অদ্য সকালে যথারীতি অফিসে আগমনের উদ্দেশে কল্যানপুর হতে বাসে উঠে বসি, রাস্তায় কালজ্যাম মানুষ অতিষ্ঠ। যথাস্থান হতে শ্যামলি হয়ে রোকেয়া স্বরনির লিংক রোডে এসেই আরেক মহাজ্যাম। একটু একটু করে গাড়ী এগোয় আর এগোয়।

পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের নিকট লেগুনা থেকে অসুস্থ এক ব্যাক্তিকে নামিয়ে দেওয়া হল। ব্যাক্তি ফুটপথে পড়ে গেলেন মনে আঘাত লাগলো। আমি যে বাসে অবস্থান করছি,  ড্রাইভারকে বললাম পানি নায় ? উনি বলল কি হবে,  আমি বললাম ঐব্যাক্তিকে দেওয়ার জন্য। তিনি মিনিট খানেক পর হেল্পারকে বললেন ঐ লোকটিকে তুলে নিয়ে আয়, মহাখালিতে যখন যাবে নামিয়ে দেব। নিয়ে আসার পুরবেই আমার সিটে পাশে অবস্থানরত ভাইকে বললাম আমি দাঁড়িয়ে যাচ্ছি উনাকে বসিয়ে দিই। পাশের সিটের তিনিও দাঁড়িয়ে থাকল। আমি শরিরে হাত দিয়ে বললাম চোখ বুঝে বসেন ঠিক হয়ে যাবে। আর ড্রাইভারকে বললাম পাশের সি এন জি ড্রাইভারের নিকট পানি আছে কিনা দেখেন? পানি মিলল না।

ড্রাইভার সাহেব হেল্পারকে বলল এই দেখত সামনের লেগুনাতে পানি আছে কি? পানি মিলল। বোতলের মুখটি খুলে অসুস্থ লোকটিকে দিলাম পানি খেয়ে কিছুটা সুস্থবোধ হল। হেল্পারের নিকট ঐব্যাক্তির মোবাইল ছিল আমি বললাম কল লিস্টে  একটি কোল দেন। হেল্পার বলল আপনি দেন। দিলাম। দিয়ে উনার ভাতিজা থাকে পোস্তকোলায় সে বলল এক্টী সি এন জিতে তুলে দেন।

এতক্ষণে ভালই সুস্থবোধ করায় তিনি বলল আমি আয়েশা মেমোরিয়ালে টেস্ট করাব, তারপর যাব। হেল্পার বলল ভাই আপনি উনাকে হাসপাতালে পোছে দিন। এখানেই আমি দায়ীত্ব একটু পালন করলাম। তাঁর জেলা মাদারিপুর। আর ভাইতজার নাম ইস্রাফিল। এইটুকুই জানা হল।

মানুষের পাশে থাকতে অর্থ লাগেনা। মন লাগে আর সেই মনটা ড্রাইভারের ছিল তাই তিনি মহৎ।

0 Shares

১৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ