ইদানীং কবিতারা

ছাইরাছ হেলাল ৫ আগস্ট ২০১৫, বুধবার, ১১:১১:১২অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৮৪ মন্তব্য

ইদানীং,
কবিতা কারণে অকারণেও ক্ষণে ক্ষণে নেচে ওঠে, গেয়েও। খোপায় ফুল মেখে। গাও গাও নাচো নাচো, ভালোতো! ভালোনা? কত্থক,ওড়িশি বাঁ মনিপুরী। গানের সুর-তাল লয়-ফয় জানি না বুঝিও না। তা সে গান-ফান নাচ-টাচ করলে কার কী? না কারও কিচ্ছুটি ক্ষতি-বৃদ্ধি না, তবে কথা হলো কুঞ্জ বনের ঘ্রাণ পাচ্ছি যেন!!
রাঁধে......রাঁধে।
ইদানীং,
নীল অঞ্জনে কবিতা বেশ উচ্ছল উজ্জ্বল বাড়বাড়ন্ত, লতিয়ে-ফতিয়ে ফেনিয়ে- ফাঁপিয়ে ফুলে-ফুলে উঠছে। উঠুক না, সমস্যা কী? সমস্যা নেই। তবে কথা হলো, একটু বেশি বেশিই হয়ে গেল না? হোক না।
এতটা আবার ঠিক না, ঠিক না। সময় জ্ঞান-ফ্যান বলে কথা আছে না! সময়ের ক্ষ্যাতা পুড়ি!
ইদানীং,
কবিতারা এখন যখন-তখন, মাঠ-ঘাটে বাস-ট্রেনে পথে-প্রান্তরে শীতের গ্রষ্মে ঘুমের জাগরণে, ঘোর বরিষণেও।
একটু বেশি বেশি ই।
আহ,.....গোল করো না গোল করো না,কালঘণ্টা বেজে উঠলো বলে!
দু’দিনের জীবনে বিরহের ফেউ লাগিও নাতো। আছি এখন বেশ ব্যস্ত-সমস্ত কিশোরী-যুবতী ধাড়ী-বুড়ী কবিতাদের নিয়ে!!!!!! উন্মত্ত উন্মাদনায় সহচর বন্ধুত্বে। জল ঢেলোনা প্লিজ, দুর্নাম রটে যাবে, ভাব গোসাইয়ের বীণ বাজছে যখনে এ হৃদয়ে মরিবার তরে, কবিতার হাতেই সঁপেছি নিজেকে।

শঙ্খধ্বনির এই কবিতামন্দিরে সকালের সোনা আলোর ঝলকানিতে প্রিয়তমার ডাক শুনি। সুখসুখ দুঃখ কালের ক্ষীণ বার্তা ছুঁয়ে যায় উলুমুখে। ক্রান্তিকালের আজানুলম্বিত অবুঝ কবিতা প্রেমীদের পরজীবনে, প্রতীক্ষিত ব্যাকুলতায়।

কুড়িকুষ্ঠ হউক, হউক ওলাওঠা, সান্নিপাতি জ্বর হউক;
তবুও বেঁচে থাকুক কবিতারা কবিতার হৃদয় জুড়ে।
কবিতায় আশপাশ, কবিতায়ই বসবাস, কবিতায় শ্বাস–নিশ্বাস।

বিরহে বিবাগী হব না, কবিতা............ গোষ্ঠে এবার যাবই।

0 Shares

৮৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ