের অসহনীয় দুখ-বেদনা,
সেটি তাঁরা বয়েই বেড়াবেন, এটাই যেন নিয়তি।
ভাল থাকবেন আপনি।
মনির হোসেন মমি
ঠাকুর ঘরে আমি কে এর অবস্থা।এখন সবাই সব কিছুতে টনক নড়ছে ঘটনার পূর্বে কিংবা পূর্ববতী ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনাগুলোর যদি বিচার হতো কঠিততম নীতিগুলো বাস্তবায়ন তদারকি হতো তাহলে বার বার এসব করুণদৃশ্য দেখাটা কমে যেত।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন নজরদারির কোন ব্যবস্থাই নেই। দিন দুই হৈ চৈ হয়ে সব আবার
স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এটাই নিয়তি।
ভাল থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
দুর্ঘটনা ঘটলেই সব দোষ প্রকাশ পায়,
বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন নিয়মের ব্যত্যয় নিয়ে হাজির হয়।
সাংবাদিকরা হুমড়ি খেয়ে পরে,
অথচ আগে তাঁদের টিকিটিও দেখা যায় না।
এভাবেই চলছে দেশ,
চলবেও…
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক বলেছেন, এ ভাবেই চলছে, চলবে ও।
ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
এখানে দোষ সরকারের ফায়ার সার্ভিস টাকা খেয়ে পরিক্ষা করে না আবার প্রজেক্ট ভিসিট করে না। কিন্তু সরকারের বেতন নেয়, ঘুষ নেয়, আবার বেসরকার্যী প্রজেক্ট ভিসিট করতে গিয়েও যাওয়া আসার ভাড়া /গাড়ি ভাড়া চাই। এদের বিচার কি সরকার করতে পারবে? এদের শাস্তি কে দেবে?
ছাইরাছ হেলাল
আপনার প্রশ্নের উত্তর জানা নেই, এভাবেই চলছে চলবে।
ভাল থাকুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এইযে সাংবাদিকরা এখন থলের বেড়াল একটার পর একটা বের করছে , দূর্ঘটনা ঘটার আগে কোনোকিছুই তাদের সংবাদে আসবে না, জমা রেখে দেবে দূর্ঘটনার জন্য। পুড়ে যারা অঙ্গার হলো তাদের মৃত্যু যন্ত্রণাটা ভাবলে গা শিউরে ওঠে।
ছাইরাছ হেলাল
সাংবাদিক কোন বিষয় না, তাড়া তো হুকুম মাফিক কাজ করে।
হারানোরাই ক্ষত বহন করে/করবে।
ভাল থাকবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
আগাম সহানুভূতি জানিয়ে রাখা ছাড়া আর কোন বিকল্প উপায় নেই। কুমিরের কান্নায় অঙ্গার নিভে না, এটা কুমিরদেরও জানা আছে/ থাকে।
পোড়া আত্মাগুলো চিরশান্তির আশ্রয় লাভ করুক, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা শ্রেষ্ঠ বিচারক।
ছাইরাছ হেলাল
শ্রেষ্ঠ বিচারকের রায়ের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই।
ধন্যবাদ।
তৌহিদুল ইসলাম
খুব কষ্ট পেয়েছি এই ঘটনায়। মানুষের জীবন কত তুচ্ছ! নিমিষেই পুড়ে মরে গেলো। দোষীদের শাস্তি হোক এটাই চাই। ফাইলবন্দি রিপোর্ট আর শুনতে চাইনা।
ভালো থাকবেন আপু।
তৌহিদুল ইসলাম
দুঃখিত *ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক আছে, ও কিছু না।
ছাইরাছ হেলাল
আদৌ কি বিচার হবে আমরা জানি না।
হারানোদের শোক চিরস্থায়ী এটুকু শুধু জানি/বুঝি।