আজ প্রত্যুষে এক জানে জিগার কৃষ্ণচূড়া ফুলের একটি ছবি পাঠাইয়া বলিল' প্রাণ ভরিয়া উহাকে দেখিয়া লও, শেষ বারের মত উহার নাম ধরিয়া ডাকিয়া নাও, অচিরেই উহার নাম পরিবর্তন হইয়া যাইবে।' তাহাকে বলিলাম 'ইহা কিভাবে সম্ভব?' উত্তরে বলিল 'পাঠ্যপুস্তকে নজরুলের কবিতার শব্দ পাল্টাইয়া মহা-শ্মশান এর পরিবর্তে গোরস্থান করা হইয়াছিল তাহা কি তুমি অবগত নও?'
ভীষণ চিন্তিত হইয়া পরিলাম। কৃষ্ণচূড়ার নাম পরিবর্তিত হইয়া কি হইতে পারে? কৃষ্ণর নাম পরিবর্তিত হইয়া ইসলামী করা হইবে? কৃষ্ণকান্তের উইল এর পরিবর্তে কি আবদুল কান্তের উইল পড়িতে হইবে? ইন্ডিয়ার একটি স্থানের নাম আছে কৃষ্ণনগর উহাকে কি আমরা আবদুল নগর বলিব? ইন্ডিয়া ভ্রমনে কেহ যদি আমরা যাই, আমরা কি ইন্ডিয়ার বাস কাউন্টারে বলিব ভাই একখানা আবদুল নগরের টিকিট দেন তো?
মাথা পুরাই আউলা ঝাউলা হইয়া গেল।
আচ্ছা কিশোর কুমারের অতি বিখ্যাত হৃদয় ছেদারক গান 'আশা ছিল ভালবাসা ছিল' এর এই অংশ টুকু কি এইভাবে গাহিব? 'এই সেই আবদুলচুড়া যার তলে দাঁড়িয়ে হাতে হাত............... ' কেমন লাগিবে শুনিতে?
এই গান খানা এমন ভাবে শুনিতে কেমন লাগিবে? আবদুল আবদুল আবদুল......... আবদুল আইলা রাধার কুঞ্জে......
আবদুল কলি আমি তারে বলি, কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক...... এই গান তাহা হইলে এইভাবেই শুনিতে হইবে!
বন্ধু তোমার চোখের মাঝে চিন্তা খেলা করে গানের শিল্পীর নাম কি আবদুলকলি হইয়া যাইবে?
সগৌরবে চলছে বলাকা প্রেক্ষাগৃহে হুমায়ুন আহমেদের আবদুলপক্ষ
আমার মাথা পুরাই শেষ হইয়া গিয়াছে। এত এলোমেলো চিন্তা আমি আমার জন্মের পর হইতে আর করি নাই। আমার মাথায় কি প্রবেশ করাইয়া দিল আমার জানে জিগার? 🙁
********************************************************************
আমাদের সবার প্রিয় সজনে ডাটা সোনেলার রম্য রাজটা কই কই টই টই করিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতেছে কে জানে? মিস করি সজু ডার্লিং
২৭টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
বলো কি আপু আমাদের জাতীয় কবির কবিতাকেও ছাড় দেয়নি? তাহলে কৃষ্ণ’র তো বারোটা। হচ্ছেটা কি আমাদের দেশে? এ তো দেখছি পাকিস্তানের মতো অবস্থা! বর্তমান পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের আর তেমন কোনো অমিল নেই। এমনই যদি হবে, তাহলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের জন্য এতো প্রাণের বলিদানের কি প্রয়োজন ছিলো?
শুন্য আপু ব্যঙ্গধর্মী লেখাতেও তুমি দেখছি সিদ্ধহস্ত! বাহ! একটা অনুরোধ করবো রাখবে? আমি চাই লেখাতে তুমি তোমার নিজেকে এমন এক উচ্চতায় রাখো, যার নামই হবে শুন্য ট্রেন্ড। ওকে?
অনেক ভালো রেখো তিলোত্তমা। -{@
শুন্য শুন্যালয়
নীলাপু আমাকে এদ্দিনে এই চিনলা? আমার কোনকিছুতেই সিরিয়াসনেস নেই। লেখালেখিও কোনদিন সিরিয়াসলি নেইনি, নেয়া হবেওনা আসলে। যা ইচ্ছে চলুক না এভাবেই, চলে তো গেলোই 🙂
আপু দেশপ্রেম এক ঠুনকো আবেগ।।
জিসান শা ইকরাম
কি যে হতে পারে, আর কি পারেনা, তা কল্পনাও করা যাবেনা। ইসলামী করন আরম্ব হয়েছে। শেষ কোথায় কে জানে?
অপেক্ষায় আছি এসব পরিবর্তন কিভাবে হয় তা দেখার জন্য।
রম্যর মাধ্যমে একটি বিশাল বার্তা নিয়ে এলেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
তা সজনে ডাটা সজু উধাও হয়ে যায় কেন মাঝে মাঝে?
শুন্য শুন্যালয়
পরিবর্তনের জন্য আগাম প্রস্তুতিমূলক পোস্ট এইটা ভাইয়া। ও তে ওরনা চাই হলে বাকিগুলোও হয়ে যাবে, নো চিন্তা।
মনির ভাইয়া বললো সজনে ডাটা নাকি এখন শ্বশুরবাড়ি 🙂
নীহারিকা
আমিতো এখন কনফিউজড হয়ে গেলাম। ঝামেলায় না গিয়ে এখন থেকেই তাহলে আব্দুলচুঁড়া ডাকা শুরু করি। বেচারা আব্দুল যদি জানতো তার নামের কি প্রসার হতে যাচ্ছে……
শুন্য শুন্যালয়
পাকিস্থান আমলের আগাম সিম্পটম তো শুরু হয়ে গেছে তাই ডাকাডাকি এখন থেকে শুরু করলেই ভালো।
আব্দুল আর বেচারা রইবেনা আপু 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
কত কি যে দেখতে হবে আমাগো…আপনি কি দাওয়াত পাননি সজু ভাই এখন শশুড় বাড়ী। \|/
শুন্য শুন্যালয়
তাই? আপনি দাওয়াত পেয়ে একা একা খেয়ে আসলেন এটা কী ঠিক হইলো মনির ভাইয়া?
সঞ্জয় কুমার
আবদুল আবদুল আবদুল……… আবদুল আইলা রাধার কুঞ্জে……
হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ :D) :D) 😀 :D) :D) :D) :D)
রাধার নামও কি চেঞ্জ হতে পারে ?
শুন্য শুন্যালয়
সবকিছুর নাম চেঞ্জ হইতে পারে, প্রস্তুতি অত্যাবশ্যক 🙂
ইঞ্জা
আজ পড়ালেখাতেও ধর্মকে জোড় জবরদস্তি ঢুকানো হয়েছে জাতিয় কবির লেখাকেও বদলিয়ে দেওয়ার দৃষ্টতা দেখাচ্ছে ওরা, আমাদের এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে, এইসব পাকিস্তানি বংশধরদের ধরে গণপিটুনি দিতে হবে, তাহলেই হয়ত আমার ভাষা, আমার ধর্ম বাঁচবে।
শুন্য শুন্যালয়
কিছুই বাঁচবেনা ভাইয়া, অই ধর্মের লেবাসটুকু ছাড়া।
ইঞ্জা
আপু দিনদিন যে হারে এদের সরকার পাত্তা দিচ্ছে, ভয়েই আছি।
শিপু ভাই
মহা শশ্মানকে গোরস্তান করা হয়েছিল পাকিস্তান আমলে।
আব্দুল আব্দুল আব্দুল… প্রথমে বুঝি নাই :D)
শুন্য শুন্যালয়
আমল ইজ কামিং সুন 🙂
গান এমন হইলেও হইতারে ভাইয়া, কিছুই বেসম্ভব।নয়।
মেহেরী তাজ
তোমার এই পোষ্ট পড়ে দৌড়ে চলে গেছি কৃষ্ণকলি র গানটা শুনতে। শুনেছি অনেক বার কৃষ্ণকলির নাম টা যদি আব্দুল কলি হয়ে যায় এই ভয়ে গানের পাশে উনার বাংলা নাম সেভ করে গানটা এখানে সেখানে কপি করে ফিরে এসেছি।
এখন নজরে পড়লো আশা ছিলো- এটাও তো কপি করে রাখতে হবে। না জানি কখন আবার রিমেক বাইর হয়।
এবার আসল কথায় আসি! আসি? আসলাম। কে কে কে?? এতো বড় সর্বনাশ টা করলো কে? এই অসময়ে আব্দুলচূড়া না দিয়ে রজনীগন্ধা বা গোলাপ দিলেই পারতো।
শুন্য শুন্যালয়
বিনা পয়সার তা দিয়েছে বোঝস নাই? এহন তো কৃষ্ণচূড়ার দিনকাল চলতেছে। 🙂
গান যা শোনার, লিখে রাখার লিইখা ফালা। টাইম ইজ রানিং।
মিষ্টি জিন
শুন্য মহা শশ্মানকে অনেকদিন আগেই গোরস্থান করা হয়েছিল। আর বাংগালিদের দ্বীখন্ডিত করার জন্য দুই কবিকে ভাগ করে দেয়া হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ হিন্দুদের আর নজরুল মুসলিমদের।
যাক , তবে তোমার মত আমার ও তো মাথা এলোমেলো হয়ে গেল। আমার রাধাচূডা গাছটাকে কি এঁখন আমিনা চূড়া ডাকতে হবে।?
ভালইতো রম্য লিখতে পারো।
শুন্য শুন্যালয়
ভাগ বাটোয়ারার এই সিম্পল হিসাব এখনো বলবৎ আছে, ভবিষ্যতেও থাকিবে মিষ্টি আপু। তা আমিনাচূড়া নামটা কিন্তু ভারী সুন্দর, চলো প্র্যাক্টিস করি। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, বুঝলাম সবই, তবে আমি আছি আমার জ্বালায়,
শকুন্তলা, অনুসুয়াদের এবার কী হবে তাই ভাবছি!!
কালীবাড়ী রোডে আমার চেনা দোকান আছে!! আব্দুল রোডে ক্যাম্নে যাব!! তাই ভাবছি।
পর্দাপুশিদা লিখে ফেলেছি আপনার এ লেখার আগেই, পেয়ে যাবেন।
খুবই সময়োপযোগী লেখা লিখে ফেলেছেন,
শুন্য শুন্যালয়
চিন্তার বিষয়, কী হবে শকুন্তলা, অনুসয়াদের? 🙂
গলায় দড়ি দিয়া দ্যান, পরের জন্মে মালদ্বীপের দ্বীপে কবি সহ পুনরুত্থান হোক।:)
লেখেন পর্দাপুশিদা নিয়া, তবে গানখানি স্মরনে রাইখ্যা, ‘পর্দে মে রেহনে দো, পর্দা না উঠায়ো’.
মোঃ মজিবর রহমান
ধর্ম ধর্ম ধর্ম ধর্মের খেতা পুরি।
জা হবার ‘৪৭ সেই হএয়েছে এখন শুধু তাই রে নাইরে ধরেন। যখন দ্বিজাতি তত্ব শুরু অতখন শেষ সব শেষ।
শুন্য শুন্যালয়
ধর্মের খেতা পুড়লে, ব্যবসা বাণিজ্যের কী হবে ভাইয়া? 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
পরিবর্তন শীল তাই সবি পরিবর্তন হবে স্বাভাবিক নিয়মেই।
ছাইরাছ হেলাল
এমুন রাঙা ফুল-টুল দ্যাহাইয়া ভাইগ্যা যাওন ঠিক না, ভাইয়া!!
শুন্য শুন্যালয়
ভাইগ্যা যাওনের ঠায় ঠিকানা জানা থাকলে দিয়েন ভাউ।
নীরা সাদীয়া
হাহাহা, এটা কি কল্পনা নাকি সত্যিই কৃষ্ণ চূড়ার নাম পরিবর্তিত হইবে?