গত ১৪ জুলাই ২০১৭ অনলাইন ভিত্তিক কয়েক বন্ধুর ময়মনসিংহ ঘুরা ও বর্ষা আহবানে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পাঠাগার ও সংগ্রহশালা। ব্রহ্মপুত্র নদীর যে মায়াবী আকর্ষণে আমাদের সবার প্রিয় শিল্পী যে কাশবনের টানে ছুটে গিয়ে মনের আকর্ষণে যে ছবি একছিলেন তা অতি আকর্ষণীয় আমাদের মন, প্রান, উচাড় করে ঘুরেছি।
শতবর্ষী তেঁতুলগাছ দাঁড়িয়ে আছে কালের স্বাক্ষী হয়ে।
বর্ষায় ব্রহ্মপুত্র নদীর দুইপাড় যেথায় আকাশ, পানি, গাছগাছালির মিলন ঘটেছে একই সাথে।
আগত কাশফুলের পূর্ব রুপ।
শশীলজে। মহারাজা শশীকান্ত আচার্য চৌধুরীর বাড়ির সামনে আমাদের ফটোসেশন।
শশীলজ সামনের বাগানের মাঝখানটাতে শ্বেতপাথরের ফোয়ারা, যার মধ্যিখানে দাঁড়িয়ে আছে গ্রিক দেবী ভেনাসের স্বল্পবসনা স্নানরত মর্মর ভাস্কর্য। দেবী ভেনাস এতটা দিন ধরে নির্বিঘ্নে বাংলাভূমিতে শ্বাসপ্রশ্বাস নিচ্ছে এটা সত্যি অবিশ্বাস্য ও অভাবনীয়!
আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল। যা লৈহ কুঠীর নামে পরিচিত।১৯২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি এখানে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি বেশ কয়েকদিন এখানে কাটান। এই ক্যাসেল সন্নিকটে ব্রহ্মপুত্র নদ তাঁকে বিমোহিত করেছিল। এখানে অনেক প্রত্নতত্ব নষ্ট হচ্ছে কিন্তু দেখার কেউ নেয়। কারন মুস্লিমদের চোখে শুধুই মূর্তি এটা যে মানুষের মনোরঞ্জন হয় তা বিবেচ্য নয়।
আমাদের পালতৈলা নৈাকা এখানে ভিড়িয়ে চা, পিয়ারা খেয়েছি নৈাকায় বসে কেউ বা পানিতে বসানো বেঞ্চিতে বসে।
ধঞ্চে গাছ
জেলে মাছে ধরে।
পাঞ্জাবী পরিহিত জনাব মোঃ নজরুল হোসেন।
আমরা শহর থেকে একটি হিজড় ও একটি নিমগাছ নিয়ে গিয়েছিলাম আমরা সাক্ষাৎ পেলাম এমন একজন পুলিশ অফিসারের যিনি কিনা অতি সম্প্রতি নিজের পুলিশ ইউনিটের জঙ্গলভূমিকে স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য পার্ক বানিয়ে দিয়েছেন। মুক্তাগাছার ২ আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডিং অফিসার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল হোসেন। যিনি আলাদা কোনো সরকারি বরাদ্দ না নিয়েই ইউনিটের আয় থেকে নির্মাণ করেছেন মুক্তমঞ্চ, থিয়েটার হল, পিকনিক পার্টির জন্য শেড এবং আধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন অতিথিশালা। দেখলাম শেয়াল ডাকা জঙ্গল এখন পুষ্পিত শিশুকিশোরদের বৈকালিক আনন্দ আড্ডাখানা। চা-চক্র শেষে পরিচিত হলাম তাঁর হাস্যোজ্জ্বল পরিবারের সাথেও। অনন্তর মঙ্গলকামনায় অধিনায়ক পত্নী ও দুই কন্যার জন্য আমাদের শুভাশিস রাখা থাকল। এমন শিল্পমনা পরহিতবাদী পুলিশ কর্মকর্তাটি তাঁর নির্মিত পার্কের নামটিও দিয়েছেন দুর্দান্ত; ‘ধীরে বহো মুক্তাগাছা শিশুপার্ক।‘ সাধুবাদ প্রিয় নজরুল ভাই।
বাংলাদেশের পতাকা খচিত পালতোলা নৈাকায় বন্ধুদের জলজ আড্ডার কোন কমতি ছিলনা।
১৪টি মন্তব্য
বাবু
আদর্শস্থানীয় ভ্রমনকাহিনী লিখলেন মজিবর দাদা । যা যা হয়েছে তা খুব সুন্দর করে অল্প কথায় বুঝিয়ে দিলেন । খুব বেশী কিছু বাদ যায়নি। লেখার ভাষাও আকর্ষণীয়। এরকম ভ্রমণ বারবার আমাদের জীবনে আসুক । পোস্টেখানার জন্য মজিবর দাদাকে ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
আমার আবআরও জেতে ইচ্ছে করছে দাদা। মন ভুলতে পারছিওনা অতো সুন্দর দৃশ্য।
ইঞ্জা
খুব ভালো লাগলো ভ্রমন কাহিনীটি, চমৎকার ও ভূবন ভোলানো ছবি গুলোই সব বলে দিচ্ছে। (y)
মোঃ মজিবর রহমান
আমার জিবনে এতো দৃশ্যময় প্রাকৃতিক লীলা দেখিনি।
ইঞ্জা
দৃশ্যময় প্রকৃতি দেখার উৎকৃষ্ট স্থান হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম, খুবই ভূবন ভোলানো স্থান।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাইজান চট্টগ্রামেও সেভাবে বেড়ানো হয়নি। এখন সময় খুব পক্ষে না। সময় করে জেতে হবে।
ছাইরাছ হেলাল
ছবি দেখে ময়মনসিংহ যেতে ইচ্ছে হচ্ছে।
মোঃ মজিবর রহমান
চলুন একদিন সোনেলার যে যে যাবে তাঁদের নিয়ে ঘুরে আসি।
নীরা সাদীয়া
অাপনি একই সঙ্গে খুব খারাপ ও খুব ভাল কাজ করেছেন। খারাপটা হল, ময়মনসিংহ এলেন কিন্তু আমাকে নক করলেন না। ;(
আর ভাল যেটা করেছেন, ময়মনসিংহের এত সুন্দর সুন্দর তথ্যবহুল ছবি যুক্ত করেছেন। :c
আরেকবার সবাই মিলে চলে আসুন। আমাকে জানাতে কিন্তু ভুলবেন না। -{@
মোঃ মজিবর রহমান
সরি আপু, আমি জানতামনা আপনি ময়মনসিংহ থাকেন। এবার দাওয়াত দেন সোনেলার সোনা ভাই-বোন্দের চলে আসব। তবে জিসান ভাই, হেলাল ভাইসহ উদ্দ্যক নিলে জাওয়া হয়ে জাবে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ভাল ঘুরে বেরানো ভাল তবে আমাদের বাদ দিয়ে এটা ভাল না।সুন্দর আয়োজনে চমৎকার কিছু ছবি দেখার সুভাগ্য হল। -{@
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ ভাই, ঘুরেছি আর যাওয়ার প্রস্তুতি মাত্র ৭দিন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অরুণিমা মন্ডল দাস
-{@
মোঃ মজিবর রহমান
-{@