ছন্দবদ্ধ জীবন থমকে যায় ঝড় জলোচ্ছ্বাস, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে। অপ্রস্তুত মানুষ সম্পূর্ণ অনভ্যস্ত সময়ে বৈরী পরিস্থিতিতে
দিশেহারা। স্বপ্নের সাম্রাজ্য বানের জলে ভেসে আসা পলিতে ডুবে থাকে, ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে তছনছ। কোন এক দৈত্য,
মহাসমুদ্রে লুকিয়ে থাকা দানো হেঁটে যায় জীবনের পথে। সোনালী বিকেল পেরিয়ে আশার সুর্য ডুবে
গিয়ে আঁধার নেমে আসে ধীরে ধীরে। কেউ কেউ তখন ঘুমের ঘোরে আশার স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন বোনে।
স্বপ্নবাজদের আকাশে উকি দেয় সোনালী ভোর। কিষাণীর হেঁটে যাওয়া পথের দুধারে সোনালী
ফসলের স্বপ্নে বিভোর কিষাণ। হার না মানা বুকে নতুন জীবনের জয়গান, স্বপ্নের ফসলে পূর্ণ মাঠ, প্রান্তর।
অর্থহীন কিছুর সাথে সাথে যুক্ত হয়ে সবকিছুর পূর্ণতা লাভ, প্রত্যয়।
বহমান সুগন্ধার বাকে আলোর উল্লাস
জলে কাঁপন,
২৯টি মন্তব্য
মিষ্টি জিন
অভিভূত। এত সুন্দর করে মানুঁষ লিখে কেমনে?ছবি গুলো অসাধারন।
জিসান শা ইকরাম
লেখা আবার সুন্দর হয় কিভাবে?
কি লিখলাম তা তো নিজেই জানি না।
প্রথম ছবিটা শুন্য শুন্যালয়ের আইডি থেকে চুরি করে নেয়া, ঐ ছবির ক্রেডিট সম্পুর্নই ওনার।
ছাইরাছ হেলাল
বৈরিতা আছে বলেই জাগে মানুষ, বৈরিতা আছে বলেই উত্তাল সমুদ্র পেরোয়,
বৈরিতা আছে বলেই মধুস্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙ্গে, ঘুমুতে যায় সোনালী আকাশের স্বপ্ন নিয়ে।
বৈরিতা চালু থাকুক!
জিসান শা ইকরাম
আধারের পথ পাড়ি দিতেই হয় আমাদের নিজস্ব স্বপ্ন ভুবনের জন্য।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
স্বপ্নবাজদের আকাশে উকি দেয় সোনালী ভোর…চমৎকার অনুভুতি। -{@
জিসান শা ইকরাম
স্বপ্নবাজদের আকাশে উকি দেয় সোনালী ভোর…চমৎকার মন্তব্য 🙂 -{@
মোঃ মজিবর রহমান
ভবিষ্যৎ আছে, স্বপ্ন আছে তাই মানুষ সব অন্ধকার, মুসিবত ঝেড়ে সামনে এগোয়। এটাই স্বাভাবিক ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
সোনালী ভোর এর দিকে ধাবিত হই আমরা,
শুভ কামনা মজিবর ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
(y) তাই ভাই।
জিসান শা ইকরাম
শুভ কামনা মজিবর ভাই -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা প্রতিটি ছবি অসাধারণ, বিশেষ করে ভোরের সূর্য।
আমি একটু অনিয়মিত হবো ব্লগে। ভেবোনা ব্যস্ত হয়ে একসময় পাগলও করে দেবো।
ভালো থেকো নানা।
জিসান শা ইকরাম
প্রথম ছবিটা শুন্য শুন্যালয়ের আইডি থেকে চুরি করে নেয়া, ঐ ছবির ক্রেডিট সম্পুর্নই শুন্য শুন্যালয়ের।
নিজের কাজ প্রথম, এরপর ব্লগ।
তুইও ভাল থাকিস।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা শুন্য আপুর কথা কি আর বলবো!
তবে তুমি আমার নানা, কম যাওনা। 😀
আমি খারাপ কি থাকতে পারি কখনো? 😀
ভালো থেকো নানা। -{@
জিসান শা ইকরাম
ছবি তোলায় ওস্তাদাইন হইছে শুন্য,
আমরা তার কাছে ছবি তোলা শিখুম,
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
অসাধারণ অনুভব, অসাধারণ লিখণী, ভালো লাগলো।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ ইঞ্জা ভাই,
শুভকামনা -{@
ইঞ্জা
শুভকামনা -{@
আবু খায়ের আনিছ
ছবি আর লেখা দেখে আমার রুমমেট বলল, বাপরে বাপরে বাপ, যেমন ছবি তেমন তার ক্যাপশন। অসাধারণ………….
আমি শুধু তার সাথে সুর মিলাইলাম।
জিসান শা ইকরাম
তোমার রুমমেট সহ তোমাকে অফুরান শুভেচ্ছা -{@
অলিভার
মানুষ হয়ে বাঁচতে হলে হতাশা নিয়ে আটকে থাকতে পারে না, তাদের এগুতেই হয়। পুরাতন স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবার পরেও ভাঙ্গা টুকরো একসাথে করে আবারও নতুন স্বপ্নে বিভোর হতে পারে। আর যারা বার বার ভাঙ্গা টুকরো জোড়া দিয়ে নতুন স্বপ্নের জাল বুনন করতে পারে তারাই এগিয়ে যায় 😃
দারুন জীবনমুখী লেখা। আপনি বার বার বলেন না যে ‘গল্প লিখা শিখতে হবে’। আর আমার মনে হয় আপনাদের কাছ থেকে ‘কবিতা’ আর এমন ‘জীবন জ্ঞান’ চুরি করে নিতে হবে 😛
জিসান শা ইকরাম
” মানুষ হয়ে বাঁচতে হলে হতাশা নিয়ে আটকে থাকতে পারে না, তাদের এগুতেই হয়। পুরাতন স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবার পরেও ভাঙ্গা টুকরো একসাথে করে আবারও নতুন স্বপ্নে বিভোর হতে পারে। আর যারা বার বার ভাঙ্গা টুকরো জোড়া দিয়ে নতুন স্বপ্নের জাল বুনন করতে পারে তারাই এগিয়ে যায়। ” ————– এটিই আমি বলতে চেয়েছি, যা অলিভার খুব সুন্দর আর সহজ ভাবে বলে দিল।
দেব নাকি আমার লেখা মুছে দিয়ে অলিভারের মন্তব্যটি লেখা হিসেবে দিয়ে? 🙂
এইটা কি কবিতা? কবিতা লেখে কবিতা, আমি তো কবিনা 😀
জীবনের জয়গান অলিভার।
শুভ কামনা -{@
অলিভার
“দেব নাকি আমার লেখা মুছে দিয়ে অলিভারের মন্তব্যটি লেখা হিসেবে” তখন কিন্তু লেখাটির অর্থই পাল্টে যাবে। হয়তো ব্যপকতা ছেড়ে নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আটকে যাবে লেখাটি। সামগ্রিক একটা অংশের অল্প কিছু অনুধাবনের প্রকাশ ছিল ঐটুকু। পুরোটা বুঝতে পারলে আপনাদের মতই জীবনমুখী জ্ঞানের কথা লিখতে পারতাম 😛
এটা অবশ্যই কবিতা নয়, একদম আপনার ‘একান্ত অনুভুতি’র প্রকাশ ছিল লেখাটি। তবে ব্লগে সকলের কবিতা পড়ে পড়ে হিংসে হয় অনেক। না তেমন করে লিখতে পারি, না পারি তাদের কবিতার মর্মোদ্ধার করতে ;( মাঝে মাঝে তো কবিতার অর্থ বুঝতে গিয়ে যা বুঝি তারও তালগোল পাকিয়ে ফেলি :p
জিসান শা ইকরাম
অলিভারের ব্লগবাড়ি গেলে হিংসে হয় আমারো 🙂
অলিভারের লেখা মিস করি,
শুভ কামনা -{@
শুন্য শুন্যালয়
নীচের ছবি দুটো যে কী অদ্ভূত সুন্দর বোঝানো যাবেনা!
ঝড় জলোচ্ছ্বাসের পরেও সবাই স্বপ্ন দেখে, পদ্মায় সব হারিয়ে যাওয়া মানুষও বেঁচে থাকে, থাকতে চায়। তবে ঝড়ের মূহূর্তগুলো অনেক দীর্ঘ, প্রতিটি সেকেন্ড তখন এক একটা মহাজীবন, যেন শেষ হতে চায়না। সব কাঁটিয়ে ফিরে আসুক শুন্য থেকে নূতন জীবন।
আপনার লেখাগুলো আশা জাগিয়ে রাখে, শক্তি দেয়। লেখা বুঝি এভাবেই লিখতে হয়!
ভালো থাকুন অনেক বেশি।
জিসান শা ইকরাম
আর প্রথম ছবিটার কথা কিছু বললেন না যে? 🙂 প্রথমটা আরো বেশী সুন্দর।
ঝড়ের মূহূর্তগুলো অনেক দীর্ঘ হলেও সোনালী ভোর এসে সব কষ্ট ভুলিয়ে দেয়, স্বপ্ন বাস্তব হয়ে যায়,
মায়ার পৃথিবীরা এগিয়ে আসে হাতের মুঠোয়,
সব কাঁটিয়ে ফিরে আসবেই শুন্য থেকে নূতন জীবন,
শুভকামনা রাশি রাশি -{@
আপনাদের কাছ হতে লেখা শেখার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ছবিসহ লেখাটি ভাল লেগেছে।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ আপনাকে -{@
নীরা সাদীয়া
চমৎকারভাবে তুলে এনেছেন প্রকৃতির লীলাকে।
জিসান শা ইকরাম
পঠনের জন্য ধন্যবাদ -{@