রাক্ষসের পৃথিবী

রিতু জাহান ২৯ আগস্ট ২০১৭, মঙ্গলবার, ০৮:১৬:৪৪অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি, সমসাময়িক ১৪ মন্তব্য


অন্ধকার নরকের দীর্ঘ শ্মশ্রু প্রেত দলের অধিষ্ঠাত্রী এক রহস্যময়ী রাক্ষসীর বিকট চিৎকারে,
সৃষ্টির সেরা মানবকুলের দিক দিশাহীন ছুটে চলা,
জ্যোৎস্নালোকিত অজানা প্রান্তরের দিকে।
পথে অথৈই সাগর, কখনো বা রোমান যুগের দ্বি-ধার তলোয়ারের মতো এ্যালিফ্যান্ট ঘাসের বন।
মানবতার অস্পষ্ট দৃষ্টি তাদের জন্য দিশার আলো জ্বালেনি।
ছুটে চলা বৃদ্ধের চোখে দৃষ্টি নেই,
তবু তার আছে এ পৃথিবীর বুকে বয়ে চলা মুক্ত বাতাসে একটুখানি বাঁচার আকুতি।
সদ্য যুবতীর পেটের ক্ষুধার তীব্র জ্বালার অনুভূতির উহ! আহ! প্রকাশ নেই
তার শুধু এক টুকরো কাপড় চাই,
বেড়ে ওঠা শরীর থেকে খুলে নেওয়া লজ্জা নিবারণের এক টুকরো কাপড়।
সভ্য সমাজে প্রবেশ করা এ মানব জাতি তাকে দিয়েছে লজ্জার এ অনুভূতি।
কোনো ধর্মের জ্ঞান এ লজ্জার জন্ম দেয়নি।
এ লজ্জা তার আত্মার এ লজ্জা তার অনুভূতির।
পৃথিবীর বুকে সদ্য হাঁটি হাঁটি পায়ে বেড়ে ওঠা মানব শিশু বিভীষিকাময় মানবতা শূন্য
মরুভূমির এ পৃথিবীতে মায়ের কোলে নিরাপদ শান্তির এক টুকরো ঘুম চায়,
চায় এক বেলার আহার।
কোনো ধর্ম তাকে ক্ষুধার যন্ত্রনা নিতে শেখায়নি।
শিশু ধর্ম চেনে না, চেনে শুধু মুক্ত নীল আকাশ, মায়ের উজ্জ্বল মুখ।
একদিন এ শিশু হাসবে খিলখিল করে মানবতার দিকে আঙ্গুল তুলে।
মুখোশ পরা সভ্য জাতির পৃথিবীতে তখন বিরাজ করবে এক অপার্থিব নিস্তব্ধতা,
বাতাস বইবে, অথচ সেখানে নিঃশ্বাসের আকুতি থাকবে না, পাখির কুজন থাকবে না।
ধু ধু মরুভূমির ক্যাকটাস দলের এক নরপিশাচ ময় পৃথিবীর অপেক্ষা।

,,,,মৌনতা রিতু,,,,,,
২৯/০৪/১৭.

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ মনির হোসেন মমি

0 Shares

১৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ