সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এই প্রথম নির্মিত হল HEROES of 71 গেমটি । বিজয়ের এই দিনেই এটি গুগল প্লে স্টোরে আনুষ্ঠানিক ভাবে উন্মুক্ত হয়েছে
মাত্র ৮৪ মেগাবাইটের এই গেমটিতে আপনি মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবেন ।
মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলা ভাষা এবং পাকিস্তানীদের উর্দু ভাষা দিয়ে গেমটি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে
সবাইকে অনুরোধ করবো আপনারা গেমটি google play store থেকে অবশ্যই ডাউনলোড করবেন এবং একটি ভাল রেটিং দিবেন ,এতে এই ধরনের গেম নির্মাতারা আরও অনেক উৎসাহিত হবেন ।
প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে
আপনারা ইচ্ছা করলে ইউটিউবে গেমটির টেইলার দেখে নিতে পারেন ।
ইউটিউবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন
গেইমটির গল্প: ”মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে গেম ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৯৭১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ২টা ১৫ মিনিট। বরিশালের শনিরচর গ্রাম, যা মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরের অধীন। পাঁচজনের কমান্ডো দলের প্রত্যেকের মুখে কালো কালি মাখা। দুজনের হাতে লাইট মেশিনগান, একজনের হাতে একটা হেভি মেশিনগান, আর বাকি দুজনের কাছে স্ট্যান্ডার্ড ইস্যু রাইফেল। প্রত্যেকের বেল্টেই তিনটি করে গ্রেনেড। গ্রেনেড দামি জিনিস, তাই সাবধানে খরচ করতে হয়। নেহাত দায়ে না পড়লে ব্যবহার করার অনুমতি নেই। কবির, বদি, সজল, তাপস আর শামসু কমান্ডো বাহিনীর পাঁচজনের নাম হলেও মিশনে এক অন্যকে স্পেসিফিক কল সাইন ধরে ডাকতে হয়। কমান্ডো লিডার শামসু, তার নামেই বাহিনীর লোকমুখে নাম শামসু বাহিনী। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার শামসুল আলম, সাধারণ শ্রমিক কবির মিয়া, মেডিকেল শিক্ষার্থী তাপস মৈত্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজল ওরফে মাহবুব চৌধুরী, ইস্ট পাকিস্তান ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী বদিউজ্জামান ওরফে বদি। মধুমতীর পাশে শনিরচর গ্রামে একটা স্কুলে থাকা পাকিস্তানি আর্মির ক্যাম্প তাদের দখল করে নিতে হবে।”
যাতে বরিশালে মুক্তিবাহিনীর পেনিট্রেট করার পথ পরিষ্কার হয়ে যায়। ফলে ডাক পড়েছে ‘শামসু বাহিনীর’।
সবাইকে আবারও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ।
ভাল থাকবেন সবাই ।
৫টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
যদিও আমি গেম খেলিনা ,তারপরেও যেহেতু এটি মুক্তিযুদ্ধের উপর করা
দেখবো এটি।
আমার দুই ছেলেকে দেবো এটি– তাঁদের ভালো লাগবে আশাকরি।
ধন্যবাদ এমন পোষ্ট দেয়ার জন্য।
দীপংকর চন্দ
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক যে কোন গঠনমূলক কাজের প্রতি সমর্থন থাকছে।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
বিজয়ের শুভেচ্ছা।
অপার্থিব
গেইম খেলা ছেড়ে দিয়েছি বহু দিন হল। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক হওয়ায় এই গেইম টার প্রতি আগ্রহ বোধ করছি। ডেভেলপারদের নাম পোষ্টে উল্লেখ করা উচিত ছিল।
শুভ মালাকার
অবশ্যই এই গেইমটি খেলব এবং আমার আরোও কয়েক জন বন্ধুকে প্রেশনা দিব যাতে তারা এই গেইম টি খেলে!
ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
গেইম সাপোর্ট করিনা। কিন্তু ছেলেকে দেবো। ও জানবে আরোও।
ধন্যবাদ এমন পোষ্টের জন্যে।