বালিয়াড়িতে অসহায় আত্মসমর্পন নাও হতে পারে। সমুদ্র, নীল জল, সমুদ্র তীর, বালু তট,
সুদূরে সমুদ্রকে ছুঁয়ে থাকা নীল আকাশ, ভাসমান জলযান, বিচ্ছিন্ন নয় একে অপরের।
আকাশের চুম্বনহীন সমুদ্র কল্পলোকের দৃশ্যপটে অস্তিত্বহীন।
নীল যে কষ্টের রঙ এমন ভাবারও কোন কারণ নেই।
সমুদ্রের নীল জলে মানুষের সাঁতার, উচ্ছ্বাস, আনন্দ কেন! তবে যদি নীল হয় কষ্টের রঙ?
নীল জলরাশি পূর্ণ সমুদ্র তীরে বিষণ্ণ হয়ে থাকা মানুষের দেখা মেলে না।
খুড়ে খুড়ে দেখি কতটা ভালবাসা, মায়ায় জড়িয়ে থাকে মানুষ।
ভালোবাসাহীন মায়ার সুতায় আঁটকে পড়ে না কেউ,
ভালবাসায় আত্মসমর্পন, নিজেকে সম্পূর্ণ বিলীন করে দেয়া প্রেমাস্পদের মাঝে,
অস্তিত্বহীন অস্তিত্বই তখন অপার শান্তি।
একটি জলযান আঁটকে আছে বালির মাঝে, বালি তাকে যেতে দিচ্ছে না। ধীরে ধীরে প্রতিদিন বালিতে ডুবে যাচ্ছে সে।
জলে ডোবা আর বালিতে ডোবা আলাদা কিছু। জলে ডোবা আমাদেরকে ভাবায় না। কারণ আমাদের চোখের দৃষ্টি সেখানে পৌছে না। বালিতে ধীরে ধীরে ডুবে যাওয়া আমাদেরকে ভাবায়। দৃষ্টি এখানে মুখ্য! বালি খুড়ে দেখা যাক কোন সে কারণ আঁটকে থাকার? অচল জলযান পরিত্যাক্ত কেন? মালিক নেই এর? সমুদ্রে ভেসে এসে বেওয়ারিশ হয়ে কবর নিচ্ছে নিজের? আমরা কষ্টকে খুড়ে খুড়ে আনবো না। আমরা ভালবাসা, আনন্দকে খুঁজে আনবো।
প্রতিদিনের সমুদ্রে ভেসে ভেসে আনন্দকে বুকে তুলে নেয় রুপালি মাছ,
তীরে এসে বালির বুকে আশ্রয়ে নিশ্চিন্ত সে।
ঝড় জলোচ্ছাসের আতংকে কম্পিত হতে হতে তীরে আশ্রয় তার।
শেষ দিনগুলো কাটাতে চায় তার ভালবাসার জনের কাছে
আমাকে গ্রহন করো হে বালিয়াড়ি, আমি বিলীন হতে চাই তোমার মাঝে।
এই সমর্পণ অন্য কেউ কি বুঝে?
৪৮টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
ছবি দেখব না লেখা পড়ব ?
শেষ পর্যন্ত নীলকে কষ্টের প্রতীক ভাবার পেছনে এমন যুক্তি দাঁড় করালেন ?? তবে যুক্তি কিন্তু গ্রহণযোগ্য ভাইয়া।
সেই জলযানটি কেবলই কি প্রতীকী? ক্ষুদ্র লেখা তবে যেন কোহিনূরসম! শেষের লাইনগুলোতে এসে থামলাম কিছুক্ষণ, থামালেন বলেই। তবে তাই হোক আমরা কষ্টকে খুড়ে খুড়ে আনবো না। আমরা ভালবাসা, আনন্দকে খুঁজে আনবো।
শুভেচ্ছাসহ ভালবাসা রইল।
জিসান শা ইকরাম
” শেষ পর্যন্ত নীলকে কষ্টের প্রতীক ভাবার পেছনে এমন যুক্তি দাঁড় করালেন ?? ” এই মন্তব্যে কি প্রতীকের পরে ‘না’ বাদ পরেছে?
নীল কষ্টের প্রতীক হলে সমুদ্রের নীল জলরাশিতে আমরা মাতামাতি করি কেন? আনন্দে সাঁতার কাটি কেন?
মেঘযুক্ত আকাশ কি ভাল লাগে আমাদের?
ঝক্ঝকে নীলাকাশ কার ভাল না লাগে?
কষ্টের খনন কাজ বন্ধ
আমরা আনন্দ আর ভালবাসাকে খনন করে তুলে আনবো।
এই লেখাটি প্রহেলিকা লিখলে কত অসাধারন হত তাই ভাবছি 🙂
শুভ কামনা।
প্রহেলিকা
“না” শব্দটা বাদ পড়েছিল। আপনি যথার্থই বলেছেন। নীলকে বিশালতার প্রতীক হিসেবেও আমরা ভাবতে পারি। নীল হোক উচ্ছ্বাসের প্রতীক। লেখা প্রিয়তে নেবার অপশন যেহেতু সোনেলাতে যুক্ত করা হয়েছেই, এই লেখাটি দেরী না করে তুলে নিলাম প্রিয়র তালিকায়।
প্রহেলিকার হাতে শব্দ আছে তা সত্য, আছে রূপক কিংবা প্রতীক। তবে জীবন এর গভীর দর্শনের বড্ড অভাব রয়েছে। হয়তো সে সময়ে পোঁছাইনি এখনো। প্রহেলিকা এ লেখাটিকে কখনোই এভাবে লিখতে পারত না। আপনাদের সাথে আছিই এজন্যে যে আপনাদের দর্শনগুলো নিজের মাঝে ধারণ করে যেন নিজের ভাবনাগুলোকে প্রসারিত করতে পারি।
লেখাটির জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জিসান শা ইকরাম
নীল আমার কাছে বিশালতারই প্রতীক,
নীল বলতেই আমার সামনে চলে আসে সমুদ্র আর আকাশ।
বয়সের সাথে জীবনের অর্থ, বোধ, হিসেব নিকেশ কিছুটা অর্জিত হয়েছে বৈকি,
প্রাচীন মানুষজন যেভাবে জ্ঞান অর্জন করেছেন বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে 🙂
প্রিয়তে লেখা নেয়ায় সম্মানিত বোধ করছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
দৃষ্টির সাথে মন জড়ানো থাকে। তাই মাঝে-মধ্যে চোখের দেখার সাথে মনের দেখার মিল থাকেনা।
মন যদি হয় জলের গভীর, দৃষ্টি কি তাহলে বালু? চোখের বালি নয়, কিন্তু মন সেই জলের গভীরে যেতে পারে, তার শেষও তো বালি।
আনন্দের সাথে জিজ্ঞাসু মন কি মিলতে পারে? কতো কতো প্রশ্ন এসে গেলো তোমার এই লেখাটি পড়ে।
নানা ভালোবাসাই পারে এভাবে অস্তিত্ত্বহীনতার ভেতরে অস্তিত্ত্বের জন্ম দিতে,
তোমার অসাধারণ লেখাটি পড়ে এটুকু জানলাম। এবং বুঝলামও। -{@
জিসান শা ইকরাম
দুইদিন আগে কুয়াকাটা গিয়েছিলাম,
ওখানেই এই নৌকা আঁটকে থাকতে দেখলাম, কতক্ষন যে তাকিয়ে ছিলাম, কত কিছু যে ভেবেছি এঁকে নিয়ে,
কিছুটা দূরে গান গাচ্ছিল এক অন্ধ নাম না জানা শিল্পী,
তার গাওয়া গানকে নিলাম মোবাইলে,
গানের কথা, শিল্পীর কন্ঠ এবং এই আঁটকে থাকা নৌকা আমাকে অন্য জগতে পৌছে দিল।
” ভালোবাসাই পারে এভাবে অস্তিত্ত্বহীনতার ভেতরে অস্তিত্ত্বের জন্ম দিতে ” ______ ঠিক বলেছো তুমি।
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা এসব দৃশ্য আমাদের মস্তিষ্কের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ডুব দিয়ে থাকে যে!
ভালো থেকো নানা।
জিসান শা ইকরাম
তুমিও ভাল থেকো প্রবাসে………
আবু খায়ের আনিছ
কি বলবো? কিছুই তো খুজেঁ পাচ্ছি না। দেখছি, আর ভাবছি এই নৌকার উপর বসে সূর্য্য ডোবা দেখতে মন্দ হতো না।
জিসান শা ইকরাম
তা অবশ্য ঠিক, সূর্য্য ডোবা দেখতে মন্দ হতো না,
তবে আমি অনেকবার গিয়েছি এই নৌকার কাছে,
কি এক আকর্ষনে টেনে নিয়ে গিয়েছে বারবার।
আবু খায়ের আনিছ
অজানা আকর্ষণটা থাকুক, তাতে মন বারবার তার কাছে নিয়ে যাবে, আর প্রতিবার ভিন্ন সৌন্দর্য্য দেখাবে।
জিসান শা ইকরাম
এমন হয় আমার মাঝে মাঝে,
অজানা কোন কারনে হঠাৎ হঠাৎ কোন কিছুতে আঁটকে থাকি।
ছাইরাছ হেলাল
নীল কিন্তু নীলকণ্ঠ, আমাদের সব কষ্ট সে ধারণ করছে বলেই নীল সমুদ্রের কাছে
আমাদের ছুটে ছুটে যাওয়া, দাপিয়ে দাপাদাপি করা, আনন্দে উন্মাতাল হওয়া।
আটকা-আটকি চালু থাকবে।
জিসান শা ইকরাম
কষ্টকে শেয়ার করতে কাউকে দেখিনি সমুদ্রে দাপাদাপি করে
বরং আনন্দ উচ্ছল হয়েই সবাই ঝাপ দেয় সাঁতার কাটে সমুদ্রে
মন খারাপ নিয়ে কি কেউ সমুদ্রে যায়?
বরং সমুদ্রে গিয়ে তার বিশালতা দেখে একদম লাজুক মেয়েও বল্গাহীন হয়ে ঝাঁপিয়ে পরে সমুদ্রের জলে।
চালু থাকবেই 🙂
অনিকেত নন্দিনী
ছবির টানে আটকে যেতে হয় প্রথমেই। এমন সমর্পণ করতে হলেও সাহস লাগে। ছবিটা দেখে একটা গান মনে পড়ে গেলো, “হায় একি সমর্পণ”।
নৌকো পেরিয়েই নীল!
নীল নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। নীল রঙ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে যুক্তির ও শেষ নেই। কারো হিসেবে নীল ধ্বংসের রঙ, দুঃখের রঙ – কারো হিসেবে নীল উদারতার রঙ, সুখের রঙ। আমার হিসাবে কী সেদিকে আর নাইবা গেলাম। 🙂
খোঁড়াখুঁড়ি করে কষ্টকে তুলে আনতে পারাটাও মাঝে মাঝে শিল্পের পর্যায়ে চলে যায়। অন্যেরা সেই কষ্ট দেখে বাহবা দেয়, সাধুবাদ জানায়। 🙂
বাউলের গানটা শুনলাম। এই গানগুলি বরাবরই ভালো লাগে। গানে এমন টান ছিলো যে গায়েন অন্ধ কিনা তা খেয়ালই করিনি। গান শুনে ফিরে এসে মন্তব্য পড়ে বুঝলাম। আমাদের জীবনটাও কি এই অন্ধ গায়েনের মতো? সচক্ষে কোনোকিছু না দেখেই বলে যাই, “যে দেইখাছে সে বুইঝাছে, অন্য কেউ না জানে”। 🙁
জিসান শা ইকরাম
কিছু কিছু সময় আমি সামান্য কিছুতে আঁটকে থাকি, তা হতে পারে কোন গাছ, কোন একাকী রাস্তা, পাখি, পুকুরের কচুরী পানা।
নৌকাটিও এমন, পাশেই গায়েন গান গাচ্ছিলেন, সবকিছু নিয়ে আমার কাছে ভিন্ন ভাবেই এলো নৌকাটি।
নীল আমার কাছে উদারতা এবং উচ্ছ্বাসের রঙই,
আমার প্রিয় রঙ নীল।
এই সমর্পণ পারস্পারিক আবার একপাক্ষিক,
যিনি সমর্পিত হন তিনিই কেবল এটি জানেন,
এটি তৃতীয় এবং যাতে সমর্পিত হলো, সেও না বুঝতে পারে।
মৌনতা রিতু
প্রথমে ছবি দেখেই তো শব্দ মালা সাজাতে ইচ্ছে হচ্ছে। চমৎকার এক আধ্নাত্নিক পরিবেশ অনুভব করছি।
ধন্যবাদ এমন একটি ছবি ও লেখার জন্য।
জিসান শা ইকরাম
শব্দ মালার অভাব আছে নাকি আপনার,
শব্দ দিয়ে মালা গেঁথে ফেলুন,
আমরা সবাই সে মালা দেখে শান্তি পাই একটু 🙂
অরুনি মায়া
অসাধারণ লিখেছেন, প্রিয়তে নিতেই হল।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ আপনাকে।
শুন্য শুন্যালয়
চৌম্বকীয় ছবি। সমুদ্রের পাড়ে, নীল নীলে এত নীলে ডুবে অন্ধবাউলের গান, ভীষন সুন্দর এক আবহাওয়া। আমি কেন ছিলাম না অইখানে? 🙁
লেখার কথা বলে বোঝাতে অক্ষম আমি, বালিয়ারীর মতো ডুবে যাচ্ছিলাম। অস্তিত্বহীন অস্তিত্বের মতো এমন সমর্পন সবাই করতে জানেনা, করেওনা। কেউ কেউ করে।
জিসান শা ইকরাম
আপনি এমন অবজেক্ট পেলে কত ভাল ছবি তুলতেন তাই ভাবছি,
একই ছবি আপনি তুললে আমি আর পোষ্টই দিতামনা, ছবি মার খেয়ে যেতো আপনার ছবির কাছে,
আর একারণেই আপনি ছিলেন না 🙂
দেশে এলে সময় পেলে যাবেন একবার কুয়াকাটা, আশাকরি ভাল লাগবে আপনার।
এমন সমর্পণ সবাই পারেনা, কেউ কেউ আবার পারে।
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ দৃষ্টিটাই মুখ্য। বৃষ্টি দেখে তাকে কেউ কান্না বলে, কিন্তু বৃষ্টিতে ভেজার যে আনন্দ, উচ্ছ্বাস তাকেই তো আমাদের গ্রহণ করা উচিৎ। আমি কুয়াকাটায় গিয়েছিলাম কলেজের পিকনিকে, মজার ব্যাপার তখনো সেখানে এরকম বড় একটা নৌকা ছিলো, যদিও সেটা বালিতে ডুবে ছিলোনা, সেই নৌকার সাথে আমাদের বন্ধুদের ছবি আছে। যদিও জানি ১৬/১৭ বছরে একই নৌকা থাকার কোন কারন নেই, তবুও খুব ভাবতে ইচ্ছে করছে, এটা সেই নৌকাটাই। বালি হতে পারলেও বেশ হতো, হতো জলযানের অদ্ভূত সুন্দর এই সমর্পন। লেখা কিন্তু আরেকটু পঁচা করে লিখতে হবে, নইলে খুত ধরবো কী করে!!
জিসান শা ইকরাম
সবকিছু থেকে আনন্দ তুলে আনার চেষ্টা করি আমি,
পজেটিভ ভাবে গ্রহন করি সব, অন্তত চেষ্টা করি।
এই নৌকা যদি সমুদ্রের জলে নিমজ্জিত থাকতো, তবে এটি থাকতো দৃষ্টির বাইরে,
এটি নিয়ে সামান্য ভাবনাও মনে আসতো না, সেক্ষেত্রে দৃষ্টি অবশ্যই মুখ্য।
১৬/১৭ বছর পরে প্রায় একই দৃশ্য দেখলাম দুজনে 🙂
এই নৌকাটি এবছরের জানুয়ারিতেও ছিল না, জানুয়ারিতেও গিয়েছিলাম একদিনের জন্য।
তা ১৬/১৭ বছর আগের শুন্য শুন্যালয়ের সেই ছবি টবি দিয়ে একটা পোষ্ট তো আশা করতেই পারি,
অন্তত পক্ষে একটি স্মৃতি চারণ।
বালি হবার ইচ্ছে আপনার আছে বুঝা গেল, অনেক সাহস আপনার।
কমেন্টও কিন্তু একটু পচা করে দিতে হবে,
মিষ্টি জিন
ছবিটার দিকে অনেক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম। কত কিছু যে মনে আসলো। আসলেও জলে ডোবা একদমই ভাবায় না। এটা স্বাভাবিক
বালীতে ডুবে যাওয়া মানে নিজেকে একটু একটু করে সমর্পন করা। অস্তিত্ব হীনের মাঝে অস্তিত্বের সমর্পন।
আকাশ নীল, সমুদ্রনীল, বেদনাও নীল তবে কি আকাশ সুমুদ্রের মত বেদনার কোন সীমা নেই?
অনেক ভালো লেখা।
জিসান শা ইকরাম
ছবিটি দিয়ে তাহলে তো দেখছি সবাইকে ভাবুক বানিয়ে ফেললাম 🙂
হ্যাঁ বালিতে ডুবে যাওয়া মানে নিজেকে একটু একটু করে সমর্পণ,
আবার অপরদিকে একটু একটু করে গ্রহন।
এই লেখায় আমরা বেদনাকে খুঁজবো না,
খোঁড়াখুঁড়ি চলবে আনন্দের, সীমাহীন আনন্দের।
ধন্যবাদ আপনাকে, নতুন লেখা দিচ্ছেন না যে,
মিষ্টি জিন
আমি তো লেখক না লিখবো কেমন করে ?
জিসান শা ইকরাম
লেখক না হয়েও আপনার লেখা শীর্ষ পঠনের ১ নাম্বারে।
ভ্রমন প্যাচালীর মত লেখা হলেই আমাদের চলে,
ছেড়া প্যান্টের মত ছেড়া ছেড়া লেখাতেও আমাদের চলবে।
শুভ কামনা।
নাসির সারওয়ার
ভারী মুস্কিলতো। কেউ বলে নীল বেদনার রঙ। নীল জামা পরা মোটামুটি নট হয়ে গিয়েছিলো।
এই লেখা পড়েতো গুবলেট হয়ে গেলাম!! কোনটা ঠিক!!! বিশাল এই নীল আকাশ। যার প্রতিফলনে সমুদ্রের জলও নীলাব হয়। প্রকৃতিতো অনেক সুন্দর। তবে মাঝে মাঝে ঝড় তুফান এনে মনে করিয়ে দেয় – হে মানব জাতি, আমার কাছে তুমি তুচ্ছ।
তা এখন কি নীল জামা আবার পরবো!!!
জিসান শা ইকরাম
আমার কাছে নীল বিশালতার রঙ,
নীলা সমুদ্রের কাছে গিয়ে সবার উচ্ছ্বাস আমরা দেখি,
মন বিশাল হয় বলেই তো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সবাই।
শুরু করুন নীল ড্রেস এর ব্যবহার,
নীলা ড্রেস প্রিয় আমার কাছে, নীল জিনস, টি-সার্ট তো ধুমাইয়া পরিধান করি।
শুভ কামনা।
নাসির সারওয়ার
আমিও দেখি নীল সমুদ্রের উদ্দাম। মন যেনো কোথায় থাকে তখন। এ উদ্দামতা কি কারো ক্ষতি করে! ও শুধু মনের কানে ফিসফিস করে, আয় আয়, আবার আয়।
জিসান শা ইকরাম
অতএব প্রমাণিত যে সমুদ্রের নীল জলরাশি কষ্টের রঙ নহে 🙂
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
প্রতিদিনের সমুদ্রে ভেসে ভেসে আনন্দকে বুকে তুলে নেয় রুপালি মাছ,
তীরে এসে বালির বুকে আশ্রয়ে নিশ্চিন্ত সে।
ঝড় জলোচ্ছাসের আতংকে কম্পিত হতে হতে তীরে আশ্রয় তার।
আসলেই কি মাছ ঝড় ভয় পায়? নীল কি বেদনার রং? হয়তো তাই নীলের প্রতি আমার আকর্ষন আছে। তবে অনেকেই বলে নীল বলে কিছু নেই। সবই আমাদের চোখের অক্ষমতা।
জিসান শা ইকরাম
নীল অনেকের কাছে বেদনার রঙ হলেও আমার কাছে বিশালতার রঙ,
আকাশের রঙ নীল, সমস্ত পৃথিবী জুড়েই আকাশ, এর মানে কি কষ্টের মাঝে আছি আমরা তাই আকাশের রঙ নীল?
‘ নীল ‘ বলে কিছু নেই, এটি আসলে ভাবুক কথা বার্তা, আমি তো এত ভাবুক না 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
নীল কেন কস্টের রঙ হল জানিনা
নীলাকাশ বিশাল, মানুষকে দেয় জানান
মাটি আঘাতের পর আঘাতে ক্লান্ত হয় না।
ভাবাবেগ আমাকে সর্বদা ভাবাই না কেউ দেখে কেউ দেখনা
কেউ বোঝে কেউ বোঝার বা উপল্ধ্বীর কোন ভাবাবেগ আসেনা।
সবার সব মনে উদয় হয় না।
আপনার ভাবাবেগ লেখার খোরাক হয়েছে
আমরা পাঠক পেয়েছি একটি সুন্দর লেখা।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
সবাই সবার আবেগ বুঝবে, দেখবে এমন কোন কথা নেই মজিবর ভাই।
নিয়মিত সোনেলায় আসছেন, সবার সাথে মিশে গিয়েছেন, এটি দেখে অত্যন্ত খুশি আমি।
শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাইয়া,
সোনেলায় আমার ব্লগের দ্বিতীয় জায়গা যেখানে আমার পদচারনা এখন সবচাইতে বেশি। আমি ব্লগিং কি জানতাম না অথচ কি কারণে একদিন রেজিস্টার হয়েছিলাম তাও জানিনা না। কিন্তু শাহবাগ আন্দলনে ব্লগাররা পরিচয় পেল নতুন মাত্রায়। তখন ছুটে গিয়েছিলাম কাদের মল্লার জল্লাদ খানা নামে পরিচিত আলুব্দি গ্রামে। প্রতীকী ফাসিও দিয়েছিলািমি., বিডিব্লগের কিছু ব্লগাররা।
আল্লাহ তায়ালা জতদিন সুস্থ আর থাকার বাঁচার মত পরিবেশ আছে থাকব ইন শাল্লাহ।
জিসান শা ইকরাম
ইনশ আল্লাহ্ -{@
ইঞ্জা
আমি বিমুগ্ধ।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ ইঞ্জা ভাই,
শুভ কামনা।
মিষ্টি জিন
চেষ্টা করছি লেখার.. অনভ্যসের কারনে সমঁয় নিচ্ছি । ধন্যবাদ ভাইঁয়া।
জিসান শা ইকরাম
চেষ্টা সফল হবে জানি আমরা অনেকেই।
শুভ কামনা।
রিমি রুম্মান
জীবন চলার পথে এমন কিছু ছবি চোখের সামনে দেখে থমকে যেতে হয়, সকলের অগোচরে। এমনটি আমার প্রায়ই হয়। কত কি দেখি। এমন সুন্দর করে গুছিয়ে লেখা হয় না।
ছবি, লেখা দু’টোই মনে ধরেছে।
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ দিদি ভাই, এই নৌকোটা আমাকে থমকে দিয়েছিল,
আপনি গুছিয়ে লিখতে পারেন না? !
আপনার প্রতিটি লেখাই আমার লেখার চেয়ে অনেক অনেক গুছানো এবং মান সম্পন্ন।
কত মায়া আপনার লেখায়,
প্রবাসে ভাল থাকুন।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
অনেক পিছনে মন্তব্য করলাম তাই মন্তব্যগুলো পড়তে হলো…. -{@
জিসান শা ইকরাম
ভাল ব্লগারগন মন্তব্য সব পড়েন, মন্তব্যও পোষ্টের একটি অংশ হয়ে যায় মনির ভাই।
শুভ কামনা।
মেহেরী তাজ
ছবিটা সুন্দর।
আচ্ছা দাদা নীল কষ্টের রং নয়?
আপনি যত যুক্তিই দেন আমি মানছি না।
জিসান শা ইকরাম
আকাশ মেঘ যুক্ত থাকলে মন ভাল লাগে? পরিষ্কার ঝক্ঝকে নীলাকাশ দেখলে মন ভাল লাগে না খারাপ লাগে?
নীল সমুদ্র দেখলে কেমন লাগে? সমুদ্র সৈকতে গিয়ে জলের নীল দেখে সবাই কষ্ট পেতে পেতে কান্না করতে করতে জলের মাঝে সাঁতার কাটে, হই চই করে? 🙂