কেউ একজন বলেছিল "যে নিজেকে ভালবাসতে পারে
না, সে অন্যকে ভালবাসবে কিভাবে??" কথাটা সত্য। তবে
যুক্তিগত কিছু ভুল আছে। মানুষের মস্তিষ্ক একসাথে
দুটো কাজ করতে পারে না। তুমি একসাথে তোমার
দু'হাতের দুটি আংগুল পরস্পর বিপরীত দিকে ঘুরাতে
পারবে না।
কারণ তোমার মস্তিষ্ক এটি করতে অক্ষম।
তোমার যখন মনে হবে তুমি কাউকে ভালবাস, তখন
তোমার নিজস্ব কোন অস্তিত্ব থাকবে না। তুমি সবসময়
চাইবে অন্যের অস্তিত্বে বিলীয়মান হতে। ভালবাসার এটি
একটি সহজাত ধর্ম। অন্যের অস্তিত্বে যখন অন্যের
অস্তিত্ব চলে আসে, তখন সব ভালবাসাই চলে যায় তাকে
ঘিরে। নিজেকে ভালবাসার অবকাশ থাকে না। মনে হয়
নিজেকে ভালবাসলে যদি তার প্রতি ভালবাসা কম পড়ে
যায়!!
সবাই এই ভালবাসা অগ্রাহ্য করতে পারে না। কিছু কিছু
সময় স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা মানুষকে এই ক্ষমতা দেয় না।
১৬টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
নিজেরে চাইতেও বেশি ভালোবাসা যায় নাকি? প্রমাণ করে দিলেন তো।
ব্যাক্তিগত ভাবে একেকজন একেক ভাবে সজ্ঞায়ীত করে এই বিষয়কে, এখানে কারোটা মিলবে কারোটা মিলবে না এমনি হবে।
অয়োময় অবান্তর
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
একেকজন একেক সময়ে, ভিন্ন জায়গায়, আলাদা পরিস্থিতিতে বিষয়টির মুখোমুখি হয়। তাই হয়ত বিষয়টির সংজ্ঞা আলাদা হয়। মানুষের মন, বড়ই বিচিত্র।
শুন্য শুন্যালয়
ধ্রুব সত্য হচ্ছে, মানুষ নিজেকেই ভালোবাসে, অন্যকে ভালোবাসে কারন তাতে তার নিজের ছায়াই দেখে।
অয়োময় অবান্তর
ছায়াও কিন্তু অন্ধকারে মিলিয়ে যায়।
মৌনতা রিতু
বুঝতেছি না কি মন্তব্য করব! ভালবাসা একেক সময় একেক রকম। একেকজনের জন্যও সেই ভালবাসা আলাদা। শুধু নিজের সন্তানের জন্য তা সম্পূর্ণ আলাদা। হয়ত সন্তানকেই শুধু নিজের থেকে বেশি ভালবাসা যায়। বাকি হৃদয়ের যে টান, অনুভূতির ভালবাসা, তাও সময়ের সাথে ওঠানামা করে।
অয়োময় অবান্তর
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আসলে ভালবাসার সংজ্ঞা যাই হোক না কেন, যেমনই হোক না কেন তার মূলে রয়েছে তার ভালবাসা দেওয়ার ক্ষমতা। ভালবাসা পেতে হলে ভালবাসা দিতে হবে। কারণ অন্যের ভালবাসা পেতে হলে তো তার সে ভালবাসা গ্রহণের জায়গা থাকতে হবে। যার ভালবাসা দেওয়ার ক্ষমতা যত বেশী তার ভালবাসা পাওয়ার ক্ষমতাও তত বেশী। এ পৃথিবীতে কোন কিছুই অসীম নয়। এ বিরাট মহাবিশ্ব তাও অসীম নয়। এর একটা সীমা আছে। তেমন ভালবাসারও একটা সীমা আছে। যে তার ভালবাসার সীমারেখার যত কাছাকাছি যেতে পারবে তার ভালবাসার মহত্বও হয়ত তত বেশী হবে।
মিষ্টি জিন
নিজেকে ভালবাসা ..,কেমন জানি একটা স্বার্থপরতার গন্ধ আঁছে এর মধ্যে।
অয়োময় অবান্তর
ঠিক তাই। স্বার্থপরদের ভালবাসার কেন্দ্রে থাকে নিজে। তাই তাদের ভালবাসার পরিধি বেড়ে উঠে তাকে ঘিরেই। তারা জানেনা সেই পরিধির বাইরে কি থাকে। কারণ সে সরে গেলে তার পরিধিও সরে যায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
বেশ সুন্দর অনুভবের কথা শুনালেন আজ।
অয়োময় অবান্তর
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলে কিন্তু আমরা সবচেয়ে ভালোবাসি নিজেকেই। তারপর অন্যকে। একটা সত্যি ঘটনা বলি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার/হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে পালাবার সময় আমার মামনিরই পরিচিত একজন আন্টির বাচ্চা পথে পড়ে যায়। কিছুদূর যাবার পর উনি খেয়াল করেন বাচ্চা কোলে নেই। ফিরে গেলে ইজ্জত যাবে, তাই কাঁদতে কাঁদতে দৌঁড়াতেই লাগলেন। ঘটনাটা যখন শুনি আমি তখন ক্লাশ এইটে পড়ি। তারপর একটা সিনেমা দেখি ঠিক এমনই ঘটনা। কোল থেকে পড়ে যাওয়া। আর বাচ্চার কান্না থামাতে মুখ চেপে ধরা। পৃথিবীতে মায়ের সন্তানের প্রতি ভালোবাসার তুলনা হয়না। মা তার সন্তানকে সবচেয়ে ভালোবাসে আমরা বলি। আদতে আমরা নিজেদেরকেই আগে ভালোবাসি। “আপনি বাঁচলে বাপের নাম”, কিংবা “চাচা আপন জান বাঁচা।”
তবু জানি ভালোবাসা আছে। আমরা ভালোবাসি। নিজে না খেয়েও অন্যকে খাওয়াই, অন্যের উপকার করার চেষ্টা করি। কারণ আমরা মানুষ, সৃষ্টির সেরা জীব বলে কথা! ভালো লিখেছেন।
অয়োময় অবান্তর
মনটা যেহেতু মানুষের সেহেতু কিছু কিন্তু থেকেই যায়। মানুষ বলে কথা, ব্যতিক্রম বাঞ্ছনীয়।
শামীম
আপনার লেখাটা পড়তেই তরিগড়ি করে আয়নার সামনে দাঁড়ালাম, সত্যিই তো নিজেকে ভালোবাসা এখন আর হয়না।
মেহেরী তাজ
নিজের চেয়ে বেশি ভালো কাওকে বাসা যায় নাকি? এমন কথা কেউ বললে আমার মনে হয় সে মিথ্যা বলছে!
কখনও কখনও কাওকে অনেক ভালোবাসা যায় তবে তার পরিমাণ নিজের চেয়ে বেশি হওয়ার প্রশ্নই আসে না!
অয়োময় অবান্তর
ভালবাসার ক্ষেত্রফল জানা নেই। অন্য প্রাণীদের কথা জানি না, তবে বিষয়টা যখন ভালবাসা আর হোস্ট যখন মানুষ সেখানে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
নিজের চেয়ে কেউ কাউকে ভালবাসবে এটা বিশ্বাস হয় না ।গানটি শুনুন
https://www.google.com.bd/url?sa=t&rct=j&q=&esrc=s&source=web&cd=6&cad=rja&uact=8&ved=0ahUKEwjwltCgq5bOAhWDvY8KHdHkAP4QFgg0MAU&url=http%3A%2F%2Fvideo.genfb.com%2F1762600940637631&usg=AFQjCNE1airIeQbcG_fypI81iunr_NQmKQ&sig2=rEc3gHMYhhrSeQdzKSz9Mg