লিংকে ক্লিক করে ভিডিওটি দেখুন আগে।
এই ভিডিওতে একটি ওয়াজ মাহফিলে একজন বক্তা তার ওয়াজে বলছেন যে, পবিত্র কোরআন এর সুরা আম্বিয়ার ৮২ নাম্বার আয়াত পর্যালোচনা করে ফেইসবুক আবিষ্কৃত হয়েছে। ওনার কথা আনুযায়ী তো ফেইসবুক ব্যবহার করা ছওয়াবের কাজ। যে যত বেশি ফেইসবুক ব্যবহার করবেন, তিনি তত বেশি ছওয়াব অর্জন করবেন। এই ওয়াজে আরো আছে, কম্পিউটার, মোবাইল, মাইক এবং অন্যান্য অনেক কিছুই পবিত্র কোরআন কে বিশ্লেষণ করে আবিষ্কৃত হয়েছে।
পবিত্র কোরআনের সমালোচনা করার মত স্পর্ধা আমার নেই। আমি নিজেই একজন মুসলমান। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য দেয়ার জন্য যে সম মাওলানা দেশ চষে বেড়ান, তাদের কাছে কিছু প্রশ্ন করাই যায়।
পবিত্র কোরআন এর মাধ্যমে অমুসলিমগন এসব আবিষ্কার করে ফেলেন, আপনারা করেনটা কি? একেকজন তো পবিত্র কোরআনে সমস্ত কিছু মুখস্ত করে আল্লামা, মাওলানা হয়েছেন, সমস্ত কিছু বুঝে গিয়েছেন, আপনারা কেন কোনকিছু আবিষ্কার করতে পারেন না? আপনাদের এইসব আবিষ্কারের ওয়াজ প্রমাণ করে যে আপনারা আসলে কোরআন এর অর্থই বুঝেন না, আপনাদের চেয়ে ভাল বুঝতে পারেন অমুসলিমগন। যত আবিষ্কার আছে জগতে সব কোরআন বিশ্লেষণ করে আবিষ্কৃত হলে আপনারা তাইলে কি বুঝেন কোরআনের?
প্রায়ই এই সব বক্তা গন বলে থাকেন, অমুক অমুক আবিষ্কার কোরআনের মধ্যেই আছে। অমুক বিখ্যাত ব্যক্তি ইসলাম গ্রহন করেছেন, অতএব ইসলাম সেরা ধর্ম। এনাদের ইমানে সমস্যা আছে আসলে। পবিত্র কোরআন, হাদিস, আল্লাহ এবং রাসুলে বিশ্বাস এবং আস্থা থাকলে বর্তমানে কোন নদু ছদু ইসলাম গ্রহন করেছে এই উদাহরন দিয়ে মুসলিমদের উজ্জীবিত করতে হবে কেন? মুসলিমদের উজ্জীবিত করতে কি এই সব বক্তাদের কাছে পবিত্র কোরআন, হাদিস, আল্লাহ এবং রাসুল যথেষ্ঠ নন? নাকি প্রথম চন্দ্রে অবতরণকারী পবিত্র কোরআন, হাদিস, আল্লাহ এবং রাসুল এর চেয়ে বড় হয়ে গিয়েছেন? এনাদের ওয়াজের মাধ্যমে এটিও প্রমাণ করে দিচ্ছেন যে বর্তমানে মুসলমানদের জ্ঞান অমুসলমানদের চেয়ে কম।
অবশ্য এই ধরনের লেখা লিখে কি হবে? বাংলাদেশের মুসলমানরা এই সব মাওলানাদের কথা এতই বিশ্বাস করেন যে, এদের কোন কোন কথা যদি পবিত্র কোরআন, হাদিস এর বিপক্ষে যায়ও তবুও মুসলমানরা এনাদের কথাই বিশ্বাস করবেন।
২৫টি মন্তব্য
ইঞ্জা
ধ্যেত্তেরি মাথা ঠুকার ইমোই নাই, আর তাই :D)
জিসান শা ইকরাম
মাথা ঠুকার ইমো নাই তবে মাথা চুলকানোর ইমো আছে ^:^
ইঞ্জা
তাহলে মাথায় চুলকাই ^:^
জিসান শা ইকরাম
হ, চুলকাইতেই হপে ^:^
মিষ্টি জিন
জ্ঞান গরিমা আমার এমনিতেই কম তার উপ্রে ধর্মের ব্যাপারে আরো কম। এই হুজুরের কথা জুকার মামারে জানানোর জোর আবেদন জানাচ্ছি।
বিধর্মিরা যা করে তা মুসলিম ধর্মে করা সম্পূন নিষিদ্ধ কিন্তু বিধর্মিদের আবিষ্কার করা ফেইসবুক ব্যাবহার করলে কোন সমস্যা নাই।
:D) :D)
আমাদেশে সবচেয়ে বেশী শিক্ষিত হলো এই সব হুজুররা। কারন বড হড শিক্ষিতরা এদের কাছে মাথা নত করে থাকে।
জিসান শা ইকরাম
এদের কথায় এটাও প্রমানিত হয় যে আল্লাহ মুসলিমদের বলদ বানিয়েছেন, অমুসলিমদের দিয়েছেন জ্ঞান। মুসলিমরা কোরআন যতটুকু বুঝে, অমুসলিমরা তার থেকে বেশি বুঝে। আল্লামারা কেন কিছু আবিস্কার করতে পারেনা? তেতুল হুজুর কেবল তেতুল আবিস্কার করবেন? আর কিছু কেন আবিস্কার করতে পারেন্না।
মিষ্টি জিন
একটা বিষয়ে আমি খুব আশ্চয্য হই, আমি যে কয়টা মুসলিম দেশে গেছি সব জায়গায়ই খ্রিষ্টান দেখেছি এবং বেশ গরীব খ্রিস্টান দেখেছি কিন্তু আশ্চয্য কি জানেন এদের কাউকে আমি ভিক্ষা করতে দেখিনি। কারন একজনকে জিজ্ঞেস করাতে বললেল চার্চ এদের হেল্প করে তাই এদের ভিক্ষা করার দরকার হয় না।
আমাদের দেশের তেতুল হুজুরদের মানষিকতা ছোট একটা শ্লোকের মাধ্যমে বলছি।
” ইরল বিরল চিতল পাতা
তেতুল বড টক, তোমার সাথে ভাব করিতে আমার বড শখ “
জিসান শা ইকরাম
খৃষ্টানরা ভিক্ষা করে না, হিন্দুদের মধ্যেও ভিক্ষুক খুব কম দেখেছি, মুসলিম ভিক্ষুকই বেশি।
কিন্তু কোন মসজিদ বা মাদ্রাসা কাউকে সাহায্য করেছে বলে আমার জানা নেই, নিজেরা নিয়েই তো কুলাতে পারেনা, সাহায্য করবে কখন?
মোঃ মজিবর রহমান
মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। তবে আপনার মত আমার ও ঐ একই প্রশ্ন আপনারা কি করেন উস্কানী ছাড়া!
জিসান শা ইকরাম
এরা ইসলাম ধর্মকে গিলে খেয়েছেন, অথচ এরা কিছুই আবিস্কার করতে পারে না।
আগুন রঙের শিমুল
এই ধর্মগাধার দলরে নিয়মিত বেতানো দরকার
জিসান শা ইকরাম
দুর্ভাগ্য এই যে আমাদের দেশের জনতা এদের অন্ধ ভক্ত।
আবু খায়ের আনিছ
অজ্ঞতার শেষ পর্যায়ে গিয়েই এই ধরণের কথাবার্তা বলতে পারে মানুষ।
শয়তানের বড় ভাই এরাই, কোথায় কি করলে কি হয় এই টুকু জ্ঞান নেই। কি প্রচার করতে চান তা এরা নিজেরাই জানে না। এই সব হুজুর থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। তাতে ইমান থাকুক আর যাক।
জিসান শা ইকরাম
একমত তোমার মন্তব্যের সাথে,
আমি এদের কাছ থেকে দুরেই থাকি।
আমাদের দুর্ভাগ্য যে এই দেশের জনগন এদের মাথায় তুলে রেখেছেন।
আবু খায়ের আনিছ
ভক্তি আর অন্ধভক্তি এক নয়, আমাদের দেশে যা হয় তা অন্ধভক্তি। একটু ভিন্নভাবে ঘুরিয়ে বললে আবার অনেকের আতে ঘা পড়ে যাবে, কোরআন নিজে বুঝে পড়তে বলা হয়েছে, জানতে বলা হয়েছে নিজেকে, অন্যের শোনা কথা মেনে ধর্ম পালন হয় না এই টুকু বুঝতে হবে।
কিন্তু আমাদের বেলায় হয়েছে উল্টো, আমরা নিজেরা জানি না, আর এই অজ্ঞতাকে পুজি করে এই ধরণের হুজুরধারী ধর্মব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছেমত ধর্মকে ব্যবহার করছে।
জিসান শা ইকরাম
এরা যা করে তা শ্রেফ ধর্মের নামে ব্যবসা,
অন্ধের মত মানুষ এদের পাতা ফাঁদে টাকা পয়সা দেয়, আর এরা সে টাকা দিয়ে বিলাশ বহুল আয়েশি জীবন যাবন করে।
সঞ্জয় কুমার
ধর্ম ব্যাবসায়ীরাই এখন সফল । ধর্ম অবমাননার দায়ে এরা ৫৭ ধারায় এদের ধরে না ।
জিসান শা ইকরাম
বিনা পুঁজিতে সেরা ব্যবসা এটা। কোন ইনকাম ট্যাক্স, ভ্যাট নেই। যা আয় সবই নিজের 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আমি বরাবর বলে থাকি এ দেশের মুসলমান তবে সবায় না যারাই মাদ্রাসা এতিম খানায় জড়িত তাদের মুল্য উদ্দেশ্য ব্যাবসা ইসলাম প্রসার নয় যার কারনে আমরা প্রায় জঙ্গি গোষ্টিকে দেখি কোন না কোন মাদ্রাসার।আরো একটি বিষয় আবিষ্কারক তারা হবেন কি করে তারাতো বেশীর ভাগ পরের বাড়ীতে খেয়ে খেয়ে কিংবা এতিমদের নামে চাদা তুলে বড় হয়।
ওরা বিধর্মীদের পছন্দ করে না কিন্তু তাদের আবিকারক জিনিস পত্র ব্যাবহার করা জায়েজ মনে করেন।আলসেমী আর নারী ভোগ বিলাসীতাই ইসলামী আবিষ্কারকের আজ অভাব।তারা মনে করেন যুদ্ধ বাধলে অস্ত্র দেবেন আল্লাহ।যাক পোষ্টটি আমার মনের মতো।বেশ আগেই পড়েছিলাম মোবাইলে।
জিসান শা ইকরাম
একমত আপনার মন্তব্যের সাথে।
এই সমস্ত ওয়াজে নসিহত করা মাওলানা গন, অন্যান্য সমস্ত দেশের ইসলাম থেকে আমাদের দেশের ইসলামকে আলাদা করে ফেলেছেন।
শুভ কামনা মনির ভাই,
নতুন লেখা কই?
ছাইরাছ হেলাল
হুজুরের কথা বিশ্বাস না করে উপায় নেই!!
তবে একবার এক বিখ্যাত মসজিদের ছবি তুলতে গিয়েছিলাম, নিশ্চিত করেছিলাম ভিডিও করব না,
তাও যে দৌড়ানি দিছে তা ভুলতে পারব না, পরে আমার পছন্দের মসজিদের ছবি চুরি করে তুলেছি।
এটি-ও বাস্তবতা।
জিসান শা ইকরাম
সেই বিখ্যাত মসজিদে ছবি তোলার সময় আমিও ছিলাম,
মালয়েশিয়া গেলাম দুজনে একসাথে, মসজিদের বাইরে ভিতরে ফটো ভিডিও কোন বারন নাই, বরং স্বাগতই জানালো সবাই।
একই ইসলামের অনুসারী বাংলাদেশ আর মালয়েশিয়া, অথচ কত পার্থক্য।
শুন্য শুন্যালয়
হুজুরে ভাইবার, হোয়াটস এপের কতা কইলো না ক্যান? হুজুর মনেহয় ফেসবুক বেশি লাইক করছে। জুকার মামাও কোরআন গবেষণা করে ফেলছে? তার বেহেস্ত কনফার্ম তাইলে। এই পোস্ট পড়ে হাসি নাকি কান্নার ইমো দিমু? কনফিউজড।
জিসান শা ইকরাম
হোয়াটসেপ, ভাইবার মনে হয় কোরআন রিসার্চ করে আবিষ্কৃত হয়নি তাই হুজুর বলেননি,
হুজুরে যে ইস্টাইলে ওয়াজ করেছেন, তাতেই বুঝা যায় সে কতটা উপভোগ করছেন ফেইসবুক।
জুকার তো কনফার্ম করেছেনই, আমাদের জন্যও টিকিট এর ব্যবস্থা করে গেছেন,
যত সময় ফেইসবুকে থাকবেন, তত সময় ইবাদত 🙂
আরে বেহেস্তে যাবেন, কাঁদবেন ক্যান?
সৈয়দ আলী উল আমিন
এরাই ইসলাম কে কলুষিত করছে।