হে পুরুষ, তুমিই তোমার স্ত্রীকে তালাক দিলে। স্ত্রীর তিল তিল করে গড়া তার সংসার থেকে তাকে বিতারিত করলে। কেঁদে কেটে বুকে পাথর চাপা দিয়ে চলে গেল স্বপ্নহীন অনির্দিষ্ট গন্তব্যে। এখন তুমি আবার তাকে বিয়ে করতে চাও। প্রাক্তন স্ত্রী সে, তোমার কাছে ফিরে আসার জন্য তাকে অন্য একজনকে বিয়ে করতে হবে। শুধু কাগুজে বিয়ে নয় তার সাথে ফিজিক্যালী মেলামেশা করতে হবে। এরপর ২য় স্বামী তালাক দেয়ার পরে তুমি তাকে পুনরায় বিয়ে করলে।
সব কিছু করলে তুমি, কিন্তু সাজা পেলো তোমার স্ত্রী, একজন নারী। তোমার তো কিছুই হলো না। টাকার মত যার থাকবে নারী সেই হবে তার মালিক? অথবা পশু পাখি মাছ এর মত? যাদের ইচ্ছের কোন মূল্যই নেই?
মুসলিম আইন পাল্টানোর সুযোগ নেই। তবে এর সাথে একটি আইন অবশ্যই যোগ করা যায়, #তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ২য় বিবাহ করার ইচ্ছে পোষন করার পুর্বে ওই পুরুষের পুরুষ দন্ড কর্তন পুর্বক ডাক্তারী সনদ সংগ্রহ করতে হবে।# কারন দন্ডই পুরুষের সকল ক্ষমতার উৎস। অথবা এমন কোনো শাস্তি যা এই ধরনের পুরুষদের স্বৈরাচারী হতে দেবেনা।
#তালাককে নিরুৎসাহি করার জন্য, কেউ যাতে তালাক না দেয় একারনে এমন নির্দেশনা ইসলামে দেয়া আছে, দয়া করে এসব কমেন্ট কেউ করবেন না। নিরুৎসাহকে কাচকলা দেখিয়ে তালাক দেয়ার ঘটনা ঘটে অনেক। তখন আর এই সব স্বান্তনার বাণী কাজে আসেনা।
৩৩টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
তবুও থেমে থাকবে না এসব সাইকোদের এমন সব নির্মম বেখেয়ালি চিন্তা ভাবনা। নারীকেই বহন করতে হয় সব কিছু।
অনেক ভাল একটা বিষয় নিয়ে লিখছেন ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
যুগ যুগে নারীরা অত্যাচারিত ।তিনটি শব্দ বা প্রয়োজনে দলিলে সই কি দীর্ঘদিনের মায়ার বাধন শেষ হয়ে যাবে?যেহেতু সমাজ কিংবা ধর্মের নীতি নড়ানো যায় না তাই আপনার সাথে সহমত। -{@
জিসান শা ইকরাম
বড়ই কঠিন নিয়ম, অসহায় ভাবে তাকিয়ে দেখি কেবল।
মোঃ মজিবর রহমান
কষ্ট হলেও বাস্তব এই যে কোনটা কোন শাস্তি নারী কস্টের তারপরও একটি কথা এই যে নিজ স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার বিয়ে করতে হলে আবার অন্যত্রে বিয়ে দিয়ে সেখানে একটি নির্দিষ্ট সময় সংসার করার পর আবার বিয়ে করে তাঁর সাথে ফিজিক্যালি মিলাটাও ঐ পুরুসের জন্য কম অপমানের নয়।
সুন্দর পোষ্ট ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
সেই নারীর অপমানের কাছে পুরুষের অপমান কিছুই নয়।
মোঃ মজিবর রহমান
তা ঠিক ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
শুভ কামনা, মজিবর ভাই।
নিহারীকা জান্নাত
তালাকের পর শুধুমাত্র অসহায় নারীরাই পুর্ব স্বামীর ঘরে ফিরে আসতে চাইবেন। আর অন্য যে কোন ক্ষেত্রেই আগের সংসারে ফিরে আসা উচিত নয়। নারীকে অসহায় ভেবেই পুরুষরা এতটা সাহস পায়। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে মেয়েদের স্বাবলম্বী ও সাহসী হওয়া জরুরী। সচেতনতাও বাড়ানো দরকার।
সুন্দর পোস্ট।
জিসান শা ইকরাম
মেয়েদের স্বাবলম্বী ও সাহসী হওয়ার বিকল্প নেই কোনো।
ইঞ্জা
যথার্থ লিখেছেন ভাইজান, ধর্মের আড়াল করে যারা নিজ সার্থ্য উদ্ধারের পাঁয়তারা করে তাদের ছেড়ে দেওয়ার কোন দরকার নেই, মানুষের বুঝা উচিত ধর্ম মানুষের জন্য, মানুষ ধর্মের জন্য নয়।
জিসান শা ইকরাম
এই সমস্তকিছুই নারীকে অবমূল্যায়ন করার জন্য,
তাঁকে পীড়ন করার জন্য।
ইঞ্জা
সহমত ভাইজান।
মিষ্টি জিন
স্ত্রী কে তালাক দিয়ে আবার বিয়ে করার যে নিয়ম আছে.. তা অত্যন্ত নোংডা মনে হয় আমার কাছে।
সৃষ্টির শুরু থেকেই নারীরা অবহেলিত। এবং ভোগের বস্তু হিসেবেই পরিচিত হয়েছে।
এর থেকে পরিত্রান্র পেতে হলে নারীকে স্বাবলম্বি হতে হবে।
সুন্দর পোষ্ট।
তবে আর একটু বিস্তারিত এবং উদাহরণ সহকারে হলে আরো ভাল লাগতো ।
জিসান শা ইকরাম
আপনার মন্তব্যের সাথে একমত,
প্রায় সবারই জানা এই আইন কানুন, তাই আর বিস্তারিত দেই নি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
নারীকে যুগে যুগে বিভিন্ন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। অত্যাচারিত হয়ে ঘর ছেড়ে গেলে বলা হয় নারীদের আরোও একটু ধৈর্য রাখতে হয়। ঘরে বসে মার খেলে অন্যেরা বলবে আরে সাধে কি আর মারে? নিশ্চয়ই কিছু করে। নারীদের অবস্থা ‘না ঘর কা না ঘাট কা!’
আর সনাতন ধর্মে তো নারীদের বিবাহ বিচ্ছেদই ছিলোনা। যদিও বেশ কয়েক যুগ ধরে ভারতে বিবাহ বিচ্ছেদ প্রথা চলছে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে। ওখানে হিন্দু বিবাহ আইন চালু হয়েছে বহু আগে থেকেই। আর বাংলাদেশে এখনও এই আইন প্রণয়নই হয়নি। কোনো সরকারই এদিকে কখনোই খেয়াল করেনি। তবে বিশেষ বিবাহ আইন বলে একটি আইন প্রণীত হয়েছে। আর বাংলাদেশের হিন্দু নারীরা ‘হিন্দু ম্যারিড উইমেনস রাইট টু সেপারেট রেসিডেন্স অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স অ্যাক্ট ১৯৪৬’ অনুযায়ী কিছু কিছু ক্ষেত্রে পৃথক ভাবে বসবাস করার ও ভরণপোষণ পাবার অধিকার পান।
নানা ভালো একটা বিষয় নিয়ে তুমি লিখছো। আশা করি ভবিষ্যতে এই সমাজব্যবস্থার বিয়ে ও বিয়েবিচ্ছেদ সম্পর্কে বিভিন্ন নিয়ম-কানুনের পরিবর্তন আসবে।
জিসান শা ইকরাম
” নারীকে যুগে যুগে বিভিন্ন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। অত্যাচারিত হয়ে ঘর ছেড়ে গেলে বলা হয় নারীদের আরোও একটু ধৈর্য রাখতে হয়। ঘরে বসে মার খেলে অন্যেরা বলবে আরে সাধে কি আর মারে? নিশ্চয়ই কিছু করে। নারীদের অবস্থা ‘না ঘর কা না ঘাট কা!’ ” == একমত তোর মন্তব্যের সাথে।
সনাতন ধর্মে বিবাহ বিচ্ছেদের অধীকার নেই নারীদের এটি অনেকেই জানেন না, জানানোর জন্য তোকে ধন্যবাদ।
সহমরন নেই এখন, তবে বর্তমানে এভাবেই পুড়িয়ে মারছি আমরা নারীকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা সমাজ যতোই উন্নত হোক না কেন, নারীরা এখনও পিছিয়েই আছে।
জিসান শা ইকরাম
নিয়ন্ত্রণ করে যে পুরুষে।
আবু খায়ের আনিছ
কিভাবে কি হবে? যে কোরআনের কথা বলছেন ভাইয়া সেটার ব্যাখ্যা কে করেছে? পুরুষ। যে হাদিসের কথা বলছেন সেটা কে ব্যাখা করেছেন? পুরুষ। আর সেই পুরুষ তো চাইবেই নিজের পক্ষে থাকুক কিছু সুবিধা।
তালাকের পর সেই স্ত্রীকে পূর্ণরায় বিয়ে করার জন্য একগাদা শর্ত জুড়ে দেওয়া আছে, আছে অনেকগুলো নিয়ম সবগুলোকে বাদ দিয়ে এই পুরুষ সমাজ চালু করেছে হিল্লা বিয়ে নোংরা ভাষায় বউকে আরেকজনের কাছে ফ্রিতে ভাড়া দাও একদিনের জন্য। পুরুষের ব্যাখা করা তো, নারী ব্যাখা করলে হয়ত সম্পূর্ণটা প্রকাশ হতো নয়ত কিছুটা অধিকার নারীকেও দেওয়া হত।
শুন্য শুন্যালয়
কোরআনে কেন সবকিছু “তোমরা তোমাদের নারীদের” কে বলা আছে? কেন কোন নারী নবী -রসুল নেই?
আবু খায়ের আনিছ
এই প্রশ্নের কি উত্তর দিবো আমি? আমিও তাই পড়েছি যা আপনি পড়েছেন। তোমরা তোমাদের নারীদের এই কথার দুটো সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হতে পারে, সৃষ্টিকর্তা নারীদের পুরুষের অধিনস্ত করে দিয়েছেন, অন্যটি ভুল ব্যাখা করা হয়েছে। পরের প্রশ্নের কোন উত্তর নেই।
নারীরা বিয়ের আগে বাবার অধিনে, বিয়ের পর স্বামীর অধিনে, এবং বার্ধ্যক কালে ছেলের অধিনে থাকবে বলা আছে, কিন্তু কেন?
সাধারণ হুজুরেরা যে ব্যাখ্যা দেয় তা আমার মনপুঃত নয়, আর বিজ্ঞ আলেমেরা নিরবতা ধারণ করে। একটা কনফিউশনে রেখে দেওয়া হচ্ছে আমাদের।
জিসান শা ইকরাম
বহু বছর পূর্বে বেগম রোকেয়া একটি কথা লিখে গিয়েছেন যার ভাবার্থ হলোঃ ধর্মগ্রন্থ সমুহ সব পুরুষেরা লিখে গিয়েছেন, কিছু ধর্ম গ্রন্থ্ নারীরা লিখলে অবস্থা পাল্টে যেতো।
যুক্তিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
কর্তন কখনও কখনও জরুরী হয়ে যায়,
হিল্লা কোন সমাধান হতে পারে না, আসলে আমাদের সমাজে ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীকে
সব সময় অসম্মান করা হয়ে থাকে, তার স্বাধীনতা হরণ করা হয় মাত্র।
জিসান শা ইকরাম
কর্তনের কোন বিকল্প নেই।
স্বপ্ন নীলা
আমারতো মনে হয় ঐ পুরুষের দ্বন্ডটাই কেটে দেয়া উচিত — আর একবার তালাক দিলে উক্ত পুরুষের কাছে কিছুতেই যাওয়া উচিত নয় —
জিসান শা ইকরাম
একমত আপনার সাথে।
কবে যে আমাদের সমাজ এমন অন্ধকার থেকে মুক্তি পাবে?
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হিল্লা বিয়ের মাধ্যমে আবার ফিরে আসতে হবে কেনো? তিনটি শব্দ উচ্চারণের ক্ষমতার দম্ভে ছুড়ে ফেলতে যে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি, তাঁর কাছে আবার ফিরে আসার মতো লাঞ্ছনা নারী জীবনে আর দ্বিতীয়টি নেই।
আর ব্যাখ্যা? পুরুষ যেহেতু ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছে, সে তার সুবিধা ষোলআনা নিজের পক্ষে রেখেই দাঁড় করিয়েছে। আর সেখানে বরাবরই খড়গটা চালানো হয় নারীর উপর দিয়েই।
জিসান শা ইকরাম
নারীকে পশুর কাতারেই দাঁড় করানো হয়েছে,
যেখানে তার ইচ্ছের কোন মূল্যই নেই।
শুন্য শুন্যালয়
হিল্লা বিয়ে, ছি:। কর্তনের মতো কঠোর কিছু করেই বন্ধ করা উচিৎ এই নিয়ম। আগেরমত হয়তো হয়না, তবে আমরাতো এখন পেছনগামী।
আপনার পোস্টের সাবজেক্ট সাধুবাদের যোগ্য। নিয়মিত লিখুন। আর লেখায় আরো মনোযোগ দিন। 🙂
জিসান শা ইকরাম
খুব দ্রুত পিছনে হাটছি আমরা,
এর গন্তব্য কোথায় জানিনা।
আমি লেখক নাকি আপনাদের মত? এর বেশি মনযোগ দেয় ক্যামনে? 🙂
চাটিগাঁ থেকে বাহার
জীবন অনেক কঠিণ।
বাস্তবতা তার চেয়েও কঠিণ।
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ, খুবই কঠিন।