সেই আমি, আট আগষ্ট ২০১০
#
স্বপ্নীল চোখে ভাসে শূণ্য উপত্যকা,
ছুটন্ত ঘোড়া...
একাকি ছুটছে...
ছুটছে...
##
চোখ হতে চশমা টেবিল এ রাখতে গিয়ে দুর্ঘটনা। মেঝেতে পড়ে গিয়ে দুই ভাগ।
আমার অনেক প্রিয় চশমা। ২৪ ঘন্টার ১৮ ঘন্টার সাথী। কত দেশ ঘুরেছে আমার সাথে।
কত কিছু পড়েছি, কত প্রিয়জনকে দেখেছি,
আকাশ নদী সাগর গাছ ফুল পাখি ...সব ভুবন ওর মাঝ হতে দেখেছি।
কখন যেন শরীরের একটা অংশ বনে গিয়েছিল।
ওটাই ভেঙ্গে গেল ? আর আমি ওটা চোখে দিতে পারবো না?
জীবনের প্রয়োজনটা অনেক বেশী,
ইচ্ছা অনিচ্ছায় জীবনটা হয়ে যায় বহতা নদী ।
দিনের শেষে নতুন চশমা কিনেছি।
নতুন চশমা চোখে দিয়ে পুরানো চশমার কথা লিখছি।
এই আমি, পাঁচ আগষ্ট ২০১৬
##
মাঝে মাঝে চশমা চোখে দিয়েই ঘুমিয়ে পরি। কাছে কম দেখি বলে ঘুমের মধ্যে একদম কাছের স্বপ্ন যদি দেখতে না পাই চশমা ব্যতীত? এটি অবশ্য কারণ নয় 🙂 কারণ হচ্ছে
অন্তর্জালের সমুদ্রে জাল দিয়ে মৎস শিকার করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পরি জানিনা
( ব্যাক গ্রাউন্ডে......... মৎস মারিব খাইব সুখে বিজ্ঞাপনী গান )। ইমো, ভাইভার, হোয়াটসএপ, মেসেঞ্জার, স্কাইপ, উই চ্যাট, লাইন-বেলাইন এসব আমার মোবাইলে আছে। থাকলেই কি ব্যবহার করতে হবে? ফলের দোকানে ফল বা মিষ্টির দোকানে মিষ্টি থাকে। দোকানদার কি খায়? খেলে দোকানে তো ফল মিষ্টিই থাকতো না। একেই সংযম বলে 🙂
যাই হোক ভোরে ঘুম থেকে জেগে বালিশের পাশে চশমা খুঁজে পাইনা। চশমাকে পাওয়া গেলো পিঠের নীচে। প্রায়ই ইনি পিঠের নীচে রাতে ঘুমায়। শরীরের ওম পছন্দ করে নাকি চশমা? হাতে এলো চশমার একটি ডাট, আরে একটি ডাট কেন? গ্লাস কই? লাফ দিয়ে উঠে বসে পাওয়া গেল গ্লাস সহ অন্য ডাটটিকে। এখন কি করা যায়? এত প্রিয় নতুন চশমাটি, আর একটি অবশ্য ছিল, তবে সেটি চোখে দিয়ে অতটা ভাব আসেনা।
এক টিভির বিজ্ঞাপনে দেখেছিলাম, কি এক সুপার গ্লু দিয়ে ভাঙ্গা লোহা জোড়া দিয়ে দুই প্রান্তে দুই হাতি টেনে জোড়া খোলার চেষ্টা করছে, হাতি ব্যার্থ।
বাহ, কিনতে হবে ঐ সুপার গ্লু, কিন্তু নাম তো জানিনা। কেয়ারটেকারকে বললাম 'হাতি মার্কা' সুপার গ্লু আনো, লাগালে যেন ছুটে না যায়। কোন কথা না বলে কেয়ারটেকার বাজার থেকে নিয়ে এলো ' এভার বন্ড সুপার গ্লু।' এটিই নাকি সবচেয়ে ভাল, হাতি মার্কা সুপার গ্লু নেই কোন দোকানে। শহরের সমস্ত দোকানে খুঁজে দেখেছে। মন আমার খারাপ। হাতি মার্কা সুপার গ্লু নেই কেন শহরে? মানুষ কি ভাল জিনিস কিনতে চায় না? যাক যেটা এনেছে সেটার নামও তো এভার বন্ড। বৃক্ষ তোমার নাম কি, ফলে একটু পরিচয় দাও তো দেখি।
ভেঙ্গে যাওয়া স্থানটি পরিষ্কার করে এভার বন্ড গ্লু দিয়ে দুই হাতে চেপে চেপে রাখলাম প্রায় পাঁচ মিনিট। লেগে গিয়েছে 🙂 চোখে দিয়ে দেখি, হ্যাঁ কাজ হচ্ছে ছুটে যাচ্ছে না। জোড়া এমন ভাবে মিশে গিয়েছে যে, সামান্য দাগও নেই। অবাক এর অনুভূতি অবাক হয়ে গেলো। একদিন পর দেখিনা কি হয় ভেবে একটু টান দিলাম ছুটে যায় কিনা। না ছুটছে না 🙂 এরপর জোরে আরো জোরে কিছুতেই ছুটছে না...... এভার বন্ড নাম, বুঝতে হবে।
কত কারণে অকারণে ভেঙ্গে যায় মানুষের হৃদয়, ভেঙ্গে যায় সম্পর্ক। ব্রেক আপ তো কথায় কথায়। দীর্ঘ বছরের বয়ে চলা সম্পর্ক গুলো নিমিষেই ছিন্ন হয়ে যায়। যে স্বপ্ন নিয়ে একজন নারী পুরুষ ঘর বাঁধে, হঠাৎ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। যারা পারেনা, একই বিছানার একই চাদরে শুয়ে থেকেও থাকে লক্ষ যোজন দূরে। মানুষের আনন্দ ভেঙ্গে যায়, ভেঙ্গে যায় সুকুমার প্রবৃত্তি। এভার বন্ড সুপার গ্লু দিয়ে যদি সব জোড়া লাগান যেতো!
একটু তাড়া আছে,
৫০টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
শুরুর কথাগুলো ছাপিয়ে গেলো শেষের কথাগুলো। আচ্ছা ভাইয়া, প্রিয় মানুষদের সাথে কি কখনো কখনো ভাবনাগুলোও মিলে যায়?
সম্পর্কগুলো এত নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে যে, বারবার শুধু ভেঙ্গে যায়। জানেন তো, একবার ভাঙ্গা কাচঁ জোড়া দেওয়া যায় তবু নিখুঁত হয় না, কিন্তু বারবার ভেঙে যাওয়া কাচঁ কি কখনো জোড়া দেওয়া যায়?
চশমা ছাড়া চলতে পারি না, একটি মাত্র চশমা আমার। জানিনা এটার আবার কি হাল হয়।
জিসান শা ইকরাম
প্রিয় মানুষদের ভাবনা গুলোর সাথে মিলে যায় বলেই তারা প্রিয় মানুষ, কাছের মানুষ।
কাঁচ ভেংগে গুড়াগুড়ো হয়ে গেলেও এই আমি চেষ্টা করবো এভার বন্ড দিয়ে কাচগুলো দিয়ে একটি কাঁচের মার্বেল বানিয়ে নিজের কাছে রাখতে।
চশমা আমার চোখের অংশ হয়ে গিয়েছে।
শুভ কামনা।
আবু খায়ের আনিছ
প্রিয়কে আগলে রাখার চেষ্টা। অনেক অনেক শুভ কামনা ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা প্রিয় কিছুকে আগলে রাখতে চাওয়া।
শুভ কামনা প্রিয় ব্লগার।
মিষ্টি জিন
চশমা যে কি প্রয়োজনিয় তা এখন হাডে হাডে টের পাচছি।
ব্যাংকে গিয়েছি ,একটা ফর্ম ফিরলাম করার জন্য ব্যাগ এ হাত দিয়ে দেখি চশমা নাই। অনেক চেষ্টারেও কিঁছু লিখতে পারলাম না। শেষমেষ একজনের সরনাপন্ন হয়ে অত্যান্ত বিনয়ের সাথে বললাম আপু আমার ফর্ম টা একটু ফিলাপ করে দিবেন । তিনি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে ফর্ম ফিলাপ করে দিলেন। আমি যে পুরোপুরি অশিক্ষিত তা চশমা সংগে না সেদিন প্রমান করে দিয়ে আসলাম।
সম্পকো গুলো ঠুনকো হয়ে গিয়েছে । ঁসামান্য একটু আঘাতেই ভেংগে যায় । আর ভেংগে যাওয়া সম্পক্ কোন গ্লু দিয়েই আর জোড়া লাগানো যায় না।
শুভকামনা ভাইঁয়া.
জিসান শা ইকরাম
চশমাও শিক্ষিত অশিক্ষিত এর প্রমানের বস্তু হয়ে গেল। তা কাজের বুয়া রহিমা ভাবেনি তো আবার?
বর্তমানের এই আমি জোড়া দেয়ার চেষ্টায় থাকি। ২০১০ এর আমির সাথে ২০১৬ এর আমির এটিই পার্থক্য।
নীলাঞ্জনা নীলা
জীবনটা কি একটা আতসী কাঁচ নয়? প্রচন্ড শীতে বাইরে থেকে ফিরে ঘরের উত্তাপে সেই কাঁচ ঝাপসা হয়। কুয়াশার মতো আবছা হয়ে যায়। আবার বাইরের প্রচন্ড উত্তাপ থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বিন্দু বিন্দু জল জমে। ছবিগুলো দেখছি আবার পড়েছিও, বেশ কয়েকবার। একটা চশমার উপর নির্ভর জীবন। পৃথিবীতে অন্ধদের জীবনের চেয়ে কষ্টের আর কিছু নেই।
নানা চশমার উপর নির্ভর করে আমার জীবনও। সেই ১৯৮৮ সালে নাকের উপর বসে রাজত্ব করেই যাচ্ছে। এমন মাতব্বরী করে আমার সাথে। উনাকে ছাড়া আমি যে অসহায় ভালোই জেনে গেছে। মাইনাস পাওয়ার এখন বাইফোকালে। আহারে আমার কি বড়ো একজোড়া চোখ এখন চায়েনিজদের মতো হয়ে গেছে। 🙁 ;(
তা চশমা পিঠের নীচে পড়ে কেন? ঘুমানোর সময় মোবাইল বালিশের পাশে না রাখলেই কি নয়? এতো নেশা ভালো না। আমার থেকে শেখো। নেশাকে কি করে বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে হয়! 😀 আর সম্পর্ক হলো একটা সবুজ ছোট্ট চারাগাছ। প্রচন্ড উত্তাপে পাতা জ্বলে যায়। অনেক বৃষ্টিতে ঝরে যায়। সহনশীল তাপমাত্রা লাগে একটা চারাগাছকে বিশাল বৃক্ষ করতে। মোবাইল তাপমাত্রা থেকে একটু দূরে রাখো। :p
ভালো লিখেছো নানা। -{@
জিসান শা ইকরাম
জীবন একটা আতসী কাচ, ভাল লাগল কথাটা। প্রথম শুনলাম এমন।
চায়েনীজদের মত চোখ? ভালই তো দেখতে, আমাদের ছোট বউ তো চাইনিজ, খারাপ লাগেনা।
একটু রাত জাগতে হয়, কারন একটা ব্লগ সাইট দেখতে হয় আমাকে। রাত ১ টার পরে প্রায় প্রতিদিনই অশোভন কিছু পোষ্ট আসে। সেসব পোস্ট মুছে ফেলতে হয়। আইডি ব্যান করতে হয়। সাইটের প্লাগইন সব কাজ করছে কিনা চেক করতে হয়। প্লাগ ইন আপডেট দিতে হয়। নতুন কোন আইডি আসলে তা দেখতে হয় আইপি ধরে। সাইটে আরো কিছু কাজ করতে হয়, যা বলা যাচ্ছে না প্রকাশ্যে। এখানে নেশার কিছু নেই। নিজের খেয়ে বনের মোষ তারানোর ব্যাপার আছে। রাত ২ টার পরে আমার মত একজন নিজের খেয়ে বনের মোষ তারানো একজন আসার পরে ঘুম দেই। মাঝে মাঝে এই অবস্থায়ই ঘুমিয়ে যাই। আশাকরি বুঝতে পেরেছ।
ছাইরাছ হেলাল
ভাংগারিরও দোকান থাকে, সেও বিশাল এক কারবার।
আমি এমন আঠা চাই তা দিয়ে যেন সোনাদের সোনা ভেবেই আটকাতে পারি।
ডিজিটাল ব্রেকাপ আছে বলেই আমরা নিত্য নূতন কিছু জুড়ে যাওয়া দেখি,
অবশ্য কিছু ভাঙ্গা জোড়া লাগে না, লাগানোও যায় না, ঠিকও না।
জয়তু সুপার ডুপার আঠা।
জিসান শা ইকরাম
ছিড়ে যাওয়া ইচ্ছেকে জোড়া দিতে পারিনা এভার বন্ড গ্লু দিয়েও।
আপনি বললেই সব সোনা হবে নাকি? ইমিটেশনকে আসল সোনা ভাবলে সমস্যা আসলে।
মৌনতা রিতু
শুধু পড়েই গেলাম। বুঝে নিলাম বিস্তর সব শব্দ মালা।
এমন ভাবে যদি সত্যি জোড়া লাগত, ভালোই হতো।
হাতি মার্কা না হইলেও এভারবন্ড তো। কাজ হলেই হলো।
জিসান শা ইকরাম
হু, কাজ হলেই হলো,
এভার বন্ড খ্রাফনা।
শুন্য শুন্যালয়
# ঘোড়াটা সাদা ছিলোনা? নাকি আলোর বিপরীতে বলে কালো লাগছে?
# দিনের ১৮ ঘন্টার সাথী অনেক বড় ব্যাপার, ভেঙ্গে মনে করিয়ে দিয়ে গেলো আপনাকে, কিছুই স্থায়ী নয়, শরীরের অংশও নয়।
# যাক, মনে রেখেছেন সেও বা কম কী?
# ফলের দোকানদার অনেক ফল রাখলেও মানুষ যেটা খায় শুধু সেটাই কেনে, বোঝাই যাচ্ছে আপনি সব এপস ইউজে অভ্যস্ত। চশমা চোখে দিয়ে ঘুমানোর আইডিয়া পছন্দ হয়েছে, বলা যায়না স্বপ্নে সেলফি তোলাও লাগতে পারে, চশমা ছাড়া আপনার ছবি অন্যরকম আসবে।
# আপনার চশমাটা এবার দুই জেমস বন্ডের কাছে ছেড়ে দিয়ে দেখতে পারেন, জোড়া খোলে কিনা।
# সম্পর্ক যদি এভার বন্ড সুপার গ্লু দিয়ে জোড়া লাগানো যেত তবে আমরা নতুন নতুন সম্পর্কে আর জড়াতাম না। গ্লুর চাইতে বেশি রুচি ডালভাজা বেশি জনপ্রিয় হতো।
লেখার বিষয়বস্তু, সুনিপুনতা ছুটন্ত ঘোড়ার মতই ছুটছে। চমৎকার লিখেছেন। -{@
জিসান শা ইকরাম
অর্ধযুগ আগের ঘোড়াটা এমন সোনালি আলোর মাঝেই ছিল, ঘোড়ার রঙ তখন এতটা মুখ্য ছিলনা। গতিটিই মুখ্য ছিল। সময়ে রঙটি প্রধান্য পেয়ে সাদা হয়ে গিয়েছে। সব রঙ নিলে কি সাদা রঙ হয়?
ফলের দোকানদার নিজে খেলে তো দোকানে ফলই থাকত না বিক্রীর জন্য, নিজের কাছে থাকলেই তা ব্যবহার হয়কি সব?
দুই জেমস বন্ডও পারবে বলে মনে হয়না।
সুধু এভার বন্ড এ কাজ হবেনা ম্যাডাম, ইচ্ছে থাকাটাও জরুরী। ছয় বছর আগে ভাংগা চশমা জোড়া দেয়ার চেস্টাই করিনি, নতুন একটি কিনে ফেলেছি। আর এই আমি বর্তমানে এভার বন্ড দিয়ে জোড়া লাগাচ্ছি। আকরে রাখছি চশমাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে। লেখাটি কি আর একবার পড়বেন?
চশমাকে মনে করা হোক ঘুম ( অচেতন) এর সময় ব্যাতিত সমস্ত সময়ের কেউ, বাস্তব বা চিন্তায়।
শুন্য শুন্যালয়
আর একবার পড়লেই যদি বুঝতাম, তবে তো ঝরঝরা হয়ে যেতো, কএকবারই পড়ে ফেলেছি, পড়ার পরে শিরোনাম নিয়েও ভেবেছি, শিরোনাম, এই আমি সেই আমি কেন। তবে জিজ্ঞেস করিনি, পাছে বুঝদার ভাবটা চলে যায় যদি!
বুঝতে পারছিনা কোনটা ভালো, জোড়া লাগানোর চেষ্টা নাকি আরেকটা কেনা। এভারবন্ড দিয়ে জোড়া সত্যিই লেগেছিল তো? অনেক অনেক অনেক জোরে টেনেও খুলে যায়নি তো? “এই আমি” ভালো, প্রিয় আদরের জিনিস একটু ভেঙ্গে ফেললেই ফেলে দিতে নেই। শরীরের কোন অংগ নষ্ট হলে, আমরা তাকে আবার মেরামত করবার চেষ্টা করি। যা জোড়া লেগে গেলো, তা কী সত্যিই আদৌ ভেঙ্গেছিল?
সহজের মধ্যে এতো কঠিন কিছু ঢুকিয়ে দিলে কই যাই? 🙁
নাসির সারওয়ার
খুব ডরাইছি। এত্তো ভারি কথাবার্তা।
কত কিছিমের মানুষই না আছে। ভাংগাটা ভাংগা মত রেখে দেয়। জোড়া লাগাতে চায়না, পিছে যদি আরো বেশী ভেংগে যায়।
আবার জোড়াতালিও চলে।
চলে ফেলে দিয়ে নতুন একটা পাবার বাসনা যা হয়তো নাও পেতে পারে।
ডর কমানোর মামুলি চেষ্টা ফেল।।।
মেহেরী তাজ
দাদা ২০১০ সালে আপনি ঘোড়া ছিলেন আর এখন চশমা হয়ে গেছেন? :D) :D)
না না একটু সময়ের জন্য এমনই মনে হইছিলো দাদা!
অকারনে মানুষের হৃদয় ভাঙে? ;? কারনেই ভাঙে কারন গুলো ছোট বা বড় হতে পারে!
জিসান শা ইকরাম
মন্তব্যের প্রথম লাইন পড়ে ভাবলাম ঘটনা কি?!
হ্যা ভাংগে, যার ভাংগে তার পক্ষে তেমন কোন কারন ছারাই ভেংগে যেতে পারে, অর্থ তার কোনো দোষ বাদেই।
যেমন অবরোধের সময় মানুষ পুড়ে মরে যাওয়া, জংগিদের তান্ডবে নিরিহ মানুষ, শিশু মরে যাওয়া।
ইকরাম মাহমুদ
চশমা আমার নিত্যদিনের সঙ্গি। দূরের সৌন্দর্য দর্শনে ব্যর্থ হই বলে ডাক্তার মহোদয় ধরিয়ে দিলেন। এখন আমি স্পষ্ট দেখতে পাই। তবু মাঝে মাঝে মনে হয় চারকোণা ফ্রেমের ভিতর দিয়ে ভুল দেখছি না তো? চোখে কম দেখলেও মাঝে মাঝে স্বচক্ষে সৌন্দর্য দর্শন করতে গিয়ে চশমার উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দিই। কম দেখি তাতে কি? স্বচক্ষে দেখায় আনন্দ আছে। মাঝে মাঝে চোখ যখন রক্তবর্ণ ধারণ করে তখনও খুলে ফেলি চশমাটা। চোখে চশমা দিয়ে যদি চোখকে আরো বেশি শক্তি দেওয়া যায় তাহলে তা মানা যায়। কিন্তু ও তো ওর মতোই। কি হবে সে পাওয়ার দিয়ে যদি সঠিক সময়ে কাজে না আসে!
মাঝে মাঝে চশমাটাকে ভীষণভাবে খুঁজি, চোখে থাকতেও ভুল করে খুঁজতে থাকি। চোখে তো অযথা জল জমে মাঝেমাঝে। যে জলের অর্থ নিজেও জানিনা,অপরকে কি করে বুঝাব? তখনই স্বার্থকতা খুঁজে পাই চশমার, ফ্রেমের, সাদা গ্লাসের।
সোনেলায় এসে প্রতিটি লেখায় নিজের ভাব, আবেগ দেখতে পাচ্ছি চোখের খুব কাছেই।
আনিস কে অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাবাবেগ দর্শনে আরেকটা চশমার সন্ধান দেওয়ার জন্য।
সোনেলার দীর্ঘায়ু কামনা করি।
জিসান শা ইকরাম
চশমাকে নিয়ে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। চশমায় আমার চোখও মাঝে মাঝে লাল হয়ে যায়। চশমা রোজ অন্তত একবার হারাই আমি। শাওয়ারে যাবার আগে কোথায় রাখি ভুলে যাই। ভাবছি একটা বোর্ডে লিখে রাখবো ‘ চশমা রাখিবার স্থান ‘। যেখানে চশমা রাখবো।
চোখের জ্বলের অর্থ বেশীর ভাগ সময়ই করা যায় না।
আমরাও আপনাকে পেয়ে গর্বিত, অল্প দিনেই অত্যন্ত আপন হয়ে গিয়েছেন।
অবশ্য ইকরাম নামের মানুষগুলো আপন করে নিতে পারে সহজে :p
শুভ কামনা।
ইকরাম মাহমুদ
ইকরাম নামের মানুষটিই ইকরামকে আপন করে নিয়েছে। ইকরাম নামের এ এক আশ্চর্য ক্ষমতা।
ধন্যবাদ ইকরাম ভাই।
জিসান শা ইকরাম
স্বাগতম ইকরাম ভাই 🙂
কে কাকে বলে, তাই তো বুঝতে কনফিউজড হয়ে যাবে সবাই।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
“কত কারণে অকারণে ভেঙ্গে যায় মানুষের হৃদয়, ভেঙ্গে যায় সম্পর্ক। ব্রেক আপ তো কথায় কথায়। দীর্ঘ বছরের বয়ে চলা সম্পর্ক গুলো নিমিষেই ছিন্ন হয়ে যায়। যে স্বপ্ন নিয়ে একজন নারী পুরুষ ঘর বাঁধে, হঠাৎ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। যারা পারেনা, একই বিছানার একই চাদরে শুয়ে থেকেও থাকে লক্ষ যোজন দূরে। মানুষের আনন্দ ভেঙ্গে যায়, ভেঙ্গে যায় সুকুমার প্রবৃত্তি। এভার বন্ড সুপার গ্লু দিয়ে যদি সব জোড়া লাগান যেতো! ”
অসাধারন কথামালা।
জিসান শা ইকরাম
কথাগুলো ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ।
খেয়ালী মেয়ে
প্রথম ছবি এবং লেখাটা দারুন (y)
ভাইয়া ছবিটা কি আপনার তোলা?
লেখা পড়ে বুঝাই যাচ্ছে যে চশমাটা ভাবীর চেয়েও আপনার বেশি আপন :p
এভার বন্ড দেখি অনেক কাজের,,আরো ভালো হতো যদি এটা দিয়ে সম্পর্কগুলোও জোড়া দেওয়া যেতো,
এটা কি দেশে পাওয়া যায়?
জিসান শা ইকরাম
নেট থেকে নিয়ে ৬ বছর আগে পোষ্ট করেছিলাম ফেইসবুকে, এভাবেই।
২য় অংশ নতুন লেখা।
চশমা শরীরের একটা অংশ হয়ে গিয়েছে আসলে।
চশমার সাথে তোমার ভাবীর তুলনা হয়? তোমার ভাবীর ৩ সন্তান, চশমার কয় সন্তান? 🙂
হুম, খুবই কাজের, এভার বন্ড দেশেই পাওয়া যায়। ৪০ টাকা দাম।
পরীর লেখার অপেক্ষায় আছি।
প্রহেলিকা
শেষের দিকে এসে এমন মন কাড়া কথা বলবেন ভাবতেই পারিনি. বিমূর্ত গ্লু যদি সত্যি থাকতো মানুষের জীবনে তাহলে কত্তো না ভাল হতো! সংযম কাকে বলে তার উৎকৃষ্ট উদাহারণ পেলাম বটে হা হা!
জিসান শা ইকরাম
যদি সত্যি আসলেই থাকতো, প্রহেলিকা তাহলে এখানেই থাকতো 🙂 যদিও যায়নি সে কোনদিন। ফিরে ফিরে আসা, জীবনেরই অংশ।
এভাবে সংযমী হতে হয়, ফল আর মিস্টি বিক্রেতার মত।
শুভ কামনা।
প্রহেলিকা
প্রহেলিকা যায়নি কখনো, প্রতিবাদ জানানোর আগেই এই সত্য কথাটি বলার জন্য ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য। সংযমী হওয়া শিখে নিলাম নির্দ্বিধায়। নতুন কি আসছে আমাদের জন্য জলদি দিয়ে দিন অপেক্ষায় না রেখে।
শুভকামনা আপনার জন্যেও।
জিসান শা ইকরাম
স্বাগতম।
আমি কি তোমাদের মত লেখক নাকি? যখন তখন লিখতে পারি আমি?
অপেক্ষা কি একপাক্ষিক? দিপাক্ষিক অপেক্ষারা বুঝি অপেক্ষা করতে ভুলে গেছে?
প্রহেলিকা
প্রকৃত লেখকদের লেখক ট্যাগ এর দরকার পড়ে না। আমরা লেখক ট্যাগ পেলেও লেখক হতে পারিনি যা ট্যাগ না পেয়েই আপনি দিব্যি বনে গেছেন। লেখক হতে হবে না তবে পড়তে চাই; ভাল লাগা থেকেই এই পড়তে চাওয়ার আকুতি।
পাশে থাকবেন, সাথে রাখবেন সে আশা করতেই পারি আমরা।
জিসান শা ইকরাম
জগা খিচুড়ি টাইপ কথা বার্তা পড়তে চাইলে কি আর করা, লেখুম এমন লেখা 🙂
পাশে আছি, সাথেও রাখি -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ইস! আপনি পারেনও। এমন রস দিয়ে লিখতে লিখতে শেষে এসে কঠিক কয়টা শব্দ জুড়ে দিয়ে গেলেন, মনটাকে আলোড়িত করে তুললো।
সুপার গ্লু!!
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য,
এভার বন্ড সুপার গ্লুটা আসলেই ভাল। কখনো লাগলে এটিই কিনে আনাবেন।
একটা সুপার গ্লুর অভাব বোধ করছি, যা দিয়ে রুবাকে সোনেলার সাথে সারাক্ষন আটকে রাখা যেত,
শুন্য শুন্যালয়
লোকে যে ভাবের জন্য চশমা পরে, তা কিন্তু বলে ফেলেছে। 🙂
অন্তর্জালের সমুদ্রে কী কী মাছ ধরেছে লেখক, তাও এই লেখায় অনুপস্থিত। ওম কী শুধু চশমাই পছন্দ করে নাকি মোবাইলও? একটি নির্দোষ প্রশ্ন। আপনার লেখা পড়ে আজকাল অবাক হবার অনুভূতিও অবাক হয়ে যাচ্ছে। এভারবন্ড গ্লুর কার্যকারিতা দেখতেই পাচ্ছি, চশমা এখন বেশি বেশি আরো বেশি দেখতে শুরু করেছে। তাড়া কী একটু নাকি অনেক? গেলেন কোথায়?
জিসান শা ইকরাম
কি মৎস আহরন করা হয়, তাহা অত্যন্ত গুপনিয় বলিয়া বলা গেলনা।
ওম আসলে কে পছন্দ করেনা, তা নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে।
অবাকের অবাক হওয়ার লক্ষন ভালো কিন্তু।
এক্টু তাড়া ছিল, লেখার শেষে আরো কিছু বলতে চেয়েছিলাম,
বলবো হয়ত পরে কোনদিন।
মোঃ মজিবর রহমান
এতো কঠিন করে শেষ করলেন ভাইয়া।
আসলেই এভাবে জোড়া দেওয়া ঈশ্বর ও চাইনি
তাই সম্পর্ক চশমার মত জোড়া লাগান সম্ভব হবেনা …হয়ত সব সময়।
জিসান শা ইকরাম
মানুষের সর্বাত্মক চেষ্টা থাকা উচিত সম্পর্ক ধরে রাখা,
যদিও এটি একপাক্ষিক না।
শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ ভাইয়া,
সকলের সহযোগিতায় সকলের ছাড়ে সব হয়ে উঠবে স্বরগময়।
জিসান শা ইকরাম
ইনশআল্লাহ্
ইঞ্জা
সম্পর্ক যদি এইভাবে জোড়া লাগানো যেতো তাহলে কতইনা ভালো হতো ভাইজান হাঁ একটা সম্পর্ক কখনো ছিন্ন হয়না জীবনেও যার কাছে মৃত্যুও নগন্য আর তা হলো পিতা মাতার সাথে সম্পর্ক, কোনো নালায়েক সন্তান যদি অস্বীকারও করতে চাই তবুও তার পরিচয় দিতে হলেও পিতা মাতাকে স্মরণ করতে হবে, এই সম্পর্ক যে কোনো সুপার গ্লুকেও হার মানাই।
জিসান শা ইকরাম
সু সন্তানের জন্য এটি প্রযোজ্য ইঞ্জা ভাই,
লাশ ঘরে পরে থাকা জংগিদের জন্য নয়,
যারা বেওয়ারিশ হয়ে দাফন হবে।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
সহমত ভাইজান
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এভার বন্ড সুপার গ্লু দিয়ে যদি সব জোড়া লাগান যেতো!
সুপার গ্লো লাগবে না
বিচ্ছেদ জোড়া লাগতে এই সোনেলায় ঢুকলেই হবে আজন্ম আর ছুটবে না। -{@
জিসান শা ইকরাম
বাহ , ভাল বলেছেন তো ,
সোনেলাই কি এভার বন্ড সুপার গ্লু? 🙂 (3
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সোনেলা আত্মার বন্ড সুপার গ্লু।
নাসির সারওয়ার
অনেক কিছুই থাকতে পারে যা জোড়া লাগাতে নাই।
৩ডি নাহোক, একখান রঙ্গিন চশমা পরে ঘুমানোর চেষ্টা করেন। শুনেছি স্বপ্নরা নাকি সাদা কালো হয়। আপনি রঙ্গিন দেখবেন আর আপনার চোখ দিয়ে আমরাও দেখে নেবো।
এই লেখাটা কোনরকমে এভার বন্ড কোম্পানিতে পাঠাবার ব্যবস্থা করেন। গ্যারান্টি ফ্রি গ্লু যা দিয়ে সোনাদের মনের ক্ষত জোড়া লাগাবেন।।
জিসান শা ইকরাম
যা আমরা পরিত্যাগ করি সজ্ঞানে, তা কোন অবস্থাতেই জোড়া লাগান চলবে না।
আচ্ছা রঙিন চশমায় পাওয়ার লাগিয়ে নিতে হবে দেখছি।
খারাপ হয় না, তাদের একটা ফ্রি বিজ্ঞাপন দিলাম 🙂
অনিকেত নন্দিনী
এক: ঘোড়ারা ছুটে যায়। যে ঘোড়াকে ছুটতে দেখে সে ঘোড়ার পিঠে থাকেনা বলেই ঘোড়া তাকে ফেলে দূর দূরান্তে চলে যায়। 🙁
দুই: প্রকৃতি শূন্যতা পছন্দ করেনা। যে যায় তার জায়গা খালি পড়ে থাকেনা, অন্য কেউ এসে সে জায়গা দখল করে নেয়, হোক তা মানুষ বা বস্তু।
তিন: তালগাছ কবিতার কথা মনে আছে? তালগাছের মতো করে হয়তো চশমারও কতো কী ইচ্ছে করে! বালিশ হবার ইচ্ছেকে পূর্ণতা দিতেই চশমার এহেন কার্যকলাপ।
সুপার গ্লু দিয়ে চশমার ডাঁট জোড়া লাগানো গেলেও মনের ডাঁট জোড়া লাগানো যায়না। তাইতো খুব কাছাকাছি থাকা দুজনের মধ্যকার বেড়ে যাওয়া দূরত্ব আর কমেনা, কমানো যায়না। 🙁
জিসান শা ইকরাম
আর আমি যদি নিজেই ঘোড়া হই তবে? 🙂
একটি সময়ে অচল বাতিল সব কিছুকে নতুন নিয়ে নেয়ার মানসিকতা ছিল, শূন্যস্থান পুরন আরকি,
আর এখন আমি সর্বাত্মক চেষ্টা চালাই সবকিছুকেই জোড়া দিতে, অভ্যস্থতাকে, সম্পর্ককে ধরে রাখতে,
দুরত্বকে জয় করার মত কোন এভার বন্ড গ্লু থাকলে ভালই হতো।
শুভ কামনা।