মহাকালের সুদীর্ঘ নিস্তব্ধতার পরে,
নিঃশব্দ, কেন এলে?
শেষের এই জরাজটিলতার বিভগ্ন প্রহরগুঞ্জনে!!
ঘুমোতে যাব,
কিংকর্তব্যবিমূঢ়তায় ঢাকা পড়ে যাচ্ছি
শূন্যতার নিরর্থ প্রলাপে,
ঘুমোই এবার?
বলেছিলেতো
সবকিছুই নাকি অন্তঃসারশূন্য, বস্তাপচা,
টুকে-ফুকে লেখা হীনশব্দস্রোত!
ঘুমোলাম;
তবে দেখেনি যে
জীবনচাঞ্চল্যের অহেতুক ভিড়ে কাশফুলের গায়ে
অনন্যসাধারণ সোনালী সূর্যাস্ত, শতাব্দীপরম্পরায় অদ্বিতীয় রুপোলি নদীর
শাঁই শাঁই জল স্রোতের জলকল্লোল, রাহুমুক্ত সাদা চাঁদ;
হৃদপিণ্ডস্পন্দনের অমরতার স্বাদ-আস্বাদ
পাবেনাতো সে;
২০টি মন্তব্য
মিষ্টি জিন
স্বমহিমায় ফিরে এলেন তাহলে। এছাডা আপনাকে মানায় ই না।
সব মাথার কত উপরে দিয়া গেল তা যদি ভাবী তাহলে আমার সাধের চুল আর গর্ব করা দাঁতের কিছু বাকি থাকবে না।
ঘুমান, ঘুমের যেন ডিসপাট না হয়।
বাপরে…
ছাইরাছ হেলাল
মন দিয়ে না পড়ে খালি লাফালাফি!!
বলে দিচ্ছি, নীচের মন্তব্যের উত্তরে,
সেটা পড়ে, লেখাটি আর একবার কষ্ট করে পড়ুন,
প্লিগ লাগে।
মিষ্টি জিন
অনেক কিছু যত বোঝা যায় ততই ভাল.. বাতাসে কয়েকটা তুলে রং ধরেছে এই আর কি?
ছাইরাছ হেলাল
রঙ্গীন চুল কিন্তু আমাদের খুব-ই মনপছন্দ্!
নীলাঞ্জনা নীলা
সাময়িক ঘুম মানেই তো জেগে ওঠা ভোর। আচ্ছা ঘুম মানেই তো সাময়িকভাবে মৃত্যু, তাই না?
একদিন মহাকালের অন্ধকার গহবরে তলিয়ে যেতেই হবে সবাইকে। কতো কি যে অজানায় থেকে যাবে, হরেক রকমের ইচ্ছেগুলো আর পাখনা মেলে উড়ে বেড়াবে না।
যেতেই হয়, এটাই নিয়ম।
কি জানি কি বুঝলাম, আর কি লিখলাম। কুবিরাজ ভাই সত্যি কইরা বলেন কবিতার মানেটা কি? ^:^
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক দিন পর নিঃশব্দ নামের কেউ ফিরে এসেছে,
সেটি আবার ঘুমের সময়।
বিরক্ত বোধে ক্থাশূন্যতা হচ্ছে, তাই চলে যেতে বলছে,
যে একসময় বলেছিল এইসব লেখাটেখা কিচ্ছু না, কিছু হয় না, ভুয়া,
এর উত্তরে বলা হচ্ছে, যে কাশফুল সহ অনেককিছু দেখেনি এবং ভালবাসলে হৃদয়ে
যে অমরত্বের আস্বাদ পাওয়া যায় তা যে পায়নি, তাকে এ সব লেখা বোঝানোর কিছু নেই।
এখন আবার পড়ুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতার তাৎপর্য জেনে গেলে এতো প্রিয় হয়ে যায় শব্দগুলো। কয়েকবার পড়লাম। নিঃশব্দে নয়, উচ্চারণ করে করে নিজের কর্ণকুহরে প্রবেশ করিয়ে তবেই ছাড়লাম। আর কর্ণকুহর থেকে কবিতাটি অনেক ভালোলাগার ভেতরে স্থান করে নিয়েছে। সত্যি বলছি ভালো লেগেছে। অনেক বেশী ভালো লেগেছে কবিতা।
তয় আপনি আমার দাঁত নিয়া ভ্যাঁংচি কাটেন, তাই আবৃত্তি শুনামু না কুবিরাজ ভাই। 😀
ছাইরাছ হেলাল
এখুনি শোনাতে বলছি না, তবে ভেংচি চালু থাকবে।
শুনব নিশ্চয়ই।
তবে সত্যি আনন্দিত হয়েছেন জেনে ভালই লাগছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
এখন তো শোনাবোই না, ভবিষ্যতেও ভেবে দেখতে হবে! ;?
সমস্যা নেই ভ্যাংচি চালু থাকুক। বিবর্তনের পরেই তো মানুষের উৎপত্তি। 😀
ছাইরাছ হেলাল
পরিবর্তন আছে বলেই শাঁকচুন্নীদের জয়জয়কার!!
ভাবেন, ভাবেন, ভাবতেই থাকেন,
নীলাঞ্জনা নীলা
শাঁকচুন্নীরা তো আর বিবর্তন থেকে আসেনি। :p 😀
ছাইরাছ হেলাল
আধুনিক শাঁকচুন্নিরা বিবর্তিত হয়েই এই অবস্থায় এসেছে,
নীলাঞ্জনা নীলা
তার মানে পূর্ববর্তী শাঁকচুণ্ণীদের সাথে আপনার পরিচয় আছে? তা আপনি কি মানুষ হবার আগে ভূত ছিলেন? 😀
ছাইরাছ হেলাল
নীলাঞ্জনা নীলা বলেছেনঃ
ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬, ১১:৩৩ অপরাহ্ন (সম্পাদনা)
মিষ্টি আপু তুমি আমার ঘাড় মটকে খেয়ে পার পাবে ভেবেছো? আমি কিন্তু শাঁকচুন্নী, জেনে রাখো। :p 😀
নিহারীকা জান্নাত
কারো ফিরে আসায় এত ঘুমাতে হয় বুঝি! চোখ খুলুন, তাকে স্বাগত জানান 🙂
ছাইরাছ হেলাল
স্বাগত- তো জানাতেই চাই-ই,
অসময়ে আসলে একটু সমস্যা বৈকি!!
মৌনতা রিতু
বলেছিলেতো
সবকিছুই নাকি অন্তঃসারশূন্য, বস্তাপচা,
টুকে-ফুকে লেখা হীনশব্দস্রোত!
ঘুমোলাম;
ধূর! এমন কথাখান কে কইলো ;?
এতোসুন্দর রাহুমুক্ত চাঁদের সাথে জেগে না থেকে ঘুমতে আছে! জেগে থাকুন তো কিছুক্ষণ।
কি এতো ঘুম ঘুম করেন?
ফিরে যে এসেছে তাকে গ্রহন করুন। তবে তা করুনায় নয়, ভালোবাসায়।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিকাছে, গ্রহন করলাম, কিন্তু আউল-ফাউল বলে ভেগে না গেলা এই
ঝামেলা হতোই না,
শুন্য শুন্যালয়
লেখাটি আমি নেবো 🙁
পূর্নেন্দু পত্রীর টাচ পাচ্ছি কেমন যেন। এরকমটা আগে লিখেছেন কী? না বোধহয়।
আত্মকথন কিংবা কথোপকথন দুভাবেই ভেবে নেয়া যায়।
হৃদস্পন্দন এর স্বাদ কেমন জানিনা, তবে লেখাটির স্বাদ খুবই সুস্বাদু। চাঁদ তবে অভিশপ্তও হয়?
ছাইরাছ হেলাল
নিন না, কে করেছে মানা!!
আসলে পাত্রীর লেখা পড়িনি, তবে পড়ব বলে ঠিক করেছি,
এমন লেখা এখন লিখছি, যদিও ইচ্ছে করে নয়, যখন যা মনে আসে,
এটি আমার খুব প্রিয় লেখা, যখন লিখেছি তখন বুঝিনি, পরে অনেক বার ফিরে ফিরে এসেছি,
স্বাদ সাধু হলেই হবে, এর বেশি চাই না,
কঠিন প্রশ্নের উত্তর হয় না।