মা রীতা, তোর মা এতো দেরি করছে কেন, তাড়াতাড়ি করতে বল, রফিক শেখ মেয়েকে তাড়া দিতে বললেন।
আনকেল ঐ দূরে কি আছে, এতো লাল হয়ে গেল, আগুন লাগলো নাকি, উদ্বিগ্ন হয়ে আবীর দেখালো।
হায় খোদা, এতো শ্রমিকদের গ্রাম মনে হচ্ছে, রফিক শেখ দেখে হায় হায় করে উঠলেন।
আবীর বারান্দার রেলিং ধরে উঠানে লাফ দিয়ে নিজের গাড়ীর দিকে দৌড় দিলো, আবীরকে লাফ দিতে দেখে রফিক শেখ বললেন, আবীর আমিও আসছি, দাড়াও।
রফিক চাচা আমিও যাবো, নীলা বলে উঠলো আর উঠে দৌড় দিলো, পিছন পিছন রীতাও।
এই তোমরা কই যাও, পিছন থেকে রফিক শেখের ওয়াইফ ডাক দিলেন।
গ্রামে আগুন লেগেছে, আর কিছু বলতে পারলেন না রফিক শেখ, আবীর স্পীডে গাড়ী ছুটালো, আবীরে গাড়ী ছুটানো দেখে বাকিরা জীপের রড ধরে নিজেদের ছিটকে পড়া থেকে নিজেদের বাঁচাতে লাগলো।
রীতা আর নীলা আবীরের দিকে তাকাতে লাগলো বারবার, আর আল্লাহ্ আল্লাহ্ করতে লাগলো যেন ছিটকে না পড়ে, রফিক শেখ আবীরকে পথ দেখাতে লাগলো, গ্রামের কাছাকাছি এসে আবীর দ্রুত গাড়ী বন্ধ করে দৌড় দিলো।
গ্রামের বেশ অনেক গুলো বাড়ীতে আগুন লেগেছে, গ্রামের মানুষরা কেউ বালতি, কেউ অন্য পাত্র দিয়ে নিজ নিজ ঘরে পানি মারছে, আবীরকে দেখে কেউ কেউ এগিয়ে এসে কান্নাকাটি করছে।
আপনারা আমাকে একটা দা দেন তাড়াতাড়ি, আগুন লাগা ঘরের ভিতরে কেউ কি আছে?
না না সবাই আমরা হগলে বাইরাইচ্ছি।
একজন দা এনে দিলো আবীরকে, আবীর দার ধার চেক করে নেমে পড়লো আগুন লাগা ঘর গুলোর বাঁশ কোপাতে, এক এক করে ঘরকে দাড় করিয়ে রাখা বাঁশ কাটছে, আবীরের দেখাদেখি অনেকেই তাই করা শুরু করলো, এতে কাঁচা ঘর গুলি সব ঝুপ ঝুপ করে পড়তে লাগলো, এতে অন্য ঘর গুলি যে গুলোতে আগুন লাগেনি, সেইসবে আগুন লাগা কমে আসতে লাগলো।
দূর থেকে নীলা, রীতারা অবাক হয়ে দেখতে লাগলো আবীরের কাজ, আগুন লাগা ঘর সব পড়ে গেলে, গ্রামের মানুষ আগুন নেভানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে গেল।
আগুন নিভে গেলে আবীরকে কেউ একজন একটা চেয়ার এনে দিলে আবীর বসে পড়লো দপ করে, নীলা খেয়াল করলো আবীরের ডান হাত পুড়ে গেছে আগুনের আঁচ লেগে।
রফিক চাচা, রফিক চাচা, আবীর সাহেবের হাত পুড়ে গেছে, নীলা চিৎকার করে উঠলো।
রফিক সাহেব দৌড়ে আসলেন আবীরের কাছে, আবীর দেখি দেখি তোমার হাতটা।
আনকেল আমি ঠিক আছি, এইখানে অনেকেই আহত হয়েছে, ওদের দেখুন প্লিজ।
রীতা দৌড়ে যা, গাড়ীর পিছনে সিটের নিচে ফাস্টএইড বক্স আছে নিয়ে আয়, রফিক সাহেব মেয়ের উদ্দেশ্যে বললেন।
রীতা দৌড়ে গিয়ে ফাস্টএইড বক্স নিয়ে আনতে গেলে আবীর বললো, আনকেল ফাস্টএইড বক্স কখন রাখলেন?
বাবা, আমাদের সবার গাড়ীতে এইসব রাখা থাকে ইমার্জেন্সির জন্য।
রীতা বক্স নিয়ে আসলে নীলা তাড়াতাড়ি বক্সটা খুলে ডেটল নিলো আর রীতাকে বললো, রীতা ফ্রেস পানি নিয়ে আসো তো।
রীতা যাওয়ার আগেই একজন এক কলসি পানি আর টিনের গ্লাস নিয়ে এলো পানি খাওয়ানোর জন্য, রীতা দ্রুত গ্লাসে পানি নিয়ে আবীরের হাতে পানি দিতে লাগলো, পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করে ডেটল দিয়ে হাত পরিস্কার করে মলম লাগিয়ে ব্যান্ডেজ বেধে দিতে লাগলো আর রফিক শেখ উনার মেয়েকে নিয়ে অন্য যারা আহত হয়েছে তাদের শুশ্রূষায় লেগে গেলেন।
আবীর পুরা গ্রামের মানুষদের ডেকে নিয়ে পরবর্তী কি করতে হবে তা বললো, সবার কথা শুনলো, এরপর রাত বারটার দিকে ফিরে এলো সবাই রফিক শেখের বাসায়, রফিক সাহেবের ওয়াইফ দ্রুত খাবার দাবার গরম করতে গেলেন, আবীর সহ বাকিরা হাত মুখ ধুয়ে নিয়ে খেতে বসলো, আবীরের ডান হাত সামান্য পুড়েছে, তাই সে চামচ দিয়েই খাওয়া শুরু করলো।
সবাই চুপচাপ, এমন দুর্ঘটনায় সবাই হত বিহবল, তাই কথা বলার মুডে কেউ নেই।
খাওয়া শেষে আবীর আর নিলা বিদায় নিয়ে নিজ বাংলোই যখন ফিরলো, তখন রাত বেশি হওয়ায় যার যার রুমে চলে গেল, সবাই আজ পরিশ্রান্ত।
ভোরে ঘুম ভাঙ্গলে আবীর উঠে পড়লো, হাতের জ্বলুনি কমেছে দেখে ভালো লাগলো ওর, ফ্রেস হয়ে অফিসিয়াল ড্রেস পড়ে নিলো আজ, চা বাগানের ড্রেস কোড হলো সাদা হাফ প্যান্ট আর সাদা শার্ট না হয় সাদা টি শার্ট, ও আজ সাদা পোলো টি শার্টই পড়েছে, রুম থেকে বেরিয়েই দেখে নীরা মেইন রুমের সামনে বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে ইয়োগা করছে।
আবীর বেতের সোফায় বসে হারাধনকে ডেকে ব্রেকফাস্ট রেডি করতে বললো, দূর রাস্তা ধরে দুইজন লোক আসতে দেখে আবীর নিজেই উঠে এগিয়ে গেল তাদের উদ্দেশ্যে।
কি খবর তোমাদের, আবীর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো।
বাবু আফনেরে ধন্যবাদ দিতে আইছুইন, কাইল আফনে না আইলে পুরা গ্রেরাম জ্বলি যাইতো।
না না, এ তেমন কিছুই নয়, তোমাদের যারা আহত হয়েছে তাদের কি অবস্থা?
সবাই ভালো আছে।
আচ্ছা ঠিক আছে, আজকেই আমি একটা মেডিকেল টিম আনানোর ব্যবস্থা করবো, তোমরা যাও আমি পরে একবার আসবো।
ঠিক আছে বাবু।
ওরা চলে গেলে আবীর ফিরে এসে সোফায় বসে হারাধনকে ডাক দিলে, হারাধন এসে টি টেবিলে দুইজনের ব্রেকফাস্ট দিয়ে গেল।
স্যার ম্যাডাম এখনই চলে আসবে বলেছেন।
ঠিক আছে।
পাঁচ মিনিট পরই নীলা বেরিয়ে এলো, আবীরকে উদ্দেশ্য করে বললো, হাই কেমন আছেন, হাতের কি অবস্থা?
জ্বলুনি একটু কমেছে, এ তেমন কিছুনা, আসুন ব্রেকফাস্ট ঠান্ডা হওয়ার আগেই শুরু করা যাক।
হটপট খুলে আবীর দেখলো আজ লুচি দিয়েছে, আবীর হটপটটা এগিয়ে দিলো নীলার দিকে আর মুখে বললো, ম্যাম।
হটপট থেকে নিজের প্লেটে লুচি নিয়ে আবীরের দিকে এগিয়ে দিয়ে নীলা বললো, আবীর সাহেব, আপনি আমাকে ম্যাম বা ম্যাডাম না ডাকলে খুশি হবো, আপনি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে আমার দুই বছরের সিনিয়র ছিলেন, আপনার ইউনিভার্সিটি লাইফ আমি জানি।
এরপরেও আপনি আমার বস হবেন, আবীর বললো।
যা বলিছি তাই শুনুন প্লিজ, আপনি আমার নাম ধরে ডাকলে খুশি হবো।
ওকে, খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে, প্লিজ শুরু করুন।
খেতে খেতে নীলা জিজ্ঞেস করলো, আচ্ছা গতকাল আপনি আগুন লাগা ঘর গুলো যেভাবে কাটলেন, তা দেখে আশ্চর্য হয়েছি।
কেন?
না, মানে এমন করে না কাটলে হয়ত আগুন আরো ছড়িয়ে পড়তে পারতো, তাই জিজ্ঞেস করছিলাম এমন বুদ্ধি হটাৎ মাথায় এলো কি করে?
আসলে কোথাও মনে হয় আগে শুনেছিলাম, সেটাই কাজে লাগিয়েছি।
বাহ, আসলেই কাজের, না হলে কাল পুরা গ্রাম পুরে ছাই হয়ে যেতো।
আবীর মুচকি হাসলো আর বললো, ভাগ্য ভালো বুদ্ধিটা মাথায় এসেছিলো, তা এতদিন পর আমাকে চিনলেন কি করে?
না চিনার কি আছে, আপনি ছিলেন আমাদের ভার্সিটির পপুলার মানুষ, শুনেছি খুব ভালো ভায়োলিন বাজান আপনি, যদিও শুনার সৌভাগ্য আমার হয়নি কখনো, একদিন শুনলাম এক ছাত্র নেতাকে এমন মার দিয়েছিলেন যে, ছেলেটি আপনার পা ধরেই বেঁচেছিলো, কথা গুলো আসলেই কি সত্য?
না না তেমন কিছুনা, হারাধন কফি দিয়ে যাও, আবীর ডাক দিলো।
আপনি কেন ছেলেটিকে মেরে ছিলেন আমি জানি, বলেই চামচ কেটে ডিম পোষ্টের শেষাংস মুখে পুরে চাবাতে লাগলো নীলা।
আবার শুরু করলো নীলা, কোনো এক জুনিয়র মেয়েকে নাকি খুব খারাপ ব্যবহার করেছিলো, তাও আপনার সামনে, আপনি চুপ করে থাকতে পারেননি আর।
থাকনা ওই সব, আবীর বলে উঠলো।
তা হটাত একদিন আপনি হাওয়া হয়ে গেলেন কেন, কেউ বলতে পারলোনা আপনি কই গেছেন।
আসলে আমি আমেরিকা চলে যায়, ওখানেই আমার বাকি পড়ালেখা করেছি, জবাবে আবীর বললো।
তাই, আব্বু বললো আপনি বায়ো ইঞ্জিনিয়ার, সাথে প্লান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন।
হুম, আমি উঠি এখন, অফিসের টাইম হয়ে গেছে, ওহ ভুলেই গেছি, একটা মেডিকেল টিম জরুরি ভাবে দরকার, বলেই আবীর সেলফোন নিয়ে কল করা শুরু করলো।
হ্যালো তৌফিক, আবীর বলছি, তুই নাকি সিলেট মেডিকেলে জয়েন করেছিস, কিছুক্ষণ শুনলো আবীর, তারপর বললো, খুব ভালো হয়েছে, শুন আমার একটা মেডিকেল টিম দরকার শ্রীমঙ্গলে, হাঁ একদিনের জন্য, আজই দরকার, কি তুইও আসবি, তাহলে তো খুব ভালো হয়, ওকে আমি ঠিকানা পাঠিয়ে দিচ্ছি, তোদের খাওয়া দাওয়া আমি ব্যবস্থা করবো, চলে আয়, কাছাকাছি এসে আমাকে কল দিস, আমি নিজেই তোদের রিসিভ করবো, ওকে বাই।
আবীর নীলার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গাড়ী নিয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেল, একটু এগুতেই রাস্তার মাঝখানে রীতাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আবীর গাড়ী থামিয়ে জিজ্ঞেস করলো, কি ব্যাপার?
কই যাচ্ছেন, অফিসে বুঝি?
হাঁ অফিসেই যাচ্ছি।
তা নীলা আপু কি বাসায় আছে?
হুম আছে।
উনি কেমন মেয়ে বলুন তো, আপনি অসুস্থ মানুষ, উনি ছাড়লেন কেন আপনাকে, চলুন চলুন আপনি বাসায় ফিরে চলুন।
আরে আমি ফিরে যাবো কেন, আমি সুস্থ আছি, আপনি যান বাংলোতে, নীলা ম্যাডামকে সময় দিন।
না আমি এইসব শুনবোনা, আম্মু বলেছে আপনাকে রেস্ট নিতে হবে, দেখি দেখি বলে কপালে হাত দিলো রীতা, ইয়া আল্লাহ্ আপনার গা দেখি গরম, আপনার তো জ্বরও এসেছে।
এই মেয়ে, কথা শুনোনা কেন, আমি ঠিক আছি, তুমি এখন যাও, কড়া করে বলেই আবীর গাড়ী টান দিলো।
আবীরকে চলে যেতে দেখে রীতা নিজের পা মাঠিতে টুকে বললো, ধ্যেত মানুষটা কিছুই বুঝেনা, এরপর থপথপ করে বাংলোর দিকে এগুলো।
আবীর অফিসে পোঁছেই নিজ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লো, পিয়নকে ডেকে বললো, কিছু মেহমান আসবে, হারাধনকে ফোন দিয়ে বলো সাত আট জনের জন্য সাদা ভাত, মুরগী, সবজি, ডিম রান্না করে রাখতে, আমি ফোন দিলে যেন শ্রমিকদের গ্রামে নিয়ে যায়।
পিওন হাঁ সূচক মাথা নেড়ে বেড়িয়ে গেল।
একটু পরেই অফিসের লোকজন সবাই রুমে এসে হাজির, সবাই গতকালের ঘটনা শুনেছে, তারা এসেছে আবীরকে সাধুবাদ জানাতে।
আবীর এদের সাধুবাদ শুনে লজ্জা পেলেও সবাইকে বললো, আমার জায়গায় আপনারা হলেও একি কাজ করতে, ধন্যবাদ আপনাদের, যান আপনারা কাজে ফিরে যান।
.................... চলবে।
ছবিঃ Google.
১৩টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
ডাবল ধামাকা, চলুক।
কিছু লেখা দু’বার এসেছে, ঠিক করে দেবেন।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাইজান, আমি একবার চেক করছি, সম্ভব হলে আপনিও একটু বলুন প্লিজ।
ইঞ্জা
ঠিক করে দিয়েছি ভাইজান, এ কপি পেস্টের সমস্যা হয়েছে, ধন্যবাদ ভাইজান।
মোঃ মজিবর রহমান
দারুন পর্ব শেখার জানার বিষয় থাকছে । চালিয়ে যান…………………………………।।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই, এই ঘরের বাঁশ কেটে দিয়ে ঘর ফেলে দিয়ে আগুন থেকে রক্ষা করাটা আমি ছোট বেলায় শুনেছি।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাইজান এইরকম কাজগুলি বিভিন্নভাবে তুলে আনবেন এটা অবশ্য আমার চিন্তা ধারনা।
ইঞ্জা
চেষ্টা করবো ভাই, ভালো থাকবেন 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ভালো লেগেছে পর্বটা। হুট করে উপস্থিত বুদ্ধি অনেকেই কাজে লাগাতে পারিনা আমরা। ইঞ্জা ভাইয়া পারে 🙂
আবীরের পুরবো আবীর একটু একটু করে প্রকাশ পাচ্ছে। আবার কাকে পা ধরায় আল্লাহ মালুম 🙂
ইঞ্জা
আপু, এ বুদ্ধি নয়, জ্ঞান।
জ্ঞান থাকলে সব কাজেই লাগানো যায়, আমাদের সবার এইসব কিছু জেনে জ্ঞানই তো বৃদ্ধি হয় নাকি?
আপু জীবনে অনেক কিছুই করেছি যা এখন গল্পে চলে আসে, যেমন “ভালোবাসি তোমায়” গল্পে জীবন যখন অবণীকে এক্সিডেন্ট স্থল থেকে উদ্ধার করে, তা ব্যক্তিগত জীবন থেকেই নেওয়া।
বুঝেছেন প্রিয় আপু। 😀
নিতাই বাবু
খুবই ভালো লাগতেছে দাদা, চলুক আরও । তা কত পর্ব পর্যন্ত চলবে দাদা?
ইঞ্জা
ধন্যবাদ অবিরাম দাদা, কতো পর্ব হবে তা চিন্তা করিনি, লিখে যাচ্ছি, যেদিন মনে হবে শেষ করতে হবে, সেইদিন শেষ হবে।
অলিভার
চমৎকার গল্প। বেশ অনেকদিন আগে চা বাগানকে ঘিরে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পে চা বাগানের শ্রমিকদের জীবন চিত্র উঠে এসেছিল। খুবই করুণ সেই চিত্র। জানিনা বাস্তবে সেই চিত্রের সাথে কতটুকু মিল রয়েছে।
আপনার গল্প বলাটাও চমৎকার, গল্পের চরিত্র গুলো যেন ভর করে আছে লেখার ভেতরে। তবে গল্প পড়াতে পড়তে মনে হল খুব দ্রুত গল্পের এই পর্বটি লিখেছেন। আরও একটু সময় নিয়ে লিখলে হয়তো গল্পের ভেতরের চরিত্রগুলো নিজেদের আরও বিস্তৃত ভাবে প্রকাশ করতে পারত, আরও বাস্তবিক হতো ব্যাপারটা তখন। তবে এটা কিন্তু মোটেই অভিযোগ নয়, বলতে পারেন পাঠকের অনুরোধ, যাতে লেখক তার গল্পটাকে আরও যত্ন নিয়ে বলে।
সময় করে পরবর্তী পর্বটা পড়তে হবে, অপেক্ষায় রইলাম 🙂
ইঞ্জা
খুব সুন্দর মন্তব্য আর উপদেশ দিলেন, যা আমার খুব মনপূত হলো, আপনার আলোচনা আমাকে কিছু শেখালো আজ, ধন্যবাদ ভাই, উপকৃত হলাম।