ভোর ও সোনেলা

শুন্য শুন্যালয় ১৬ আগস্ট ২০১৪, শনিবার, ০৮:৫৪:২৯পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি, ছবিব্লগ ৪০ মন্তব্য

ভোর 

আমাকে এক ঝুড়ি শব্দ এনে দাও তোমাকে প্রকাশের। লটারির মতো করে এক একটা শব্দ তুলে এনে উড়িয়ে দেব বাতাসে, ঘুরপাক খেতে খেতে পাখির পালকের মতো, জ্যামিতিক ছন্দে তোমার শব্দসাজ দেখবো। কিংবা শব্দের পাজেলে এলোমেলো সাজাবো তোমাকে। সুবিন্যস্ত করার ব্যর্থ প্রয়াসে বলবো, ভোর তুমি ততোটা সহজ নও, যতোটা তোমাকে দেখি। কতোটা লুকিয়ে রাখো চঞ্চল ফোয়ারা?
আমি ভোরের বুকে কুণ্ডলী পাকিয়ে রাখা আলোর মিছিলে খুঁজে ফিরি নিজেকে, যেমন করে এক একটা পাপড়ি দিয়ে আগলে রাখে ফুল তার ভেতরের নিউক্লিয়াস রেনু, যেমন পাখির প্রাণে বিশ্ব রাক্ষসীর প্রাণ।
কি হয়েছে তোমার? প্রশ্ন শুনে তাকিয়ে দেখি ভোরকে। স্থির ভোরের চোখে মনের এফোঁড় ওফোঁড় যেন। প্রশ্ন এড়িয়ে বলি, দেখো বরফ হয়ে গেছে সব, গাছের পাতা, চোখের পাতা, কাঁচের পানি, ভোরের আলো, হৃদকুঠুরি... ভোর বললো, এ হচ্ছে স্পেশাল ইফেক্ট তোমার জন্য।
ভোর আমার হাতের আঙ্গুল ছুঁয়ে বলে, তুমি প্রাচীর বিহীন আকাশে উড়ে বেরাও,  ভরদুপুরে দেখো একা প্রাচীন বৃক্ষ, ছায়াগুলো ছোট হতে হতে মিলিয়ে যাওয়া। সন্ধ্যার রঙের  পালাবদল, কিচিরমিচির বাচ্চাদের, পাখিদের শৈশবের ঘরে ফেরা, রাতে নেমে আসা রাতের জীবন। ধেয়ে আসা সাইক্লোন এ ধ্বংস দেখো। তুমি পরিবর্তন দেখো সময়ের।
ফিরে এসো আবার তুমি ভোরের হয়ে... এমন উদার করে ভালোবাসতে জানে ক'জনা?
জমাট বরফ হৃদয়ে ম্যাজিক ওয়ার্ল্ডে রয়ে যায় টলটলে শিশিরের ভোর, আমার ভোর...


সোনেলায় প্রথম 

একাউন্ট করে কয়েকদিন ঘুরেফিরে সবার লেখা পড়লাম। তারপর অনেকদিন আর এ মুখো হইনি, এমন করে লেখা যে আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব না। তারপর সাহস করে একদিন লিখেই ফেললাম আজকের দিনে, "পৃথিবী"। লেখা এবিসিডি সম্প্রদায়ের কিন্তু মন্তব্য আর অনুপ্রেরণা! !!! আর যেতে পারিনি। যে যাই পারে তাই নাহয় করবে। পড়তে শুরু করলাম। কতো মানুষ, কতো ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা তাদের লেখায় এনে জড়ো করছে। একটা লেখার পেছনে কতোটা ভাবনা আর সময় দিতে হয়, তা আমার মতো অলেখকরা ভালোই জানি। আমার একটু পড়ায়, মন্তব্যে উৎসাহ পেলে তার আনন্দের ভাগ আমিওতো কিছুটা পাবো।
সোনেলার কাছে আমি ঋণী।এখানে আসাটা আমার আরেকটা জন্মই বলা যায়। এই শুন্যকে শুধুই সোনেলা জানে। যে ভালবাসা সবার কাছে পেয়েছি, তার জন্য অভ্যাস খারাপ হয়ে গেলে আমার কি দোষ, পেতেই চাইবো আরো আরো।

বনলতা দি'র মতো করে কখনও লিখতে পারবো না, তাই তার কাছ থেকেই লেখাটুকু নিলাম...
এন্তার গাল-গল্প হয়,ঝাঁক বাঁধা হুল্লোড় হুলাহুলি হাসি-ঠাট্টার ছলে হয় হৃষ্ট হৃদ্যতা।জিন চাপানো সময়ের ঝানু তাগড়া ঘোড়ায় চেপে চলে যাব যে যার গন্তব্যে,ভেজা চোখে আর রোরুদ্যমান মুখে পেছন ফিরে তাকাতে তাকাতে।জাতিস্মর হয়ে আবার হবে জম্পেশ আড্ডা কোন না কোন দিনে কোথাও না কোথাও।

সোনেলার সবার জন্য আমার সমস্ত ভালোবাসা টুকু রইলো।

0 Shares

৪০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ