"বাংলাদেশ" একটি নাম যার চার পাশেই তাজাঁ রক্তের বাউন্ডারী।পৃথিবীর ইতিহাসে এক মাত্র এ দেশেই হয়েছিল রক্তক্ষয়ী মাতৃ ভাষা আন্দোলন হয়েছে গণহত্যা আর ধর্ষণের সীমাহীন অত্যাচার।সেই অশুভ ছোবলের যুদ্ধ শিশু নন্দিনী একজন।জটিল অসুখটি ধীরে ধীরে শুভ লক্ষণের দিকে।সেই দিনের শাহবাগের সেই ধর্ষনের আন্দোলন চলছে তার সাথীরা সেখানে ছিলো।পাশা পাশি খুব শ্লোতে চলছিলো সরকারী চাকুরীর কোটা সংস্কার।হঠাৎ ক্ষমতাসীন দলের এক বিচক্ষণ নেত্রী দেশ স্বাধীনের বীরাঙ্গনার একটি কথায় আবারো আন্দোলনটা জমজমাট হয়ে উঠে।এবার আন্দোলনটি ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলাগুলোর ছাত্র জনতার মাঝে।এরই মাঝে আর কয়েকটি দিন পরই অথাৎ ১৪ই এপ্রিল ২০১৮ সাল ১৪২৫ বঙ্গাব্দ উৎযাপিত হবে।এই আন্দোলনের কিছুটা ধ্বংসাত্বক জের গিয়ে পড়ল মঙ্গল শোভা যাত্রার তৈরীকৃত মুখোশ গুলোর উপর,পরে ভিসির বাস ভবন ভাংচুরে।এমন এক পরিস্থিতিতে সূর্য্য খানিকটা রেষ্ট নিতে বাসায় চলে আসেন।মা ঘরের বারান্দায় তজবিঁ হাতে প্রভুর ধ্যানে মগ্ন।আশ্রীত রোহিঙ্গারা কেউ বাড়ীর উঠোনে কুলো দিয়ে চালের ময়লা বের করছেন কেউ বা ঘরের ভিতরে অন্য কাজে মগ্ন।আর মুরুব্বি ঘরের মেঝেতে মাছ ধরার জাল বুনছেন যা সাধারনত এ শহরে দেখা যায় না।ছোট শিশুরা উঠোনের মাটিতে কি যেন খেলায় মগ্ন।সূর্য বেশ ক্লান্ত ভাবেই বাসায় প্রবেশ করেন।
-কি রে সূর্য তোমাদের আবার কি হলো!শহরে এতো ছাত্র ছাত্রী জড়ো হচ্ছে কেনো?।
মা ধ্যান ভেঙ্গে কথা বলাতে সূর্য্যে থেমে মায়ের পাশে ঘরের পাকা ভিটেতে বসলেন।
-এ দেশটা মা আন্দোলনের দেশ হয়ে গেছে।একটার পর একটা আন্দোলন আছেই।সরকারী চাকুরীতে কোটা যা ৫৬% তার সংস্কারের দাবীতে।
-দেশ এখন অনেক এগিয়েছে বিশ্ব এখন এ দেশটাকে সমীহ করছে বিশ্বে উন্নত দেশগুলোর কাতারে ক্রমশতঃ চলে যাচ্ছে যার প্রশংসার কেবল শেখের বেটি হাসিনাই পাওনা।যেমন বাপ তেমনি তার বেটি।তার আমলে দেখিস এ আন্দোলন বেশী দিন স্থায়ী হবে না।
মা ছেলের কথার আওয়াজ পেয়ে ঘর হতে নন্দিনী তাদের সাথে সামিল হয়।মায়ের পাশে একটি মোড়া টেনে বসে।নন্দিনী টিভির বদলতে এর কিছুটা খবর রেখেছিলো বলে সমর্থন দিলেন কোটা সংস্কারের পক্ষে।
- এইটা সংস্কারের প্রয়োজনীতা আছে।কারন মেধার বিপরীত ৫৬% কোটা রীতিমত যুব ছাত্র সমাজের জন্য ভয়ংকর।মুক্তিযুদ্ধাদের স্বাধীনের ৪৮ বছরের পরও ৩০% রাখার কোন যুক্তি নেই এর কিছু অংশ কমিয়ে অন্যগুলোতে বাড়ানো দরকার।তাছাড়া যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তাদের জন্য এ কোটা প্রথা এখন অপমান জনক!তাছাড়া আমি অবাক হই এ দেশে এখনো মুক্তিযোদ্ধা বেচে আছে!শুনেছি এখানে নাকি অনেকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে এর সুবিদা নিচ্ছে তাছাড়া এখন জেলার সংখ্যা বেড়েছে বেড়েছে নারী প্রতিবন্ধি উপজাতির সংখ্যা তারা এখন অনেকেই অনেক ক্ষেত্রে সফল।তাই জেলা কোটা ১০%,নারী ১০%,উপজাতি ৫% কমিয়ে আপটু ৪০/৫০ মধ্যে রাখলে ভাল হয়।
-তুমিও দেখছি ওদের মতই কথা বলছ!তুমি কি জানো এই মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এ দেশে অনেক যড়যন্ত্র হচ্ছে!তুমি কি জানো ১৯৭৫ এ বঙ্গ বন্ধু জাতির পিতাকে হত্যা করার পর তারই প্রণীত মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে চব্বিশটি বছর মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারী চাকুরীর সুযোগ সুবিদা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিলো?অবশ্য তুমি না জানারই কথা তোমার শৈশবতো আর এদেশে কাটেনি।তুমিতো আর এ দেশী.....ন...ও!!
অনেকটা ভুলেই গিয়েছিলো নন্দিনী যে,সে যুদ্ধ শিশু।দত্তক পিতামাতার কাছে বড় হয়েছেন ভিন দেশে।আজ আবারো এতোগুলো বছর পর মনে পড়ল তার অতীত।নিমিশেই চোখে জলে ভরপুর।মা তা বুঝতে পেরে পরম মমতায় নন্দিনীর মাথাটা তার ডান কাধে রাখলেন।সূর্য্যও টের পেলেন।মনে মনে নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছেন।…ধ্যাত!এ ভাবে বলাটা তার মনে হয় ঠিক হয়নি কিন্তু কি করবে তার মন যে সংগ্রামী।মুক্তি যুদ্ধের মুক্তি যোদ্ধার বিপক্ষে কেউ কোন কথা বললেই মাথায় তার রক্ত উঠে যায়।
সূর্য্য বৈঠক হতে আস্তে করে নিঃশব্দে তার রুমে চলে গেলেন।নন্দিনী তার স্থানে এসে মায়ের দুহাটুতে মাথা রাখলেন।মা তার মাথায় হাত বুলাতে লাগলেন।

রাতের অন্ধকারে ঢাকা শহর বিজলীর আলোতে ঝিলমিল করে।রাতের গভীরতার সাথে শহরের ভাল মানুষগুলো ঘরে ফিরে।রাত জাগা শহুরের মানুষগুলো পারিবারিক ভাবে আনন্দ বেদনায় সারা রাত জেগে থাকেন,কেউ বা নাক ডেকে ডেকে ঘুমে বিভোর।এমনি এক পরিবেশে রাতের গভীরে সূর্যের নির্ঘুম মায়ের কানে বাহিরের কিছু মানুষের হৈচৈ কানে আসতেই মা রোজী তার সন্তানের দরজায় কড়া নারে।সূর্য অর্ধঘুমে দরজা খোলে মায়ের কথা বুঝতে পেরে ঘরের বাহির হল।পাশের  ফ্লাটে পরিচিত এক ফ্যামিলির হৈ চৈ চিৎকার চেচামেচি।সমস্যা মনে করে সে এগিয়ে গেল।জানতে পারলেন কোন এক মায়ের ডেলিভারী সমস্যা।সূর্য মুঠো ফোনে কল করলেন।সঙ্গে সঙ্গে এ্যাম্বুলেন্স চলে এলো।
দ্রুত এ্যাম্বুলেন্সে প্রসূতি মাকে আনা হল কাছের এক হাসপাতালে।ডাক্তার মহাশয়া প্রস্তুত আল্লাহু আকবার এর জন্য।সূর্য্যের বাধা।
-কি হচ্ছে ডাঃ?
-দেখছেন না রেডি হচ্ছি!
-মানে?
-অপারেশন করতে হবে।রোগীর সিরিয়াস অবস্থা।
সূর্য অবাক!
-রোগী দেখলেন কখন?
-দেখেছি,
-কখন?আমিতো ভাই এই রোগীর এক গার্জিয়ান!
-ও তাই,,সমস্যা নেই এ সব রোগী এখানে এলে আমরা সাধারনতঃ সিজারিংই যাই কারন তাতে রিক্স কম থাকে।
এরই মধ্যে সূর্য্যের ফ্রেন্ডস সার্কেল কবি সাহিত্যিক রাজনিতীবিদ সাংবাদিক হাসপাতালে প্রবেশ করলেন।ডাক্তার পরিস্থিতি আচ করতে পেরে তাদের রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যেতে বললেন।সমর এখানে তার কথাটা আটকে দিলেন।
-কেনো ডাক্তার!অন্যত্র নিয়ে যাবো কেন?আপনারা কি এর আগে এ রকম ডেলিভারী কেইস এর কাজ করেননি,নাকি অন্য কোন সমস্যা আছে?
সূর্য ডাক্তারের সাথে তর্কের বিষয়টি সমরকে বুঝিয়ে বলাতে সমর আরেকটু বেকে বসলেন।
-না,আর কোথাও যাবো না।আপনাদেরতো দেখছি সরকারী লাইসেন্সকৃত মিনি হাসপাতাল।এখানতো আরো এমন ডেলিভারী রোগীর আনাগোনাও দেখছি তা হলে আমাদের বেলায় না কেন?আগেতো রোগীর পরীক্ষা নীরিক্ষাগুলো দেখবেন তারপর না হয় সিদ্ধান্ত নিবেন।
উপস্থিত ডাক্তার সাহেব কি বলবেন কি করবেন বুঝতে পারছেন না।কেননা তখন মাঝ রাত।সে একটু আমতা আমতা করে বললেন।
-ঠিক আছে আমি একটু ডাক্তারের সাথে ফোনে আলাপ করে নিই।
-মানে?আপনি তাহলে ডাক্তার না?
ভীরের মধ্যে এক অচেনা রোগীর একজন সাথী বলে উঠলেন সত্য কথা।
-না ভাই ওনিতো ডাক্তার,,,এইতো কিছুক্ষণ হল আমার বোনের ডেলিভারীর সিজার করলেন..ওনিই।
-তাহলে সমস্যা কোথায় ডাক্তার?
-না মানে আমি কেবল সিজারের কাজটি করি।রিপোর্ট বা রোগীর শারিরীক অবস্থাগুলো দেখেন আমার স্যার।
তার কথায় সমরদের মনে খটকা লাগল।এখানে নিশ্চয় দুই নম্বরী কিছু একটা আছে।ঐ দিকে প্রসূতি মায়ের চিৎকার শুনে সূর্য তার বেডের দিকে গিয়ে আবার ডাক্তারের কাছে এসে বললেন।
-যা করার একটু জলদি করুন।রোগীর পেইন খুব বেশী মনে হচ্ছে।
-অনুমতি দিলে তাকে এখুনি অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাব।
-ঠিক আছে তাই করুন।
রোগীকে দ্রুত অপারেসন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হল।এদিকে ওরা অয়েটিং ফ্লোরে সেটিং করা বিশাল টিভিতে খবরা খবর দেখছেন।সে দিনটি ছিল যুদ্ধাস্ত বাংলাদেশ নামক একটি নতুন মানচিত্রের বিশ্বে সাইনন্টিফিক পরিচিতি।দীর্ঘ কাল স্বাধীনতা লাভে সাইনন্টিফিকে আজ প্রথম বড় কোন সাফল্য আসল।
বিশ্বে মহাকাশে আমেরিকার স্যাটেলাইট আছে প্রায় ১৬১৬ টি।পাশের দেশ ভারতের স্যাটেলাইট আছে ৮৮ টি আর পাকিস্তানের স্যাটেলাইট আছে তিনটি।আবার মহাকাশে কেনিয়ার মতো দেশের স্যাটেলাইট আছে ১ টা,যাকে বলি ফুটবলের দেশ সেই আর্জেন্টিনার স্যাটেলাইট আছে ১৮ টি আর ব্রাজিলের আছে ১৭ টি মতন,সাউথ কোরিয়ার আছে ২৭ টি,স্পেনের আছে ২৪ টি,থাইল্যান্ডের আছে ৯ টি জাপানের প্রায় ১৭২ টি সে অনুপাতে স্বাধীনের এতগুলো বছর পর আমাদের লাল সবুজের প্রিয় বঙ্গ মাতার একটিও স্যাটেলাইট থাকবে না তাই হয়!

আমরা যদি আরো কিছু সাইন্টিফিক বিষয়ে পর্যালোচনা করি তবে দেখতে পাব পরমানু অস্ত্রের দিক দিয়ে সুপার পাওয়ারে আছে রাশিয়া যার সংখ্যা প্রায় ৭ হাজারের উপরে।তারপর আমেরিকায় যারা প্রায় ৬৬৫০টি পরমানু অস্ত্রের অধিকারী।এশিয়ায় ভারত এবং পাকিস্তানের পরমানু অস্ত্র যথাক্রমে প্রায় ১৩০ এবং ১৪০ টি করে।আর বদের খাটাস ইসরাইলের আছে ৮০ টি,ফ্রান্সের আছে ৩০০ টি।চীন এবং উত্তর কোরিয়ার আছে যথা ক্রমে প্রায় ২৭০ টি এবং ১৫ টি করে নিউক্লিয়ার উইপন্স।আর মহাকাশে রুশ স্যাটেলাইট কয়টা আছে সেটা নিয়ে দ্বিমত থাকলেও ধরে নেয়া যায় এই সংখ্যা ১৪২ এর আশেপাশে হবে যার মধ্যে ২০১৬ সালে রাশিয়া মহকাশে আরো ৭৩ টি মাইক্রোস্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেন।

আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের নাম আছে ব্যালাস্টিক সাবমেরিন ৬টি এলিট দেশের তালিকার মধ্যে।জাপানের ১৬ টা সাবমেরি,ভারতের আছে ১৬ টা আর ইরানের আছে ৩১ টা করে সাবমেরিন।আর রাশিয়াতো নিজেরাই তা বানায় তবুও তার আছে প্রায় ৬৩ টি।চীনের আছে ৬৯ টা বিভিন্ন আন্তজার্তিক অবরোধের মধ্যে থেকেও উত্তর কোরিয়ার ১৫ টা পরমানু বোমা আর ৭৮ টা সাবমেরিন আছে।এ সব বিষয়ে পুরো একটি ডকুমেন্টরি দেখাচ্ছিলো টিভিতে যা সূর্যরা অপেক্ষারত ওয়েটিং ফ্লোরে বসাবস্তায়  দেখছেন।আবার সূর্য মাঝে মাঝে ডাক্তারের খোজ খবর নিচ্ছেন।প্রয়োজনে উঠে গিয়ে কাজের সহযোগিতা করছেন।যতটুকু বুঝতে পারলেন অপারেসনের তেমন কোন সমস্যা এখনো হয়নি।
হাসপাতালের করিডোরে বসে টিভিতে দেখা উৎক্ষেপিত বাংলাদেশের স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু ১ এর পাশা পাশি বিশ্বে ক্ষমতাধর দেশগুলোর সাইনন্টিফিক ও সামরিক মওজুদের রিপোর্ট দেখতে দেখতে সেখানে মিনি আকারে আড্ডা জমে উঠল।সেই আড্ডাতেই দেশের স্যাটেলাইট নিয়ে একজনের বে-ফাস কথার উত্তর দেন সেখানেই আরেক বয়স্ক এক অচেনা ব্যাক্তি।বড় হতাশ হয়েই কিছুটা টিপ্পনিও কাটলেন আমাদের জাতিকে নিয়ে।
তিনি বললেন।
-আরে ভাই,ঐ সব ভিনদেশের উন্নতি দেখে কি লাভ বলেন।রক্তক্ষয়ী স্বাধীনের হাফ সেঞ্চুরী হতে চলল আমরা কি করলাম বলেন?এই স্বাধীনতার ৪৭ বছরে এসেও একটা দেশ পড়ে আছে কেবল ফুটবল আর ক্রিকেটের উন্মাদনা নিয়ে যদিও ক্রিকেটে আমাদের অবস্থান ভাল তবে ফুটবলে আমাদের রেংকিং হল ১৯৭!।আমাদের লাল নীল বাস আছে,প্যারিস রোড আছে,সংস্কৃতির রাজধানী আছে,আছেন টকশো করার মতন এতো এতো বুদ্ধিজীবিগণ।সবই আছে এ দেশে তাইতো অনেকে আমরা বলতে শুনি,সব সম্ভবের দেশ আমাদের প্রিয় এই বাংলাদেশ।শুধু নাই কি জানেন?সাইন্টিফিক মেধা যে মেধা দিয়ে একটা দেশ এগিয়ে যেতে পারে ।কেবল ইন্ডিয়ায় যেমন মারুতি,সুজুকির মতো ব্রান্ড তৈরি হয় আর আমাদের দেশে তৈরী হয় বা হয়েছে কেবল একটিই ব্রান্ড তা হলো "প্রগতি"।এ ছাড়া আমি কোন ব্রান্ড এখনো দেখিনি তবে প্রগতি ব্রান্ডের গুণ হলো কেবল তারা কোন গাড়ী বানাতে পারে না তারা কেবল আমদানীকৃত পার্টসগুলোকে জোড়া লাগায়।অথচ দেশে আছে বুয়েট,রুয়েট,চুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠান।আর সব চেয়ে হতাশার বিষয় হল ঢা বি মতন একটি প্রতিষ্ঠান যাকে এক সময় প্রাশ্চের অক্সফোর্ড বলা হত তা আবিস্কারের জন্য বিখ্যাত হয় না বিখ্যাত হয় আন্দোলনের জন্য।তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু করি রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভাংচুর,হীন মানষিকতায় ঝগড়ায় লেগে পড়ি একে অন্যের উপর।কেউ ভাল ভাবে বসবাস করুক,কেউ মেধা দক্ষতা আর সমপোযোগিতায় বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশটাকে গড়ে তুলুক এটা আমাদের একদম সহ্য হয় না।ভাল করলেও বলি ঐবেটা বা নেতা নেত্রী খুব খারাপ।মোট কথা হল আমাদের দেশে স্বাধীনের পর হতে এ পর্যন্ত ভাল বা দেশের স্বার্থ হয় এমন কোন বিরোধীদল পাইনি যারা শুধু দেশ ও জনতার কথা বলবেন এবং মৌলিক অধিকার আদায়ে বাস্তবায়নে কাজ করবেন।
সেই লোকটিকে ইঙ্গিত করে সে আরো বললেন,,,আরে ভাই এ সরকার উন্নয়নের যে পদক্ষেপ নিয়েছেন বা করছেন অটোমেটিক লাভটা হবে কার?আমাদের,এদেশের মুক্তিকামী বাংলার নতুন প্রজন্মের।মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন যারা তাদের আত্মায় শান্তি আসবে।তাদেরকে আমরা অন্তত বলতেতো পারবো-আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি নই আমরা তোমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছি আর অন্তত ১৫/২০ বছর পরেও যেন আমরা বিশ্বকে বলতে পারবো ,আমাদেরও আছে বঙ্গ বন্ধু সিরিজের ৪/৫ টা মিলিটারি স্যাটেলাইট।আছে ১০/১২ টা সাবমেরিন আরো আছে আমাদের পরমানু প্রকল্প।আমরা আর কারো কাছে মাথা নত করবো না।তোমাদের স্বপ্নের ছায়ায় আমরা এগিয়ে যাবো বিশ্বের সব উন্নত দেশগুলোর সমান তালে।আজ আমাদের পুরুষদের সাথে নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছে।মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান পুরুষের চেয়ে কম ছিলো না তেমনি দেশ গড়তেও নারীদের অবদান অনস্বীকার্য।চিরাচরিত রান্না ঘরের কাজ সেরেও ক্রীকেট সহ বিভিন্ন মাধ্যমে নারীরা আজ বিশ্ব নন্দিত হচ্ছেন তাই বলতে পারি তোমাদের দেশ সৃষ্টির আত্ম ত্যাগের ঋণের বুঝা তিল তিল করে হালকা করছি।
লোকটির ধৈর্যহীন সত্য বচনে উপস্থিত সবাই নিশ্চুপ হয়ে শুনছিলেন।কেউ কেউ মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও করলেন।কথা শেষে তার পরিচয় পাওয়া গেল তিনি একজন ৭১ এ সম্মুখ মুক্তিযোদ্ধা।

চলবে..... -{@

প্রজন্মের ঋণশোধ ৪০তম

0 Shares

৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ