এই পাহাড়, প্রিয় আমার,
শোন,
আর কতটা খুন বইয়ে দিলে শান্ত হবে?
আর কতটা মানুষ জ্যান্ত পুতে ফেলে শান্তি পাবে?
আর কতটা গৃহ-হারার ক্রমাগত আর্তনাদ শুনতে থাকবে?
আর কতটা শিশুর চিৎকারে বিকারহীন থাকবে?
জানি-তো সংগত কারণেই রেগে আছ, থাকবে-ও,
তাও বলি, মনে রেখ,
ঝর্ণা-জলে উদ্দাম উদোম স্নান শেষে, ক্লান্ত শরীরে,
অধরা-স্বপ্ন-অনুপ্রবেশের মত মিষ্টি-মিষ্টি মায়ায়-মায়ায়
দুর্বিনীত ইচ্ছে-ডানার নিভৃত ভালোবাসায়,
নির্মীলিত চোখে, গলা-জড়িয়ে, সুগন্ধি-কলা আর বুনো-আনারস খাব-ই;
তবে, দুধ না!!
১০টি মন্তব্য
মিষ্টি জিন
আসলেও পাহাড় রেগেছে বলেই এত দূর্ঘটনা ঘটছে।
পাহাড় কেটে ফেলা হচ্ছে , পাহাড় তার সৌন্দর্য , নিজস্ব স্বকীয়তা হারাচ্ছে। তাই তো তার এত রাগ
আনারস খান সমস্যা নাই তবে দুধের সাথে না খাওয়াই ভাল।
ছাইরাছ হেলাল
প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ সে মেনে নেয় না,
খানাপিনা নিয়মনীতি মেনেই করা উচিৎ!!
প্রথমের ধন্যবাদ আপনি-ই পাচ্ছেন নিজ গুণে।
নীহারিকা
পাহাড়কে রাগাতে নেই। তবুও যদি আমরা বুঝতাম!
ছাইরাছ হেলাল
না না, মোটেই রাগানো যাবে না, ঠিক-ও না,
বুঝি আমরা ঠিকই, একটু দেরিতে।
মৌনতা রিতু
প্রকৃতি শূঙ্খলা মানে, শৃঙ্খল না। এ কথা বরাবরই সত্যি। পাহাড়ের পাদদেশে কোনো বসতিই রাখা উচিৎ না।
এখন উপায় এমন সব গাছ লাগানো যার শিকড় খুব গভীরে যায়।
আসলে মানুষ খুবই অদ্ভুদ প্রাণী। বেঁচে থাকতে চায়, চায় টিকে থাকতে কিন্তু তার কোনো নিয়মই মানে না।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই শৃঙ্খলিত করা যাবে না, যায়-ও না,
রসে-বশে ম্যানেজ করতে হবে, যা আমরা ভুলেই যাই,
শেষ বিপর্যয় ডেকে আনি।
প্রকৃতিও আমাদের নিয়েই বাঁচে, বাঁচতে চায় বলেই রেগে দিয়ে তছনছ করে;
জিসান শা ইকরাম
কত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলেন পাহাড়ের ক্রোধকে,
তবে শেষের সাথে প্রথমের যোগসূত্রটা বুঝিয়ে দিলে ভাল হৈত 🙂
ছাইরাছ হেলাল
প্রকৃতিকে নিগূঢ়-নিপুন-উষ্ণভাবে একান্তে আকান্ত-ভাবে ভালবাসতে হবে।
শুন্য শুন্যালয়
যে পোড়ায় বেশি, ভালো মোরা তারেই বাসি। বুজ্জেননি মনু?
আনারসের লগে দুধ খালি কিছু হয়না ভাউ, সবই মিছা কতা। ওইসব বিষমিষ আন্নের পেটেত যাই সবই এন্টিভেনম হই যাইবো। ভালো আর ভুলো যাইই বাসেন, পাহাড় কইলাম ভাংবেই।
ছাইরাছ হেলাল
পাহাড়-পুহাড় ভাংগোন যাইবে না, আমরা তাইলে কৈ যামু,
পাহাড় ছাড়া আমাদের জীবন অচল।
আপনই যখন বলছেন সব কিছুই খেয়ে-দেয়ে আপনারে জানামুনে।