না-খুনের আক্ষেপ

ছাইরাছ হেলাল ৩১ জুলাই ২০১৭, সোমবার, ০১:৩১:০৩অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২৯ মন্তব্য

সুললিত সুলালিত ইচ্ছে পূরণের আবদার, যা, না-করতে পারিনি, এক সজ্জন না-সুন্দরীর। সুচারুরূপে কী-ভাবে তা সম্পন্ন করা যায় তা নিয়ে অনেক শলা-বিনিময় হয়েছে, হয়েছে নির্ধারিত অ-নির্ধারিত তুমুল বৈঠক, সময়ের বাঁধা টপকে; সিদ্ধান্ত, তা কার্যকর করার নিকট-দূরত্বে যোগাযোগের হঠাৎ যবনিকাপাত।

গভীর অমাবস্যায় বাতাসে ভর করে তার ঘরে গিয়ে উপস্থিত হলাম, শীর্ষাসন থেকে শুরু করে একে-একে কুইক সেশনে ভুজংগাসন, শলভাসন, ধনুরাসন, পশ্চিমোত্থাসন, বৃক্ষাসন, অধো মুখ বৃক্ষাসন ও সর্বাংগাসন (কোন্‌ আসনের কী কী উপকারি তা-জানার চেষ্টা না-করাই শ্রেয়) শেষ করে ইশারায় বসতে বলে মৌনী হয়ে থাকলেন কৌপীন-সুন্দরী।

আমাকে খুন করার তিনটি পদ্ধতির প্রোটোটাইপ তৈরি করেছেন, যে-কোন একটি নির্বাচন করে প্রথমবার পরীক্ষাটি করতে চান যে-কোন একটি, ট্রায়েল এন্ড এরর বেসিসে।

প্রতিটি ট্যাবলেট বা ডিভাইস আকারে। গিলিয়ে বা প্রবিষ্ট-করণ মেথড।

প্রথম...
পেটে গিয়ে আস্তে আস্তে ফুলতে থাকবে এবং সুনির্দিষ্ট আকারে পৌঁছালে পটাস করে দুইশ’ ডেসিবল শব্দ সহকারে ফেটে গিয়ে মৃত্যু।
দ্বিতীয়...
শরীরে প্রববেশ করে তড়িৎ গতিতে শরীর তরলং-জলবৎ হয়ে মেঝ-ময় ছড়িয়ে পড়ে মৃত্যু।
তৃতীয়...
প্রবিষ্ট করালেই সাঁই করে পুচ্ছে আগুন নিয়ে হাউয়ের মত আকাশে উড়ে গিয়ে ছাই-মৃত্যু।

সায় ও ধন্যবাদ দিলাম, প্রতিটি পদ্ধতির বিজ্ঞানমনষ্কতায় ও নিষ্ঠ অগাধ শ্রমের।

অসুবিধা সমূহ...
প্রথম...কোথাও আঁটকে গিয়ে পেটে পৌঁছালো না, পৌঁছালেও যতটা ফুলে বা শব্দ করে ফেটে যাওয়ার কথা তা হলো-না।
দ্বিতীয়...জল হয়ে গড়িয়ে না গিয়ে বরফ হয়ে মটকা মেরে পড়ে রইল।
তৃতীয়... আকাশ পর্যন্ত না গিয়ে পুচ্ছের আগুন ঘরের ছাঁদে গিয়েই নিভে গেলে হাত-পা ছড়িয়ে মেঝেতে পড়ে বুকে হাপড় তুলে ‘মেলে ফ্যালো মেলে ফ্যালো, এ-জেপন আর চাই না’।

আলতো-ঠ্যালায় ঠেলে-ঠেলে (ধাক্কা-না) বাইরে বের করে দরজা আটকাতে আটকাতে সলজ সজলতায় অটুট রণভঙ্গিতে সুপুরুষ্টু দু’ঠোটে টানটান শুকনো গলায় বিড়বিড় করে, বলছে,
“বলির পাঁঠার কাছে এতো-এতো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কাউকে পূজোয় নেই না, নেবোও-না”।

0 Shares

২৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ