আজকের এই দিনেঃ ৩রা ডিসেম্বর, ২০১৫ এবং ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫।
আজকের এই দিনে অগ্রীম শুভেচ্ছা বার্তার আয়োজন।

নামঃ অনেকেই চেনেন 'শিশির কণা' নামে।

পেশাঃ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া।
নেশাঃ গান ও গানের মাঝে ডুবে জীবনকে দেখা।

যা করতে ভালবাসেনঃ ঠিক নেই, তবে রাধারমণের গানে নিজেকে খুঁজে ফিরেন। হাসতে ভালবাসেন তাই মুখে সদা লাজুক হাসি নিয়ে থাকেন। আবার হাসিমুখেই কথিন সব কাজ করে ফেলেন।

চলাচলঃ চেনাশোনা প্রায় সবখানেই। পেশার খাতিরে তো অবশ্যই অচেনাদেরকেও মন থেকে চিনে নিতে হয়। তবে অন্তর্জালে উনার পদচারণা 'সোনেলা'তে। উনার চলাচল নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই তাই।

যা উনি ভাবেনঃ উনার ভাবনাকে ধরতে উনার অন্তর্জালের ঠিকানায় ঢুঁ মদিয়ে দেখতে হয়-

# একজন বাংলাদেশী হিসেবে উনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আর তাই উনি খুঁজে নিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের দুই বিদেশী বন্ধুকে ' মুক্তিযুদ্ধে বাংলার বিদেশী বন্ধু -১ ' ' মুক্তিযুদ্ধে বাংলার বিদেশী বন্ধু -২। দেশে এক মুক্তির মায়ের কথা স্ম্রণ করেছেন শ্রদ্ধার সাথে তাঁর লেখনীতে 'রমা চৌধুরী'কে নিয়ে।

# নিজেকে প্রায় সময়ই রাধা রমণের গানে ডুবিয়ে রাখেন যা আগেও উল্লেখ করা হয়েছে উনারই প্রকাশিত কিছু প্রকাশনায় 'মায় তুই জলে না যাইও' কৃন্তনিকা নামে 'সোনেলার'র একজন সেরা গল্পকারকে উৎসর্গ করে। মূলত রাধারমণ দত্তকে পরিচয় করিয়ে দিয়েই উনি নিজেকে উনার লোকগানে কখনো রাধা রাই তো কখনো রাধার প্রেয়সী হিসেবে ভেবেছেন একাধারে ছয় ছয়টি গানের মাঝে ' এমন মায়ার কান্দন আর কেদোনা রাই বিনোদিনী ', 'শ্যামকালিয়া সোনা বন্ধুরে'সহ 'আমার বন্ধু দয়াময়,, 'শ্যাম-রুপে মন-প্রান নিল', আবার রাধারমণ দত্তের গানে কৃষ্ণকে খুঁজেছেন তিনি যতনে।

# এতোক্ষণে সবাই ভেবেছেন নিশ্চয়ই তিনি অন্য কিছুতে কর্ণপাত করেন নি! তবে জেনে রাখুন ইনি শচীন কত্তার গানে 'ভ্রমরা' তো আবার প্রখ্যাত গায়িকা আরতি মুখোপাধ্যায়ের 'এক বৈশাখে'তেও মজে যান আবেগ দিয়ে।

# এই পর্যন্ত এসে যারা ভাবছেন উনি গানের দুনিয়াতেই ঘুরেন তবে তা ভুল। উনি কিন্তু উনার পেশাগত চরিত্রকে নিজের মনের ভিতরে নিয়েছেন তার প্রমাণ দিয়েছেন 'মোবাইল ফোন ক্ষতিকর / ক্ষতিকর নয়', আছে তুলসী পাতার ভেষজ গুন নিয়েও উনার কথা। আছে 'STROKE (স্ট্রোক): সণাক্তকরণে সাধারণ উপায়' নিয়ে সচেতনতা।

# আছে রাজনীতি নিয়ে উনার রম্যরস 'খাবার খেতে নয় – খাবার হিসেবে'।

# শুধুই রমরস বোধেই নয়, উনি উনার রসনা থুক্কু রসবিলাসের পরিচয় দিয়েছে 'মধুকথা' লিখে।

# শুধু কি এই? বিশ্বের বৃহত্তম সৌর শক্তি চালিত জাহাজ নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি উনি সেই অপার রহস্যের আধার শেষ আশ্রয় 'বিশ্বের সর্ব বৃহৎ কবরস্থান' নিয়েও লিখেছেন।

# বিবিধের কাতারে আছে চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবনার কথা 'বাইশে শ্রবন- সাধারন কাহিনীর অসাধারন উপস্থাপনা।' এবং হৃদয়ে চিরসবুজ চিত্রনায়িকা 'সুচিত্রা সেনের বাড়ি দখলমুক্ত' নিয়ে উপস্থাপনা।

#সাহিত্য জগতে উনার প্রিয় ব্যক্তিত্ব সোনেলায় হুমায়ুন আহমেদ এবং হিমু 'কে নিয়ে জানিয়েছেন কিছু কথা।

# অন্তর্জালের এই ঠিকানায় বাকিদের নিয়ে ছিল উনার সাহসী রম্য় প্রকাশনা 'সোনেলায় যারা অন্যের লেখা পড়েন না , তাঁদের জন্য এই টেকি পোস্ট'

# ও হ্যাঁ, উনি কে? তা চেনাতেও কিন্তু উনি কম যান না। সময়ের টানে সময় দিতে না পারলেও বারেবারে ফিরে এসেছেন এবং এসেই চিনিয়েছেন নিজেকে নিয়ে কথা বলার মতো সাহস দেখিয়ে গানে গানে নিজেকে ও সোনেলাকে 'কেউ কি মনে রেখেছে আমায় ?' 'আমি শিশির কনা , সোনেলার শিশির কনা : ভুলতে দেয়া হবে না'।

# শুরু করেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, তাই শেষ করছি একইভাবেই 'ভালো লাগা কিছু দেশের গান' দিয়ে উনার ভাবনাতে।

এই যে এতো কথা বললা উনাকে নিয়ে আজকের এই দিনে, একটাই মাত্র কারণে। আমাদের প্রিয় এই শিশির কণার জীবনে আজ বাদে কাল অর্থাৎ ৩রা ডিসেম্বর, ২০১৫'তে গায়ে হলুদ এবং ৪ঠা ডিসেম্বর,২০১৫'তে উনার শুভ বিবাহ।

শুভ বিবাহ সুসম্পন্ন
শুভ বিবাহ সুসম্পন্ন

উনাকে নিয়ে হঠাৎ এতো কথার আয়োজন উনার নতুন জীবনের শুভ কামনা। কথায় আছে 'মানুষ আপন কর্মে পরিচিত হয়'। তাই অন্তর্জালের উনাকে উনার কর্মের মাধ্যমে সেই পুরনোকেই নতুন করে পরিচিত করালাম উনার দাম্পত্য জীবনের সূচনায় এই ঠিকানার সবার শুভেচ্ছায়।

জানি না উনি এই নতুন জীবন সামলে আবার আমাদের মাঝে কবে ফিরবেন, তবে বিশ্বাস রাখি উনি ফিরবেন উনার আনন্দের ভরপুর নতুন জীবনের শান্তি আমাদের মাঝে ছড়াতে।

অতএব, টোনাটুনি দুজনে সুখে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করিতে লাগিলো।
অতএব, টোনাটুনি দুজনে সুখে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করিতে লাগিলো।

-{@ (3 শুভেচ্ছা আপনাকে। শুভেচ্ছা আপনাদের দুজন ও সবাইকে। (3 -{@

0 Shares

৪৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ