কোনো কোনো দিন মিশে যায় রাতের সাথে
কোনো কোনো রাত একাকার হয়ে যায় দিনের সাথে
সময়ের সন্ধিক্ষণে আলাদা থাকে একমাত্র ভোর
মুগ্ধতায় বলীয়ান হয়ে অথবা মুগ্ধতায় দীনতায়।
ম্যানিলার রাত
বিলাস বহুল হোটেলের কক্ষ নং ১৪০৯ এর বারান্দায় বসে আছে এক অ-বিলাসি
ঘোলাটে চোখ দেখে কালো পথে জটলা
সরীসৃপ আকৃতিতে হাত পা ছড়িয়ে পরে আছে মানুষের অবয়বে একজন
লাল রক্ত দূর হতে কালোই দেখায়
ঘিরে আছে উৎসুক বেশ কয়েকজোড়া চোখ
আহা কিভাবে পরে গেলো সে হোটেলের সুউচ্চ কোন তলা থেকে? আহারে মানুষ কিভাবে মরে থাকে
চোখ গুলো জানে না এতো মানুষ নয়, মানুষের মুখোশে অন্য কোন জীব
টাকিলার দেহের অর্ধেক স্বচ্ছ জল তখন জলে মিসে যাওয়ায় জলে নাচন।
অথচ ম্যানিলার দিনটি এমন ছিলনা
স্বাভাবিক আনন্দময় দিনে ছিল মুগ্ধতা সব কিছুতে
প্রতিটি নিঃশ্বাস শ্বাস প্রশ্বাসে ছিলো আনন্দের শিহরণ
জলের মুগ্ধতা মুগ্ধতার জল একাকার
এক অস্তিত্বে বিলীন।
টাকিলার কথা ভাবেইনি সে তখন।
রাত্রি শেষের ভোর এভাবেই আসে
রাতের ঝলমলে আলোর অন্ধকারে ডুবে যাওয়া মনে হঠাৎ ভোরের হাতছানি
কী এক শক্তিতে বলীয়ান
ভিতর হতে মুগ্ধতার অভয় বানী জল আমি আছি আমি আছি
হিম শীতল মৃত্যু উপত্যকায় জলের স্রোত
জলে ভিজে যায় সব শুদ্ধ হয় মুগ্ধতায় সমর্পণে
টাকিলার জল হীন শুষ্ক দেহ দেখে তাচ্ছিল্যের হাসি।
অতঃপর
মুগ্ধতা ঝরে পরে জলের বুকে
ডায়মন্ড সৌন্দর্যে চোখ ধাঁধানো মিলন
জলের কি সাধ্য একাকী এমন উজ্জ্বলতা ধারনে।
যাতে শতভাগ সমর্পিত আমি
মুগ্ধতা তোমার জন্য জলের গান
ম্যানিলা
৮ নভেম্বর ২০১৫
৪৩টি মন্তব্য
নীতেশ বড়ুয়া
ভ্রমণ কাহিনী শুরু হলো বিষাদ কাহিনী দিয়ে! 🙁
কবিতা পড়ে ছবির সাথে তাল মেলাচ্ছিলাম…। একটা মাত্র ভোর আর রাতের ব্যাপার… কত কিছুই হয়ে যায়…
জিসান শা ইকরাম
বিষাদের পরেই যে ভোর আসে
আলোয় চকচকক করে জল 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
আধাঁরে কিংবা বিষাদে ডূবে যাওয়া মানুষটিও ভোরের স্নিগ্ধ আলোয় নিজেকে খুঁজে পূর্ণতায়… এই ভোরে এমন পোস্ট প্রেরণাদায়ী জিসান ভাইয়া। থ্যাঙ্কিয়ু… -{@
জিসান শা ইকরাম
হুম,এবার সঠিক লাইনে এসেছে নীতেশ 🙂
শুভ কামনা।
নীতেশ বড়ুয়া
মাঝে মাঝে লাইনে আসতে আলোর দরকার হয়, এক টুকরো আলোই পারে… থ্যাঙ্কিয়ু 😀
জিসান শা ইকরাম
ঠিক ঠিক
আলোর ক্ষমতা অসীম……… মুগ্ধতাই আলো হয়ে আসে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
মুগ্ধতার দীনতায় নয় মুগ্ধতায় মুগ্ধ হয়েই ভোর আসে নূতন আলো নিয়ে
নূতন করে বাঁচানোর আশ্রয় হয়ে।
খুব সুন্দর লেখা যা আপনি লেখেন প্রায়।
জিসান শা ইকরাম
” মুগ্ধতায় মুগ্ধ হয়েই ভোর আসে নূতন আলো নিয়ে
নূতন করে বাঁচানোর আশ্রয় হয়ে। ” ……… কত সহজে বলে দিলেন লেখার মূল কথা।
লীলাবতী
আমার এমন একটি মুগ্ধতা লাগবেই লাগবে ভাইয়া।কোথায় পাবো তাকে?
জিসান শা ইকরাম
নিজের মাঝেই খুঁজুন তাকে,পেয়ে যাবেন আশাকরি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
গানটা শুনা হয়নি। রাত আর দিনের সন্ধিক্ষণ ভোর! ভাবিনি তো কখনো এমন করে!
হুম, ভোরের আলো মানুষকে বাঁচার স্পৃহা যোগায়।
এটি কিন্তু খুব সত্য, ভোরবেলা জেগে দেখবেন ভোরের বাতাস কতো নির্মল।
জিসান শা ইকরাম
ঠিক বলেছেন আপনি
ভোরের সাথে দিনের অন্য সময়ের কোন তুলনা হয় না
শুভকামনা।
গানটা শুনবেন, ভালো লাগবে।
ড্রথি চৌধুরী
আলো আধারি লেখা ! … সুন্দর
জিসান শা ইকরাম
একজন লেখক যখন বলে সুন্দর…… শুনতেও ভালো লাগে।
মরুভূমির জলদস্যু
ভিন্ন্য রকম উপস্থাপনা। (y)
জিসান শা ইকরাম
চেষ্টা করছি ভাইসাব।
নীলাঞ্জনা নীলা
ওয়াও………………
জলের মুগ্ধতা নিয়ে শ্বাস নিচ্ছিলাম, এখন সুর শুনছি।
আচ্ছা ঘটনা কি? এভাবে তোমার লেখায় এতো গভীরতা! অথৈ দোলায় দুলছি নানা।
যাক শিক্ষক হিসেবে আমি তাহলে মন্দ না। :p
ওহ সব অভিমান কাটাকুটি। ঠিক আছে? চলো আবার জলের সুরের তালে নাচি \|/
https://www.youtube.com/watch?v=QJ5lD5QYMEM নানা তুমি ডাকলে তোমাকে ফেরাবো না কোনোদিন, এটা ভালো করেই জানো। -{@ (3
এখন ঘুমের দেশে যাই। সকালে কাজ।
জিসান শা ইকরাম
শিখছি তোমার লেখা হতে
যদিও কোনদিন তোমার লেখাকে স্পর্শ করতে পারবো না।
অভিমানের কিছু নেই,সোনেলাকে আপন ভাবো
এটি আমার ব্লগ না,সবার ব্লগ
সবার মত আমিও এখানের একজন ব্লগার মাত্র।
শুভ কামনা,শুভ রাত্রি -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
সোনেলা আমার। কিন্তু অভিমান তো তোমার উপর। বলেছি তো সব। শর্ত মনে আছে?
জিসান শা ইকরাম
অভিযোগ,অভিমান তা ব্লগে আসুক এটা চাইনা আমি
এটি কোন ব্যক্তিগত ব্লগ না,এটি পাবলিক ব্লগ
এখানে আত্মীয়তা অচল।
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা এখন কিন্তু বেশী কড়া করে কথা বলছো। আমার কষ্ট হচ্ছে। 🙁 সত্যি বলছি।
জিসান শা ইকরাম
কষ্ট পাবার কিছু নেই
এটি বাস্তবতা
আত্মীয়তা,বন্ধুত্ব এসব ব্লগের বাইরে
একটি সামাজিক ব্লগে সবাই সহ ব্লগার।
নীতেশ বড়ুয়া
:c -{@
আবু খায়ের আনিছ
দিনের আলো মিলিয়ে যায় অন্ধকার রাতের আধারে,
গভির থেকে আরো গভির অন্ধকার হতে থাকে রাত
যতই এগিয়ে যায়,ততই কাছে আসে প্রভাত
দিনের সোনালীয় আলোয় বিলীন হয় নিকষ অন্ধকার।
🙂 🙂 -{@ -{@
জিসান শা ইকরাম
কত সুন্দর করে গুছিয়ে বললেন,
আগে জানলে আপনার দেয়া চার লাইনেই পোষ্ট দিয়ে দিতাম:)
আবু খায়ের আনিছ
কি যে বলেন ভাইয়া, আমি ত শুধু আপনার সুরে একটু সুর মিলাইলাম। আপনি না লিখলে ত এইটুকুই বের হত না আমার।
জিসান শা ইকরাম
অনেক বিনয়ী আপনি,বিনয়ীদের আমার খুব ভালো লাগে -{@
আবু খায়ের আনিছ
-{@ -{@
জিসান শা ইকরাম
🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এবার কিছু অজানাকে জানতে পারব ম্যানিলা….তারপর? -{@
জিসান শা ইকরাম
ম্যানিলাকেই জানাই কিছুদিন 🙂
নাসির সারওয়ার
“হিম শীতল মৃত্যু উপত্যকায় জলের স্রোত”, তা সাঁতার জানেনতো!
নাকি টাকিলা নামক জটিলতা তার সমাধান!
খুব জানতে ইচ্ছে করে, সময়কে ভাগ করি ক্যামনে। সময় কিনা একটা অংক। ঢং ঢং চলে ওরই মতো, ওরই তালে।
জিসান শা ইকরাম
ভোরে সমর্পনের পর টাকিলা থাকে উপেক্ষিত মূল্যহীন
ভোরের আলোতে উদ্ভাসিত হয়ে যায় জলের মন
সব কিছুতে শক্তি খুঁজে পায় সে।
কঠিন আসলে খুব।
নাসির সারওয়ার
প্রতি মন্তব্য নাকি অন্যকিছু! অনেক ভালো লাগে গোছানো কথা।
নতুন উদ্যম তো ভোরেই ভর করে হয়।
জিসান শা ইকরাম
হুম ,ঠিক
নতুন উদ্দাম ভোরেই শুরু হয়।
অরণ্য
জিসান ভাই, ভাল লাগলো।
আপনি বলেন আপনি কবি নন। ও ঠিক না।
আপনিই কবি। 😀
ভাল থাকবেন। (y)
জিসান শা ইকরাম
আমাকে কবি বলে কবিদের অসম্মান হবে অরণ্য ভাই
তাই না বলাই ভালো।
আপনার জন্যও শুভ কামনা -{@
শুন্য শুন্যালয়
But the tale ends not here
I have nothing to fear
for my love is a yell of forgiving and hold on……
রোহান রাঠোর ক্যানসারের পেশেন্ট ছিল। এই গানটি রেকর্ড করার ১৫ দিন পর সে মারা যায়। যার জন্য এই গানটি সে গেয়েছিল তাকে সে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পায়নি। কিন্তু মৃত্যুর পর কি পেয়েছে?
কোন ভুলের জন্য আমরা জীবন থেকে সরে না যাই। জীবন, ভালোবাসা হচ্ছে ভুলের পরে ক্ষমা, আর জড়িয়ে রাখা। একটাই জীবন, তাকে মৃত্যুর মত কঠিন না করে ফেলি।
—–এই গানটি একটি মেসেজ। আপনার এই লেখাতে এই গানটি ছাড়া আর কোন গান মানাতো না, আর কোন গানই না।
জিসান শা ইকরাম
গানটি এই পোষ্টের একটি অংশ
আপনি বুঝে যান সব কিছু,এটি ভাবতেও ভালো লাগে
এই গানটি একটি ম্যাসেজই ছিল।
‘ কোন ভুলের জন্য আমরা জীবন থেকে সরে না যাই। জীবন, ভালোবাসা হচ্ছে ভুলের পরে ক্ষমা, আর জড়িয়ে রাখা। একটাই জীবন, তাকে মৃত্যুর মত কঠিন না করে ফেলি।’ …… এত সুন্দর করে বলেন কিভাবে?
শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
কোন কোন মৃত্য হয়তো প্রয়োজন। যে মানুষ মৃত্যুর খুব কাছ থেকে বেঁচে ফিরে এসেছে, তার কাছে জীবনটাই অন্যরকম। রূপক কথায় কত সুন্দর করে সব লিখলেন! দিনে দিনে গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছেন, এরপর আমরা আমজনতা আপনার তল খুঁজে পাবো তো? পাখির পর বুঝি এবার মুগ্ধতায় মজলেন? 🙂
জল মুগ্ধতার সমর্পনে, এইভাবে টাকিলার দিকে বিদ্রুপের হাসি ছড়িয়ে পড়ুক। শেষ ছবিটার দিকে মুগ্ধ হয়েই থাকতে হয়। ছবির সাথে এমন করে লিখা কিংবা লিখার সাথে ছবি, জল ভাই, অসামান্য লেখা এটি। থামা চলবেনা, জল মুগ্ধতার গল্প। -{@
জিসান শা ইকরাম
মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে আসা বা বেঁচে থেকেই মৃত্যুকে উপলব্দি করে আবার বেঁচে ওঠা সত্যিই অন্য রকম। পাখির রুপান্তর ঘটেছে। সে আরো দৃষ্যমান হয়ে মুগ্ধতা হয়েছে। জল একন আলোকিত মুগ্ধতায়।
আপনি খুব সুন্দর মন্তব্য করেন।
শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
একই জায়গায় দিন আর ভোরের ছবি, কিভাবে লেখায় মিলিয়ে দিলেন। 🙂
এতো সুন্দর করে যে লিখতে পারে, তার প্রতিদিন একটা করে লেখা দেয়া উচিৎ।
জিসান শা ইকরাম
তিন প্রহরের ছবিই একই স্থানে বসে তুলেছিলাম
পোষ্ট দেয়ার সময় একটি ছবি খুঁজে পাইনি, এখন পেয়েছি।
জলের মুগ্ধতা লেখিয়ে নিচ্ছে
মুগ্ধতা হীন জল নিস্প্রান।