প্রিয় ঘুম,
যখন তোমাকে লিখছি, আমার পাশের দেয়ালজোড়া জানলা থেকে কাড়ি কাড়ি মেঘের পাহাড়। রাতের নীলের এই সাদা-কালো মেঘ আমার টানটান বিছানা জুড়ে নামিয়ে আনে অমোঘ ঘুম ঘুম শান্তি। তবু তোমাকে লিখতে ইচ্ছে করলো। অবাক হয়েছো চিঠি পেয়ে? পরিকল্পিত এই চিঠির বাক্সে হয়তো জানতেই একটা চিঠি তোমার নামে ঠিক ঠিক রয়ে গেছে, তবু কী ভেবেছিলে, ঘুম যার এতো প্রিয় সে এতো রাত জেগে জেগে তোমাকে চিঠি লিখবে?
দুপুরের রোদ মাখা ঘুম, একদিন এ তল্লাট থেকে যোজনের একটু কম দূরে জেগে থাকি চলো। চারপাশ জুড়ে সবকিছুই যে যার মতো জেগে থাকুক। নিরপরাধ সময় আমাদের অবাক আর অবিশ্বাসীদের মতো করে দেখুক। তাইতো যোজনদূরে যেতে চাইনি, যেখানে তুমি আমি কাউকে কেউ চিনি না।
চেনা ঘুম, সর্বোচ্চ তিনদিনের তুমি আর আমি বিচ্ছিন্নতা আমাকে আরো আরো ঘুমপ্রিয় করেছে। এখন নির্লজ্জের মতো যখন তখন গা এলিয়ে দিতে একটুও মন্দ লাগেনা। চলো তবু আজ ঘুম পাড়ানি মাসিপিসিকেই ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে দুজন জেগে থাকি। এখন কী তবে প্রশ্ন করবে, জেগে জেগে কী করবো? আগে তো আমাকে বলো তুমি ঘুম হয়েও জেগে থাকতে পারবে? রাতের অন্ধকার দিনের আলো দেখে কী? নাকি শব্দেরা নৈঃশব্দের শব্দ শুনতে পায়? তবু ইচ্ছে করে ঘুম তোমাকে জাগিয়ে রাখি। জাগিয়ে রেখে একা একাই আজ বকতে থাকি। কবিতা শোনাই, গান শোনাই, জোকস বলে বলে তোমাকে অট্টহাসি হাসাই। শোনাই প্রথম প্রেমের গল্প, হাসি-কান্নার পনেরোটি বছর, ছ্যাঁক দিয়ে, ছ্যাঁক খেয়ে পোড়াপুড়ির জ্বলন্ত প্রহর আরো কতো কী!
না, ঘুমিয়ে পড়োনা ঘুম, “একদেশে ছিলো এক রাজকন্যা”। না না, উঠে বসো। ঠিক আছে এখন তবে তোমার গল্প শুনি। বিস্তর চাহিদায় তুমি কেমন আছো ঘুম? খুব বুঝি ব্যস্ত? মাঠ ভরা ধান, ক্ষেতের ফসল, গোয়াল ভরা গরু? সুখী সুখী আনন্দিত মুখে পরম চাওয়ার মতো করে? তবু শুন্যের চোখে মুখে কিছু একটা খুঁজে বেড়াও কী? কী খোঁজো ঘুম? শুদ্ধ অশুদ্ধের গুহাচারণ, পেলব রক্তাক্ত অধর, আর নাম না জানা ছটফটানি। সত্য মিথ্যের মতো করে যে কল্পনা ছুঁড়েছ শুন্যে সে তোমার সত্যি হোক।
তুমি কী জানো ঘুম তুমি আমার কী? যখন কেউ পাশে থাকেনা, এক শুন্যবোধ ঘুরে বেড়ায়, আমার তখন ঘুমিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। পৃথিবীর জীবিত, মৃত সবাই আমাকে তখন তাদের কান্নার গল্প বলে, সেই ২৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বন্ধু কিংবা খুন হয়ে যাওয়া বাবু মামা সবাই আমার কতো কাছে, কতো কাছে চলে আসে! কী অদ্ভূত! কোন কোনদিন ঘুম না এলে আমি অস্থির হয়ে যাই। অপেশাদার, ক্লান্ত ঘুম যে ঘুম হারিয়ে ফেলতে পারে তা যেন ভুলেই যাই। ভালোবাসায় স্বার্থপর হয়ে যাই বরাবর।
এখন বড্ড ঘুম পাচ্ছে, যাই? আমি এখন তোমার হাতে ছেড়ে দেব নিজেকে ঘুম। একটা আত্মা, জেগে থাকা কিছু প্রাণ, কিছু বিষচোখ সরিয়ে রেখে যাবো। তুমি আমাকে নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করো।
তুমি জানো তুমি আমার কেন এতো প্রিয়? তোমার মধ্যেই যে স্বপ্নকে পাই, তীব্র যেই অনুভূতিরগুলো ব্যাখ্যা কখনো কেউ দিতে পারেনি তা যেন যত্ন করেই ট্রেজারের মতো লুকিয়ে রেখেছো বুকে।
উম, কিছু কী বললে? আচ্ছা, আই লাভ ইউ ঠু। তোমার মাঝেই নেমে আসছি ঘুম।
বাই।
৫৫টি মন্তব্য
মেহেরী তাজ
এই ঘুম একটা পাজি তা খুব জানতাম!
তোমার চিঠিটা সেই পেয়ে গেলো! আমাদের কাওকে কি চোখে পড়েনি?
আসছি আসছি……
শুন্য শুন্যালয়
সবাইকেই তো চোখে পড়ছে কারে থুইয়া কারে লিখি, তাই ঘুম কে লিখেছি 😀
ঘুম কে পাজি বলা কী ঠিক? আমার জানের জান। 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু কতোবার পড়েছি জানো? মনটায় কেমন জানি এক শূণ্যতা ছড়িয়ে পড়েছে। ঘুমের সাথে গল্প কি রোজ হয় তোমার? এমন একটি চিঠি লিখবে তুমি ভাবনাতেও আসেনি। মন খারাপ করা চিঠি, বুকের ভেতর যন্ত্রণা হচ্ছে খুব। চারপাশ শূণ্য মনে হচ্ছে। শব্দহীন নৈঃশব্দ যেনো। আর অপূর্ব মায়াময়তা। অসাধারণ!
এটা তো ঠিকই আমাদের শুন্য আপুর তুলনা হয়না কারো সাথে কিছুতেই। আর এই চিঠিকে আমি একেবারে প্রথমে দেখতে চাই। এভাবেও চিঠি লেখা যায়, শিখতে হবে তোমার থেকেই আপু। তিলোত্তমা নীচের ওই লাইনগুলো তোমার চিঠি পড়েই লিখলাম এইমাত্র। শুধু তোমার জন্য কিন্তু। ভালো রেখো। -{@ (3
চলো, ঘুমের কাছেই ঘুমকে রেখে গল্প করি এই এ বেলায়
যদি আপত্তি করে বলে ওঠে ঘুম, “নাহ আমি ঘুমাবো। গল্প নেই আমার কাছে। যাও!”
তখন ঘুম-এর চোখে চোখ রেখে আদর করে বলবো,
ভালোবাসি। ভালোবাসাকে প্রশ্রয় দিতে হয়, জানো না বুঝি?
আমি জানি তখন ঘুম মনে মনে ভাববে, “প্রশ্রয় দিতে হয় বুঝি!”
ওর সেই ভাবনার মধ্যেই চলো ঘুমের কাছেই ঘুমকে নিয়ে গান করি,
“আধেক ঘুমে, নয়ন চুমে, স্বপন দিয়ে যায়!”
ঘুম-এর তখন আর ঘুম আসবে না।
সেই সময়ে আমরা দুজন পাওয়া-না-পাওয়ার পাশ কাটিয়ে গড়িয়ে নেবো একটি রাত্রি
কি বলো, মন্দ হয়না, তাই না!
মৌনতা রিতু
প্লিজ, নীলাআপু এটা আবৃত্তি করে শোনাও। প্লিজ প্লিজ প্লিজ।
নীলাঞ্জনা নীলা
শান্তসুন্দরী আপু এটা আবৃত্তি করে শোনাবো এখন? হায়রে। ঠিক আছে ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেবো। খুশী? 😀 -{@
শুন্য শুন্যালয়
দাও মেসেঞ্জারেই দাও, যাদের মেসেঞ্জার নেই তাদের এসব শুনে কাজ নেই, পোড়াকপাল 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
তিলোত্তমা গো তুমি পাওনি? দিয়েছিলাম তো পাঠিয়ে।
শুন্য শুন্যালয়
তোমার মন্তব্য এ লেখার অনেক উপরেই চলে গিয়েছে নীলাপু। আমার জন্য এতো সুন্দর একটা লেখা লিখলে সেজন্য অনার্ড ফিল করছি কিন্তুু নিজে নিজে লিখলে তো শুধু হবেনা, শেখাবে কবে?
লেখাটা আহামরি কিছুই হয়নি ধুর, প্রথম তো দূরের কথা। এ আমাদের সোনেলার প্রতিযোগিতা নইলে আমার এই লেখা নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ, স্বপ্নের সমান। তোমাকে এত্তো ধন্যবাদ এতো সুন্দর লেখাটির জন্য। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু তোমাকে পছন্দ করি বলেই যে লেখাও পছন্দ করি, আমি তেমন নই। তুমি ভালো লেখো তাই তোমার লেখাকে পছন্দ করি। লেখার মাধ্যমেই তো আমাদের পরিচয়, তারপর না আস্তে আস্তে সম্পর্কে নাম এলো।
কাল মামনিকে বলেছি তুমি যে ঘুম নিয়ে লিখেছো, শুনেই বলেছে বিষয়ের সুন্দর নির্বাচন। বললাম তোমার মেয়েকে কিছু সাজেশন দিচ্ছো না কেন? আমাকেও একটা সুন্দর নির্বাচন করে দাও।
তোমারে আমি আস্তে আস্তে অপছন্দ করা শুরু করছি কিন্ত। এই পরতিযুগিতায় কে পরথম, দিথিয় হইবো জানিনা। তয় আমাগো দুজনের সম্পক্কর বারুটা বাজাইয়াই ছাড়বো দেখতাছি। :p -{@
শুন্য শুন্যালয়
অপছন্দ করতে শুরু করলে কিন্তু ভালোই হয়, নইলে প্রেম যে আন্ধাকানুন। 🙂
প্রতিযোগিতায় তৃতীয়ও তো আছে, নইলে স্বান্তনা পুরষ্কার, এতো ভাবছো কেন? যেকোন একটা তোমার 😀
তুমি না থাকলে আমার লেখার পাঠক কই পাইতাম কও? 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
হেরে গেলেন ঘুমের কাছে!!! চলো তবু আজ ঘুম পাড়ানি পাসিপিসিকেই ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে দুজন জেগে থাকি।
ঘুম ঘুম চোখে চেয়ে থাকতে না পারা যে কষ্ট তা বঝেন আপু।
পারলেন না ঘুমকে আপন করে নিতে।
হুম! ভাল লাগলো।
শুন্য শুন্যালয়
ঘুমকে আপন করতে পারিনি, কী বলেন!! ঘুমই জীবন, ঘুমই মরন 🙂
হ্যাঁ ঘুমের কাছে হেরে বসে আছি, সেইইই কবে থেকে!!
থ্যাংকস কিউট ভাইয়া।
নীহারিকা জান্নাত
ঘুমকে চিঠি!!! তাও এত সুন্দর!
আমিতো তাকে ধমকের উপরেই রাখি। বলি “কাছে আসবি কি না বল”। অমনিই সে এসে ভর করে আমার দু’চোখের পাতায়। 🙂
চিঠি পড়ে মুগ্ধ। -{@
শুন্য শুন্যালয়
আমারে তো ধমক দিতে হয়না, সারাক্ষন পিছে পিছে থাকে। যখন তখন এলিয়ে পড়ে গায়ে। 🙂
আপুর চিঠি কই?
মৌনতা রিতু
কেন যেন চোখের পাতা ভারি হয়ে আসছে।
এমন করে চিঠি ঘুমের কাছে!
শুধু অনুভব করতে ইচ্ছে করছে প্রতিটা শব্দকে।
কাউকে শোনাতে ইচ্ছে করছে। তুমি আসলেই সে তুমি।
ভালবাসা নিও।
শুন্য শুন্যালয়
আহা এতো আবেশ নিয়ে পড়েছো? শোনাও না আমাদের ভাই টাকে। খুব বেশি ব্যস্ত কী সে?
তুমিও আমাদের সেই তুমি প্রিয় ভাবীজান। (3
নীরা সাদীয়া
ঘুমকে লেখা চিঠি, এতো এক বিষ্ময়কর ব্যপার। তার থেকেও বড় ব্যপার হলো, এত সুন্দর কথামালা, সেও অাবার ঘুমকে! অভিভূত হলাম শূণ্য দিদি।
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ ছোট আপু। একটু ভালো লাগলেই আমি খুশি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
রাইতের কালে নীল পাইলেন কৈ! আমাগো বকলম ঠাউরেছেন!!
তবে হ্যাঁ, ঘুম-কে ঘুম পড়াতে গিয়ে যে কথার মায়া-জাল ফেলেছেন
তা কিন্তু ভাল বলতেই হচ্ছে, (যদিও হাল্কা তাল কেটেছে, কেউ বোঝতারবে-না, গোপনে বল্লাম), অনেক দিন পর লিখলেও জাত লিখিয়ের ছাপ রেখেছে জেনে-বুঝে, (হাল্কা বাড়িয়ে বলা), কিছু সুন্দর-হাসিখুশি-শব্দ দেখে ভাল লাগল (কী কী শব্দ তা বলা নিষেধ),
আমরা তো স্পেড কে স্পেডই বলি, তাই না!!
তবে পুরস্কার-ফুরুস্কার পাইবেন বলে মনে হয় না, ১০২ বা ১০৩ আপনি বললে দিতে পারি, (এর থেকে বেশি নম্বর দিয়ে বসে আছি, পাঠক হিশেবে)
ভাল কথা নকল-ফকল করেন্নি তো, ঠাডা পড়া রোদ্দুর আর ঘুম-ফুম নিয়ে কোথাও কিছু
পড়েছিলাম বলে মনে পরছে-না যদিও।
শুভেচ্ছা, লিখলেন বলে, অনেকদিন পর সেটি না-বলি।
শুন্য শুন্যালয়
বকলম তো অবশ্যই :p চারিদিকে কৃত্রিম আলোয় ঢাকা পড়লে রাতের নীল চোখে পড়বে কী করে? আমার জানলায় আসুন, সত্যি সত্যি নীল আকাশ দেখাবো। সত্যি সত্যি।
বাড়িয়ে বলে বলে আমার মাথা নষ্ট করে লেখা সব গায়েব করে দিয়েছেন। এবার অন্তত লাইনে আসুন।
আচ্ছা আচ্ছা বুঝদার, নিষেধের বেড়াজাল পেরোলাম না।
স্পেড যেন কোনটা? ঠিকমত না চিনলে ভুল হইতেও পারে।
আহারে পুরষ্কার পাবোনা বলছেন? 🙁 আমি বললে 102/103 নয় সর্বোচ্চ মার্কসই চাইবো। একটু স্বৈরাচারী ই এতদিনে বোঝার কথা।
আমার ভোরের কপি পেস্ট কত্তো দেখি রোজ, তাই নকল আবার নকল নাকি?
হালকা কাটার তালটুকু ধরিয়ে দেবে কে?
ছাইরাছ হেলাল
নকল নকল ডাক পারি
নকল চা খায়!! অন্যের বাড়ী!!
ভোর, আয় আয় তাড়াতাড়ি,
নকলের খ্যাতাপুড়ি,
নকল বলে কিচ্ছু নেই,
সব-ই মিডিয়ার বারাবাড়ি!!
জানালার খোলা দরজায়
কে যেন উঁকি দেয়,
এ যে ভোরের হামাগুড়ি
হাঁটু ছিলে বিস্তর কিরমিরি,
দূরে বসে দেখি-দেখি
হাসাহাসি করি!! আহা,মরিমরি।
শুন্য শুন্যালয়
বৈশাখ ম্যাগাজিনে ছড়া বিভাগ আছে, আমি কিন্তু এইবার ছড়াকারকে দেখতে চাইই চাই। 🙂
প্রহেলিকা
লিখতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করেছেন মনে হলো। অথবা লেখা শেষ করে চোখ বুলানোর ধৈর্য্য হয়নি। তবে আমি অবশ্য জানি নির্ঘুমতা অস্থিরতাকে প্রসারিত করে।
**নিরপরাধ সময় আমাদের অবাক আর অবিশ্বাসীদের মতো করে দেখুক। **
অসাধারণ প্রকাশ। আকাশের বিজলীর মতো চমকালো। এক মুহূর্তেই যেন আকাশ দেখার সমান। এমন আরো অনেক লাইনই কিন্তু রয়েছে।
**রাতের অন্ধকার দিনের আলো দেখে কী? নাকি শব্দেরা নৈঃশব্দের শব্দ শুনতে পায়? ** এমন কঠিন প্রশ্ন করে বসলেন? রক্ষা হোক আপনার। আমি ভাবছি ঘুম না আবার উল্টো প্রশ্ন ছুঁড়ে জিজ্ঞাসা করে, মেঘ কি কখনো বৃষ্টি ছুঁতে পারে?
সেই কবে থেকে লেখার চেষ্টা করছি কিন্তু হচ্ছে না। এবার ভাবলাম প্রতিযোগীতার অজুহাতে লিখে ফেলতে পারব। কিন্তু আপনারা যদি এতো ভাল লেখাকে শিরোনামে প্রতিযোগিতা লিখে দেন আমাদের একটু ভয় পাবারই কথা।
সফল হোক, রাত জেগে এই চিঠি লেখা।
শুন্য শুন্যালয়
তাড়াহুড়ো আর অস্থিরতার অভিযোগ কত্তো পুরনো! মুশকিল হলো অনেক সময় নিজের চোখ এড়িয়ে যায়। কিছু একটা মিসিং টের পাচ্ছি কিন্তু ধরতে পারছি না। একটু ধরিয়ে দিলে এডিট অপশন তো আছে। পুরষ্কারের দৌড় থেকে এভাবে বের করে দিলে হবে?
ঘুম নিজে কঠিন তবে কঠিন প্রশ্ন করেনা। মেঘ বৃষ্টি ছুঁতে পারে কিনা! উত্তর তো আমিও বুঝতেছিনা, অভিকর্ষজ শক্তির কাছে সম্ভবত পরাস্ত হবার কথা। তবে যার জন্ম যেখানে তা না ছুঁলেই বা কী!
চিঠির জন্য কিন্তু অপেক্ষা করছি। আপনার যে ভয় পাবার কোন কারনই নেই, সে তো আপনিও কিঞ্চিত জানেন।
প্রহেলিকা
দেখুন সোজাসাপ্টাই বলি, পড়তে পড়তে ভালই লেগেছে। শব্দেশব্দে ভালোই এঁকেছেন, পাঠক চোখেও কষ্ট হয়নি দৃশ্যকল্প উঠে আসতে। বিষয়বস্তু চমৎকার! তারপরও অধম পাঠকের প্রত্যাশা বেশি, তাই আরেকবার ভাবতে বলব, প্রথম প্যারার প্রথম লাইনটি নিয়ে বা তৃতীয় প্যারার প্রথম লাইনটি নিয়ে।
এতো ভাল লিখেন কিন্তু এতো অস্থির ক্যান! ^:^
শুন্য শুন্যালয়
কাড়িকাড়ি শব্দটা ভালো লাগেনি আপনার 🙂 হুম মেঘের সাথে হয়তো এই শব্দটা যায়না। পাঠকের মতামত সানন্দে গ্রহণ।
তৃতীয় প্যারায় কথা বলতে বলতে ঘুমের আয়োজন হয়েছিল তাই এভাবে বলা। যাই হোক চেষ্টা থাকবে নেক্সট টাইম বেটার করার তবে অস্থিরতা কমবে না বোধহয় 🙂
অনেক ধন্যবাদ প্রহেলিকা।
ব্লগার সজীব
ঘুম কি কারো নাম? আপনার ঘুম আর একটি ঘুম আমার কাছে পেঁচিয়ে গিয়েছে। কিছুতেই আর জট খুলতে পারছি না। ঘুমে ঘুম হবার মতই কি অবস্থা? আমি কেন এত কম বুঝি? 🙁 আরো পড়তে হবে আপনার চিঠিটি। কে জানে প্রতি দাড়ি, কমা, সেমিকোলনে কি রহস্য লুকিয়ে আছে।
।
।
।
।
।
চিঠি কিন্তু ভাল হয়েছে 🙂
শুন্য শুন্যালয়
রহস্য কই সবই মেলে ধরা। ব্লগার সজীব কম বোঝে? আহারে মেরে ধরে আমাদের জ্ঞানী সজুর কী অবস্থা করেছে!
প্যাঁচ তো আমিও খুলতে পারছিনা। আপনি পারলে বলবেন কিন্তু। 🙂
ব্লগার সজীব
মাইরের উপ্রে নাকি ঔষধ নাই 🙁 দিনে কমপক্ষে অর্ধশত বার শুনি এটি 🙁
শুন্য শুন্যালয়
মাইর দিলে কী হইছে, আদরও তো দেয় :p
আগুন রঙের শিমুল
কি অদ্ভুত!! কি অদ্ভুত!!!
নির্ঘুম চোখ জানালায় আমি নিজেকে শোনাই নিজের গান … শুনতে ছিলাম, তখনই ঘুমের কাছে চিঠি চোখে পরল … জগৎ রহস্যময় 🙂
শুন্য শুন্যালয়
বাহ্ মজার 🙂 নির্ঘুম জেগে থেকে নিজে কে গান শোনাচ্ছিলেন তখনই ঘুমের কাছে চিঠি, সেখানে কেউ গল্প শোনায় ঘুমকে। আসলেই জগৎ রহস্যময়।
এবার যে সেই গান আমারও শোনার লোভ জাগছে।
আগুন রঙের শিমুল
https://youtu.be/c6TQebwXJWQ
🙂
শুন্য শুন্যালয়
আগে শুনিনি কেন এটা? 🙁
খুব সুন্দর।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
চিঠি যে কত রকমের হয় তা এই প্রতিযোগিতা না হলে বুঝতেই পারতাম না।অভার অল ভাল লাগল। -{@
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা। মনির ভাইয়ের চিঠি কই?
আবু খায়ের আনিছ
ঘুমের কাছে হেরে গেলেন শেষ অবধি।
বাবু মামার খুন হওয়া! রহস্যজনক, তথ্যটা কি জানতে পারি?
এই চিঠি না পড়লে বুঝতেই পারতাম না ঘুমও মানুষের প্রিয় হয় তাও এটা। অসাধারণ হয়েছে, সাধু সাধু
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ ঘুম আমার খুব প্রিয়। পৃথিবী উল্টে গেলেও আমার ঘুমের কিছু হয়না, সেই হিসাবে আমি অনেক সুখী মানুষ।
বাবু মামাকে নিয়ে ছোট্ট একটা লেখা আছে ফেসবুকে। দেবো একসময়। খুনের পুরো রহস্য যদিও লেখা নেই তাতে।
তোমার চিঠি কবে দিবা আনিছ ভাই?
আবু খায়ের আনিছ
আমি ভেবে পাই না কোনটা রেখে কোনটা লিখি, কখনো মনে হয় দাদুকে লিখি, কখনো বাবা, আবার কখনো ইশ্বর, কখনো প্রধানমন্ত্রী। প্রেমিকা নাই বোন আছে তাদেরকেও লিখতে ইচ্ছা করে কিন্তু ঠিক গুছিয়ে উঠতে পারি না। আজ ঘুম থেকে উঠে বসেছি সেটা লিখার জন্যই, জানিনা কতদূর কি লিখতে পারব।
শুন্য শুন্যালয়
চিঠির বিষয়বস্তু নির্ধারণ এবং প্রাপক যথার্থ হয়েছে আনিছ ভাই। প্রতিযোগিতা শুনলে এমনিই আমার মাথামুথা ঘুরায়।
মেহেরী তাজ
প্রথম কথা জেগে থাকবে ঠিক আছে। সেটাতে সবায় কে টানো কেন??
দ্বিতীয় কথা তুমি ৩ দিন ঘুমাও নাই? ;?
৩য় কথা হাসি,গান,আনন্দ,কষ্ট এর ১৫ বছরই কেনো? ২২ বছর নয় কেনো?
আচ্ছা বুবু আমরা ধারে কাছে এতো জন আছি তবুও কেনো তুমি ঘুমকেই লিখলে?
এই আমি ঠিক জানতাম “ঘুম” টা একটা শত্রুপক্ষ হয়ে উঠবে খুব শীঘ্রী!!!!!
হলোও তাই!!!
উয়েট উয়েট….. আসতেছি।
শুন্য শুন্যালয়
আহা রাগ করছিস কেন? সোনেলার সবাই আমার প্রিয় না? তাই কী করলাম জেগে সবাইকে বললাম। বলা ঠিক হয়নাই বুঝি? ;?
এত্তো প্রশ্ন করলে উত্তর ক্যাম্নে দিমু? 🙁
দ্যাখ, আমার ঘুমের ম্যালা শত্রু, তুইও শত্রু হয়ে উঠলে আমার ঘুমের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাবেনা? আমার একটাই ঘুম, একটাই বুবু।
এই দাড়া, দাড়া কই যাস?
মেহেরী তাজ
আমি কারর শত্রু হতেই পারি না। ঘুমই আমার সাথে শত্রুতা শুরু করছে।
২০ তারিখ পর্যন্ত দৌড়ের উপরই থাকবো বুবু। এক মুহূর্ত ও দাঁড়ানো যাবে না! ১৯-২০ এক্সাম!
ফিরবো তার পরেই।
গেলাম…..
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা বুবু দৌঁড় শুভ হোক। অপেক্ষায় থাকলাম।
মেহেরী তাজ
তো ফিরলাম! তুমি কই??
(চোখের কাছে বাত্তি নিয়ে খোঁজার ইমো নাই কেন??)
শুন্য শুন্যালয়
তুই এলি, আমি যাবো। এবার যে আমার দৌঁড়ের পালা।
ইকরাম মাহমুদ
ঘুুমকে চিঠি। ব্যাপারটা চমৎকার। ঘুমকে ভালোবাসে না এমন একজনও পাওয়া যাবে না। আপনার এটি চিঠি হলেও বিষয়তো ঘুম। ঘুমকে নিয়ে আমার একটা লেখা মনের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে অনেক আগেই। উপযুক্ত শব্দবিন্যাসে চিঠিখানা লেখা হয়েছে। পড়ে ভালো লেগেছে।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ ইকরাম ভাই। হ্যাঁ ঘুম আমাদের সবারই প্রিয়। আমার একটু বেশি। হাজার হাজার পরীক্ষাতেও আমি রাত দশটার বেশি কমই জাগতে পেরেছি। তবে গল্প করতে হলে জেগে থাকতে পারি 🙂
আপনার মনের মধ্যে প্রকাশিত লেখাটিও আমাদের দেখান। আপনার যেই গোছানো লেখার হাত!
ইকরাম মাহমুদ
হুমম প্রকাশ করব। ভাবছি ওটাকে নিয়েই। ধন্যবাদ আপু
শুন্য শুন্যালয়
ঠিক আছে ভাইয়া অপেক্ষায় থাকলাম।
মিষ্টি জিন
সবাই তো সবকিছু বলে ফেলেছে, আমি কি বলবো?
আচ্ছা চিঠি লেখার আর কাউকে খুজে পেলে না!!! আমার শত্রুকেই তোমার চিঠি লিখতে হোল!!!
নিয়ম মাফিক রাতে ৬/৭ ঘন্টা ঘুমাতে হঁয় বলে ঘুমাই। এছাডা একদম অপছন্দ ঘুম আমার।
ঘুম কে গুছিয়ে এত সুন্দর চিঠি লেখা তা তোমাকে দিয়েই সম্ভব।
সব গুনে গুনান্নিতা।
🙂
গুড নাইট, সুইট ড্রিম।
শুন্য শুন্যালয়
আমার প্রিয় ঘুম তোমার শত্রু? 🙁 এইজন্যেই তো তোমার পিছু ছাড়বো না, লেগেই থাকবো। হুম আমি বেগুনের গুনে গুনান্বিতা। 🙂
চিঠিইইইইইইইইইইইইইইইই কইইইইইইইই?
জিসান শা ইকরাম
ব্যস্ততার কারণে পড়া হলেও এতদিনেও মন্তব্য করা হয়নি।
সোনেলার নিয়মিত ব্লগারদের প্রতিযোগিতার চিঠি সবই পড়া হয়, দু একটির মন্তব্য করা হয়নি।
এত সুন্দর লেখায় শুধু ভাল হয়েছে বলে মন্তব্য করা উচিৎ না।
সহজ, সরল ভাবে আপনার আবেগকে প্রকাশ করেছেন চিঠিতে, আপনার স্বাভাবিক লেখা হলে সম্পুর্ন চিঠি বুঝতে কিছুটা দুর্বোধ্য লাগতো আমার। দুর্বোধ্য লেখা বুঝতে যে বিশেষ যোগ্যতা লাগে তা আমার নেই। এই লেখা বোঝার যোগ্যতা অবশ্য আছে আমার।
যে আবেগ দিয়ে এমন লেখা লিখেছেন সেই আবেগকে শ্রদ্ধা করি আমি।
চিঠি খুবই ভাল হয়েছে। প্রতিযোগিতায় আপনার চিঠি স্থান করে নেবে বলেই আমার বিশ্বাস।
শুভ কামনা সব সময়ের জন্য।
প্রবাসে ভাল থাকুন।
শুন্য শুন্যালয়
আমার লেখালেখির যোগ্যতা নিশ্চয়ই এতদিনে বুঝে গিয়েছেন, তাই সময়ে দুর্বোধ্য, অস্থিরতা, তাড়াহুড়ো, অস্বাভাবিক যা খুশি লাগিয়ে দিতে পারেন, নো উত্তর।
আবেগ কিসের আবার? প্রতিযোগিতার জন্য লিখেছি। পুরষ্কার পাবোনা মনেহয়। এইসব ট্র্যাডিশনাল কথা, লেখা এখন অচল।
আপনিও ভালো থাকুন সবসময়।
জিসান শা ইকরাম
ট্রাডিশনাল কথায় পুর্ন লেখাটি যতই অচল বলুন, প্রিয় তালিকায় নেয়ায় ঠেকাতে পারবেননা।