কিছু না বলা কথা

গাজী বুরহান ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, সোমবার, ০১:৫১:৪৩অপরাহ্ন কবিতা ১৮ মন্তব্য

১/
ঘুম-পক্ক্বীদের ভিড়ে নির্ঘুম রাত
কত বিস্বাদ! কত নির্ঘাত!!
হিম ধরা সময় হয়ে ওঠে ভয়ংকর!
এ যে ফাগুন! এ যে আগুন!!
.
শয়নে মাথার আধ হাত উপরে,
কে বসে ঈশারা করে?
রাতের ঘুম পাড়ানোর দায়িত্ব
কি আমার? কে বলেছে?
.
মোয়াজ্জিনের আজান ভেসে এসে
কর্ণকুহরে প্রবেশ করলে পরে
তবে নাকি মিলবে ছুটি!!
তুমি ক্যুন হে...?
.
তবে আমার শিশিরস্নাত সকালের
কি হবে?
ঘাসের ওপর ফুলে ওঠা বিন্দুর উপর
সূর্যের আলোয় প্রতিবিম্বস্নান সকালের
এই আয়োজন কার জন্য তৈয়ার করা হয়েছে?
.
খুব জানতে ইচ্ছে হয়,
সে গ্রহের প্রাণী কি
সে নয়..?

.
২/ ঝিনুকের চোখের মত শরীরের অস্ফুট সব
চোখ দিয়ে দেখা সেই নিস্তব্ধ সময় ধরে
বেঁচে আছি।
সমাজের শুদ্ধতম কলঙ্ক নিয়ে বেঁচে
থাকার মত শক্তি
আছে। তাই ভেসে আসা মেঘের দিকে
থাকিয়ে অবৈধ হাসি দেই।
পৃথিবীদেবী শেষ অবধি দেখে যাব বলে
লম্ফঝম্ফ দিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় উঠি।
রোদ্দুর ভরা বিকেল শেষে হন হন করে ছুটে
চলি অজানায়
ভাস্কর্যের মত দাড়িয়ে থেকে নিষিদ্ধ
সময় দেই পাড়ি।

.
৩/ জ্বলন্ত নিকোটিন লাগে
..........
কনকনে শীতের রাতে
আকাশে চাঁদ উঠিলে
হু হু করে কপাট খুলিতে
জ্বলন্ত নিকোটিন লাগে।
.
বারান্দায় বসে আলোকছটা
সাথে ভূত-পেত্নীদের ভিড়।
ভেঙে নিরবতা, হি হি রব তুলিতে
জ্বলন্ত নিকোটিন লাগে।
.
মনে যদি হয় ক্ষত, না থাকে ব্যথা
সহিতে পারা যায়? পারা যায়? কি করে?
মনের ক্ষতে রাখিতে যন্ত্রণা-ব্যথা
একযোগ জ্বলন্ত নিকোটিন লাগে!

0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ